![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর কতভাবে অপমানিত করতে চায় খালেদা জিয়া, বাঙালির হাজার বছরের কাঙ্খিত মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগি গৌরবময় পুলিশ বাহিনীকে? কেন বার বার অপবাদ দিয়ে ছোট করবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বাংলাদেশ পুলিশকে? এর কারন কি?
খালেদার পুলিশের প্রতি এবারের মন্তব্য, পুলিশ নিজেই পেট্রোল বোমা মেরে বিএনপি জামাতের কর্মীদের উপর দোষ চাপিয়েছে'। এটা কোন দলীয় প্রধানের মন্তব্য হতে পারে না বিশেষ করে শোয়া দুইবার প্রধানমন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পালনকরা নেত্রীর মূখে শোভা পায়নি এমন অবান্তর সমালোচনা।
যে পুলিশ ১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনীর উপর সর্বপ্রথম থ্রিনটথ্রি চালিয়ে শুরুকরে ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের, এসেছিল বাঙালির হাজার বছরের কাঙ্খিত স্বাধীনতা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে পুলিশের গৌরব, আত্মত্যাগ আর দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি পুলিশের অপরিসীম অবদানের ইতিহাস। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল একটা আকষ্মিক ভীতি তৈরি করে বাঙালির আন্দোলন থামিয়ে দেয়া। তারা ভাবেনা যে, তারা কোন প্রতিরোধের সম্মুখীন হবে। কিন্তু রাজারবাগ সহ সারা দেশের কোন পুলিশই সেদিন সিদ্ধান্ত নিতে দেরী করেনি, তারা বীরদর্পে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। স্বশস্ত্র আন্দোলনের চিন্তাই করা হয় পুলিশের মধ্যথেকে আর তারা প্রতিরোধও তৈরি করে নিজ অবস্থান থেকে। যা পুলিশের ইতিহাসে গৌরব করার মত ভূমিকা যোগ করেছে। এর ইতিহাস প্রতিটি থানায় রক্ষিত আছে।
যে পুলিশ বাহিনী শত প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে দ্বিধাহীন চিত্তে 'দুর্জনেরে হানো' এই আদর্শিক অবস্থান সর্বসময়ে, সর্বকালে স্বাধীনতার মান সমুন্নত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা বদ্ধ। সেইসব বীর পূর্বসূরীদের বীরত্বের ইতিহাস জানলে, বুঝলে তাদের প্রতি আমাদের হৃদয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা ভালবাসা জাগ্রত হয়ে উঠে। সেই পুলিশকে স্বাধীনতা বিরুধী খালেদা ও তার সহযোগীরা অপমান করেই চলেছে অবিরত,এর নেই কোন প্রতিবাদ, নেই কোন প্রতিকার, না আছে বিচার, না আছে পুলিশের প্রতি কোন সুসিল মানবাধিকার!
স্বাধীনতার মাস মার্চ নিয়ে গতানুগতিক লেখার অবকাশ নেই যেন ২০১২ সালে। দেশ বিরুধী ধর্মান্ধ গোষ্ঠী অঢেল অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সংগঠনের নামে '৭১ এর মানবতা বিরুধী যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় চলমান বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ, 'ওহাবি হুকুমত' কায়েম, মুক্তিসংগ্রামের চেতনা নস্যাতে সহিংস কর্মসূচী দিয়ে আইন অমান্য ও সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষে পুলিশ বাহিনীকে আক্রমন ও হত্যা করে আভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে দেশকে গভীর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিতে দীর্ঘ মেয়াদী এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছিল। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে পরিস্থিতি তেঁতিয়ে তুলে মার্চ মাসের অগ্নীগর্ভ করে তুলেছিল বিএনপি জামাত-শিবির।
পাকিস্তানি বাহিনীর এদেশীয় চিহ্নিত দোসর জামাতের নেতা যারা ১৯৭১ সালে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে মিলে বাঙালি জাতি, গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ, লুটপাটে মেতেছিল,তাদের বিচারিক কাজে সরকার যখন সুষ্ঠুভাবে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন সেই সময়ে বিএনপি ও জামাত-শিবির চক্র পরিকল্পিতভাবে বিচারিক প্রক্রিয়া বানচালে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, অমান্য করে মারমুখি হয়ে হত্যাযজ্ঞে মেতেছিল। সে সময়েও প্রধান টার্গেট ছিল পুলিশ বাহিনী। অগণতান্ত্রিক সহিংসতা ঠেকাতে (গণতান্ত্রিক হরতাল ঠেকাতে নয়) জনগণের জানমাল, সরকারি বেসরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মাঠে নেমেছিল পুলিশ। উম্মত্ত বিএনপি জামাত-শিবির কর্মীদের সহিংসতা ঠেকাতে, নৈরাজ্য ঠেকাতে, আইন শৃঙ্খলা বজায় রেখে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সকল পথ যখন নিঃশেষ তখন সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে বাধ্য হয়েই গুলি চালাতে হয় পুলিশকে।
সেদিনও খালেদা পুলিশকে তোলনা করেছিল ইয়াহিয়ার দখলদার বাহিনীর সাথে। বলেছিল, 'একাত্তরে যেমন বাংলাদেশের বাসিন্দাদের ভয় দেখিয়ে কাবু করে গণহত্যা করেছিল ইয়াহিয়ার দখলদার বাহিনী, তেমনি হাসিনার পুলিশ বাহিনীও ইসলাম প্রেমী চেতনার মানুষকে ভয় দেখিয়ে কাবু করতে গণহত্যায় নেমেছে'।(২২ মার্চ, ২০১৩)
এই বলার মধ্যদিয়ে বিরুধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া সমালোচনা করতে গিয়ে বিদেশি দখলদার জেনারেল ইয়াহিয়া খানের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সমরিক সরকারের সর্বাত্মক যুদ্ধের সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতির শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মাধ্যম হরতালকে কূলসিত করেন।
ইতিহাসকে অস্বীকার ও উপহাস করে, হরতালের নামে সহিংসতা রোধকারী পুলিশকে পাক আর্মির মত ভয়াভহ বিভৎস চেহারা রূপি করে ফেললো বিরুধী নেত্রী খালেদা জিয়া। এমন অপবাদ কোনকালে কেউ বাংলাদেশ পুলিশকে দিয়েছে বলে জানা যায়না। এটা জেনে পাকি আর্মিও লজ্জায় মুখ লোকাবে। আর খুশি হয়ে হাত তালি দিয়ে বলবে 'আমাদের গণহত্যার পার্টনার পেয়েগেছি খোদ বাংলাদেশে।পুলিশ আর্মি হয়ে অন্ধত্বে গণহত্যায় মেতেছে।'
আর কত অপমান করতে চান খালেদা বাংলাদেশ পুলিশকে?
আর কত উপহাস করতে চায় খালেদা বাংলাদেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে?
(লেখাটি ছবিসহ সংগৃহীত, ২০১৫ সালে লেখা হয়েছিল)
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮
সিঙ্গাম স্যার বলেছেন: ও মটু তোমারে পাইয়া ভালা হইল, ভালো লাগলো মন্তব্য
২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:২২
মিঃ মটু বলেছেন: আপনাকে প্রথম পাতায় নিবে না কোনদিন !!!
হায় হায় কি করছেন!! সত্য কথা তিতা লাগে জানেন না!!
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০
সিঙ্গাম স্যার বলেছেন: ডরাইয়ো না মটু, আমারে এমনিতেও সেফ করবো না দলবাজ মডুরা!!
মাঝেমধ্যে বেরিয়ে যেও, তাই ভালো
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আরো নতুন পোস্ট দিন
৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মনে হচ্ছে আপনি, মটু ও পাতলু বাস্তব জীবনেও পরিচিত কিংবা বন্ধু।
৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪
মিঃ মটু বলেছেন: সিঙ্গাম স্যার ডরাইছে হা হা হা
৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
সনেট কবি বলেছেন: বেশ।
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪১
জীবন সাগর বলেছেন: লেখাটি ভালো ছিল, ধন্যবাদ
তয় আপনার তো কোন সাড়াশব্দ পাই না আর... !
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:২১
মিঃ মটু বলেছেন: গায়েব করছেন সিঙ্গাম স্যার!! আপনাকে সবাই আওয়ামী লীগের প্রচারক ভাববে!! কেউ আপনার পুলিশ প্রেম দেখবে না!!