![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাকসুর নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিরা অংশ নিবে আমার মতে এটি আন্দোলনকারিদের একটি ভালো সিদ্ধান্ত। কারন ডাকসু বা যেকোন ছাত্রসংসদই গঠিত হয় ছাত্রদের ন্যায্য দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বলার জন্য। আর সেখানে তারাই থাকা উচিৎ যারা প্রকৃতই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছাত্রদের বা সাধারণ ছাত্রদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে তাদের দাবী দাওয়া নিয়ে কথা বলবে।
ছাত্রসংসদ নির্বাচন ধানের শীষ বা নৌকার নির্বাচন নয়। এটি কোন দলীয় নির্বাচনও নয়। যদিও বিভিন্ন দলীয় লেজুর ভিত্তি করা সংগঠনগুলো এতে অংশগ্রহণ করে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন কখনও সরাসরি দলীয় ব্যানারে হয়না, হয় বিভিন্ন প্যানেলে। সেখানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিরা নিজেরাও একটি প্যানেল তৈরি করে নিতে পারে। সে প্যানেলের নামও হতে পারে সাধারণ ছাত্র পরিষদ বা কোটা সংস্কার আন্দোলন নাম হলেও সমস্যার কিছু নেই।
কিন্তু ডাকসুর নির্বাচনে কোটাসংস্কার আন্দোলনকারিদের অংশগ্রহণ করা নিয়ে অনেকের চুলকানি দেখি অবাক হওয়ার মত? আমার প্রশ্ন হচ্ছে ডাকসুর নির্বাচনে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা অংশ না নেয় তাহলে কি পোড়া মবিল সন্ত্রাসীরা অংশ নিবে? তাহলে যারা বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি দেখিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মনোবল দুর্বল করার চেষ্টারত, যারা আবার মার খাওয়ার কথা বলছেন, হাতুড়ী বাহিনী বা মেলমেট বাহিনীর ভয় দেখাচ্ছেন বাস্তবে তারা কি চান বা তাদের উদ্দেশ্য আসলে কি?
আমি মনেকরি ডাকসুর নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা অংশগ্রহণ করা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। এবং আশা করি তারা স্বতন্ত্রভাবে একটা বা দুইটা পদের জন্য নয়, একটি পরিপুর্ণ প্যানেল গঠন করে তা নিয়ে তারা নির্বাচন করবে এবং সে প্যানেল নির্বাচিত হয়ে ডাকসুতে যাবে এবং সাধারণ ছাত্রদের দাবী বা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলবে এবং তার সমাধানে জোরালো ভুমিকা রাখবে। আর ডাকসুর মাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন সফলভাবে চলবে। এই আশাবাদ কামনা করি।
কেউ যদি মনে করেন ডাকসুর নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলকারিরা অংশগ্রহণ করা অনুচিৎ, আমি বলবো ছাত্র সংসদ বা এর কাজ সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নেই। তারা নৌকা আর ধানের শীষের বাহিরে পৃথিবীতে আর কিছুই চিনেনা।
©somewhere in net ltd.