নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস এম এলিট

সিমন্ত

এস এম এলিট

সিমন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

খিচুড়ি ট্যুর ও ট্রাভেল

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২০


বিষয়টি পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রস্তাব দিয়েছে এবং সেটা এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। প্রস্তাবটি হল - এক হাজার সরকারী কর্মকর্তা খিচুড়ি রান্না শিখতে বিদেশে যাবে। এই সংবাদের পরে, যথারীতি শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা।

এই খিচুড়ি জিনিসটা বিশ্বের কতগুলি দেশ চেনে, কতগুলো দেশ খায়, আর এই ট্রেনিং কোন দেশ থেকে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রকল্পের প্রস্তাবকারী বলেছেন, তিনি ভারতের স্কুলে খিচুড়ি রান্না ও বিতরণ জিনিসটা দেখেছেন। হতে পারে, সেখান থেকেই তিনি এই আইডিয়া পেয়েছেন।

আসলে, বিদেশে গেলে খরচটা অনেক কম হবে। প্রকল্পের জন্য প্রাথমিক ভাবে ৫ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। একই প্রকল্প দেশে করলে, এর দশগুণ খরচ হতো। এক কেজি ডালের মূল্য ধরা হতো ১০ হাজার টাকা, চালের কেজি ৭ হাজার টাকা। এছাড়া বিভিন্নভাবে নেতাদের আত্মীয় স্বজনের কাছে টাকা পৌছে যেতো। একটুও বাড়িয়ে বলছি না। এর আগে, সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকল্পে, একটি বালিশ চার তলায় ওঠাতে ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি নারিকেল গাছ কেনা হয়েছে। আড়াই কোটি টাকা টিনের ঝুপড়ি কেনা হয়েছে। এমন অবস্থায় ৭-১০ হাজার টাকায় চাল-ডাল এর কেজি হতেই পারে। এজন্য, বিদেশে ট্রেনিং হলে, খরচ অনেক কম হয়।

এই ট্রেনিং ভারতে হলে, এর অনেক সুবিধা রয়েছে

১। ইউরোপ আমেরিকার মতন সবকিছু ডলার বা পাউন্ডে কিনতে হবে না।
২। ট্রেনিং এ গিয়ে ওই দেশে হারিয়ে যাবার (থেকে যাবার) ভয় নেই/।
৩। অসুস্থ হয়ে পড়লে কম খরচে চিকিত্সা করতে পারবে
৪। অনেকে এই সুযোগে পুরাতন কোন জটিল রোগের চিকিতসা করাতে পারবে
৫। কেউ দেখে ফেলার ভয় ছাড়াই কলিকাতা বা মাদ্রাজ হারবাল ইত্যাদির প্রধান কার্যালয়ে যাওয়া যাবে।
৬। মাঝে মাঝে বার-বি-কিউ ও বুফের খরচ বাচিয়ে, খিচুড়ী দিয়েই লাঞ্চ-ডিনার সারা যাবে ।
৭। বিনামূল্যে ভারতীয়দের কাছ থেকে অর্থ সাশ্রয় ও দেশপ্রেমের শিক্ষা নিতে পারবে
৮। ভারত যে বাংলাদেশের বন্ধু রাস্ট্র, সেটা আবার প্রমানিত হবে।
৯। উন্নয়নের জোয়ারে দেশের মানুষ খিচুড়ি রান্না ভুলে গেছে, এটা প্রমানিত হবে।
১০। অনেকে আবার এর মধ্যে নতুন একটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন খুজে পাবে।

এত সুবিধাজনক প্রজেক্ট এর সমালোচনা হবে কেন? আশা করব দায়ীত্বশীলেরা অতি দ্রুত এই প্রজেক্ট এর অনুমোদন দিবেন এবং শিঘ্রই এর বাস্তবান শুরু হবে। কম খরচে বিভিন্ন প্রজেক্ট সফল করার জন্য বিদেশ যাত্রার কোন বিকল্প নেই। সেটা ভারতে হলে তো আরো ভালো। এই উদাহরন কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে এমন ধরনের আরো অনেক প্রজেক্ট এর আইডিয়া আসতে পারে। যেমন, চা বানানো শিখতে, পানি গরম করা শিখতে, মই বেয়ে ওঠা নামা শিখতে, হাত পাখা দিয়ে বাতাস করা শিখতে, আমরা দলে দলে সরকারী কর্মকর্তাকে বিদেশে পাঠাতে পারি।


সংবাদ সুত্রঃ Click This Link

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: নিউজটা শুনেই মেজাজটা প্রচন্ড গরম হয়ে গেছে।

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৬

মা.হাসান বলেছেন: মনোমুগ্ধকর প্রকল্প । প্রকল্পের সর্বাঙ্গিন সাফল্য কামনা করছি।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রকল্পের প্রস্তাবকারীকে ধন্যবাদ যে সে ভারতের নাম বলেছেন। সাথে কিছু ছাত্র/ ছাত্রী নিয়ে যাওয়া উচিত খিচুড়ি খেয়ে দেখার জন্য। কারণ তাদের যদি খিচুড়ির স্বাদ ভালো না লাগে তাহলে তো পুরো প্রকল্পই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২২

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাই আমারে চাউল ডাউল মশ্লা তেল কিন্যা দেন , খিচুড়ি পাকাইয়া দেখাইতাছি । সাথে প্যাকেট আর চামুচ দিয়েন সারভ করার জন্য । টেকা টুকা চাইনা ।

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩১

আমি সাজিদ বলেছেন: একনেকে ঝিনুক সংরক্ষণ প্রকল্প পাশ হয়েছে খেয়াল করেছেন? গতকাল প্রথম আলোতে রেলের অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়েও একটা প্রতিবেদন ছাপা হলো। যেই রেল মন্ত্রী হয়ে যান একদম ঘরের পাশে স্টেশন নিয়ে যান৷

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩১

আমি সাজিদ বলেছেন: একনেকে ঝিনুক সংরক্ষণ প্রকল্প পাশ হয়েছে খেয়াল করেছেন? গতকাল প্রথম আলোতে রেলের অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়েও একটা প্রতিবেদন ছাপা হলো। যেই রেল মন্ত্রী হয়ে যান একদম ঘরের পাশে স্টেশন নিয়ে যান৷

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৭

আলীনুর বলেছেন: আমাদের দীনতা আমাদের কর্মের মাঝে ফুটে উঠছে। কয়টার আর সমালোচনা করা যায়, আমরা সবাই যার যার অবস্থানে দীনতায় ভুগছি। শুধু সরকারী চাকুরেদের কথা বলে লাভ কি? বর্তমানে দেশী অন্য সেক্টর গুলোই আর কোন ভালো কাজ করছে, কদিন আগে পত্রিকায় আসলো গার্মেন্টস মালিকারই বেশী টাকা প্রাচারের সাথে জড়িত। আসলে আমাদের পলিসি পরীবর্তন এর দরকার, দরকার শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের। কারণ আমাদের পলিসিই আমাদের দুর্নীতি শিখায়। সামাজিক অবক্ষয় আমাদের ক্যান্সার এর মতো, এর সুষ্ঠ উত্তরণ খুব একটা সহজ না।

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩০

পদ্মপুকুর বলেছেন: হেডলাইনটা জটিল হইছে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.