নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে আমি ছাড়া আর কিছুই নেই।

পরিশোধিত সক্রেটিস

পরিশোধিত সক্রেটিস › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশবিক্রয় ও অতঃপর

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪০

ভারতের মোদি আম্রিকার ওবামা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছে।হঠাৎ ওবামা মোদিকে বলল যে তার এত বড় দেশ থেকে কোনো অংগরাজ্য পাওয়া যাবেকিনা যেখানকার লোকজন অতিমাত্রায় বলদ আর আর গন্ডারের মত সহ্যশীল ।যারা ভিন্ন চিন্তাভাবনার ধারও ধারে না।নিজেদের উন্নতিরও না।মোদি চা বানাতে বানাতে না সূচক উত্তর দিলেন যে তার দেশের এমন কোনো যায়গা নেই।সবাই কিছু না কিছু করছে আর তার দেশও উন্নতির দিকে।কিন্ত ওবামা নাছড়বান্দা।

ওবামাঃআরে ব্রো আমি কি আমাকে দিতে বলেছি,যায়গাটা তো আপনাদেরই থাকবে।আমি জাস্ট চীনকে ঠেকানোর জন্য তাদের ব্যবহার করব।প্লিজ দেখেন না ব্রো।লাগবেই।আর চা টা ভালই হয়েছে কিন্তু।
মোদিঃনা নেই।তবে দিতে পারি।ডেজার্ট সাইডটা।
ওবামাঃআমার তো অনেক লোক লাগবে।লাগবেই ব্রো।সমস্যা নেই আমি শাহরুখ খানের সাথে ডান্স দিব।ব্রেক ডান্স।বেবে দেখেন।
মোদিঃ আচ্ছা।দেখি।তাহলে ডান্স কিন্তু দিতেই হবে।
ওবামাঃওকে।
মোদি মোবাইল ঘাটতে ঘাটতে চোখে পড়ল শেখ হাসিনার নাম্বার।বেচারি অনেকগুলা মিসকল দিয়েছে।কিন্তু মোদি ওবামাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকাতে ধরতে পারেনি।ঠাস করে হাসিনাকে ফোন দিয়ে বসল।
হাসিনাঃআদাপ দাদা।কেমন আছেন?কত বার ফোন দিলাম।ধরলেন না।
মোদিঃওবামা আসছে বেড়াইতে।ওর সাথে ব্যস্ত ছিলাম।দেশের কি খবর?
হাসিনাঃ১৯৯১ এর পর থেকে যেমন তা তেমন।পার্থক্য নাই।আর দেশের মানুষ তো বুঝেনই।আর সেদিন খালেদার কার্যালয়ে ঢুকতে দিল না।মন খুব খারাপ।
মোদিঃবুঝলাম।দেশের জন্য তো কিছু কর না,খালি দুই জনে কামড়াকামড়ি কর।আর দেশের মানুষ গুলারে মারো।ওরা কিছু বলে না?
হাসিনাঃধুর যেই সেই।একদিন দুই দিনই চিল্লাবে।আবার শেষ।সব গন্ডারের চামড়া।
মোদিঃহুম।তোমরা তো টাকা আর ক্ষমতা ছাড়া কিছু বুঝ না।যাক,তোমাদের দুইজনের জন্য ভাল একটা প্রপোজাল আছে।
হাসিনাঃবলেন।
মোদিঃদেশ বিক্রি করবা নাকি?ভালো দাম পাবা।পাক্কা ২০ বিলিয়ন দিবে।দুইজনে ১০ বিলিয়ন কইরা নিবা।তারপর তোমার বেয়াইর বাড়ি লন্ডনে গিয়া আরামসে থাকবা।
হাসিনাঃনা না এটা হয় না।
মোদিঃকেন হয় না?তমরা জনগনের জন্য কিছু করছ?খালি তো টাকাই খাও।আর নামের সময় জাতি জাতি কর।আর তুমিও বুড়া হইয়া গেছ।তোমার বংশও শেষের পথে।আর খালেদারও।ওর তো কেউ নাই।তো দুইজনে বেইচা দিলেই হয়
হাসিনাঃআচ্ছা দেখি। খালেদা কি বলে দেখি।
মোদিঃআচ্ছা।দেখ।তারাতারি জানাইয়ো।ওবামা দেশে আছে।ওর কাছ দিয়া টাকা ধার নিমু।

হাসিনা তিন দিন ট্রাই করে খালেদার সাথে সংযোগ স্থাপনে সম্মত হল।
হাসিনাঃকেমন আছেন বুয়া?আমি তো গেছিলাম।দরজাই খুলেন নাই।
খালেদাঃফাও পেচাল ছাইড়া কনো কাজ আছে বলো?
হাসিনাঃএকটা কথা বলব রাগ করিয়েন না।দেখেন আপনার আমার বয়স একই।মৃত্যু কাছাকাছি চইলা আসছে।আমার জয় আর আপনার তারেক কেউই দেশ চালাইতে পারব না।আর আমি তারেকরে যে ক্যালানি দিছি তাতে ও কোকোর মত...... আর দেশ স্বাধিনের পর আপনি আপনার স্বামীর আর আমি আমার বাপের দোহাই দিয়া ক্ষমতায় ছিলাম।আর আমরা শেষ হইয়া গেলে তো ক্ষমতা অন্য কারো হাতে যাইব।তখন আপনার স্বামীর আর আমার বাপের কিছু রইল না।যা আছে সব শেষ।
খালেদাঃতুমি কি কইতে চাও??
হাসিনাঃসব দিক বিবেচনা কইরা দেখলাম দেশটা বেইচা দেই।ভালো পার্টি আছে।মোদি সাহেব ভালো লোক।সে কিনবে।আর দেশেরও লাভ হইতাছে না।খালি মানুষ মরতাছে।দোষ আপনার আর আমার।আপনি জেলে যাবেন আর আমি কুইরা কুইরা পাপের ভাগিদার হমু।
খালেদাঃজাতির কি হবে?
হাসিনাঃধুর খালি জাতি জাতি করেন জাতিরে পয়সা মাইরা বা দুর্নীতি করা ভাগ দেন?যা খাওয়ার তো নিজেরাই খান।রাখি বুয়া।এটাই শেষ সুযোগ।আর জাতি কি আর করবে।কয়দিন চিল্লাবে তারপর যেই সেই।যাওদি কিছু পারত তাইলে অন্তত আমরা দেশ শাসন করতে পারতাম না।
খালেদাঃআরে চ্যাত কেন??কত কয় দাম?
হাসিনাঃ২০ বিলিয়ন ডলার।
খালেদাঃকম হইয়া যায়.৫০ দিতে কও।পুলিশ কাস্টমস নেতাকর্মী বহুত জনরে দিতে হইব।
হাসিনাঃআইচ্ছা।

অতঃপর মোদি হাসিনা খালেদার পুঁটি মাছের মত দরকষাকষিতে ৩৫ বিলিয়নে দাড়ালো ৪৩ বছরের পুরোনো বাংলাদেশের দাম।সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত।দেশ বর্তমানে ইন্ডিয়ার অধীনে।
এবার মোদি আর ওবামা বৈঠকে।
ওবামাঃব্রো পাইলেন দেশ??
মোদিঃহুম।ইজারা দিতে পারি।
ওবামাঃআমার ক্রাইটেরিয়া মত হবে তো??
মোদিঃআলবৎ।আপনি বেফুক খুশি হবেন।
ওবামাঃ কত?
মোদিঃ১০০ বছরের জন্য ইজারা দিবাম।পুরা ৬০ বিলিয়ন দিতে হবে।
ওবামাঃআচ্ছা।ঝামেলা যাতে না হয়। (মনে মনেঃশালা ১০০ বিলিয়নের ভাউচার কইরা রাখছি আর ৬০ বিলিয়নে পাইলাম।পুরা লালে লাল)।
মোদিঃচা খাবেন??(স্লা আমি তো হা কইরা ২৫ বিলিয়ন লাভ কইরালাইলাম।নে এবার ২৫ টাকার চা খা)
ওবামাঃনা ব্রো উঠতে হবে।
অবশেষে মোদি আর ওবামার মধ্যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের বাংলাদেশ চুক্তির মাধ্যমে ওবামার ভারত সফর সমাপ্ত হল।
ঘটনা জানা জানির পর তিন চার দিন কয়েকটা মঞ্চ তারপর নেতাকর্মীদের মাঝে একবিলিয়ন টাকা বিলানোর মাধ্যমে সব চুপ।আর হঠাৎ জাগ্রত চেতনাদার তরুনরা?নিশ্চুপ।

এটা কোনো গল্প না।অদুর ভবিষ্যতে হতে যাওয়া বাস্তবতাও হতে পারে।কারন দেশের যা অবস্থা তাতে সে দিকেই যাচ্ছে মনে হয় দেশ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৪

দিশেহারা আমি বলেছেন: দেশ তো বিক্রি হয়েই গেছে
বাকি শুধু হস্তান্তর।

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৮

পরিশোধিত সক্রেটিস বলেছেন: সেটাই।এখন আসেন হস্তান্তর করি নিজ উদ্যোগে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.