নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন

সাখাওয়াত জুলফিকার

সাখাওয়াত জুলফিকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইতিহাস এবং চোরের মায়ের বড় গলা!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

আমরা অনেকেই হয়ত জানিনা, অথবা ভুলে গেছি। বাংলাদেশ টানা ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো শুধু এটা জানি। কিন্তু এই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রথম গৌরবটা কার হাত ধরে সূচিত হয়েছিলো তা কি জানি?
২০০১ সালে বাংলাদেশ যখন প্রথম দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয় তখনও আ’লীগ ক্ষমতায়। ওটা ছিলো তাদের শেষ বছর। আর ক্ষমতা ছাড়ার আগ মূহুর্তে এমন একটি খবর তাদের জন্য মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মত। অপরদিকে বিএনপির লোকজনের তখন আনন্দের হাসি।

পরের বছর আবারও বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। ক্ষমতায় তখন বিএনপি আর তাদের হাসিমুখ কালো। অন্যদিকে আ’লীগের তখন স্বস্থি, তারা মনে মনে বলে, খুব হেসেছিলে এতদিন, এবার দেখ! এভাবে হতে হতে আরও তিনবার। মানে আ’লীগের ১ বার আর বিএনপির ৪ বার; মোট ৫ বার বাংলাদেশ দুনীর্তিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। আর এর সাল হচ্ছে ২০০১ - ২০০৫। অর্থাৎ বিএনপি আ’লীগকে নিয়ে একবার হেসেছিলো, আর আ’লীগ বিএনপিকে নিয়ে চারবার হেসেছিলো। এটা নিয়ে প্রথম আলোর তখনকার রম্য ক্রোড়পত্র আলপিন একটা কার্টুন এঁকেছিলো। যেখানে শেখ হাসিনার হাতে একটা চ্যাম্পিয়ন ট্রপি আর খালেদা জিয়ার হাতে চারটা ট্রপি। তবে বিএনপি তাদের শেষ বছরে দুর্নীতি কমাতে পেরেছিলো যে কারনে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন না হয়ে ৮ম হয়।

অথচ আজ আ’লীগ এবং শেখ হাসিনা নিজেও বলছে বিএনপির আমলে বাংলাদেশ ৫ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। কতটা নির্লজ্জ হলে নিজেরটা অস্বীকার করে পুরোটা অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে পারে!
আরও একটি কথা হচ্ছে যেকোন একটা খারাপ কাজ শুরু হতে সময় লাগেনা কিন্তু সেটা বন্ধ করতে বা কমাতে সময় লাগে। সে হিসাবে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পুরো দায়ভারটা আ’লীগেরই নেয়া উচিৎ কারন সেটা শুরু করেছিলো তারা। আর দুর্নীতি কমানোর কৃতিত্বটা বিএনপিকে দেয়া উচিৎ কারন ৪ বছর দুর্নীতি করার পর শেষ দিকে এসে তারা তা কমিয়েছিলো।

এখন বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন না হলেও বাংলাদেশের দুর্নীতি কমেনি। বরং অন্যকিছু দেশের দুর্নীতি বাংলাদেশ থেকে বেড়ে গেছে তাই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হচ্ছেনা। বিষয়টা এমন আগে ১০০ তে ৮০ পেয়ে পরীক্ষায় বাংলাদেশ প্রথম হত আর এখন অন্যরা কেউ ৮৫, ৯০, ৯৫ পাচ্ছে। তার মানে এই নয় যে বাংলাদেশের নম্বর পাওয়া কমে গেছে।

পোস্টের সত্য-মিথ্যা নিয়ে কারও মনে সন্দেহ থাকলে তাকে ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনালে খোঁজ নেয়ার পরামর্শ দেয়া হল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.