নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অজানা মহাবিশ্বে ভ্রমণশীল...

রাজনীতি-মুক্ত ব্লগ

এস. এম. রায়হান

আমি লেখক নই, নই কোন কবি-সাহিত্যিক কিংবা সাংবাদিক। অবসরে কিছু লেখালেখির চেষ্টা করি মাত্র।

এস. এম. রায়হান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃতির বৈচিত্র্য: ডারউইনবাদীদের নাইটমেয়ার-১

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১২





ডারউইনবাদীদের দাবি অনুযায়ী বিবর্তন তত্ত্ব প্রাণীজগত ও উদ্ভিদজগতের বৈচিত্র্যকে ব্যাখ্যা করে – যদিও ব্যাখ্যা আর প্রমাণ এক জিনিস নয়। অথচ একটু গভীরভাবে ভেবে দেখলে দেখা যায় প্রাণীজগত ও উদ্ভিদজগতের বৈচিত্র্যই আসলে বিবর্তন তত্ত্বের জন্য নাইটমেয়ারস্বরূপ। কারণ প্রাণীজগত ও উদ্ভিদজগত যত বেশী বৈচিত্র্যময় হবে, তত বেশী কল্পকাহিনীর আশ্রয় নিতে হবে সেই সব বৈচিত্র্যময়তাকে ব্যাখ্যার জন্য। প্রাণীজগত ও উদ্ভিদজগত সরলরৈখিক হলেই বরং ডারউইনবাদীদের কিছু একটা বলার থাকতে পারতো। কিন্তু বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। বাস্তবে প্রাণীজগত ও উদ্ভিদজগত এত বেশী বৈচিত্র্যময় ও বিষমরৈখিক যে, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ তো দূরে থাক প্রতি পদে পদে কল্পকাহিনী ফাঁদা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। অথচ অসচেতন লোকজনকে বিজ্ঞানের নামে প্রায় প্রতি পদে পদে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তবে "বৈচিত্র্য" বলতে যদি একই প্রজাতির মধ্যে পরিবেশগত কারণে সূক্ষ্ম কিছু পরিবর্তনকে বুঝানো হয় তাহলে কারোরই কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।



মজার ব্যাপার হচ্ছে ডারউইনবাদীরা কথায় কথায় প্রকৃতি থেকে উদাহরণ দিলেও প্রকৃতিতে এত অদ্ভুত সুন্দর সুন্দর উদ্ভিদ ও প্রাণী থাকতে তাদের লেখাতে সহজে জীবন্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীর ছবি দেয়া হয় না! তাদের প্রবন্ধে ঘুরেফিরে কিছু জীবাশ্ম আর হাড়-হাড্ডি দিয়ে বানানো কিছু ছবি দেখানো হয় – বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আবার বিশ্বাসের সাথে সামঞ্জ্যস্যতা বজায় রেখে নিজের মতো করে তৈরী করা কাল্পনিক ছবি।



যাহোক, বিবর্তন মানে হচ্ছে ক্রমবিকাশ তথা সময়ের সাথে কোনো কিছুর পরিবর্তন। ডারউইনবাদীদের দাবি অনুযায়ী পরিবেশ ও জীনগত পরিবর্তনের কারণে সরল একটি অণুজীব থেকে "এলোমেলো পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক নির্বাচন" এর মাধ্যমে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে জটিল সব জীব-জন্তু তথা পুরো উদ্ভিদজগত ও প্রাণীজগত বিবর্তিত হয়েছে। অর্থাৎ সরল একটি অণুজীবের দেহে ধীরে ধীরে নতুন নতুন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ‘সংযোজিত’ হয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন প্রকারের জটিল জীব-জন্তুর উদ্ভব হয়েছে। বিবর্তন তত্ত্ব সত্য হলে তা কিন্তু হতেই হবে। তাদের এই দাবি যে কতটা হাস্যকর আর অবাস্তব – তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা দিতে গেলে বিশাল এক বিশ্বকোষ হয়ে যাবে। তথাপি বেশ কিছু উদাহরণের সাহায্যে এই ধরণের কল্পকাহিনী-ভিত্তিক তত্ত্বের অসারতা তুলে ধরা হবে।



বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী যে অণুজীব থেকে বিবর্তন শুরু হওয়ার কথা বলা হয় সেই জীবের মাথা, ব্রেন, চুল, কান, নাক, চোখ, মুখ, জিহ্বা, হাত, পা, নখ, শিং, লেজ, পরিপাকতন্ত্র, প্রজননতন্ত্র, ও হৃৎপিণ্ড সহ কিছুই ছিল না। একেবারে প্রাথমিক অণুজীবের দেহে এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো আকস্মিকভাবে থাকার প্রশ্নও ওঠে না। অথচ প্রকৃতিতে শিং-বিহীন ও শিং-ওয়ালা উভয় প্রজাতিই দেখা যায়। প্রকৃতিতে যেহেতু শিং-বিহীন ও শিং-ওয়ালা উভয় প্রজাতিই আছে, এবং বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী এগুলোর উৎস যেহেতু এক, সেহেতু বিবর্তনের কোনো এক পর্যায়ে শিং-বিহীন প্রাণী থেকে শিং-ওয়ালা প্রাণী বিবর্তিত হতেই হবে। অন্যথায় বিবর্তন তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হবে।



প্রশ্ন হচ্ছে কেনো ও কীভাবে শিং-বিহীন প্রজাতির মাথায় ধীরে ধীরে একদিন শিং গজানো শুরু করলো! এবার নিচের ছবিগুলো লক্ষ্য করুন এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভেবে দেখুন।



শিং-বিহীন, শিং-ওয়ালা, লেজ-বিহীন, ও লেজ-ওয়ালা কিছু প্রাণী























সরল একটি অণুজীব থেকে ধীরে ধীরে বিবর্তিত হতে হতে একদিন হঠাৎ করে শিং আর লেজ গজানো শুরু করল! এমনকি শতভাগ ক্ষেত্রে ঠিক মাথার উপরে শিং আর পেছনের দিকে লেজ গজালো, শরীরের অন্য কোনো অংশে নয়! শিং ও লেজ বিহীন প্রজাতির দেহে শিং ও লেজ গজাতে হলে কিন্তু নতুন তথ্য লাগবে। সেই নতুন তথ্য কোথা থেকে আসবে? এভাবে বিবর্তিত হতে হতে ডারউইনবাদীদের মতো শিং-ও-লেজ বিহীন মানুষে এসে ঠেকলো! লেজ আর শিং এক সাথে গজিয়ে আবার এক সাথে বিলুপ্ত হয়েছিল কি-না, কে জানে!



বাস্তবতা হচ্ছে শিং-ও-লেজ বিহীন প্রাণী থেকে ধীরে ধীরে শিং-ও-লেজ ওয়ালা প্রাণী বিবর্তিত হওয়ার পক্ষে কোনোই প্রমাণ নেই। বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ও সাধারণ বোধ অনুযায়ী কিছু শিং-ও-লেজ বিহীন প্রাণীকে আলাদাভাবে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে রেখে দিলেও তাদের দেহে একদিন শিং-ও-লেজ গজানো শুরু করবে না। ডারউইনবাদীরা যদি মনে করেন তা সম্ভব তাহলে প্রমাণ করে দেখাতে হবে। তাছাড়া শুধু শিং-ও-লেজ গজালেই কিন্তু হবে না, সেই সাথে ধীরে ধীরে ভিন্ন প্রজাতিতে রূপান্তরিতও হতে হবে!



উপসংহার: শিং-বিহীন প্রাণী থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে শিং-ওয়ালা প্রাণী বিবর্তিত হওয়ার পক্ষে যেহেতু কোনোই প্রমাণ নেই এবং বাস্তবেও এমন বিবর্তন সম্ভব নয় সেহেতু শিং-বিহীন ও শিং-ওয়ালা প্রাণীর আলাদা আলাদা উৎস থাকতে হবে। আর আলাদা আলাদা উৎস থাকতে হলে বিবর্তন তত্ত্বের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। লেজ-বিহীন ও লেজ-ওয়ালা প্রাণীর ক্ষেত্রেও একই যুক্তি প্রযোজ্য।



অন্যান্য পর্ব:



প্রকৃতির বৈচিত্র্য: ডারউইনবাদীদের নাইটমেয়ার-২



প্রকৃতির বৈচিত্র্য: ডারউইনবাদীদের নাইটমেয়ার-৩



প্রকৃতির বৈচিত্র্য: ডারউইনবাদীদের নাইটমেয়ার-৪



প্রকৃতির বৈচিত্র্য: ডারউইনবাদীদের নাইটমেয়ার-৫



প্রকৃতির বৈচিত্র্য: ডারউইনবাদীদের নাইটমেয়ার-৬



প্রকৃতির বৈচিত্র্য: ডারউইনবাদীদের নাইটমেয়ার-৭



প্রকৃতির বৈচিত্র্য: ডারউইনবাদীদের নাইটমেয়ার-৮



প্রকৃতির বৈচিত্র্য: ডারউইনবাদীদের নাইটমেয়ার-৯



প্রকৃতির বৈচিত্র্য: ডারউইনবাদীদের নাইটমেয়ার-১০



বিবর্তন তত্ত্বের উপর সমালোচনামূলক ৯ পর্বের সিরিজ পড়ুন

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +২৫/-১৪

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:১০

অজানার পথে বলেছেন: এত সুন্দর ছবি মানুষ কেমনে তুলে!

"ভাই একটু খারান পোজ দিয়া, আপ্নের একখানা ফটুক তুলুম" টাইপের ছবি।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৫

এস. এম. রায়হান বলেছেন: ছবিগুলো নেট থেকে নেয়া, বাই দ্য ওয়ে।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৩:১২

অজানার পথে বলেছেন: ভাই বাংলাদেশের মদনরাজও বুঝবে যে ছবিগুলো আপনি জাল দিয়ে ধরছেন ;)

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৬

কাকপাখি ২ বলেছেন: বেওকুব নাস্তৈক মামারা বৈজ্ঞান লইয়া যতই ফাল পারুক বেসিক সাইন্সে এদের কনসেপ্ট কত খারাপ হইতে পারে তা এইখানে আমার আর হোরাস মামার "সেন্টার অব গ্রাভিটি" বিষয়ক আলোচনা দেখে বুঝেন।

হোরাস মামা সেন্টার অব গ্রাভিটি নিয়া যেইসব কথা কইতেছে, এর পরে তার লগে এই বৈজ্ঞান বিষয়ক আর্গুমেন্টের উৎসাহ ধইরা রাখা আমার জন্য মুশকিল হইয়া যাইতেছে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৩

এস. এম. রায়হান বলেছেন: হায়! হায়! আমগো বাংলা মহাবিজ্জানীর সাথে বিজ্ঞান নিয়ে বাহাসে গেছেন? সাহস তো কম না! আপনার খবর আছে কইলাম!

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৫

াঢারে ালো বলেছেন: অনেকদিন পর পোস্ট দিলেন,তারপরও দেখি কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হায়েনার মত ঝাপিয়ে পরেছে ৷ এদের এত ভীতির কারণ কি ?

০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৩২

এস. এম. রায়হান বলেছেন: ওরা মুখে বিজ্ঞান-যুক্তি'র কথা বললেও বিজ্ঞান-যুক্তিকেই ভয় পায়!

৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৬

কাকপাখি ২ বলেছেন: লেখক বলেছেন: হায়! হায়! আমগো বাংলা মহাবিজ্জানীর সাথে বিজ্ঞান নিয়ে বাহাসে গেছেন? সাহস তো কম না! আপনার খবর আছে কইলাম!

হোরাস মামু তাইলে বাংলা মহাবিজ্জানী B:-/ B-)

খ্যাক খ্যাক :#)

২২ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৩৩

এস. এম. রায়হান বলেছেন: :) এই লিঙ্ক থেকে ১, ৯, ও ১৭ নং বিনোদন দেখুন। সময় থাকলে সবগুলোই দেখুন। বিনোদিত না হইলে পয়সা ফেরত!

৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:২৪

মহি আহমেদ বলেছেন: পোস্টটি ভাল লেগেছে তবে কারো কারো চুলকানি শুরু হয়ে গিয়েছে দেখলাম।
লেখককে প্লাস চালিয়ে যান।
Most people do not listen with the intent to understand; they listen with the intent to reply. They're either speaking or preparing to speak. They're filtering everything through their own paradigms, reading their autobiography into other people's lives.
Stephen Covey

০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৩৫

এস. এম. রায়হান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সিরিজটি ছয়-সাত পর্ব পর্যন্ত চলবে।

৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৫৪

দেশে বিদেশে বলেছেন: রায়হান সাহেব,

ধন্যবাদ এই লেখার জন্য ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৪৮

এস. এম. রায়হান বলেছেন: পড়ার জন্যও ধন্যবাদ।

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:০১

মাহফুজশান্ত বলেছেন: রায়হান ভাই, বেশ দেরি করে ফেললাম বোধহয় + +

এত ছবি দিলেন- কিন্তু 'হরস্' মামুর ছবি দেখছিনা কেন?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৬

এস. এম. রায়হান বলেছেন: দেরীতে হলেও পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ, আমগো মামুর ছবি দিতে ভুলে গেছি! মামু আমগো ক্ষমা করবেন নিশ্চয়। কিন্তু মামুর ছবিও তো আমাদের কাছে নেই! মামু যদি দয়া-পরবশ হয়ে তার ছবিটা দিতেন।

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৩

ওঙ্কার বলেছেন: হয়রান সাহেব, এতো হয়রান হয়ে গেলেন আপনি শিঙ নিয়ে, অথচ শিঙের 'পারপাস' জানেন?

শিঙ দিয়ে আসলে কি হয়, বলেন তৌ?

এর পরে বাকি কথায় আসছি।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৫

এস. এম. রায়হান বলেছেন: শিঙ দিয়ে কী হয় - এইটা নিয়ে হয়রান হওয়ার আগে শিঙ-বিহীন প্রজাতির মাথার উপর প্রথমে কেন ও কীভাবে ধীরে ধীরে (?) শিঙ গজালো - সেটা নিয়ে আগে হয়রান হোন। এছাড়াও হয়রান হওয়ার মতো আরো অ-নে-ক মৌলিক বিষয় রয়ে গেছে।

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১৩

ওঙ্কার বলেছেন: হেহেহে.. আপনে তো আবার পিছলাইতে শুরু করলেন দেখি!

একটু কন না, দাদা? শিঙ জিনিসটা যেমনেই আসুক.. জিনিসটার কাজ কি!

টাইম লন, অসুবিদা নাই.. খালি একটু কয়া যান, শিঙের কাম খান কি!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২১

এস. এম. রায়হান বলেছেন: আপনি মনে হচ্ছে পিছলা-পিছলি খেলতে এসেছেন? আমি যা বলার তা পরিষ্কার করেই বলেছি, যদি আমার লেখার উদ্দেশ্য বুঝে থাকেন। শিঙের কাজের কথা আমাকে জিজ্ঞেস না করে বরং শিঙ বিশেষজ্ঞরা কী বলেন তা নিজেই দেখুন (আমি বললেও একই কথা বলবো):

http://en.wikipedia.org/wiki/Horn_(anatomy)

১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫৯

ওঙ্কার বলেছেন: আপনার লেখার 'উদ্দেশ্য' তো আলবৎ বুঝেছি।

কিন্তু 'লেখা'টা আদৌ কোনো লেখা হয়েছে কি না সেটা কি আপনি বুঝেছেন দাদা?

শিঙ নিয়ে এতো হাউকাউ আপনার এই পোস্টের অথচ, শিঙের উদ্দেশ্য বা এর আসল ব্যবহার জানেন না, আমাকে উইকিপিডায়া ধরিয়ে দিলেন, কেমন তালগাছবাদী আপনি, দাদা?

বলুন তো!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:২৭

এস. এম. রায়হান বলেছেন: পিছলা-পিছলি খেলা থেকে এবার তাল্গাছ ব্যবসাতে বিবর্তন হলো মনে হচ্ছে। এর আগেও আমার ব্লগে তিন-চার জন তাল্গাছ ব্যবসায়ী এসেছে, যারা কথায় কথায় খালি তাল্গাছ দেয়। যুক্তিবিদ্যায় ন্যূনতম জ্ঞান থাকলে শিঙ এর কাজ নিয়ে পেঁচিয়ে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করতেন না।

শিঙ আগে, না শিঙ এর কাজ আগে? শিঙ থাকলে তার কিছু কাজ তো থাকতেই পারে, যেমন হাত থাকলে হাতের কাজও থাকতে পারে। সেটা জানার জন্য বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে জনপ্রিয় লিঙ্ক দিয়েছি। ঐ লিঙ্কে যা আছে তার চেয়ে তো আমি ভাল বলতে পারব না। এর পরও একই বিষয় নিয়ে আমার সাথে পেঁচাচ্ছেন কেন। নাকি উদ্দেশ্য সেটাই।

শিঙ-বিহীন প্রজাতির মাথার উপর প্রথমে কেন ও কীভাবে ধীরে ধীরে শিঙ গজালো - সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার লেখার উদ্দেশ্যও তাই। শিঙ গজানোর পর যে তার কিছু কাজ থাকতেই পারে - সেটাকে কেউ অস্বীকার করেনি বা সে বিষয়ে আমার কোন মাথা ব্যথাও নেই।

শিঙ-বিহীন প্রজাতির মাথার উপর প্রথমে কেন ও কীভাবে শিঙ গজালো - সেটা আগে প্রমাণ করেন, তারপর আমি শিঙ এর কাজ ব্যাখ্যা করবো। একইভাবে স্তনবিহীন প্রজাতির দেহে প্রথমে কেন ও কীভাবে ধীরে ধীরে (?) স্তন বিবর্তিত হলো - সেটা আগে প্রমাণ করেন, তারপর আমি স্তন এর কাজ ব্যাখ্যা করবো।

১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:২৩

আইহনের স্ত্রী বলেছেন: Shing aage na shing er bebohar aage? Rayhan@bebohar er proyojon porse boilai to shing gojaise, Jemon gojaise shishno! Ekhon ki bolben, 'shishno aage na shishner bebohar aage?'!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৪৩

এস. এম. রায়হান বলেছেন: ইংরেজী অক্ষরে বাংলা লিখা পড়তে পারি না। বাংলায় লিখুন।

১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৫৯

এস. এম. রায়হান বলেছেন: একটি পোস্টে ওঙ্কার বলেছেন: 'ডারউইনবাদী' বলে তো আদতে কিছুই নেই, তার আবার নাইটমেয়ার আসে কোত্থেকে!!
---------------------

একেবারে মিথ্যে কথা। 'ডারউইনবাদী' শব্দটা আমার উদ্ভাবন না! 'ডারউইনবাদী' বলে কোন শব্দ না থাকলে আমার লেখাতে আসে কী করে? নীচে ইংরেজী অভিধান থেকে প্রমাণ দেয়া হলো।

Dar·win·ism (därw-nzm)

n. A theory of biological evolution developed by Charles Darwin and others, stating that all species of organisms arise and develop through the natural selection of small, inherited variations that increase the individual's ability to compete, survive, and reproduce. Also called Darwinian theory.

Darwin·ist n.

http://www.thefreedictionary.com/Darwinist

ইংরেজী 'Darwinist' এর বাংলা 'ডারউইনবাদী' করা হয়। কম্যুনিজম থেকে যেমন কম্যুনিস্ট এসেছে, ডারউইনিজম থেকে তেমনি ডারউইনিস্ট বা ডারউইনবাদী এসেছে।

১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:৫৩

এস. এম. রায়হান বলেছেন: @পাঠক, উপরে মুক্ত-মনা ওঙ্কারের সাথে আমার মন্তব্যগুলো দেখুন। চেনা নাই জানা নাই, কখনো কিছু নিয়ে বিতর্ক বা ক্যাচাল হয়নি, তথচ হঠাৎ করে এসে 'হয়রান হয়রান' করে হয়রানী হওয়া শুরু করলেন। তার প্রশ্নের উদ্দেশ্য, আর আমার জবাবগুলো একটু মনোযোগ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। আমার অবস্থান কিন্তু স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছি। মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য যখন চলছে তখন তড়িঘড়ি করে কিছু মন্তব্যের স্ক্রীনশট নিয়ে আমাকে হেয় করে আলাদা পোস্ট দিয়েছেন। উদ্দেশ্য তাহলে পরিষ্কার। সেখানে আদৌ কোন যুক্তি-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে কি-না - তা খুব ভাল করে লক্ষ্য করুন। দেখবেন যে কিছুই নাই। শুধু ব্যক্তি আক্রমণ আর হাসি-ঠাট্টা। অথচ উল্টোদিকে আমাকেই তালগাছবাদী, এ-সে-হ্যান-ত্যান বলা হচ্ছে। এরাই নাকি বিজ্ঞানমনা আর যুক্তিমনা! কেমন লাগে বলুন তো!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩১

এস. এম. রায়হান বলেছেন: নীচের মন্তব্য থেকে 'ওঙ্কার' এর স্বরূপ জানা যাবে।

১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:২১

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: +। এই সকল যুক্তিহীন নাস্তিকদের ব্লক করে দিন। হেমায়েতপুরীদের সাথে এদের খুব একটা পার্থক্য নেই।

১৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৫৭

রান০০৭ বলেছেন: অইসব রাখেন। আমারে কেউ বলতে পারেন কি করলে ১০টাকা কেজি চাল কিনতে পারুম? আর ভালা ঘাগে না।

এই দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র। কষ্ট হচ্ছে তাদের। তাদের কষ্ট দেখার জন্যও কি বিবর্তনবাদ জানতে হবে?
ওঙ্কার মিয়া মনে হয় তর্কাইতে ভালা পায়। তাহাকে +এর অর্ধেক।

১৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২১

যুক্তিপ্রাজ্ঞ বলেছেন: @ওঙ্কার: একটি নোংরামি পোস্ট দিয়েছেন.

জনাব রায়হানের যুক্তি যুক্তিপূর্ণ কিনা, পরের ব্যাপার, আপনি স্পষ্টতই যুক্তিতে তার কাছে হেরে নোংরা ব্যক্তি আক্রমণে গিয়ে নিজের দীনতা, হীনতা প্রকাশ করেছেন. কাউকে নিয়ে মস্করা করে যুক্তির পথে হাটা যায় না, নিজেই খেলো হলেন.

১৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০০

আইহনের স্ত্রী বলেছেন: আপ্নের মত মাথামোটার লগে বাংলায় বাৎচিত করনের ইচ্ছা আমার নাইক্কা।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০৫

এস. এম. রায়হান বলেছেন: ব্রেনলেস ছাগুরে ব্লক করা হলো।

১৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৬

উদাস কবীর বলেছেন: ব্লগে অনেককে ছাগু, হাম্বা.............ইত্যাদি নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু ভেড়া এত জন প্রিয় হওয়া সত্ত্বেয় এর কোন ব্যাবহার ব্লগে আমার চোখে পড়ে নাই। আপনার ব্লগের কিছু কমেন্ট দেখে এর ব্যাবহারের প্রয়োজন বলে মনে করছি। আমরা এখন থেকে ডারউইন বাদী নাস্তিকদেরকে ভেড়া বলে সম্বধন করতে পারি। এর আর ও একটি কারন আছে, তা হল এরা যুক্তি থাক আর না থাক ভ্যা ভ্যা......................ভ্যা করেই যাবে।
আপনার লেখা খুব ভাল লাগল ++
চিন্তার কিছু নাই ভেড়ারা ভ্যা ভ্যা করবেই কারন থাক আর না থাক।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

এস. এম. রায়হান বলেছেন: সত্যকে সমর্থনের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আশা করি সত্যের সাথে থাকবেন।

২০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৩

এস. এম. রায়হান বলেছেন: @পাঠক, প্রথমে 'আইহনের স্ত্রী' নিকে ১৪ নং মন্তব্য এবং আমার জবাব পড়ে দেখুন। এর পর ২০ নং মন্তব্যে গালি দিয়ে আমাকে অতর্কীতে আক্রমণ করা হয়। আমি তাৎক্ষণিক রাগ সামলাতে না পেরে পাল্টা গালি দিয়ে তাকে ব্লক করি। ইট ওয়াজ আ টিট ফর ট্যাট। এর পর আলাদা পোস্ট দিয়ে ব্যক্তি আক্রমণ আর আমার নামে মিথ্যাচার করা হয় এভাবে:




লক্ষ্যণীয় কিছু বিষয়। প্রথমত, আমার সাথে তার কখনোই কিছু নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়নি। অথচ একেবারে অতর্কীতে আক্রমণ। দ্বিতীয়ত, শিংবিহীন প্রজাতি থেকে শিং গজানোর পক্ষে আদৌ কোন প্রমাণ দেয়া হয়েছে কি-না দেখুন। নিজেকে বিজ্ঞানমনা প্রমাণ করার জন্য ধান ভানতে শীবের গীত গাওয়া হয়েছে মাত্র। প্রমাণ কাকে বলে সেটাই হয়ত জানে না। তৃতীয়ত, দ্বিতীয় আন্ডারলাইন অংশে আমার নামে যা বলা হয়েছে তা আমি কোথাও বলিনাই।

এরা যুক্তিতে না পেরে ছদ্মনামে বিজ্ঞানমনা ভান করে এবং অসততার আশ্রয় নিয়ে ব্লগে ব্লগে মুসলিমদেরকে আক্রমণ আর হেয় করে আসছে।

২১| ২০ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:০৬

রাতুলবিডি বলেছেন: অক্সিজেন + হাইড্রোজেন = পানি। এইটা বিজ্ঞান । প্রমাণ আছে। বারবার হবে। সবাই করতে পারবে, করে দেখান যাবে।

মহিষের শিং, কুত্তার লেজ, ছাগলের দুধের বান, সাপের ফনা + বিষ এইগুলাকি বৈজ্ঞানিক কোন প্রক্রিয়ার একটা জীবে " নাই " থেকে বানান সম্ভব?

জিন কাটাকাটি/ রে মারামারি/ এসিড ডলাডলি / ফরমালিন মাখামাখি
ঠান্ডা গরম, শুকনা ভিজা, সার মাটি, ঔষুধ পানি, খাদ্য পুষ্টি কোন পদ্ধতিতে কি সম্ভব?

বিজ্ঞান হলে প্রমাণ থাকবে। বারবার হবে। সবাই করতে পারবে, করে দেখান যাবে।

জীব জগতের জৈব বৈশিষ্টের যে সামন্য কিছু পরিবর্তন বিশাল চেষ্টা সাধনা ও জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে ঘটান হয়েছে সেগুলোর চেষ্টা ও ফলাফলই কি প্রমাণ করে না প্রাকিতিক ভাবে এই পরিবর্তন গুলো সম্ভব নয়?

২২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২১

বিপ্লব২৯৭১ বলেছেন: ডারউইন কখনই বলে নাই যে, =বানর থেকে মানুষ এসেছ= । তিনি বির্বতনবাদের যে তত্ত্ব দিয়েছেন তাই এখন বির্বতনের ধারায় পরে বির্বতন হয়ে গিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.