![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্ঞান, অধ্যবসায় এবং ইবাদতের দিক দিয়ে আযাযিল ছিল সকল ফেরেশতাদের চেয়েও সেরা। সে ছিল তাদের সর্দার। কিন্তু অহংকারের কারনে সে আদম (আঃ) কে সিজদা করতে আস্বীকার করে এবং আল্লাহর আদেশ অমান্য করে বিপথগামী হয়।
এই পৃথিবীর সব মানুষই এক আদম (আঃ) এর সন্তান। তবুও আজ তারা বহু জাতি, ধর্ম ও গোত্রে বিভক্ত। সবাই এক আল্লাহ নির্দেশিত পথে চলছেনা। কর্ম অনুযায়ী যার যার ফল সুনিশ্চিত। অথচ আদম (আঃ) নিজে আল্লাহর নবী ছিলেন।
আদম (আঃ) থেকে নূহ (আঃ) পর্যন্ত দশ শতাব্দীর ব্যবধান ছিল। যার শেষদিকে ক্রমবর্ধমান মানবকুলে শিরক ও কুসংস্কারের আবির্ভাব ঘটে এবং তা বিস্তৃতি লাভ করে। ফলে তাদের সংশোধনের জন্য আল্লাহ নূহ (আঃ)-কে নবী ও রাসূল করে পাঠান। তিনি সাড়ে নয়শত বছরের দীর্ঘ বয়স লাভ করেছিলেন এবং সারা জীবন পথভোলা মানুষকে পথে আনার জন্য দাওয়াতে অতিবাহিত করেন। কিন্তু তাঁর কওম তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে। ফলে আল্লাহর গযবে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
এরপরে আরও কয়েকটি কওম আল্লাহর অবাধ্যতার কারণে পরপর ধ্বংস হয়। টিকেছিল শুধু আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলা ব্যক্তিরা। কিন্তু সেসব নেককার ব্যাক্তিদের অনেকর সন্তানরা আবারও বিপথগামী হয়েছে। এরকম যুগে যুগে অনেক নেককারের ঘরে জালিমের জন্ম হবে আবার জালিমের ঘরেও আল্লাহ ভীরুর জন্ম হবে। কারন ইসলাম জন্মসুত্রে পাওয়া কোন সম্পতি নয়। ইসলাম ও কুরআনকে দুনিয়ার বুকে এসে ধারণ করতে হয় এবং তাকে বুকে ধারণ করেই মরতে হয়। যে এভাবে মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারে, কেবল সেই মুমিন মুসলীম হতে পারে।
তাই এ যুগেও যদি কোন মুফতি/আলেম/ আলেমের সন্তান বিপথগামী হয় এতে অবাক হবার কিছু নেই। আল্লাহ মানুষ ইচ্ছার স্বাধীনতাও দিয়েছেন। সুতরাং যে যেপথে যাবে সে সেপথের ফলই ভোগ করে।
©somewhere in net ltd.