![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিত্যকার প্রয়োজনে নিয়ত অভিযোজনের ক্রমাগত নিষ্পেষণ থেকে পরিত্রাণের ফুরসত খুঁজে ফেরা এক পরিশ্রান্ত প্রাণ।
ক্যাপিটালে কবিরা কুপোকাত
সাম্যবাদ ফিকে হতে হতে এখন ফিকশন।
বিড়ির এক শলাকাও বিশ-এ ঠেকেছে
কবিরা খাবে কী!
শহরে ২০১৯ সিরিজের প্রেমিকাও আকাশছোঁয়া
কবিরা পাবে কী!
তাই কবিরা সংঘবদ্ধ হলো
মগজ ফেলে খুলিতে পুঁজি ঢোকাল
কল্পনা ভুলে "অল্প...
সোডিয়াম নিভে গেছে
চাঁদ মরেছে মারমুখী মেঘে
এভিনিউয়ে জোনাকি জ্বলেনি
মুঠোফোন মৃত্যুশয্যায়
জেঁকেছে নাছোড়বান্দা অন্ধকার।
দূরে কি কোন আদিম ডাক?
নিশাচর বোহেমিয়ান বোধহয়।
এদিকে আমার অনিবার্য মৃতদেহ
দুহাতে খুঁড়ছে পরের অধ্যায়
অন্তর্ধানে যাবে সে—অসীম শূন্যতায়।
দিন বেয়ে বেয়ে রাতে নেমে দেখি
রাত গুলো নীল দিনের বিষে
চাঁদ ও এসেছে রাত তাড়াতে
রাত গেলে চাঁদ আলো দিবে কিসে!
অতীতের নথিতে মৃতের নোট
সময় সাক্ষী স্বাক্ষরে,
আমাদেরও শেষটা লেখা হবে
এপিটাফের কিছু অক্ষরে।
কাজলের টিপও যাচ্ছে মুছে
মায়েরা দেয় ছোট্টকালে,
প্রাপ্তি সব জমছে দ্যাখো
জন্ম যাদের রাজ কপালে।
চোর শালা কিনছে দালান
ডাকাত পুরো শহরটাকে,
উল্টো দিকে বেড়ার বাড়ি
কাক ঠোকরায় বাপের টাকে।
সিটির জমি টুকরো প্লটে
স্কয়ারফিটের খেলাঘরে,
শৈশব এখন চার...
শহুরে সিলিং এ বৃষ্টি এখন ছন্দহীন
এভিনিউয়ের চকচকে এলইডিতে বর্ষার রাত গেছে নির্বাসনে।
কনক্রিটের ঢালাইয়ে ঝিঁঝিঁপোকা মরে বেঁচেছে
এ্যাপার্টমেন্টের সংকীর্ণ বিন্যাসে আষাঢ়ের আজ শ্বাসকষ্ট!
১১ আষাঢ়, ১৪৩০
সময়
অতঃপর যখন সময় হলো
তখন দেখি সময় শেষ!
শৈশব চুরি গেছে সাতসকালে
কৈশর বেলা বাড়ার আগেই,
বাকী যেটুকু বিকেল ছিলো
চোখের সামনে ডাকাতি হলো।
হাহাকারের সন্ধ্যা নামলো
একরাশ বঞ্চনা হাতে।
হর্ন-মাহফিল-উলুধ্বনি-ভাষণ-সাইরেন
সব শব্দের মিলিত অনুনাদ
নিঃশব্দ কি এক বিন্দু টলে!
সর্বগ্রাসী...
সকাল সাতটা তেরো।
সময় এখনো ভোরেই পড়ে আছে,আকাশ কিছুটা মেঘলা।
প্ল্যাটফর্ম থেকে ছুটে গিয়ে একটা ছাগল পরিত্যক্ত লাইনে বাঁধা আরেকটা ছাগল, যেটি কিনা প্রচন্ড শক্তিতে তার দড়ি ছিঁড়ে ছুটতে চাইছে,তাকে বাঁচাতে...
মাটির ভাঁজে যে ভালোবাসা মরে জমে গেল
লক্ষ বছর পর ফসিল ফুয়েল হয়ে জ্বলবে;
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এ উদ্ভাসিত আলো
যৌথ স্বপ্নভঙ্গে তোমার দায় এর কথাই বলবে।
দুঃসময়ের দিনলিপি
----------------------------
কাঁচা সোনা রোদে
কালো কেটে যাবে
উবে যাক সব উচাটন,
মুক্ত শ্বাঁসের মুক্তি মিলুক
ডেডলক ভেঙ্গে দিনযাপন।
উদ্বেগ যা উদ্বায়ী হোক
নীল সবুজের সীমান্তে,
বদ্ধ সময় জব্দ করে
মিলবো জোড়ায় দিনান্তে।
মরণ যখন সংখ্যা হবেনা
আসবেনা ব্রেকিং টিভিতে,
দুঃসময়ের...
বলছিনা যে,
বারি আর নারী ধর্মে একই
পাত্র বুঝে আকার গড়ে
যখন যে হাত সেই হাতে হাত
অতীত গিলে গড়িয়ে পড়ে।
এও বলিনি,
স্থিতিস্থাপক হৃদয়টা যে
ভর বুঝে তার ওঠানামা
কেউ পারেনা ভাঙতে তাহার
ইলাস্টিসিটির সহ্যসীমা।
কে বলেছে,
মোমের মত মনটা...
ভালোবাসা ভোলা যায়
\'মায়াবাসা\' নয়,
মায়ায় শ্বাসরুদ্ধ বসবাস
মায়ার মাঝেই ভয়।
ভালোবাসার প্রত্যাহারে
ভালোবাসা-ই যায়
অসহ্য এক অসীমতায়
মায়ায় মরণ দায়।
আমি কি তবে তোমায় মায়াবাসি?
বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠস্বর\'
\'চিবুক চুইয়ে পড়া জল\'
\'অপ্রাপ্তির অসীম শূন্যতা\'
আর \'উপাখ্যানের কিছু ছেঁড়া পাতা \'
অতঃপর মঞ্চে পর্দাপতন।
মুহুর্তের বিরতি পর
অন্ধকার ভেঙ্গে মূর্ত তুমি,
ফ্রেসনেল লণ্ঠনে আনকোরা মুখ।
নতুন অঙ্কে অভিনয়
পেছনে অপাঙক্তেয় অতীত...
এখন অবশ অনুভুতির দিন
হোটেলের নিত্যকার পুরনো সয়াবিন
ন\'টা পাঁচটা চিৎ হয়ে সময় ঠেলা
একটা একঘেয়ে সন্ধ্যাবেলা,
আলস্যের ব্যাচেলরি উদযাপন
অর্থহীন অথবা অপ্রয়োজন।
কাঁচা সকালে হলুদ ট্রাকের হর্ণ
কুকুরের ঘেউঘেউ, দোকানের শাটার
কেজির বাচ্চা নিয়ে ছোটা চল্লিশের...
এখন অবশ অনুভূতির দিন
হোটেলের নিত্যকার পুরনো সয়াবিন
ন\'টা পাঁচটা চিৎ হয়ে সময় ঠেলা
একটা একঘেয়ে সন্ধ্যাবেলা,
আলস্যের ব্যাচেলরি উদযাপন
অর্থহীন অথবা অপ্রয়োজন।
কাঁচা সকালে হলুদ ট্রাকের হর্ণ
কুকুরের ঘেউঘেউ, দোকানের শাটার
কেজির বাচ্চা নিয়ে ছোটা চল্লিশের...
©somewhere in net ltd.