নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিত্যকার প্রয়োজনে নিয়ত অভিযোজনের ক্রমাগত নিষ্পেষণ থেকে পরিত্রাণের ফুরসত খুঁজে ফেরা এক পরিশ্রান্ত প্রাণ।
(১)প্রথম রোজা।
দর্শক, জমে উঠেছে চকবাজারের ইফতারি আয়োজন। সেখানকার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চলে যাচ্ছি আমাদের রিপোর্টার "চর্বিত চর্বন" এর কাছে।
-চর্বিত চর্বন আমাকে শুনতে পাচ্ছেন?
-(একটু ভাবগাম্ভীর্যের সহিত কানে হেডফোন লাগিয়ে মুখ ভাঁজ করে) জ্বী "একঘেঁয়ে একশেষ " আমি শুনতে পাচ্ছি। একঘেঁয়ে, আপনি দেখতে পাচ্ছেন সারিসারি দোকান।এই দেখুন শাহী জিলাপি অনেক বড়,এখানে পেঁয়াজু চপ,কাবাব,হালিম সহ সব ইফতারি সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে।ইফতার সামগ্রী বাদে অন্য কিছু কেন পাওয়া যাচ্ছেনা সেটা নিয়ে সাংবাদিক "খুঁতখুঁতে খোঁচাখুঁচি"র ৭ পর্বের ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব দেখবেন পরবর্তী সংবাদে।যাইহোক জমে উঠেছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ইফতার বাজার..."
(২)দশম রোজা।
দর্শক, জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। কেনাকাটার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চলে যাচ্ছি হুজুগ শপিং কমপ্লেক্স এ। সেখানে আছে আমাদের রিপোর্টার "অতিউৎসাহী উদ্ভট"।সরাসরি যাচ্ছি তার কাছে,
-উদ্ভট আমায় শুনতে পাচ্ছেন?
-হ্যাঁ অদ্ভুত উপদ্রব শুনতে পাচ্ছি"।
-উদ্ভট ঈদ কেনাকাটার সর্বশেষ জানান দর্শকদের
-জ্বী উপদ্রব, দেখতে পাচ্ছেন এই হুজুগ কমপ্লেক্সে চরম ভীড়,প্রচুর মানুষ আসছে। খবর নিয়ে জানা গেছে মার্কেটে মানুষ কেনাকাটাই করতে আসে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রতিবারের মত ছেলেরা এখনো শার্ট-প্যান্ট-পাঞ্জাবী ই কিনছে,মেয়েরা থ্রিপিস-শাড়ি-প্রসধনী ই কিনছে,এর ব্যতিক্রম হয়নি। যদি হয় তাহলে পরবর্তি সংবাদে আমি আবার হাজির হবো। যাইহোক এই যে এক নারী কে পাওয়া গেছে,উনি অনেক কেনাকাটা করেছেন।
-আপু কি কি কিনলেন?
-হুম,আমি জামা,পায়জামা,ওড়না,শাড়ী,লিপস্টিক,নেইলপলিশ,জুতা,তারপরে...
-না না ঠিক আছে আপু বুঝতে পেরেছি।আপনাকে ধন্যবাদ।তো অদ্ভুত এই ছিলো হুজুগ কমপ্লেক্স থেকে ঈদ কেনাকাটার সর্বশেষ খবর"
(৩) বিশ রোজা।
দর্শক ঈদ উপলক্ষ্যে অগ্রিম টিকেট ছেড়েছে বাস-ট্রেন। স্টেশনগুলোয় অগ্রীম টিকেটের জন্য উপচেপড়া ভীড়। আমাদের রিপোর্টার "খবর বানাই" আছেন কমলাপুর রেলস্টেশনে। সরাসরি যাচ্ছি তার কাছে।
-বানাই, আপনি আমাকে শুনতে পান? কি অবস্থা কমলাপুরে?
-জ্বী 'হুদাই জিগায়' আমি শুনতে পাচ্ছি, হুদাই আপনি দেখতে পাচ্ছেন অনেক মানুষ এখানে,রাত থেকে বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে,টিকেটের আশায়।
-আচ্ছা ভাই আপনি এই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?
-আজব তো? অগ্রিম টিকেট ছাড়লে রেলস্টেশনে মানুষ কেন লাইনে দাঁড়ায়? আপনি জানেন না? রাত জাইগা পায়ে খাড়ায় আছি,আপনি মিয়া ফাইজলামী করেন?
-না মানে ঠিক আছে ঠিক আছে বুঝতে পেরেছি..."।
এই যে আমরা দেখতে পাচ্ছি এক ভাই টিকেট পেয়েছেন,উনি খুব খুশি।
-আচ্ছা ভাই আপনি এত খুশি কেন?
- মানে? কষ্ট করে লাইনে দাঁড়ায়া সোনার হরিণ টিকেট পাইলে মানুষ খুশি না হয়ে কাঁদবে?
-আচ্ছা আচ্ছা জ্বী বুঝতে পেরেছি...।
তো হুদাই,এই ছিলো কমলাপুর স্টেশন থেকে সর্বশেষ।
(৪) আটাশ রোজা।
দর্শক,দুদিন বাদেই ঈদ। বাড়ি ফিরছে মানুষ। রেল বাস আর লঞ্চ টার্মিনালে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। বাড়ি ফেরার সবশেষ খবর জানতে আমরা যাচ্ছি কমলাপুর রেলস্টেশনে।
সেখানে আছেন রিপোর্টার "কুমিরের কেচ্ছা"। -"কেচ্ছা,নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরার গল্পটা দেখান"।
-"জ্বী গল্পিতা,আপনি দেখতে পাচ্ছে অনেক মানুষ,সবাই বাড়ি ফিরতে স্টেশনে ভীড় জমিয়েছে।আমাদের অনুসন্ধানী সাংবাদিক খবর নিয়ে জানতে পেরেছেন সবাই ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরছে। এই এখানে ট্রেনের জানালার পাশে বাচ্চাসহ এক আপুকে পাওয়া গেছে,
-আপু কোথায় যাচ্ছেন?
-কোথায় মানে? ২৮ রোজায় পোঁটলাপুঁটলী বেঁধে,বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে মানুষ কই যায়?
-জানিইতো ঈদে বাসায় যাচ্ছেন,একটু নিজের মুখে বললে কি হয়? খবর বানাচ্ছি বোঝেন না?
আচ্ছা এখানে আরেক ভাইকে ভাইকে পাওয়া গেছে,
-ভাই বাড়ি ফিরছেন?
-হ ভাই,বউ আছে বাসায়। "নারী"র টানে বাড়ি যাই।
-অনুভূতি কেমন?
-চরম,ওসাম,সুপার,অহ। এ ভাই, এই খবরটা কয়টার সংবাদে দেখাবে রে ভাই?
-(মনে মনে) ধুর শালা।
"তো গল্পিতা এই ছিলো বাড়ি ফেরার সর্বশেষ অবস্থা।"
২| ০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০
আঘাত প্রাপ্ত একজন বলেছেন: এইসব গতানুগতিক সাংবাদিকতাই চলছে। অথচ বিশ্বজুড়ে এখন প্রায়োগিক এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সমাদর।
৩| ০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: হে হে হে
৪| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৪৮
আঘাত প্রাপ্ত একজন বলেছেন: হা হা হা
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বেশ মজা পেলাম, তবে আমাদের খবরের বাস্তব অবস্থা এটাই