![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভূমিকা ঃ
কুরআন ও সুন্নাহতে বর্ণিত বিভিন্ন বিধানাবলীর মাঝে মুসলমানদের জীবনের সাথে সম্পৃক্ত এমন কিছু বিধান রয়েছে, যা আমলের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রতি তাকিদ রয়েছে। আমলযোগ্য এসব বিধানকে ইসলামী শরীয়াতে ফিক্হ বা মাসায়েল হিসেবে গণ্য করা হয়। এসব বিধান নির্ণয়ে আলেমগণ কখনো কখনো সরাসরি কোন আয়াত বা হাদীসের ভাষ্যকে মূল মানদন্ড সাব্যস্ত করেছেন। যাতে মাসয়ালার বিধান বিদ্যমান রয়েছে। আবার কখনো একাধিক আয়াত বা হাদীস গবেষণা করে তা হতে কোন একটি মূলনীতি গ্রহণ করেছেন। যা কাওয়ায়েদুল ফিক্হিয়াহ হিসেবে স্বতন্ত্র শাস্ত্রের মর্যাদা লাভ করেছে। এই শাস্ত্রের জ্ঞান না থাকলে আধুনিক ও সাময়িক বিষয়ে ফাতওয়াহ ও সমাধান কোন মুফতির পক্ষে সম্ভব নয়।
কাওয়ায়েদুল ফিক্হিয়াহ এর পরিচিতি ঃ
আভিধানিক অর্থ ঃ
আল কাওয়ায়েদ শব্দটি বহুবচন, একবচনে আল ক্বয়িদ অভিধানে শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে । যেমনঃ-
আল্লামা যমখশরী বলেন,
অর্থাৎ ওপরের জিনিসের মূল ও ভিত্তি।
এটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিফাত হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তখন এর অর্থ হবে প্রতিষ্ঠিত।
আল মুুনজিদ অভিধানে বলা হয়েছে-
অর্থাৎ যে ভিত্তির উপর অন্য কিছুর ফাউন্ডেশন রাখা হয়
পারিভাষিক সংজ্ঞা ঃ
ড. আনিস আবাদা (র) বলেন-
অর্থাৎ এটি এমন একটি পূর্ণাঙ্গ বিষয় যা হতে এ বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত অংশসমূহের বিধান অবগত হওয়া যায়।
আল্লামা ইবনে নুজাইম মিসরী বলেন-
অর্থাৎ বিভিন্ন অধ্যায় হতে বিভিন্ন শাখাকে একত্রিত করে।
আল্লামা হামাবী (র) বলেন-
অর্থাৎ কায়েদা হলো একটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য বিধান যা তার অধিকাং ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয় যেন তা হতে এগুলোর বিধান জানা যায়।
মুফতি আমিমুল ইহসান (র) বলেন-
অর্থাৎ এটি এমন একটি সামগ্রীক বিষয় যা তার সব অংশের ওপর প্রয়োগ হয়।
মোট কথা হচ্ছে এমন কিছু মৌলিক বিধান যা সংক্ষিপ্ত নসের জন্য নির্বাচন করা হয় যার অধীনে এ বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র কওে অনেক শরয়ী আহকাম শিিমল হয়, তাহলে সব কায়েদা হতে এগুলোর বিধান জানা যাবে।
আল ফিক্হিয়া এর পরিচিতি
আভিধানিক অর্থ ঃ
শব্দটির অর্থ ঃ
১. বুঝা
২. অবগত হওয়া
৩. জানা
৪. হৃদয়ঙ্গম করা
৫. বিদীর্ণ করা
৬. বিচক্ষণতা, বিজ্ঞতা, সূক্ষœদর্শিতা
৭. স্পষ্ট, ছেদন করা
৮. পান্ডিত্য অর্জন করা
৯. উপলব্ধি করা
যেহেতু কুরআন ও হাদীস গবেষণা করে মাসয়ালা বের করা হয়, সেহেতু একে ফিক্হ বলা হয় । এখান থেকেই তথা যিনি মাসয়ালা বের করেন, তাকে ফিকীহ বলা হয়। যেমন- হাদীসে আছে ঃ
পারিভাষিক সংজ্ঞা ঃ
আল ফিক্হ এর পরিভাষাগত কয়েকটি সংজ্ঞা পাওয়া যায় যেমন-
জমহুর ওলামায়ে কেরামের মতে-
অর্থাৎ ইলমুল ফিক্হ হচ্ছে, এমন এক ইলম যাতে বিস্তারিত দলিলসমূহের ভিত্তিতে শরীয়াতের ব্যবহারিক বিধানাবলী সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ইমাম আবূ হানিফা (র) বলেন,“ ”
অর্থাৎ মঙ্গলময় ও ক্ষতিকর ব্যাপাওে আতœার অনুভ’তিকে ফিক্হ বলা হয়।
হেদায়া গ্রন্থাকার বলেন,
অর্থাৎ হালাল- হারামের ন্যায় শরীয়াতের ব্যবহারিক বিধানাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত দলিল প্রমাণসহ মাসয়ালা নিরূপণ বিষয়ক জ্ঞানই হলো ইলমুল ফিক্হ।
সর্বোপরি বলা যায় যে, সত্যপন্থী মুজতাহিদগণ স্বীয় জ্ঞান, বুদ্ধি ও একনিষ্ঠ গবেষণার মাধ্যমে মুসলিম মিল্লাতের জন্যে কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে যে জীবনবিধান প্রণয়ন করেছেন তাই ইলমুল ফিক্হ।
উপরে বিষয় দুটির পৃথক পৃথক সংজ্ঞা বর্ণনা করা হল। উপরোক্ত সংজ্ঞা দুটির সমন্নয় ঘটালে আল কাওয়ায়েদুল ফিকহিয়াহ এর যে সংজাঞা পাওয়া যায় তা নি¤েœ আলেচনা করা হল।
আল কাওয়ায়েদুল ফিকাহয়াহ এর সংজ্ঞা ঃ
ড. আব্দুল আজীজ মুহাম্মদ আযযাম (র) বলেন-
অর্থাৎ একটি পূর্ণাঙ্গ বিষয়াবলী যার অধীনে অনেকগুলো শাখা রয়েছে। যেন সেসব কায়েদা হতে এগুলোর বিধান জানা যায়। আর তা তার প্রধান প্রধান শাখাগুলোতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়ে থাকে।
কেউ কেউ বলেন,“ আল কাওয়ায়েদুল ফিকাহয়াহ এমন পূর্ণ বিধান যা তার সব অংশের উপর আধিক্যতার ভিত্তিতে প্রয়োগ হয়, যেন এগুলো বিধান তা হতে অকাট্যভাবে বা ধারনা মুলকভাবে জানা যায়।
কারো কারো মতে,
সামষ্টিক সংজ্ঞায় আমরা বলতে পারি যে, সত্যপন্থী মুজতাহিদগণ স্বীয় জ্ঞান, বুদ্ধি ও একনিষ্ঠ গবেষণার মাধ্যমে মুসলিম মিল্লাতের জন্যে কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে যে জীবনবিধান প্রণয়ন করেছেন তাই ইলমুল ফিক্হ। আর এই বিধানাবলী যে সকল
©somewhere in net ltd.