![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পারলে করো, করে দেখাও
সম্প্রতি উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনায় সর্বত্র পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক চলছে। কিন্তু আমি এতে কোন খারাপ কিছু দেখি না। মওদুদ তার এক বইয়ে লিখেছিলো যে তারা ক্ষমতায় থাকতেও একই কাজ করতে চেয়েছিলো এবং এই কিছুদিন আগেও স্পীকারের রুলিং নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের সময়েও মওদুদ বলেছিলো, বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা যেন সংসদের হাতে ফেরানো হয়। কিন্তু আজ এই ঘটনার জন্য বিএনপি হরতাল ডাকছে।
হরতাল ডাকলে তো আগেই ডাকা যেতো, যেনো সরকার এটা পাশ না করে, পাশ করার পর আর হরতাল ডেকে কী লাভ? এইটা বুঝানোর মতো লোকও বিএনপিতে নেই, এই আজ পরিস্থিতি।
আমি জোর দেই যে বিষয়ে তা হলো, একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযুক্ত বিচারপতির অপরাধ ঐ তদন্ত কমিটি দ্বারা তদন্ত করা যেন হয়। এবং ঐ তদন্ত কমিটি গঠন করার ক্ষেত্রে যেন প্রধান বিচারপতির পরামর্শ নেয়া হয়। সবচেয়ে ভালো হয় ঐ তদন্ত কমিটি প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের কয়েকজন বিচারপতি এবং সাবেক প্রধান বিচারপতিদের সমন্বয়ে করা হলে।
এবং এখানে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত দুজনেই যেন আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ পায়। এ জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্ত কার্যে যেন সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারে তাও নিশ্চিত করতে হবে।
মোদ্দাকথা হলো, তদন্ত কমিটি তদন্ত করে যদি ঐ বিচারপতির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগের প্রমান পায় তাহলে প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করে যদি সংসদ ঐ বিচারপতির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়, আমি তো এতে কোন দোষের কিছু দেখি না। অযথা ঘটনা না বুঝে একটা সাংবাদিক সম্মেলন করা মূর্খতারই নামান্তর।
এটা মনে রাখা প্রয়োজন, এদেশের সকলেই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে জনগণের নিকট মুখাপেক্ষী, বিচারপতিরাই বা এ থেকে বাদ থাকবে কেন?
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৬
শেখ মেহেদী মির্জা বলেছেন: শুনেন ভাই, অন্যান্য তদন্ত কমিটি আর দেশের বর্তমান বিচারপতিদের নিয়ে গড়া তদন্ত কমিটি এক না। আর এই একই ব্যবস্থা ভারতেও বিদ্যমান। আপনাকে যেমন বিচারপতিদের নিরাপত্তা দেখতে হবে অন্যদিকে বিচার প্রার্থীদের নিরাপত্তাও দেখতে হবে।
হাইকোর্টের বিচারপতি যখন কোন একজন অভিযুক্ত যুদ্ধপরাধীর পক্ষে কোর্টের বিভিন্ন রুমে রুমে লিফলেট বিতরণ করলো, সেই বিচারপতির বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া গেলো না।
এই ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির কাছে অন্যান্য বিচারপতি গণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: ভাই ব্লগার মেহেদী, আপনার ভাষ্য বুঝলাম। কিন্তু সবই কি শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাবানের “মর্জি” নির্ভর হয়ে পড়বে না??? যে তদন্ত কমিটির প্রস্তাব করছেন- সেটা যে খুব সার্থক একটা কিছু হবে, খুব দায়িত্বশীল হবে সে নিশ্চয়তা কে দেবে ভাই??? সেটা যে রুলিং পার্টির আজ্ঞাধারী হবেনা, কেমনে বুঝলাম??!
“খুব” শব্দটা ব্যাবহার করছি কারণ, তারা তদন্ত করবে দেশের “বিচারপতি”কে নিয়ে! একটা গণতান্ত্রিক(অন্তত কাগুজে) রাষ্ট্রে এই ক্যারেক্টারটিই শেষ আশ্রয়!
এ রাষ্ট্রে কঠিন/বায়বীয় যে কোন চাপেই যুদ্ধাপরাধীর রায় বদলে যায়। “তদন্ত কমিটি” এটি একটি আজগুবি ও হাস্রকর ধারণা এই রাষ্ট্রে। বহু-বহুল আলোচিত কোন হত্যাকান্ডই এখনো কোন “তদন্ত কমিটি” ফয়সালা করতে পারেনি- আদৌ কিমিট গঠিত হয় কিনা, বা কাদের নিয়ে গঠিত হল, তাও আমরা বলতে পারিনা।
সুতরাং বাজে ব্যাপারটা বাজে ই থাকছে।
একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে বিচার বিভাগকে পৃথক/স্বাধীন থাকতে হয়। এসব অবশ্য বইপত্রে লেখা থাকে। আমরা চোখে অন্য ব্যাপার-স্যাপার দেখে অভ্যস্থ।