নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুনভাবে নিজের চিন্তার শক্তি আর ভাবনার বিশ্লেষণ করার সামর্থ অর্জনের জায়গা হল ব্লগ। বিচিত্র ভাবনারাশির আলোয় নিজেকে আলোড়িত আর আলোকিত করার উদ্দেশেই আমরা ব্লগে আসি। অবসর সময়টাকে ভালোভাবে কাটানোর জন্য এর চেয়ে মোক্ষম উপায় আর নেই। তদুপরি বিনোদন এখানে উপরি পাওনা

এস এম ইসমাঈল

মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।

এস এম ইসমাঈল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারবালার শিক্ষা

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬


১। যখন ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে রিপাবলিক কে রাজতন্ত্রে পরিণত করা হয়, তখন এর প্রতিবাদ করা দরকার। হযরত উমর ফারুক রাদি, হযরত ওসমান জুন্নুরাইন এবং হযরত মাওলা আলীকে হত্যা করা হয়। নূর নবীজীর শহর আল মাদিনাতুল মুনাওরা থেকে রাজধানী সরিয়ে দামেস্ক শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। আর শুরু হয় উমাইয়া বংশের রাজত্ব তখন এর প্রতিবাদ না করাটা ছিল দুর্বল ঈমানের পরিচায়ক। ইমাম হোসেন রাদি কীভাবে নানাজানের সূচিত রাজধানীকে উপেক্ষা করে কুখ্যাত মদ্যপায়ী ইয়াজিদ কে মেনে নেবেন। কাজেই তাঁর কাছে যুদ্ধ করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।
২। কোন দলের বা মতবাদের অনুসারীর সংখ্যা দিয়ে সেটাকে সত্যাশ্রয়ী প্রমাণ করা যায় না। ইয়াজিদি বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল ১০০০০। আর ইমামের বহিনীতে ছিলেন নারী ও শিশু নিয়ে মাত্র তিয়াত্তর জন। আর এঁদের কারো কাছেই তেমন কোন যুদ্ধের সরঞ্জাম বা প্রস্তুতিও ছিল না।না ছিল প্রয়োজনীয় রসদপত্র। এখন বুঝতে হবে কেন সবাই ইয়াজিদকে সাপোর্ট না করে ঈমাম হোসাইনের খুদ্র কাফেলাকেই সত্যের পথিক বা আহলে হক এর মোহর দিয়ে সমর্থন দিয়ে গেছে?
৩। এটা এমনি এক চাপিয়ে দেয়া অসম যুদ্ধ যা এড়ানোর আর কোন উপায় ছিল না। আপাত ঈমাম হোসাইন রাদি এর পরাজয় ও সদলবলে তাঁর শাহাদাত বরণ হলেও আসলে ওটা তাঁকে কোন রকম পরাজয়ের গ্লানিতে আছন্ন করতে পারে নাই।
৪। যুদ্ধ জয়ের পরেও দুরাত্মা ইয়াজিদ কে কেউ বিজয়ী বীর বলে ইতিহাসে চিহ্নিত করেনা। এমনকি চরম ইসলাম বিদ্বেষী ঐতিহাসিকও ঈমাম হোসইনকে দোষী হিসাবে স্বীকৃতি না দিয়ে বরং তাঁর প্রশংসা করেছেন। Hossain dead was proved more powerful than hossain live. এই হল পাশ্চাত্যদেশীয় ঐতিহাসিকদের সম্মিলিত রায়।
৫। নেতার মরনের পর সাধারনত তাঁর অনুসারীদেরকে বিজিত পক্ষ ধরা হয়। কিন্ত এক্ষেত্রে ঘটনা প্রবাহ অন্যরকম। আপাত হেরেও জিতে গেলেন ইমাম হোসাইন। আর পৃ্থিবীর ইতিহাসে চির ধিকৃ্ত ও নিন্দিত হয়ে যায় পাপাত্মা ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। খুব ভাল লিখেছেন।

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৭

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারো খুব ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.