নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কে?

আঘাত প্রাপ্ত একজন

নিত্যকার প্রয়োজনে নিয়ত অভিযোজনের ক্রমাগত নিষ্পেষণ থেকে পরিত্রাণের ফুরসত খুঁজে ফেরা এক পরিশ্রান্ত প্রাণ।

আঘাত প্রাপ্ত একজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সালমান শাহ: দেশের শেষ মহাতারকা

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২

নব্বইয়ের দশক। বাংলাদেশি
চলচ্চিত্র তখন সার্বজনীনতা হারিয়ে
শ্রেণি বিশেষের বিনোদন মাধ্যমে
পরিনত হয়। চলচ্চিত্রের অক্সিজেন
বলে খ্যাত বাংলার মধ্যবিত্ত সমাজ
মুখ ফিরিয়ে নেয়। তবে হঠাৎ করেই
নব্বইয়ের শুরুর দিকেই আবির্ভাব হয়
বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবাদপুরুষ
সালমানের। তার হাত ধরে চলচ্চিত্র
আবার গতি পায়, পরিচালকরা
নতুনভাবে লড়াইয়ে নামে, ইন্ডাস্ট্রিও
লাভের মুখ দেখতে থাকে সালমানের
একের পর এক হিট ছবিতে। সাথে ছিল
শুরুর দিকে মৌসুমী এবং কিছু পরেই
মহাকাব্যিক সালমান-শাবনুর জুটি।
তরুণদের পোশাকে সালমানের
কালোত্তীর্ণ ফ্যাশন, কণ্ঠে সালমানের
সিনেমার গান। কেয়ামত থেকে
কেয়ামত তো সিনেমার ট্রেন্ড ই
পাল্টে দিলো, একদম আনকোরা একজোড়া
মুখ দিয়ে সুপারহিট ছবি। সেই
সিনেমায় সালমানের ব্যবহৃত ছুরি
পর্যন্ত বাজারে চলে এলো। সালমানের
মাথায় কাপড় প্যাঁচানো, হ্যাট, চশমা,
গেঞ্জি কি নকল হলোনা তখন তরুণদের
মাঝে!
‘৯৬ এর সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখ,
শুক্রবার। সিনেমা দেখছি নানাবাড়ীতে। সাথে দুই খালাম্মা
,মামাতো ভাইবোন সহ আরো অনেক দর্শক। বিকেল
চারটার বিটিভির খবরে প্রচারিত হল,"সালমান
শাহ মারা গেছে"। খালাম্মা চিৎকার
করে উঠলো, সবাই অবিশ্বাসের
দৃষ্টিতে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে! ”ও
আমার বন্ধুগো “- নামের কেয়ামত থেকে
কেয়ামত ছবির গান দেখাচ্ছে তখন।
সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো। আমি বয়সে
ছোট,আমারও খারাপ লাগছে। আমি কিছু
না বুঝে সবার মুখের দিকে চেয়ে
আছি। আর কেউ ছবি দেখলোনা। পাড়ায়
মানুষের জমায়েত,বিশেষত তরুন -
তরুণীদের। কি হল এটা, কিভাবে হল,
কে ষড়যন্ত্র করে এটা করলো, এরকম
হাজারো প্রশ্ন আর জল্পনা-কল্পনা।
নাম এলো সালমানের স্ত্রীর সামিরা,
পরিচালক প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ
ভাই, খলনায়ক ডন সহ আরো অনেকের। আত্মহত্যা
বলেই সবাইকে জানানো হল। প্রকৃত
রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে, যখন ক্যারিয়ার
তুঙ্গে, সারা দেশ এক নামে পাগল,
ঠিক সেই সময়ে সালমান আত্মহত্যা
করতে পারে এটা আজও সালমান ভক্তরা
মেনে নিতে পারেনি। ছয়
সেপ্টেম্বরের পর থেকেই দেশের
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সালমানের
মৃত্যুশোকে তরুন-তরুনী দের আত্মহত্যার
খবর আসতে লাগলো। সালমান নিজেকে
কোন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তার
প্রকাশ তাঁর মৃত্যুর পরে আরো প্রকট
হলো। সালমানের প্রথম ছবির
নায়িকা মৌসুমী সালমানের থেকে
অভিমান করে দুরে ছিলেন চারটি ছবি
করার পর থেকেই। তিনিও শোকে
মুহ্যমান।
সবচেয়ে বেশী ছবি করা যার সাথে
সেই শাবনুরও ভেঙ্গে পড়লেন সহকর্মী হারানো আর ক্যারিয়ার বিপর্যয়ের শঙ্কায়।
সালমানের ছবি মানেই
অবধারিতভাবে খলনায়ক হবেন ডন।
ডনের ক্যারিয়ার দাঁড়িয়েছিল
সালমানের হাত ধরেই। সেই ডনকে
তখন অনেকেই সন্দেহভাজন ভাবতে
লাগলেন। এফবিআই নাকি তদন্ত করতে
চেয়েছিলো, কিন্তু পরে তা আর আলোর
মুখ দেখেনি।
যাইহোক, এভাবেই হারিয়ে গেলো
বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের শেষ
মহাতারকা বলা হয় যাকে সেই
সালমান শাহ । তিনি বেঁচে থাকলে
বাংলা চলচ্চিত্রের এই বেহাল দশা
হতোনা,এখনো দাবড়িয়ে বেড়াতেন
আমাদের চলচ্চিত্রে, এমনটাই মনে
করেন চলচ্চিত্র বোদ্ধারা। সালমান
বেঁচে থাকবেন কোটি ভক্তের হৃদয়ে
অনন্তকাল। তাঁর আত্মা শান্তিতে থাক,
এটাই প্রার্থনা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার নামটি সম্ভবত বাংলা লেখায় সমস্যার কারনে ঠিক আসে নি। আপনি অনুগ্রহ করে [email protected] এই ঠিকানায় মেইল করে আপনার সঠিক নামটি পাঠিয়ে দিন।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অমর নায়ক সালমান শাহ! অামরা তোমাকে ভুলিনি, ভুলবও না । তুমি বেঁচে থাকবে লাখো ভক্তের হৃদয়ে ।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪১

আঘাত প্রাপ্ত একজন বলেছেন: বেঁচে থাকবে লাখো ভক্তের হৃদয়ে :-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.