![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভুমিকাঃ-
আল্লাহ তা’লা পৃথিবীতে অসংখ্য সৃষ্টির মধ্যে মানুষ জাতিকে আশরাফুল মাখলুকাত বলে ঘোষনা দিয়েছেন। মানুষ যেন তাদের মর্যাদাকে হারিয়ে না যায় সে জন্য তিনি নারী-পুরুষকে পৃথক পৃথক কিছু বৈশিষ্ঠ্য দিয়েছেন এবং তাদের উভয়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কতিপয় মেীলিক কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। মানব সমাজে যেহেতু নারী এবং পুরুষের অবস্থান অবশ্যম্ভাবী তাই তিনি তাদের উভয়কে উভয়ের উপর পৃথক পৃথক ভাবে শ্রেষ্টত্বের মর্যাদা দিয়েছেন যেন তাদের মাঝে সেীহার্দ্য পূর্ণ জীবন স্থায়ীত্ব লাভ করে। কিন্তু দুনিয়া পুজারী পাশ্চত্য ঘেষা নামধারী কিছু মুসলিম আল্লাহর দেয়া এই সুষ্ঠ বন্টণকে পরিহার করে নারী-পুরুষ সমান অধিকার নামে সাধারণ মানুষকে যেমন ধোকা দিচ্ছে তেমনি নারীদের কে তাদের ব্যবহারের পন্য হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আজ প্রয়োজন আল্লাহ প্রদত্ত সেই দ্বীন সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আর এই কাজ আঞ্জাম দেয়ার জন্য প্রযোজন একদল আল্লাহ প্রেমীক নর-নারী যারা তার দেয়া বিধানে সন্তুষ্ট থেকে স্থায়ী ফলাফল লাভ করতে চায়।
মানব সমাজে মেীলিক সমস্যাঃ-
মানব সভ্যতার প্রধানতম ও জটিল সমস্যা দু’টি। এই সমস্যা দু’টির সুষ্ঠু ও ভারসাম্যপূর্ণ সমাধানের উপর মানব জাতির কল্যাণ ও অগ্রগতি নির্ভরশীল। এর সমাধানের জন্য আবহমানকাল হতে দুনিয়ার বিদগ্ধ সমাজ বিব্রত এবং চিন্তান্বিত রয়েছে। প্রথম সমস্যাটি হচ্ছে; সামাজিক জীবনে নারী পুরুষের সমম্পর্ক কিরুপে স্থাপিত হতে পারে। কারণ এটি প্রকৃতপক্ষে তমদ্দুনের ভিত্তি-প্রস্তর এবং এতে তিলমাত্র বক্রতার অবকাশ থাকলে তাকে অবলম্বন করে যে ইমারত গড়ে উঠবে তাহা অবশ্যই বক্র হবে। দ্বিতীয় সমস্যাটি হচ্ছে; মানব জাতির ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক সম্পর্ক। এর সামঞ্জস্য বিধানে যদি সামান্যতম অসংগতি থাকে তাহলে যুগযুগান্তকাল ধরে মানব জাতি এর তিক্ত ফল ভোগ করতে থাকবে। উপরে বর্ণিত প্রধানতম সমস্যা দু’টির মধ্যে প্রথমটি এখানে আমাদের আলোচ্য বিষয়। এবিষয়ে অতীত ইতিহাস বর্নণা করলে দেখতে পাই নারী মাতারুপে সন্তানাদির অন্ন দানকরেছে এবং অর্ধাংগিনী সেজে জীবনের উত্থান- পতনে পুরুষের সাহায্য করেছে। অপরদিকে সেই নারীকেই ্আবার সেবিকা অথবা দাসীর কার্যে নিযুক্ত করা হয়েছে। তাকে গরু ছাগলের ন্যায় ক্রয় বিক্রয় করা হয়েছে। মালিকানা উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাকে পাপ-পংকিলতার প্রতিমূর্তি করে রাখা হয়েছে। তার ব্যক্তিতের পরিষ্ফুটন অথবা ক্রমবিকাশের কোন সুযোগ তাকে দেয়া হত না। আবার কোন সময়ে নারীকে উন্নত ও পরিষ্ফুট করা হলেও সংগে সংগে চরিত্রহীনতা এবং উচ্ছৃংখলতায় তাকে নিমজ্জিত করা হয়েছে । তাকে পাশবিক প্রবৃত্তির ক্রীড়ানকে পরিণত করা হয়েছে। আবার কখনো তাকে শয়তানের এজেন্ট আখ্যায়িত করে রাখা হয়েছে এবং তার তথাকথিত পরিষ্ফুটন ও উন্নতির সংগে সংগে মানবতার অধপতন শুরু হয়েছে।
প্রাচীন সভ্যতায় নারীর অবস্থান
ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে জানতে প্রাচীন সভ্যতায় নারীদের কেমন মর্যাদা দিত তা পর্যালোচনা করা দরকার। ইসলামের প্রদত্ত মর্যাদা ও অধিকার তৎকালীন সভ্যতার দেয়া মর্যাদার চেয়ে অবশ্যই শতভাগ শ্রেষ্ট হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে চীনা কবির লেখায় নারী সম্পর্কে চীনাদের যে,ধারণা পাওয়া যায় তার মতে “নারী হওয়া বড় দুঃখের,পৃথিবীতে কোন কিছুই নারীর মত এত সস্তা নয়।” কনফুসিয়াস বলেন,“ নারীর মূল কাজ আনুগত্য, শৈশব কৈশরে পিতার, বিয়ের পর স্বামীর এবং বিধবা হওয়ার পর পুত্রের।” তিনি আরো বলেন স্বামীর প্রতি নারীর আনুগত্য হবে প্রশ্নাতীত এবং একচ্ছত্র ( অথচ ইসলাম আল্লাহকে ছাড়া আর কারো প্রশ্নাতীত এবং একচ্ছত্র আনুগত্য স্বীকার করেনা)। বৌদ্ধ ধর্মেও নারীকে নীচ এবং পাপে পূর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, বলা হয়েছে নারীর মত ভয়াবহ আর কিছু নেই। হিন্দু ধর্মে নারীর অবস্থান ছিল আরো করুণ ,বেদ বা অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পড়া কিংবা ধর্মীয় কর্মকান্ডে কোন ভুমিকা ছিলনা। প্রাচীন গ্রীক সভ্যতায় নারী ছিল পিতা,ভাই বা অন্য পুরুষ আতœীয়ের অধীনা কেননা তাদেরকে মাইনর মনে করা হত। বিয়ের সময় তাদের কোন মতামত নেয়া হত না। রোমান সভ্যতায় নারী যে পৃথক ভাবে কিছু করতে সক্ষম তাই বিশ্বাস করা হত না। বিয়ের পর সম্পদের মালিক হত স্বামী সে সম্পদ আর ফেরত দেয়া হত না । নারী কোন উইল বা চুক্তি করতে পারতো না। প্রাচীন আরবে হিব্রু এবং আরবী রীতি চালু ছিল। কন্যা সন্তানকে পিতার অসম্মানের কারণ মনে করা হত অথচ পুত্র সন্তানকে আনন্দের মাধ্যম মনে করতো। এটি এমন একটি যুগ যখন কন্যাশিশুকে জীবন্ত কবর দেয়া হত। পিতার মৃত্যুর পর পুত্র সন্তান পিতার বিধবা স্ত্রীর মালিক হত।
অন্যান্য ধর্মে নারীর অবস্থান
খ্রীষ্ট ধর্মে নারী ঃ- আদম ও হাওয়া (আ) এর কথা স্বীকার করে বলা হয়েছে যে, হাওয়া (আ) এর প্ররোচনায় আদম আ. নিষিদ্ধ ফল ভক্ষন করেন এবং পাপের সৃষ্টি করেন অর্থাৎ আদি পাপের ধারণা আসে হাওয়া (নারী) আ এর মাধ্যমে অথচ ইসলামে এই পাপের জন্য উভয়কে দোষী করা হয়েছে। নিষিদ্ধ ফল ভক্ষন করার কারণে যে পাপের সৃষ্টি হয় তার জন্য আল্লাহ হাওয়ার মাধ্যমে শাস্তি দেন এবং গর্ভধারণের পদ্ধতি চালু করেন। সন্তান প্রসবের পর সাত দিন বা চেীদ্দ দিন পর্যন্ত মাকে পৃথক রাখতে হয়। খ্রীষ্ট ধর্মের মতে নারী পুত্র সন্তান প্রসব করলে তেত্রিশ দিন আর মেয়ে সন্তান জš§ দিলে ষেষট্রি দিন অপবিত্র থাকবে এটি তার ঐ পাপের প্রাশ্চিত্য। পক্ষান্তরে ইসলাম পুত্র কন্যার কোন পার্থক্য না করে বরং উভয় সন্তানের জন্য দোয়ার কথা বলা হয়েছে। গর্ভধারণের কারণে যে রক্তস্রাব হয় সেটিকে ঘৃণা বা পাপের প্রাশ্চিত্য বলা হয়নি বরং এটি স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতার বিষয় বলে উল্লে করা হেেয়ছে। সেটিও আবার মাত্র চল্লিশ দিন কিন্তু ছেলে বা মেয়ে সন্তানের কারণে সময়ের কোন তারতম্য করা হয়নি। ইহুদীরা নারীকে পুরুষের প্রতারক বলে অভিহিত করেছেন। নারীদেরকে তারা দাসী মনে করে। পিতা মেয়েকে নগদ অর্থে বিক্রি করতে পারত। পিতার সম্পদে মেয়ের কোন মীরাস নেই। হিন্দু ধর্মে পরিবার বর্জনের উৎসাহ রয়েছে। বিধবা স্ত্রী কে সাধারণ জীবন যাপন করতে হয়। হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়েছে ‘‘মৃত্যু, নরক, বিষ, সর্প, আগুন এর কোনটিই নারী অপেক্ষা খারাপ ও মারাতœক নয়। প্রাচীন সভ্যতায় সকল ক্ষেত্রে ঢালাও ভাবে নেতিবাচক আচারণ করতো এটি বলা হয়তো ভুল হবে। ভদ্র ঘরে নারীদের বিশেষ মর্যাদা দেয়া হত কোন কোন সভ্যতায় নারীকে মহিলা দেবীর পূজা করা হত। যেমন- মিশর,বেবিলন, সুমেরীয় প্রভৃতি।
ইসলামে দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রাধান্য ঃ-
ইসলাম মানুষের চিন্তা ও কর্মের ব্যবস্থায় অধিকার অর্জনের পরিবর্তে ফরজ অর্থাৎ অপরিহার্য কার্য সম্পাদনের প্রতি অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। প্রকৃতপক্ষে অধিকারের প্রসঙ্গটি কর্তব্য পালনের তুলনায় মর্যাদার মাপকাঠিতে দ্বিতীয় স্তরের। অপরিহার্য কর্তব্য সঠিকভাবে পালিত হলে অধিকারের প্রশ্ন উঠতেই পারে না। যখনই ফরজ কার্য সম্পাদন স্থগিত হয় তখনই অধিকারের প্রশ্ন উঠে। যার উপর দায়িত্ব অর্পিত হয় তিনি দানকারীর পর্যায়ভুক্ত আর যে অধিকার প্রাপ্য হয় তিনি আদায়কারীর পর্যায়ভুক্ত। এখন যদি ফরজ ( দায়িত্ব কর্তব্য) যথাযথভাবে পালিত হতে থাকে তাহলে অধিকার আদায়ের প্রশ্ন উত্থাপনের প্রয়োজনই হয় না। ইসলামে যেহেতু অধিকার সমুহ স্থায়ী এবং অপরিবর্তনযোগ্য এবং নিজের যাবতীয় এখতিয়ার সর্বশক্তিমান আল্লাহর বিধান এবং তার নির্ধারিত সীমা অনুযায়ী ব্যবহার ও প্রয়োগ করতে বাধ্য তাই এখানে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের উপর সার্বিকভাবে জোর দেয়া হয়েছে। কুরআনুল কারীম মানব স¤প্রদায়কে, বিভিন্ন জাতিকে, নবী-রাসূলগণকে, ব্যক্তিগণকে, কাফের, মুশরিক, মুমিনদের যেখানে যেখানে সম্বোধন করেছেন সেখানেই তাদেরকে তাদের দায়িত্ব- কর্তব্যের কথা স্বরণ করে দিয়েছেন এবং দায়িত্ব -কর্তব্য পালনের ভিত্তিতে দুনিয়া এবং আখিরাতের কৃতকার্যতা এবং উন্নতি লাভের অঙ্গীকার করেছেন। সমগ্র কুরআনে কোথাও অধিকার প্রাপকদের সম্বোধন করে এই পরামর্শ বা অনুপ্রেরণা দেয়া হয়নি যে,উঠো ঐক্যবদ্ধ হও, গোষ্ঠীবদ্ধ হও, সংঘবদ্ধ হও এবং আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ো, নিজেদের অধিকার আদায় কর। এই ধরনের উৎসাহ দেয়ার প্রয়োজন এই জন্য নেই যে, দায়িত্ব পালনে অবহেলাকারীদের যাবতীয় শাস্তির কাজটি সর্বশক্তিমান আল্লাহ তার দায়িত্বে রেখেছেন।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া(রহ) সরকারের দায়িত্ব কর্তব্য ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন ঃ“প্রশাসনের উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্টির সেবা ও সংশোধন।” এভাবে দেখা যায় যে আল্লাহ তা’লার নির্ধারিত দায়িত্ব কর্তব্য সমূহ যদি প্রতিটি মানুষ বা রাষ্ট্র যথাযথভাবে পালন করে তাহলে অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে না। কেননা তখন দায়িত্ব পালনের মধ্যে অন্যজনের অধিকার আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু আজ সমগ্র বিশ্বে আধুনিকতার নামে নারী অধিকার নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন ,সংগ্রাম হচ্ছে কারণ তারা তাদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে জানেনা অথবা পালন করেনা। নারী অধিকার নিয়ে নতুন করে নারী নীতি প্রবর্তন অথবা আন্দোলনের কোন প্রয়োজন হতো না যদি প্রত্যেকটি নারী-পুরুষ বিশেষ করে আন্দোলন কারীরা তাদের ধর্ম নির্ধারিত দায়িত্ব গুলো সঠিক ভাবে পালন করতো। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি যে, নিজ দায়িত্ব -কর্তব্য সঠিকভাবে পালন না করে বরং অধিকার অধিকার বলে চিৎকার করা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।
মুসলিম নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ-
একজন মুসলিম নারীকে সর্বপ্রথম জানতে হবে তিনি যে ধর্মে বিশ্বাসী সেই ধর্মে তাকে কতটুকু মর্যাদা দেয়া হয়েছে। ধর্মীয় বিধিবিধান গুলো কি কি সে গুলোর পিছনে কতটুকুন যুক্তি রয়েছে, এরপর তাকে জানতে হবে তার প্রতি কি কি দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। সেই দয়িত্ব সমুহকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক সামাজিক , অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ভাবে শ্রেণী বিণ্যাস করে নির্ধারিত পন্থায় যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
ব্যক্তিগতভাবে তাকে ইসলাম সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং ইসলাম নির্ধারিত পন্থায় তার স্বতীত্ব রক্ষার জন্য সর্বাক্ষণ সচেতন থাকতে হবে। পারিবারিক ভাবে দাম্পত্য জীবনের সুখ চিরস্থায়ী করার জন্য স্বামীর সঙ্গে গভীর ভালবাসা ও পরস্পর সহযোগী হতে হবে। প্রয়োজনে অনুগত হতে হবে। পারিবারিক সমস্যার জন্য অন্যের সাথে কথা না বলে বরং স্বাামীর সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবে। পরিবারে স্বামীর নেতৃত্ব মেনে নেবে। কারণ একই পরিবারে দু’জন কর্তা হওয়ার দাবি করলে তা হবে একই পরিবারে দু’ই জঙ্গির অবস্থান। প্রেম প্রীতি ভালবাসা দিয়ে জীবন সঙ্গী হিসেবে স্বামীকে গ্রহণ করতে হবে। সামাজিকভাবে তাকে এমন হতে হবে যেন কোন ব্যক্তি প্রমাণ উপস্থাপন করে তার নামে নৈতিকতা নিয়ে কোন অভিযোগ তুলতে না পারে। আতœীয়-স্বজন প্রতিবেশিদের হক আদায়ের চেষ্ট করবে। রাজনৈতিক ভাবে স্বামীর অনুমতি নিয়ে ভোট প্রদান, প্রয়োজনে ইসলাম সমর্থিত প্রত্যেকটি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংগ্রহণ করবে। তবে রাষ্ট্র প্রধান, সামরিক প্রধান, কাজী বা প্রধান বিচারপতি হওয়ার বাসনা রাখা ইসলাম সমর্থিত নয়। এসব দায়িত্ব পালনের পরও যদি তিনি তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হন তবে তিনি অভিযোগ করতে পারেন যে ইসলাম তাকে সঠিক অধিকার দেয়নি। বাস্তবে এসব দায়িত্ব পালনের পর কেউ সমাজে হেয় হবার প্রশ্নই আসেনা।
ইসলামী আদব এবং নারীর মর্যাদা
ইউরোপে যখন অন্ধকার যুগে নিমজ্জিত ছিল, তখন নারীর আতœার প্রকৃতি নিয়ে বিতর্ক হত যে তাদের আতœা মানবিক-কি-না। ইসলাম তার পূর্বেই নারী ও পুরুষ কে একই উৎস থেকে আসার কথা জানিয়েছে এবং খোদা ও সমাজের কাছে তারা উভয়ে সমানাধিকারসম্পন্ন এবং ভাল মন্দ কাজের জন্য পুরস্কার ও শাস্তির কথা বলেছে। ইসলামী আইন নারী পুরুষের জন্য সমান। ইসলামে নারীর অধিকার রয়েছে সম্পত্তি সংরক্ষণের এবং তা আবাদ করার। তার নিজের স্বার্থে সম্পত্তি ইজারা দান ,হেবা করে দেওয়া বা আবাদ করার অধিকার রয়েছে। যদিও নারীর প্রকৃত ক্ষেত্র হচ্ছে মাতৃত্ব, মানব বংশের লালন-পালন এবং নিজ বাড়ির হেফাজত, তথাপি ক্রয় বিক্রয়, ধার দেয়া নেয়া, বিনিয়োগ করা- ইত্যাদি আর্থিক লেন-দেন থেকে বিরত রাখা হয়নি। প্রত্যেকটি মাজহাবে নারীদের কে এ ধরনের কর্ম সম্পাদনের পুরোপুরি ক্ষমতাসম্পন্ন এবং আইনানুগভাবে উপযুক্ত বলে গণ্য করেছেন। মদ্যপান, ব্যভিচার, চুরি, কাযাফ, খোদাদ্রোহি অথবা হত্যার মত যেকোন অপরাধের জন্য ইসলামী আইনে শাস্তির ব্যাপারে নারী পুরুষের কোন পার্থক্য করা হয়নি।
ইসলামে মহিলাদের তাদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করার এবং বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রয়েছে। নামধারী মুসলিম নারীদের সমকালীন অবস্থা থেকে ইসলামে নারীর ধারণা ও অবস্থানকে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা অথবা যুক্তি তর্ক পেশ করা মোটেই সঠিক হবেনা। এবং এ ব্যাপারে নি¤েœাক্ত বিষয়গুলো ভুলধারণা দূর করবে।
১. পুত্র সন্তান হক আর কন্যা সন্তান হক উভয়ের জš§কে স্বাগত জানাতে হবে। পুত্র সন্তানের জšে§ শুভেচ্ছা আর কন্যা সন্তানের জšে§ মুখ গোমরা করা ইসলামী শিক্ষার বিরোধী।
২. নবী করি (সা.) নারীদের সঙ্গে ভদ্রতা এবং শ্রদ্ধার সাথে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাদেরকে নিকৃষ্ট না ভেবে সমানরুপে গণ্য করতে হবে।
৩. মহিলাদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ বা বর্জন করার পূর্ণ ইখতিয়ার ইসলাম তাকে দিয়েছে।
৪. মার পদতলে সন্তানের জান্নাতের কথা বর্নণা করে মার মর্যাদা পিতার চেয়ে উপরে রাখা হয়েছে।
৫. মহিলাদের পোশাক পুরুষ কর্তৃক নকল বা পরিধান করা অথবা চলাফেরার ঢং পরিবর্তন করা নিষেধ।
৬. স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর ব্যক্তিত্ব বিনাশ করার কোন অধিকার ইসলাম দেয়নি।
৭. মহিলাদের মাসিকের সময় অধিক পরিমাণে কোমল ও নম্র আচরণ করতে হবে। স্বামী যদি স্ত্রীকে ভালবাসতে না পারে তাহলে ঐ স্ত্রী তাকে তালাক দিতে পারবে।
৮. উত্তম স্ত্রীকে ইসলাম সর্বোত্তম সম্পদ হিসেবে গণ্য করেছে। সংসারের যাবতীয় বিষয়ের নিয়ন্ত্রক স্ত্রী।
৯. ইসলাম চায় মুসলিম নারীরা তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় মেনে চলুক এবং পোশাক পরিচ্ছদ, জুতা পরিধান ইত্যাদি বিষয়ে অমুসলিম নারীদের অনুকরণ না করুক। এ ধরনের অনুকরণ দুর্বলতার প্রতীক।
নারী নীতি বর্তমান প্রেক্ষিত
রেঁনেসার পুর্ববর্তী সময়ে নারীরা ভোগের জিনিস হিসেবে পাশ্চাত্য সভ্যতায় পরিগণিত হলেও এর পর থেকে বিভিন্ন মানবতাবাদীদের লেখা লেখি, ছোট ছোট আন্দোলন ও দাবী উপস্থাপনার মধ্যদিয়ে শুরু হয় নারীর ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া। উপনিবেশিক শাসনের শেষের দিকে এসে যখন বিভিন্ন রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয় তখন, বিশেষ করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর প্রায় সমগ্র বিশ্বে যখন জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মাধ্যমে নানান দেশ স্বাধীন হতে থাকে তখন থেকে নারীদের কে ক্ষমতায় আনায়নের জন্য এক দল বুদ্ধিজীবী চেষ্টাকরতে থাকে এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তারা নারীদের ভোটাধিকার দাবী করলো। এমনিভাবে নারীর অধিকার নিয়ে দেশে দেশে সচেতনতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এদিকে ভারতীয় উপমহাদেশে বেগম রোকেয়া ধর্মের নামে বড় বড় গাল গল্প করে নারীদের সময়ে নারীদের কে তাদের প্রকৃত দায়িত্ব থেকে সরে এনে অধিকার ও ক্ষমতার মুক্তির ডাক দেয়। এই নারীকে পুজি করে একদল জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবী প্রায় সকল নারীকে বিনোদনের মাধ্যমে পরিণত করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং অনেকটাই সফলও হয়েছে। তাদের দাবী নারীদেরকে তাদের সমান অধিকার দিতে হবে অর্থাৎ তাদেরকে শিক্ষা, অর্থনীতি,রাজনীতি,সামরিক শিক্ষা, প্রভৃতিতে সমান অধিকার দিতে হবে বিশেষ করে ধর্মের নামে নারীদেরকে কুপমুন্ডক করা যাবেনা।
নারীদেরকে নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হল পাশ্চাত্যবিদদের নিকট কয়েকদিন আগে অথচ ইসলাম আজ থেকে চেীদ্দ শত পঞ্চাশ বছর পূর্বে নারীদের কে সর্বোত্তম নেয়ামত বলে ঘোষনা দিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায় সঙ্গত অধিকার বন্টন করেছে। যার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ না জানার বা জানতে চেষ্টা না করার কারণে আজ নতুন করে নারী নীতি প্রণয়ন করতে হচ্ছে। নতুন করে এই নারী নীতি প্রণয়ন কে আমরা অনাধিকার চর্চা ব্যতিত অন্য কিছু বলতে পারিনা। কেননা পূর্বে প্রবর্তিত একটি সঠিক স্বচ্ছ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে না জেনে আর একটি নতুন তথ্য পরিবেশন করা নিশ্চিয় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তবে সেই প্রবর্তিত পদ্ধতির বিজ্ঞান সম্মত কোন ত্রুটি ধরা পড়লে বা এর সংশোধনের নিয়ম বলে দিলে ভিন্ন কথা। কিন্তু ইসলাম নির্ধারিত নারীর মর্যাদা, অধিকার এ কোন ত্রুটি পাওয়া যাবেনা। তাই ইসলাম নির্ধারিত নারীর মর্যাদা, অধিকার সম্পর্কে না জেনে না বুঝে ঢালাওভাবে ইসলাম নির্ধারিত নারী নীতির সমালোচনা করে নতুন নারী নীতি প্রবর্তন ইসলামে কোন মুল্যায়ন নেই। বর্তমান সময়ে নারী নীতি আন্দোলন কারীদের ভাল করে জেনে নেয়া দরকার ইসলাম কিভাবে নারীকে তার ন্যায্য অধিকার দিয়েছে ।
ইসলামে নারীর ক্ষমতায়ন
ইসলাম নারীকে আধ্যাতিœক,পারিবারিক,সামাজিক,অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার দিয়েছে। তবে সে অধিকারে কখনো আতœঘাতি প্রক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই যেমনটি রয়েছে মানুষের হাতে গড়া নারী নীতির মধ্যে। ইসলাম নারীকে সম্মানিত করেছে এবং তার মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করেছে। যদিও কোন কোন ‘মুসলিম’ সমাজ অজ্ঞতা এবং কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে নারীর ইসলাম প্রদত্ত অধিকার ও মর্যাদা দিচ্ছে না। সঠিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ জানলে এটাই বলতে হবে যে, ইসলামই একমাত্র নারীর আধ্যাতিœক,অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, মানবিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনুপম মর্যাদা দিয়েছে।
আধ্যাতিœক অবস্থানঃ- ইসলামে আদি পাপের কোন ধারণা নেই ফলে হাওয়া (আ) থেকে সকল মহিলার উপর তার পাপের দায়ভার আসার কোন সুযোগ নেই। যখন খ্রীষ্টান বিশ্ব নারীর আতœা আছে কি না এবং নারী মানব প্রজাতির অন্তর্ভূক্ত কিনা- এই বিতর্কে লিপ্ত ছিল তখন ইসলাম ঘোষণা করে প্রথম মানব-মানবী একই রুহ থেকে সৃষ্টি। আল্লাহ উভয় কে সুষ্টি করে নিজের নূর থেকে তাদের রুহ ফুঁকে দিয়েছে। এভাবে ইসলাম মানব-মানবী উভয়কে মূলত একই মর্যাদা দিয়েছে। কুরআনের বহু আয়াতে নারী পুরুষ উভয়ের পুরস্কার সমান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন- আল ইমরান ১৯৫ নং আয়াতে নারী পুরুষের আধ্যতিœক সমতার বর্ণনা। এছাড়া আল্লাহ বলেন“ যে ব্যক্তি নেক আমল করবে সে পুরুষ হোক আর নারী হোক ,যদি সে মুমীন হয় আল্লাহ তাকে দুনিয়ায় পবিত্র জীবন যাপন করাবেন” (১৬ঃ৯৭)। ইসলামীক নিয়ম পদ্ধতি মেনে চলার ক্ষেত্রে কোন ভিন্ন পদ্ধতি চালু করা হয়নি বরং নারীদের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয়েছে। যেমনঃ- রক্তস্রাব প্রসবোত্তর সময়ে নামাজ রোযা থেকে অব্যহতি, জিহাদে অংশ গ্রহণ বাধ্যবাধকতা নেই ইত্যাদি।
অর্থনৈতিক অধিকারঃ-
ইসলামের দৃষ্টিতে একজন নারী বিবাহের পূর্বে বা পরে যেকোন পরিমান সম্পদ বৈধ পন্থায় অর্জন করতে পারেন। তার সম্পদ তিনি কারো পরামর্শ ছাড়াই নিজের ইচ্ছেমত বিক্রি করতে, ভাড়া দিতে, হাওলাত দিতে ও দান করেত পারবে। কুরআন-সুন্নায় মেয়েদের কাজ করায় কোন বাধা নেই। সে তাঁর হিজাব রক্ষা করে ব্যবসা-বানিজ্য, চাকরী -বাকরী সহ যেকোন ধরণের বৈধ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে আল্লাহ তা’লা সামর্থের অতিরিক্ত দায়িত্বের বোঝা কারো উপর চাপান। (বাকারা ২৮৫ নং আয়াত)
সামাজিক অবস্থানঃ- পুত্র কন্যা সন্তানের কোন মর্যাদাগত পার্থক্য নেই। কন্যা সন্তানের প্রতি বেশি সদয় হওয়ার কথা ইসলামে বলা হয়েছে। সামাজিকভাবে নারী শিক্ষা, চিকিৎসা,নার্সিং প্রভৃতিতে নারীদের অংশ গ্রহণে কোন বাধা নেই। একজন নারী স্ত্রী,মা,বোন প্রভৃতি সম্মান সূচক বাক্যে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি সামাজিক ভাবে প্রতিটি কাজে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন তবে ইসলাম সম্মত পোষাক পরিধান করলে কোন বাধা নেই। তিনি ঘরে আবদ্ধ থাকবেন এটি ভুল ধারণা।
রাজনৈতিক অবস্থানঃ- রাজনৈতিকভাবে একজন নারী তার নিজস্ব চিন্তা থেকে যেকোন মতামত পেশ করতে পারবে, তিনি অবশ্যই ভোটাধিকার প্রাপ্ত হবেন, রাষ্ট্রীয় কোন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে পরামর্শ দিতে পারবেন, ভুল সিদ্ধান্তের সমাধান দিতে পারবেন। কিছু কিছু আলেমদের নিকট রাষ্ট্র প্রধান, প্রধান বিচারক, সেনা প্রধান ছাড়া রাজনৈতিক ভাবে সব কর্ম কান্ডে তিনি হিজাব রক্ষা করে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। মোট কথা ব্যক্তিগত জীবনের নিরাপত্তা, মালিকানার নিরাপত্তা,মান-ইজ্জতের নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সংরক্ষন, একজনের কার্যকলাপের জন্য অন্যজন দায়ী নয়,অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বিবেক ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা, আইনের শাসনের অধিকার, ন্যায় বিচার লাভের অধিকার, অর্থনৈতিক নিরাপত্তার অধিকার, পাপাচার থেকে বেঁচে থাকার অধিকার,সংগঠন ও সভা-সমাবেশ করার অধিকার, রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহনের অধিকার (রাষ্ট্র প্রধান ব্যতিত)সহ নারীদের প্রত্যেকটি ন্যায্য অধিকার আল্লাহ তা’লা নির্ধারণ করেছেন।
ইসলাম শুধু নারীদের অধিকার নিয়ে কথা বলেনি বরং তাদের দায়িত্ব কর্তব্য পালনের পাশাপাশি তাদের অধিকারের কথা বলেছেন। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ইসলাম দায়িত্ব কর্তব্য পালনের শর্তে অধিকার প্রদান করেছে। তবে মানুষ ইচ্ছে করলে তার দায়িত্ব কর্তব্য পালনে অবহেলা করেও তার অধিকার ভোগ করতে পারবে কিন্তু এর জন্য পরকালে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। সেজন্য আল্লাহ তা’লা নারীদের ক্ষেত্রে এমন কতিপয় অধিকার প্রদান করেছেন যা একমাত্র তাদের জন্য বিশেষভাবে গৃহীত। এছাড়া স্বাভাবিক ভাবে ইসলাম প্রদত্ত প্রত্যেকটি মেীলিক অধিকার তাদের কে প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ নারীরা তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে অবহেলা বা গড়িমসি করলেও তাদের জন্য ইসলাম নির্ধারিত অধিকার প্রদান করা প্রত্যেক পুরুষ কিংবা রাষ্ট্রের দায়িত্ব-কর্তব্য।
নারী নির্যাতনের বাস্তব চিত্র এবং তার দায়-দায়িত্ব
সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে উত্ত্যক্তকরণ, যৌন হয়রানি, যৌন নির্যাতন, গণধর্ষণ, ধর্ষণ, ভুল ফতোয়া , নারী নির্যাতন এবং নারীর প্রতি সহিংসতা ক্রমবর্ধমানহারে বেড়েই চলেছে। “বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ” কর্তৃক ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সংরক্ষিত তথ্যের ভিত্তিতে দেখতে পাই নারী নির্যাতন, নারী হত্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০১২ পর্যন্ত মোট ৪৩৮৯ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে মোট ৬১৮টি। তন্মধ্যে গণধর্ষনের স্বীকার হয়েছে ১১৯ জন। ধর্ষনের পর হত্যা হয়েছে ৮৯ জন। এছাড়া ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়েছে ১১৬ জনকে, শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ১৫৫ জন। এসিড দগ্ধের স্বীকার হয়েছে ৪৮ জন, অগ্নিদগ্ধের স্বীকার হয়েছে ৪১ জন। তন্মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ২২ জন। অপহরণ ঘটনা ঘটেছে ৯৯টি। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে ৪৫২ জন নারী। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ২৮৮ জনকে। ভুল ফতোয়ার স্বীকার হয়েছে ৩০ জন। গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে ৮০ জন, তন্মধ্যে গৃহপরিচারিকা হত্যা করা হয়েছে ২৮ জনকে। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ৫৩৭ জনকে, তন্মধ্যে উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছে ১৩ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করতে বাদ্য হয়েছে ৩৪৮ জন। বাল্য বিবাহের স্বীকার হয়েছে ৬০ জন। পুলিশী নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে ৪৩ জন। এছাড়া ৬৮৭ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে এবং অন্যান্যরা নানাভাবে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ একটি সংগঠন এর মাধ্যমে তারা কতিপয় দাবি/ অধিকার আদায় করতে চায়।
এদের দেয়া তথ্য মোতাবেক আমরা যে পরিসংখ্যান দেখতে পাই তাতে যেসকল নারী এসব নির্যাতনের শিকাড় হয়েছে তার জন্য কারা দায়ী তা পর্যালোচনা করা দরকার। যেকোন কাজের পিছনে একটি কারণ থাকে যাকে ইতিহাসের ভাষায় কার্যকারণ তথ্য বলে। সমগ্র বাংলাদেশে নিয়মিত যেসকল অনৈতিক কার্যক্রম ঘটছে তার পিছনে মুলত যে বিষয়টি দায়ী তা নিয়ে নারী ক্ষমতায়ন কর্মীরা কখনো কথা বলে না। পত্রিকা থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে যে সকল নির্যাতনের খবর পাওয়া যায় তার শতকরা নিরানব্বই ভাগ ঘটে দায়িত্বহীনতার কারণে। অর্থাৎ নির্যাতিত নারী গুলোর ধর্ম নির্ধারিত দায়িত্ব ( হিজাব, পর্দা, শালিনতা) যথাযথভাবে পালন না করাই এর জন্য প্রধানত দায়ী । কারণ তারা তাদের শারীরিক কাঠামো তরুণ যুবক শ্রেণীর নিকট নিরাপদ মনে করে আবৃত করে না বরং সেীন্দর্য প্রদর্শনের জন্য গর্ববোধ করে। ফলে দায়িত্বহীন যুবক এসব অপকর্মের সুযোগ পায়। এছাড়া এসব ঘটনার প্রতিটির পিছনে রয়েছে একটি অকল্পনীয় প্রেমের গল্প। আমরা দেখতে পাই আজকে যারা “নারী উন্নয়ন” নিয়ে কথা বলে তাদের কেউ ব্যক্তিগত জীবনে হিজাব অনুসরণ করেনা সে নারী হোক আর পুরুষ হোক। এসব আন্দোলন কারী অধিকাংশ নারী এবং পুরুষের জীবনে অবৈধ প্রেম থেকে শুরু করে নৈতিকতা বিবর্জিত প্রত্যেকটি অপকর্ম বিদ্যমান। অর্থাৎএমন নামধারী মুসলিম এসব কাজের জন্য দায়ী।
অন্য দিকে আমরা যারা ইসলাম ইসলাম বলে চিৎকার করি কিংবা ইসলামী আন্দোলন নিয়ে সবর্দা ব্যস্ত থাকি কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ভাবে ইসলাম নির্ধারিত ( নারী-পুুরুষের জন্য) হিজাব সঠিক ভাবে পালন করতে পারছি না তারাই বড় দায়ী। কেননা আমরা সমাজে হিজাব পালনের প্রকৃত উপকারিতা বা ফলাফল বর্তমান সমাজে দেখাতে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছি। ফলে নামধারী মুসলমানেরা ইসলামের নামে অপব্যাখ্যা করার সুযোগ পেয়েছে। তবে উপরোক্ত দু’শ্রেণীর চেয়ে সবচেয়ে বড় দায়ী হচ্ছে সরকার। কারণ ঊভয়ের অক্ষমতা সরকারের প্রবর্তিত আইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এজন্য এসব নির্যাতন রোধের জন্য সরকার কে ইসলাম নির্ধারিত পন্থায় নারীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। নারীর সমান অধিকার না বলে ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সেই ন্যায্য অধিকার কাগজে কলমে না রেখে নিজ নিজ স্থান থেকে এর বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে।
জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ও ইসলামঃ-
প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ১৯৭৩-৭৮, দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ১৯৭৮-৮০ তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ১৯৮৫-৯০ এবং চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ১৯৯০-৯৫ সহ নারী উন্নয়ন নীতি ১৯৯৬,২০০৪,২০০৮এবং ২০১১ নারীদের নিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত এবং প্রচারণা করা হয়েছে তার ভিত্তিতে বলতে হয় যে উপরোক্ত পরিকল্পনা গুলোর পিছনে লুকিয়ে ছিল বিরাট বিরাট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কেননা এসব পরিকল্পনা আর নীতি যদি নারী উন্নয়ন করতে সক্ষমই হত তাহলে একটি নীতি প্রণয়ন করলেই যথেষ্ট ছিল কিন্তু তা না হয়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের জনমত রক্ষার জন্য নারী উন্নয়ন নামের প্রকল্প প্রচার করেছে। আর তারা নারী নাতিতে নারীদের ক্ষমতায়ন, সমঅধিকার সহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবিধানের ২৭,২৮,২৯ ৬৫ নং অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে নারীদের সমান অধিকার দিতে যে প্রায় একশতটি পরিকল্পনা পেশ করেছে তা হলো তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের মাধ্যম মাত্র। যে সরকার নারীদের কে পুরুষের মতো সমান অধিকার দিতে চায় তাদের জন্য প্রশ্ন যে, নিশ্চিয় আপনারা বাংলাদেশের একটা বৃহৎ জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন? তাহলে বাংলায় ষোল কোটি মানুষের মধ্যে আপনাদের শুধু পুরুষ ভোটার আছে কমপক্ষে এক কোটি। এই এক কোটি পুরুষ যদি তার কন্যা, মা, বোন, স্ত্রীকে সমান অধিকার দিয়ে রান্না-বান্না, সন্তান লালন-পালন, পারিবারিক ও অফিসের কাজ সহ অন্যান্য বিষয় গুলো ভাগাভাগি করতেন এবং আপনাদের উত্তোরাধিকারের জমি বা সম্পদ গুলো এখনই সমান ভাবে বন্টণ করে আপনাদের কন্যা, মা,বোন,স্ত্রী ও অন্যান্য নিকট আতœীয় নারীদের মাঝে দিয়ে দিতেন তাহলে তো বাংলাদেশের প্রায় ৫০% নারী তাদের সমান অধিকার প্রাপ্ত হত এবং আরো অনেকে এ থেকে শিক্ষা নিয়ে এ কাজ শুরু করতো। তখন এত নারী নীতি প্রণয়নেরই বা কি প্রয়োজন থাকতো? কিন্তু মজাদার ব্যাপার হল; আপনাদের সমর্থিত জনগণ আর নেতা-কর্মী কেউ হয়তো ইসলাম নির্ধারিত অর্ধেক অংশই প্রদান করে না। যদিও করে তবুও কত ছলচাতুরী! তাই এসব প্রতারণা দ্বারা স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, যারা আল্লাহ নির্ধারিত বিধানের ব্যতিক্রম বিধান চালু করার প্রচেষ্টা করে তারা মুলত সাধরণ মানুষকে ধোকায় ফেলে নিজেদের স্বার্থ হাছিল করে থাকে। পার্থিব জীবন খুবই ক্ষনস্থায়ী তাই এসব প্রতারণা মুলক কার্যাবলী থেকে বের হয়ে এসে আল্লাহর বিধান মোতাবেক জীবন -যাপন করাই উত্তম হবে। ইসলাম কর্তৃক নারীদের যেসব ন্যায় সম্মত অধিকার দেয়া হয়েছে তার পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এর সমাধান খুঁজতে হবে। মেয়েদের জন্য শিক্ষা, সামরিক, অর্থনৈতিক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যে সকল অধিকারের কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবায়ন করলে ইসলাম বাধা দেবেনা বরং এটি ইসলাম সমর্থিত কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই সহশিক্ষা বা নারী- পুরুষের সহবস্থান থেকে মুক্ত করে পৃথক-পৃথক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং নারী-পুরুষের হিজাব নিশ্চিত করতে হবে।
কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃÑ
মেয়েরা কেন পুরুষের পিছনে নামাজ পড়বে? নবীরা সবাই পুরুষ কেন? সম্পদে নারীর অধিকার অর্ধেক কেন? নারীর সাক্ষ্য পুরুষের অর্ধেক কেন? নারী রাষ্ট্র প্রধান, সেনা প্রধান, বিচার প্রধান হতে বাধা কোথায়?
*নামাজ শুধুমাত্র এক আসনে ( শুধু বসে অথবা দাঁড়িয়ে ) সম্পন্ন করা যায় না। নামাজের অন্তর্ভূক্ত আছে রুকু,সিজদাহ, তাশাহুদ ইত্যাদি কাজ। শুধু এই নামাজে পুরুষের পিছনে মেয়েদের স্থান দেয়া হয়েছে যেীক্তিক কারণে। মেয়েরা পুরুষের সামনে নামাজ পড়লে রুকু সিজদার কারণে উভয়েরই মনোযোগ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি অসম্মানের জন্য নয় বরং এটি ভদ্রতা এবং রুচিশীলতাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
** ইসলাম এই শিক্ষা দেয় যে, কে নবী হবেন তা মানুষ নির্বাচন করে না বরং তা নির্ধারণ করেন স্বয়ং আল্লাহ যিনি নারী বা পুরুষ নন। কাজেই এখানে পুরুষের প্রতি কারো পক্ষপাতিত্বের কোন প্রশ্নই উঠে না। পুরুষদের কে নবী মনোনীত করার সম্ভাব্য কারণ এটাই যে,নবুয়তের দায়িত্ব শুধু উপদেশ প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না বরং এটা ছিল সার্বিকজীবন ব্যবস্থা কায়েমের মিশন। প্রতিষ্ঠিত শয়তানী শক্তি নবুয়তের মিশনে বাধা দিত। তাদের হাতে প্রায় সব নবীকে শারীরিক নির্যাতন,লাঞ্চনা এমনকি মৃত্যুও বরণ করতে হয়েছে। স্বামীর সংসার করে একেজন নারীর পক্ষে এসব বহুমুখী দায়িত্ব পালনের ঝুকি গ্রহণ সম্ভব হত না বলেই আল্লাহ হয়তো নবী হিসেবে তাদের এ দায়িত্ব দেননি। এর অর্থ এ নয় নারীরা আধ্যাতিœকতভাবে অযোগ্য বরং এর অর্থ এই যে নবুয়তের দায়িত্ব ব্যাপক ঝুঁকি, পরিশ্রম ও বিপদ সংকুল।
*** মুল কথা হচ্ছে এটি আল্লাহর নির্ধারিত তাই। পছন্দ না হলে ধর্ম ত্যাগ করে মুরতাদ হওয়া ভাল। আর বিশ্বাস কে দৃঢ় করার জন্য হলে আজই ইসলামী বই পুস্তক অধ্যয়ন শুরু করা দরকার।
প্রগতিশীলদের দাবী এবং তার ফলাফল ঃ-
পাশ্চাত্য সভ্যতার সাথে হাত মিলিয়ে কতিপয় নামধারী মুসলিম ইসলামী নারী নীতিতে পরিবর্তন-পরিবর্ধনের সাথে সাথে তাদের দাবী
১. নারী-পুরুষের মধ্যে সমান বিধান দিতে হবে।
২. নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বিধান দিতে হবে ।
৩. নারী-পুরুষের অবাধ মেল মেশার বিধান দিতে হবে।
এসব দাবী দাওয়ার ফল এই হয়েছে যে, বর্তমান জেনারেশনের নিকট ইসলাম একটি মামুলি ব্যাপারে পরিনত হয়েছে। কেউ নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে থাকতে চাচ্ছে না। ইচ্ছেমত স্বরচিত অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করতে বসেছে। পারিবারিকভাবে স্থায়ী অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় সহ সব ধরনের সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে নারী পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনিভাবে শতশত বিপর্যয় এই সকল আপোশ করার কারনে হয়েছে। এই সব বুদ্ধিজীবী কেন যে সমাজের ঐ সকল নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিয়ে কথা বলেনা যারা তাদের জীবন ধারনের মেীলিক অধিকার গুলোও পাচ্ছে না। অথচ নারীদের এ সকল অধিকার মেীলিক নয় বরং গেীণ।
উপসংহারঃ-
ইসলাম নারীর ন্যায়সঙ্গত অধিকার হরণ করেনি। তা না করেই তার মর্যাদ কে উন্নত করেছে। তার সামাজিক মানন-সম্ভ্রমকে রক্ষা করেছে। কিন্তু পুরুষেরা যে সব কাজ করে ও যেখানে যেখানে কাজ করে সেখানে সেখানে ও সেব সব কাজে যোগ দিয়ে নারীকে ঘরবাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য করেনি। তাকে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার দেয়া হয়েছে কিন্তু সে অধিকার আদায় বা ভোগ করতে গিয়ে পারিবারিক দায়িত্বে অবহেলা জানাবার অধিকার দেয়া হয়নি। তাদের রাজনৈতিকত নেত্রী, রাষ্ট্রের কর্ত্রী আর রাজনৈতিক কর্মী হওয়ার পরিবর্তে কন্যা,বোন, স্ত্রী, ও মা হওয়াই যে তাদের জীবনের কল্যাণ ও সার্থকতা নিহিত একথা উপলব্ধি করার জন্য ইসলাম তাদের প্রতি তাকিদ দিয়েছে। আর তাই হচ্ছে চিরদিনের তরে বিশ্ব মুসলিম মহিলাদের অনুসরণীয় আদর্শ। তা সত্বেও তারা মাতৃভুমির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক বিষয়ে অনবহিত ও উদাসীন থাকবে, সে ব্যাপারে তাদের কোন সচেতনতা ও থাকবেনা, এমন কথা ইসলাম কিন্তু বলেনি। রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে মতামত জানাবার সাধারণ সুযোগকালে তাকেও স্বীয় মত জানাতে হবে। তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রগতির নামে ইসলামের বিরোধিতা করা অমুসলিমদের স্বভাব হলেও বর্তমানে কিছু নামধারী মুসলমানের এরূপ কাজের সম্পৃক্ততা দেখা যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যে হয়ত আল্লাহ বলেছেন ““যখন আল্লাহ এবং তাঁর রসূল কোন বিষয়ের ফয়সালা দিয়ে দেন তখন কোন মু’মিন পুরুষ ও ম’ুমিন নারীর সেই ব্যাপারে নিজে ফয়সালা করার কোন অধিকার নেই। আর আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের নাফরমানী করে সে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে লিপ্ত হয়”( সূরা আহযাব আয়াত নং ৩৫) অন্য এক জায়গায় বলেন ““ কখনো কি তুমি সেই ব্যক্তির অবস্থা ভেবে দেখেছো যে তার নিজের প্রবৃত্তির কামনাকে প্রভুরুপে গ্রহণ করেছে? তুমি কি এহেন ব্যক্তি কে সঠিক পথে নিয়ে আসার দায়িত্ব নিতে পারো? তুমি কি মনে করো তাদের অধিকাংশ লোক শোনে এবং বোঝে ? তারাতো পশুর মতো বরং তার চেয়ে অধম। ( সূরা ফুরকান ৪২-৪৩ নং আয়াত)
তথ্য সুত্রঃ-
কুরআন ( সূরা ফুরকান,হামীম আস-সাজদাহ, বাকারা,ইমরান, নুব,আহযাব)
তাফসীর
হাদীস ( রিয়াদস-সালিহীন,বুখারী শরীফ)
ফিকাহ (শরহে বেকায়া)
ইসলামে সামাজিক বিধান ,আল্লামা জালাল আল বাদাবী
ইসলামে নৈতিকতা ও আচরণ, ড মারওয়ান আল কায়সি
ইসলামে মানবাধিকার, মুহাম্মদ সালাহুদ্দিন
ইসলামের দৃষ্টিতে জš§ নিয়ন্ত্রন, সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী (রহঃ)
পর্দা ও ইসলাম, সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী (রহঃ
ইসলামী আইন ও বিচার,বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার
অপরাধ ও শাস্তি সংক্রান্ত মাসআলা-মাসায়েল, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
পরিবার ও পারিবারিক জীবন, মাওলানা আবদুর রহিম
জাতীয় উন্নয়ন নীতি ২০১১, বাংলাদেশ সরকার
লিফলেট, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
বাংলাদেশ সংবিধান
©somewhere in net ltd.