![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্পর্শী,
তোকে অনেক মিস করছি। জেগে জেগে আর ঘূমিয়েও। তোর চূলের গন্ধ কুয়াশার মত ভেসে আসে। তোর ডাগর ডাগর মায়াবিনী দুচোখ আমায় নির্ঘূম করে রাখে। তোর উদ্দাম চলাফেরা, নূপূরের আওয়াজ আমায় স্তম্ভিত করে দেয়, কানে কানে বাঝে তোর পদধ্বনি। অন্ধকার গ্রামের সোঁদা মাটির গন্ধ, কেরোসিন প্রদীপ, তোর কপালের কালো টিপ, তোর মায়াবী অধর কিছুই ভূলা যায়নি আজো।ঘূমের শেষে প্রথম দৃষ্টি মেলে ও আমি থমকে দাড়াই তোকে না দেখে। সকালের সোনারোদ, খাবারের থালাটাও তোকে মনে করে। দূপূরের খা-খা রোদ্দুর, স্নান শেষের আয়না, ভ্যাসলিন, বিছানায় শুয়ে থাকা, আমার অবাধ্য কলম খাতা, তোকে নিয়ে লিখা কবিতাগুলো এরা সবাই খুজে তোকে, ভাবে, কাছে চায়।ফেলে আসা পথপ্রান্তে, আমার বুকে তোর মাথা রাখা, তোর শাসন-বারন , আহবান, তোর দীঘল কালো চূলে হাত রাখা, তোর ঠোটে চুম্বন কিংবা আমার অবাধ্য হাতের আনাগোনা তোর উষ্ণ দেহে, তোর কাধে মাথা, চোখে চোখ রাখা, পাশাপাশি বসে থাকা আরো কত কি! আমি নষ্টালজিয়ায় ভুগছি ভীষণ।
জানিনা তুই ভূলেছিস কিনা?
তোর হাতে হাত রাখা, তোর কারনে জেগে থাকা রাত, তোর গলার তিল, ঠোটের তিল, নি:শ্বাদ আর বুকের কাঁপন, জড়োজড়ো করে জড়িয়ে রাখা সকল প্রহর আমায় পিছুডাকে। নীরবে গলাছেড়ে ডেকে ডেকে যায়।
আমি থমকে দাড়াই প্রতি পদক্ষেপে প্রতি নি:শ্বাসে। আর ভাবি তুই কি আমায় ভাবিস, না ভেবে পারিস, হয়ত পারিস! হয়ত ভাবিস!
কিন্তু তুই আমার হৃদয় সীমান্তে জলছাপ হয়ে ভাসিস।
হয়ত অনাগত কারো ভাবনা তোকে ডুবিয়ে রাখে, ভূলিয়ে দেয় আমায়। তোর জোসনা রাতে আমি ম্লান হয়ে যাই, কবরস্থান এর নির্বাসিত আলো আধারী মিটিমিটি জোনাকীর মত।
বুকের ভিতরটা স্তব্ধমহাশ্মশানের মত হুহু করে উঠে যখনি ভাবি ভূলেছিস তুই আমায়। আমার ভাবনাগুলো অশান্ত ভোগাইয়ের ঢল হয়ে যায়, স্বপ্নের বসতভিটা নিমজ্জিত হয় গতিময় প্লাবনে। সুখের তীর যায় ভেসে যায়।
যখন ক্রোধ জাগে বুকে আমি নির্বাক হয়ে যাই। বলতে পারিনা কিছুই। তুই কারো সাথে কথা বলিস আমার রাগ হয় প্রচন্ড। যখন কারো সামনে হাসির ফোয়ারা চলে তোর আমার খুব কষ্ট হয়। ক্রোধে আমি জ্বলে পুড়ে মরি, আর ইচ্ছে করে ঐ লোকটার বুকে চালাই ছুড়ি, আকাশে বাতাসে ঝড় তুলি, প্রকম্পিত করে ধ্বংস করে দিই পৃথিবী। আর আমার এই বৃথা আস্ফালন দেখে তোর হাসি পায়, তুই সুখি হোস! আমি চাতকের মত ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকি তোর পানে আর তুই ভাবলেশহীন একখন্ড পাথর হয়ে থাকিস।
তোর মনের উঠোনে এত মানুষের আনাগোনা যেখানে আমি সীমানার বাইরেই রয়ে যাই! আমার অসহায়ত্ব আর বোকামি দেখে তুই মজা পাস হয়ত। নিজের সাথে নিজের লুকোচুরি পারিনা আমি তাই উড়িয়েছি সব আমার তোর আকাশে ।
উড়ালপণ্খি, যাবি আর কতদূরে , কত আর উড়াউড়ি, ঘূম আসেনা, নাইবা আসুক, নির্ঘূমতা দুচোখে জুড়ি,
জানি তুই মরীচিকা, আলো নয় ফাকি,
বৃষ্টিতে ভিজি দৃষ্টির ক্যানভাসে করি মিছে আকাআকি,
জানেনা এই চোখ ভোর হতে কত বাকী।
ফাগুন তুমি ফিরে যেতে পারো,আগুন তুমি পারো জ্বলতে, দুচোখে প্লাবন জাগে জাগুক, জ্বলতে রাজী আমি হতে পারি পিদিমের সলতে।
ফিরে যেতে পারিস তুই, ইচ্ছে হলে পারিস আসতে,আমার স্বপ্নের পদাবলি তোর পদতলে তবু সুখের জোয়ারে পারিস ভাসতে।
মৃত স্বপ্নের দল তুলে তুলুক দাহের দাবী, রাত যত দূর্স্বপ্নই নিয়ে আসে আসুক দুচোখে, ঘূম হোক তোর হাতে ডাকাতি,হয়ে যাবো রাতপ্রহরী।
ফিরে যেতে পারিস, ভূলে যেতে পারিস, ইচ্ছেটা তোর।আমি মনে রাখবো। ভালবাসবো- নীল আকাশ, কালোরাত, কালো মেঘ, রঙিন বিকেল আর স্পর্শী তোকে। ভালো থাকিস তুই নীল আকাশের উদার জমিনের মত, ছূটোছুটি করা শুভ্র সাদা মেঘের মত। আমার স্বপ্নেরা বাঁচুক তোর দুচোখে।
( ১৮/০২/২০১১ইং)
চলবে...
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮
আকাশ অতল বলেছেন: প্রিয় বন্ধুরা, ধারাবাহিক লেখাটা সবসময় চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মত।
যদি আপনাদের ভালো লাগে তবেই লিখবো নয়তো এখানেই শেষ।
দয়া করে জানাবেন যারা পড়েছেন লিখাটি।
সকলকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নীল আকাশের মতই।