নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যতবার মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছি, ততবারই পুরুষ হয়ে উঠি। তুই শালা একটা ‌‘পুরুষ’ শব্দটি সম্ভবত পৃথিবীর নিকৃষ্ট একটা গালিতে রূপান্তরিত হবে। পুরুষ হিসেবে গর্ব করার কিছু নেই, আমি লজ্জিত, সত্যি লজ্জিত যে আজও মানুষ হতে পারিনি।

সীমান্ত প্রধান

যা কিছু সত্য, তাই সুন্দর

সীমান্ত প্রধান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তসলিমা নাসরিন বনাম মৌলবাদ

১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০


তসলিমা নাসরিন পচা একজন লেখক। যতসব পুরুষ বিদ্বেষী লেখা লিখে, বোকা বোকা মেয়ে-গুলানরে চালাক করে দিতাছে। যার কারণে, আজকে অনেক মেয়েই নিজ অধিকার সম্পর্কে সচেতন। যার কারণে মেয়েরা বুঝতে শিখেছে, কোন সিদ্ধান্ত সে নিবে, কোন সিদ্ধান্ত নিবে না। মেয়েগুলা বুঝতে শিখেছে, ‘জীবন যেহেতু আমার, সিদ্ধান্তটাও আমার’।

আহ হা তসলিমা নাসরিন! এটা আপনি কী করেছেন! এতে করে যে পুরুষগুলা (মূলত যারা পেশিশক্তি ব্যবহার করে নারীকে কোণঠাসা করে রাখার ইচ্ছা পোষণ করতেন) বড্ড বেকায়দায় পড়েছে! এর ফলে আগের মতো মেয়েগুলার লগে এরা লুতুপুতু প্রেম প্রেম, যাচ্ছে তাই আচরণ, যত্রতত্র তাদেরকে অবলা, অক্ষম, এরা পারবে না, দুর্বল, এদের দিয়া কিস্যু হবে না জাতীয় কথাগুলা উচ্চারণ করতে পারে না। ইস! আপনি বড্ড বেশি ক্ষতি করে দিয়েছেন পুরুষ-তন্ত্রের ধারক-বাহকদের। তাই তো তারা আপনাকে বলছেন, ‘তসলিমা নাসরিন নষ্টা, পথভ্রষ্ট’!

আমাদের সমাজে তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষিপ্ত ধর্মান্ধ তথা বক ধার্মিকেরা। তবে ইদানীং তথা কথিত প্রগতিশীলরা প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে গোপনে হয়ে উঠেছেন তসলিমা বিরোধী। বলতে শুরু করেছেন, ‘তসলিমা কোনো লেখকই না। তাঁর লেখা কোনো সাহিত্য কর্ম না। তাঁর বক্তব্য মূর্খ সুলভ। ধর্মকে আঘাত করে সে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানো চেষ্টায় লিপ্ত। এটা জনপ্রিয়তা না, এটা কুপ্রিয়তা’। যার বড় প্রমাণ দিয়েছিলেন আমাদের সভ্য-সাচিরা মামলার আশ্রয় নিয়ে!

যেসব বক ধার্মিকেরা তসলিমা নাসরিনকে মূর্খ বলেন, তাঁর আলোচনাকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন, তারা তো করবেনই! কেনো না, এরা তো বক ধার্মিক। ধর্ম ব্যবসা ছাড়া এদের যে আর কোনো পুঁজি নেই। তসলিমা তো সেই ব্যবসার মুলে হাত দিয়েছেন। বক ধার্মিকদের মুখোশ, লুঙ্গিতে টান দিয়েছেন তিনি।

তসলিমা বড্ড পাজি, কী দরকার ছিলো ধর্ম ব্যবসায়ীদের লুঙ্গিতে টান দেয়ার? কী দরকার ছিলো তাদের ব্যবসায় লাল বাতি জ্বালানো! কী দরকার ছিলো তসলিমার, আমাদের সভ্য-সাচিদের মুখোশে টান দেয়ার? আসলেই তসলিমা নাসরিন খুব বেশি বাড়াবাড়ি করেন। কেনো যে তিনি, বক ধার্মিক আর সভ্য-সাচিদের জি হুজুর, জি হুজুর করে যেতে পারলেন না! একটা বোকা লেখক সে। তাই তো তাঁকে দেশ ছাড়া হতে হয়েছে।

এই সমাজে একটা শ্রেণী থাকে তথাকথিত ঈশ্বরের মতো, লোকচক্ষুর আড়ালে। এরা প্রচণ্ড স্বার্থ-বাদী। এদের স্বার্থে কেউ ব্যাঘাত ঘটালে তার বারোটা বাজিয়ে ছাড়েন। এই শ্রেণীটা প্রকাশ্যে অনেক ভদ্র, নম্র। পক্ষান্তরে হিংস্র, পিশাচ। এই শ্রেণীটার বিরুদ্ধে কেউ কখনো সত্য উচ্চারণ করলে এরা সুকৌশলে বৃহত্তম একটি গোষ্ঠীকে অর্থ আর বুদ্ধি দিয়ে উস্কে দেয়। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ মৌলবাদী গোষ্ঠী। কেনো না, এই গোষ্ঠীটা নিতান্তই মূর্খ, বর্বর। এরা কান আছে কিনা যাচাই না করে চিলের পিছনে ছুটে, এটাই এদের বৈশিষ্ট্য। যেমন, তসলিমা কি বলেছেন, তা যাচাই বাছাই না করেই তাঁর মুণ্ড চাই, মুণ্ড চাই বলে শ্লোগান ধরেছিলেন।

যেমন ২০০৩ সালে একই ধরণের শ্লোগান ধরেছিলো মনিকাকে নিয়ে। মনিকা আলি লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেখক। তিনি তাঁর উপন্যাস ‘ব্রিক লেন’ লিখে বাংলাদেশি, বিশেষ করে সিলেটিদের মাধ্যমে চরম বিতর্কিত হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলো সিলেটিরা। তাঁকে যেন বাংলাদেশে আসতে দেয়া না হয়, সেজন্য সভা সমাবেশও করা হয়। এমন কি সে যদি সিলেটে আসার চেষ্টা করে, তাহলে এয়ারপোর্টেই তাঁকে মেরে ফেলা হবে বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন উগ্রপন্থী কিছু অন্ধ জনগোষ্ঠী। তাঁর অপরাধ, —তিনি তাঁর উপন্যাস ‘ব্রিক লেন’ এ বাংলাদেশকে ছোট করেছেন (এটা উত্তেজিতদের অভিযোগ)!

এ প্রসঙ্গে একটি হাস্যকর ঘটনা হচ্ছে, —মনিকা ‘ব্রিক লেন’ লিখেছিলেন ইংরেজি ভাষায়, যার বাংলা অনুবাদ নেই। কিন্তু এক সমাবেশে সিলেটের একটি ইউনিয়নের জৈনক চেয়ারম্যান মণিকার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, —‘মনিকা বাংলাদেশকে ছোট করে লিখেছেন। তিনি বাংলাদেশকে বিতর্কিত করেছেন। তাকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না। সে এখানে আসার চেষ্টা করলে তাকে এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত পাঠানো হবে। সে বাঙালি নামের কলঙ্ক’। এমন আরো অনেক কিছু বলেছিলেন তিনি।

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, —সেই চেয়ারম্যান বইটি পড়েননি। আসলে পড়েননি তা নয়, তার পক্ষে মনিকা আলির ‘ব্রিক লেন’ পড়া সম্ভব নয়। কেনো না, চেয়ারম্যান মহদোয় ছিলেন এক্কেবারেই অক্ষরজ্ঞাণহীণ। তবুও তিনি মনিকা বিরোধী! সাংবাদিকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তার কাছে জানতে চাইলেন, —তিনি বইটি পড়েছিলেন কিনা? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, —‘নাহ, শুনেছি তিনি (মনিকা) বাংলাদেশকে ছোট করে বই লিখছেন’!

আমাদের সমাজে এমন অক্ষরজ্ঞাণহীণ মানুষের অভাব নেই। আবার অক্ষর জ্ঞানযুক্ত মানুষও আছেন, যারা কেবল শোনার উপরই বিশ্বাস করেন। এই সংখ্যার লোক আমাদের সমাজে নেহাত কমন নয়। এ জাতীয় মানুষদেরকে অন্ধ বলা যায়। এরা যুক্তিতে বিশ্বাসী না। মূলত এরাই মৌলবাদ গোষ্ঠী। এরাই প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষভাবে মৌলবাদীদের আশ্রয়, পশ্রয়দাতা। এরাই মৌলবাদকে উস্কে দেয়।

‘মৌলবাদ’ বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যাপক ব্যবহৃত শব্দ। মৌলবাদ শব্দটি বর্তামানে প্রচণ্ড রকম নিন্দার্থক এবং ভীতিকর শব্দগুলোর অন্যতম একটি শব্দ। মৌলবাদ শব্দটির অবস্থান এখন মীর জাফর, রাজাকার শব্দের মতোই ঘৃণিত। মৌলবাদ মানেই প্রতিক্রিয়াশীলতা, রক্ষণশীলতা, কূপমণ্ডুকতা, আদর্শিক উগ্রতা, চরমপন্থি, প্রগতি ও আধুনিকতার বিরোধী। এরা আবার কল্লা কাটায়ও সিদ্ধহস্ত।

আজকের প্রেক্ষাপটে বলতে পারি, যা কিছু আধুনিক, প্রগতিশীল বিকাশের বিরোধী তা-ই মৌলবাদ এবং যারা এই প্রগতি-বিরোধী তন্ত্র, মন্ত্রে বিশ্বাসী মূলত তারাই মৌলবাদী। যেমন, খ্রিস্টান মৌলবাদ, হিন্দু মৌলবাদ, ইসলামি মৌলবাদসহ নানা ধর্মাবলম্বী মৌলবাদ। অথচ মৌলবাদ শব্দটি উচ্চারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষিপ্ত, হিংস্র হয়ে উঠে ইসলামি মৌলবাদীরা! যার কারণে এই গোষ্ঠীটি বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের, সর্বাধিক আলোচিত। যাদের আচার-আচরণ বিশ্বব্যাপী নিন্দিত, ঘৃণিত। এই গোষ্ঠীটা কল্লা বা মুণ্ড কাটতে বেশ পারদর্শী। এরা যুক্তি বুঝে না, মানুষ বুঝে না—এরা কেবল ধর্ম বুঝে।

এই মৌলবাদ শ্রেণীটা সবচেয়ে বেশি ক্ষিপ্ত মানবতাবাদ, নারীবাদ বা মুক্তবাক বিশ্বাসীদের প্রতি। তবে বাংলাদেশে এই শ্রেণীটা সবচেয়ে বেশি ক্ষিপ্ত নারীবাদী, মানবতার পক্ষে আপোষহীন শক্তি তসলিমা নাসরিনের উপর। এদের যুক্তি হলো, —তসলিমা নাসরিন ইসলাম ধর্ম, আল্লা আর মোহাম্মদ নিয়ে কটূক্তি করে লিখেছেন। কিন্তু এদের মধ্যে দশভাগ মানুষ তসলিমা নাসরিনের লেখা পড়েছেন কিনা, তা সন্দেহজনক। তবুও এরা তসলিমা বিরোধী। তবুও এরা তসলিমার মুণ্ড চায়। তাদের মতে, তসলিমা ইসলাম নিয়ে যাচ্ছে তাই বলেছে। তসলিমা নাস্তিক মুরতাদ।

প্রশ্ন হচ্ছে, তসলিমা যাই লিখেছে বা যাই বলেছে, তা কী কেবল একটি ধর্ম কেন্দ্রিক? তিনি কী হিন্দু বা অন্য ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করেননি? তাহলে শুধু শুধু কেনো ইসলামি মৌলবাদরা তার উপর ক্ষিপ্ত বেশি? আসলে তসলিমার মন্তব্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ইসলামি মৌলবাদ বা ইসলাম ধর্ম ব্যবসায়ীরা, এটাই এখন স্পষ্ট। তাই এই শ্রেণীটা ক্ষিপ্ত। যার প্রমাণ মাসিক মদিনা বা ইনকিলাব গোষ্ঠী।

এই গোষ্ঠীটার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মান্নানকে নিয়ে লেখার কারণেই তসলিমার বিরুদ্ধে বেশি সোচ্চার হয় একটা শ্রেণী। যে শ্রেণীটা মৌলবাদ গোষ্ঠী। যারা ইনিয়ে বিনিয়ে, ধর্মটাকে ঢাল করে সাধারণ মানুষকেও ক্ষেপীয়ে তুলেছেন। যা অন্ধর মতো বিশ্বাস করে ক্ষিপ্ত আর হিংস্র হয়ে উঠেছে অন্ধ-ধার্মিকেরা। অথচ যুক্তির বাইরে তসলিমা একটি কথা লিখেছেন, এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে বলে মনে হয় না।

তসলিমা নাসরিন এ যাবত-কাল যা লিখেছেন তা নি:সন্দেহে সমাজের, মানুষের কথা লিখেছেন, অধিকার আদায়ের জন্য সোচ্চার হতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সমাজের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরেছেন তিনি। কিন্তু এসব যুক্তি তীক্ষ্ণ সূচের মতোই বিঁধেছে ধর্মান্ধ, সুবিধাবাদীদের গায়ে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যুক্তি মেনে নিতে এতো ভয় কেনো পায় মৌলবাদীরা? কেনো তারা মেনে নিতে চায় না, যা যুক্তিসংগত তাই সত্য?

কথায় আছে, সত্য কথা সূচের মতো তীক্ষ্মভাবে গায়ে বিঁধে। সত্য তাই সহসায় সহ্য করতে পারে না এরা। যার কারণে তসলিমার উপর ক্ষিপ্ত মৌলবাদ গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীটা সত্য কোনকালেই সহ্য করতে পারে না। এই গোষ্ঠীর অধিকাংশ-জনই জানে না তসলিমা কি লিখেছেন! তবুও এরা তসলিমার মুণ্ড চাই বলে শ্লোগান ধরছে। আসলে এদেরকে একটা শ্রেণী অর্থ আর বুদ্ধি দিয়েই মাঠে সক্রিয় করে রেখেছে। আর এই শ্রেণীটা তথাকথিত ঈশ্বরের মতোই লোকচক্ষুর আড়ালে থাকেন। এরা ধর্ম ব্যবসায়ী। এরা চরমভাবে স্বার্থ-বাদী একটা গোষ্ঠী বা শ্রেণী।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, ঈদের পর এরকম ফাউল লেখা নিয়ে আসলেন কি উদ্দেশ্যে?

তাসলিমা কোন কথাটা যুক্তি দিয়ে লিখেছেন? ওর সব লেখা মূলতঃ পাগল ছাগলের প্রলাপ ! ভদ্র ভাষায় বললে, সে একজন মানসিক রোগী !

নিজের বাপ কার সাথে আকাম কুকাম করছে, সেইটা বইলে লেইখা কি যুক্তির কাজটা করছে সে? যদি সত্যিই বাপরে ভাল বাসত, তাইলে বাপরে সংশোধনের চেষ্টা করত। আলেমদের কাছ থেকে শুইনা আসেনতো, ইসলাম কি বলে, যদি আপনে দেখেন নিজের বাপ আকাম কুকাম করতেছে? সেইটা সবার কাছে বইলা বেড়াইলে বাপ সংশোধন হইব?

মানুষের আচরন হতে হবে মানুষের মত, তাসলিমার মত না !

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী বলে একটা কথা আছে না? তেমনই হলেন আপনারা। তার প্রমাণ তো আফগানিস্তানেই পেলাম। বাপ মেয়েরে দুই বাচ্চা উপহার দিসে! তাহলে কেনো যে মেয়েটা আদালতে গেলো! সে তো তার বাপেরে বুঝাইতে পারতেন বাবা আমারে এমুন কইরা কইরেন না। বাচ্চা অইবো।

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

আলী আকবার লিটন বলেছেন: এসব উস্কানি মুলক লেখা বাদ দেন দাদা...ভাল কিছু লেখেন । মাথায় যদি কোন ভাল আইডিয়া না থাকে তবে বসে বসে গরু রচনা আবার পড়েন ।দেখেন আপনার সাথে অনেক কিছুর মিল পাবেন...জত্তসব

১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: এখানে উস্কনির কি দেখিলেন রে ভাই? আমার তো মনে হয় গরুর রচনা লিখে আপনি সিদ্ধহস্ত। তাই নিজেকে এর বাইরে কিছুই ভাবতে পারছেন না। ভালো থাকুন। সবময়

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

(একজন নিশাদ) বলেছেন: ভাই তাসলিমারে আফগানিস্থানের একটু পরে নেন, একজন দুইজন মুসলিম সমগ্র মুসলিম জাতীর আয়না নয়, তার সব কথা সব লেখা মুল্যহীন তাও না আর কি জানেন ভাই আপনে যদি বলেন আপনি তসলিমা নাসরিনের সব কথা একবাক্যে মেনে চলবেন তবে আপনার অবস্থা তার বাবার মতন হবার সম্ভাবনা থেকেই যায় যেখানে আপনার কন্যা কিংবা স্ত্রী আপনার লুঙ্গী যেখানে সেখানে টান দিতে পারে, ভাই যতই কন আপনেও কিন্তুক ফেরেশতা না, ওয়ান স্পেশাল রিকো- আপনার অবস্থান থেকে আপনি বিচার করুন, আমি তসলিমার একটা ছবি দেখেছি হাফপ্যান্ট পড়া, আমি তসলিমাকে বলতে শুনেছি আমি একাধিক পুরুষে যেতেই পারি, ভাই আমি বলছিনা এই মহিলা যা বলেন সবই ভুল, নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে আমি আপনার পাশে আছি কিন্তু ভাবি যদি অন্য যায়গায় যায়, যদিও আপনি জীবনে অন্য কোথাও যান নাই, আমি কিন্তু আশেপাশে নাই (হাই রিস্ক)। ভাই ঝগড়াঝাটি না করি, আর মন্দকে বাদ দিয়ে ভালগুলোকে গ্রহণ করি।

১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: হাফ প্যান্ট পড়লেই কি মানুষ খারাপ হয়ে যায়? ভাবি যদি অন্য জায়গায় যায়। হুম যেতে পারে যদি সে মনে করে আমি তার জন্য তৃপ্তিদায়ক নই। আপনি কতোজন পুরুষ দেখাতে পারবেন যে তারা বহুগামি নয়। আবার এক নারীতে সন্তুষ্ট থেকেছে। আমি বহুগামি কি না সেটা আপনি নিশ্চিত হলেন কি করে? আমি এ পর্যন্ত বহু জায়গায় গিয়েছি। আশা করি আপনিও এর থেকে বিরত নন? এমন আরো অনেক পুরুষই আছে, যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় যেয়ে থাকেন। তবে স্বেচ্ছায় কিছু হলে দোষনীয় নয়। যেমন রুবেল যেটা করেছে সেটা নিশ্চয় নিন্দনীয়? ভালো থাকুন সবসময়

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: কি যে কমু বুঝবার পারতেছি না - -- -

১৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: হা হা...

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

chetamal বলেছেন: সবকিছুর ই ভালো দিক মন্দ দিক আছে, কেউ যদি বলে এই জিনিশটা সম্পুর্ন ভালো বা এই জিনিশটা পুরাই খারাপ। তাহলে এটাকে গোড়ামী বা মৌলবাদী বলে। তসলিমা নাসরিনেরে লেখাগুলো চমৎকার এবং যুক্তিসঙ্গগত বাট সে একজন খারাপ চরিত্রের মহিলা। মানে সাইকো। আমি ধর্মের কথা বলছি না সমাজ বলেও তো একটা কথা আছে, তাই না? এক সাথে বহু পুরুষ রাখাটা এই সমাজ কিভাবে নেয়?
আপনি তসলিমা নাসরিনের গুনগান গাচ্ছেন, আপনি কি তার কোন খারাপ দিক বলতে পারবেন? তাহলে বুঝা যাবে আপনি মৌলবাদী না। রিপ্লাই এর অপেক্ষায় আছি।
প্লিসঃ-

১৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: আমি ব্যাক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। যেমন আমি সমকামি না। কিন্তু তাই বলে সমকামি মানুষগুলোকে কিন্তু ঘৃণা করি না। আমি ধরে নিই এটা তাদের স্বাধীনতা। এটা তাদের ইচ্ছের প্রতিফলন। এ স্বাধীনতাটা সবারই থাকা দরকার।

আপনার সাথে আমার মতের মিল নাও থাকতে পারে। তাই বলে কি আমি অধিকার রাখি আপনাকে-খারপ বলার? সেটাকে কনো ধরে নিতে পারি না যে তা একান্তই তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার?

ভালো থাকুন। সবসময়। শুভ কামনা

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

chetamal বলেছেন: আপনার উত্তরটা আমার ভালো লাগলো ।

আপনি ও ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০১

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: আপনার প্রতিও রইলো শুভ কামনা...

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০৬

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, ঈদের পর এরকম ফাউল লেখা নিয়ে আসলেন কি উদ্দেশ্যে?

তাসলিমা কোন কথাটা যুক্তি দিয়ে লিখেছেন?

২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: তসলিমা কোন কথাটা যুক্তি দিয়ে বলে নাই? কোন কোন কথাগুলো আপনার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়?

আর হ্যাঁ, ফাউল হতেই পারে। সেটা আপনাদের মতো উদারমনাদের কাছে। ভালো থাকুন। শুভ কামনা

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৪

মাসূদ রানা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি ব্যাক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। যেমন আমি সমকামি না।

হাহাহাহা ....... তুমি সমকামী না ! এই নিঁঁখাদ মিথ্যা কথাটাও বিশ্বাস করতে হবে ছোট ভাই ? মার খাবার ভয়ে ঘাপটি মেরে থাকো,তাই এটা নিয়ে আর ঘাটালাম না। তবে আমার একটা ছোট্ট প্রশ্নের উত্তর দাও দেখি বাছা ? ব্যাক্তি স্বাধীনতা আর আকাম কুকাম কি এক হলো ?

আরেকটা কথা বলি, তসলিমা নাসরিনের ১০/১২ টা পুরুষের সাথে লিংগ শেয়ারিংকে যদি তোমার কাছে ব্যাক্তি স্বাধীনতা মনে হয়, তাহলে পরে তুমি একটা লুল ছেলে। কারন অবাধ যৌনাচারে বিশ্বাস লুল ছেলেমেয়েদের সেলিয়ান্ট ফিচার । আশা করি বোঝাতে পেরেছি
:)

২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: বড় ভাই, বিশ্বাস করার দরকার কি! আপনি অবিশ্বাসই করুন না, তাতে আমার কি যায় আসে? মার খাওয়ার ভয়ে আমরা ঘাপটি মারলাম কই? ঘাপটি তো মারেন আপনারা, যারা রাজীব, অভিজিৎ হত্যায় উল্লাস করেন।

আর হ্যাঁ, যেদিন আপনারা বর্বরতা ছেড়ে মানুষ হবেন, সেদিন দেখবেন আমরা আর ঘাপটি মেরে থাকব না। পাশাপাশি বসে চা পান করব। লেখার উত্তর লিখে দেব। নিজেকে বড় মনে করে হুট করেই কাউকে ছোট ভাই বলে বসব না।

সে ১০/১২ পুরুষের সাথে লিঙ্গ শেয়ার করলেই দোষ! আর আপনার বেলায়? ওহ গণিকালয় তো আপনার জন্য। ধর্ষণ সিদ্ধ তো আপনার জন্য। ৭২ হুর তো আপনার জন্য।

ভালো থাকুন। শুভ কামনা। মানুষ হোন। বলুন জয় হোক মানবতার

২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: মাগি চোদার সুযোগ পেলে ৯৫% পুরুষই কুকুর। কিন্তু তসলিমা সেই কুকুরদের নিয়ে লিখলেই বেশ্যা হয়ে যায় ওদের কাছে। মাগি চোদার সুযোগ পেলে সবাই বিসমিল্লাহ আর চোদা শেষ হলেই নাউযুবিল্লাহ! এটা কেমন বিচার গো তোমাদের?

১০| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আচ্ছা, বেশ বেশ দাদা, আফগানিস্তানে প্রমাণ পেলেন !

তা এই ঘটনাগুলো কোন দেশে ঘটেছিল দাদা ভাই ??

অস্ট্রিয়াঃ Josef Fritzl was sentenced to life imprisonment yesterday for incarcerating his daughter in a purpose-built prison beneath the family home in Amstetten for 24 years, raping her more than 3,000 times, fathering seven children with her and causing the death of a twin son.
বিস্তারিত এখানেঃ Click This Link

অস্ট্রিয়াঃ An 80-year-old man has been accused of locking up his daughters and raping them over a period of more than 40 years, in the latest incest allegations to shock Austria.
বিস্তারিত এখানেঃ Click This Link

১১| ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১০

মাসূদ রানা বলেছেন: যে নারী তার বাপের সাথে পর্যন্ত ব্যভিচারে লিপ্ত হতে দ্বিধা করে না, তাকে সতি সাদ্ধী ভাবার পেছনে কোন কারন খুজে পাচ্ছি না ........... হয়তো তোমাদের মত লুল ছেলেদের কাছে এসব কোন ব্যপারই না .......... তবে আমাদের মত ধর্মভীরু সাধারন মানুষের কাছে এসব বড় পাপ ।

আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে লুল পুরুষ লুল নারী হতে হেফাজত করুন ........

পুরুষদের একাধিক নারী গ্রহন কিংবা নারীদের একাধিক পুরুষ গ্রহনে ইসলামে কোন বাধা নেই । তবে যৌনতাকেন্দ্রিক সহিংসতা নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য মহান আল্লাহ পাক কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন ......... আমাদের সবার উচিত মানবতার স্বার্থে এসব বিধি বিধান মেনে চলা .........

আল্লাহপাক সবাইকে উত্তম জ্ঞান দান করুন ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

সীমান্ত প্রধান বলেছেন: অর বাপ ?

পুরুষদের একাধিক নারী গ্রহন কিংবা নারীদের একাধিক পুরুষ গ্রহনে ইসলামে কোন বাধা নেই । এ কথা আপনি বলছেন? তাহলে তসলিমা একাধীক পুরুষ গ্রহণ করেছে এতে সমস্যা কেনো আপনাদের? ধর্ম ভীরু হোন ভালো কথা। ধর্মান্ধ তো ভালো না। আর মানবতা ? সে আছে তো আপনাদের মাঝে ? শুভ কামনা। জয় হোক মানবতার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.