![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবাই আস্তিক নাস্তিক নিয়ে বহুত বাক-বিতন্ডা করে ফেলসেন।এগুলা শুনতে শুনতে প্রায় শেষ আমার মত আম পাবলিকের অবস্থা।আমাদের কিছু করার নাই স্বামী বিদেশ টাইপের অবস্থা।মানুষ হিসেবে বেশ ছোট আমি।তারপরও কিছু জিনিস খেয়াল করলাম বেশ অনেক দিন ধরে।না অভিজিৎ মরার পর থেকে নয় তার আগে থেকে।অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধিদের গনজাগরণ মঞ্চের পর থেকে।ভাই আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে বলছি না।আমার দাদাও যদি যুদ্ধাপরাধী হত না তাকেও আমি ছেড়ে কথা বলতাম না।আমার কথা সেটা না।যা করা হচ্ছে সবই ইসলামের বিরুদ্ধে।আপনি নাস্তিক হন এটা আপনার ব্যাপার।আপনার ভাব মুর্তির ব্যাপার।কিন্তু আপনারা দেশদ্রোহি কোনো কাজ করতে দেখলেই কেন ইসলামকে দোষারোপ করবেন??সব কি ইসলাম ধর্মের লোকরা করে?আপনারা সাধু সুফি।যান মেনে নিলাম আপনারা সাধু।
এবার আসি মুক্তমনা বিষয়টা নিয়ে।এখন নাস্তিকতা একটা ফ্যাশান বলা যায়।আর মুক্তমনা হতে হলে তাকে নাস্তিক হতে হবে মাস্ট।আর বাংলাদেশের মুক্তমনা মানেই ইসলাম বিদ্বেষ।যারা ধর্মটাকে পায়ে পিষে ফেলতে পারবে তারা মুক্ত মনা।কারন এটা বলছি কেন??এই মুক্তমনারাই গণজাগরণ মঞ্চ করেছে।দেশের অনেক তরুনের অনুপ্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু তারা।আর দেশে মুক্তমনা তার পর থেকেই বেড়ে গিয়েছে কিন্তু এই মুক্তমনারা একটা কথাই চিন্তা করতে পারে,ইসলাম বিদ্বেষ।কিন্তু দেশের আর কোনো ব্যাপারে তাদের মুক্ত চিন্তা জেগে উঠে না।
এবার এক্সপ্লেইনেশানে আসি।দেশের শেয়ার বাজার যখন ফল করল কোনো মুক্তচিন্তাবাদীর কলম ফুঁসে উঠেনি।দিনের পর দিন রোড এক্সিডেন্টে মানুষ মারা যাচ্ছে সেটা কোনো মুক্তচিন্তাবিদের কানের কাছেও ঘিষে না।দেশ যখন নিজের সংস্কৃতি হারিয়ে বিদেশী সংস্কৃতিতে বুঁদ তখন কোনো জাগরণ মঞ্চ দেখাও যায় না।জাগরণ মঞ্চের কোনো নারী সদস্য যখন ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়ে দেশ বাঁচাও বলে চিৎকার করে তখন দেশপ্রেম কই যায়?কেউ কি বলেছে তখন যে আসো দেশীয় জামা পড়ে আন্দোলন করতে।হলমার্ক যখন চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে সতেরস কোটি টাক মাফ পায় তখন কেউ তার বিরুদ্ধে যায় না।কেউ চিন্তাও করে না যে তার মাথা থেকে কত টাকা চলে গেছে।সালমান এফ রহমান যে শেয়ার বাজার বা পুরো অর্থনীতি নিয়ে কি খেলাটা খেলছে তাতে কারো কিছুই হয় নি।এগুলো চিন্তা করা কি বদ্ধ চিন্তা?মুক্তচিন্তাবিদরা তো কখনো হা ও করেন না।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল যখন কনফারেন্স ডাকে তখন সেখানে বক্তাই হয় শ্রোতা।দুর্নীতিকে যখন বার বার দেশ তাদের বিশেষহ র্যাংশক রক্ষা করে চলে তখন কারো কলম একটুও জাগ্রত হয় না।রাজনৈতিক দলগুলো যখন মানুষ নিয়ে মরণ খেলায় মেতে ওঠে তখন কারো টণকও নড়ে না।ফেলানীকে যখন তারকাটায় বিঁধ রাখা হয় তার জন্য কি হয়েছিল কনো মঞ্চ?হয় নি।যখন দিনের পর দিন নিরিহ বোনেরা ধর্ষন হচ্ছে কেউ কি কোনো খবর রাখছে?ইন্ডিয়া যে ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে আমাদের পদ্মা শুকে দিয়েছে তা কি কারো দৃষ্টির অগোচরে আছে?না কি মুক্ত মনাদের এগুলো নিয়ে কলম চালাতে সমস্যা?তারা স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে কলম চালাতে চায়,দেশের ভাল চায়।না এগুলো ইসলামিক মৌলবাদীরা করে?আমি গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে বলছি না।যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়ায় আমি নিজেও খুশি।কিন্তু দেশের অন্য অসঙ্গতিগুলো?এগুলোর জন্য কি কোনো জাগরণ মঞ্চ নাই?না এতে মানুষের জাগরণ নাই.২০১২ সালে শেয়ার বাজার পতনের ফলে ৪জন আত্মহত্যা করেছে।তাতে কোনো মুক্তমনা সালমান এফ রহমান বা দেশের অর্থনীতিবিদদের কারোইই মাথা চাননি?কেন?
না এগুলোর জন্য আবার বিয়াল্লিশ বছর পর জাগরণ মঞ্চ ?
না হবেই না?না কি শুধু ধর্মকে হেয় করার জন্য এসব?আর উপরে তথ্য মতে মুক্তমনা হতে কি শুধু ধর্মের এগেইনস্টে লিখতে হবে?দেশের অন্য অসংগতিতে চুপ মেরে থাকতে হবে?
দেশের মুক্তমনাদের কাছে প্রশ্ন রইল।
আমি ছোট মানুষ।চেপে যাই।
লেখাটার পর নিশ্চিত আমি ছাগু ট্যাগে ট্যাগায়িত হব।আমার সমস্যা নেই।অসঙ্গতি ধরলে সব ধরতে হবে।সবার সমস্যায় কলম চালাতে হবে।
ব্যান হবার সম্ভাবনা প্রচুর।শুধু কিছু প্রশ্ন করে গেলাম।যার গালি গালাজ যা আছে দিতে পারেন।
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনার এই প্রশ্নের জবাব অভিজিৎ অনেক আগেই তাঁর ফেবু স্ট্যাটাসে দিয়েছেন| তিনি বলেছিলেন, ধরুন কেউ ইবোলা নিয়ে একটা বই লিখল কিন্তু তাকে মানে লেখককে প্রশ্ন করা হল আপনি কলেরা নিয়ে লিখছেন না কেন! আরে ভাই সবাই তো সব বিষয় নিয়ে লিখবে কেন? এখন রবীন্দ্রনাথকে যদি বলা হত আপনি জলবায়ু নিয়ে বই লিখেননি কেন!, তাহলে কেমন হত? আসলে এধরনের প্রশ্ন বেকার, এগুলোর কোন যৌক্তিক ভিত্তি নেই
৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
পরিশোধিত সক্রেটিস বলেছেন: আমি স্পেইসিফিক অভিজিৎকে বলছি না।আমি সকল মুক্তমনাকে বলছি।তার মানে কোনো মুক্তমানাই কি অন্য কিছু নিয়ে লিখবে না।শুধু ইসলাম বিদ্বেষী লিখবে?এটা কি রিকোয়ারমেন্ট মুক্তমনা হবার?তাহলে মুক্তম্নারা কি দেশের অন্য সকল চিন্তার বাহীরে??
৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১২
শোভন মোস্তাফিজ বলেছেন: ভাল লেখছেন। সহম
৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯
পরিশোধিত সক্রেটিস বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১১
যেযং‡ঙ ের্অ রনচদ বলেছেন: মন্তব্য ১ ও ২ পড়ে জাগরণ মঞ্চের সেই উক্তি মনে পড়ল--- বাংলা পরীক্ষার সময় .........
০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩
পরিশোধিত সক্রেটিস বলেছেন: হুম।আলাদা আলাদা বিভাগ।তাহলে তো গরিবদের সময় আসতে তাদের হাড় মিশে মাটিতে মিশে যাবে।
৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১
পরিশোধিত সক্রেটিস বলেছেন: হুম ।
৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
কিছু প্রশ্ন যৌক্তিক, কিছু নিয়া দ্বিমত আছে। আসল সমস্যা হইলো কেউ কারো মতের প্রতি সম্মান দেয়না। শহনশীলতা নাই কারো মধ্যে, দেশে এখন একটাই পন্থা, সেইটা হইলো উগ্র পন্থা।
২৩ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
পরিশোধিত সক্রেটিস বলেছেন: দ্বিমত গুলা প্লিজ বলবেন?
৯| ২৩ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
মুক্তমনা মানেই নাস্তিক এইটা মুক্তমনাদের বিরুদ্ধ শিবিরের প্রচারনা, যারা হয়তো কোনদিন মুক্তমনাদের কোন লেখাই পড়েনাই।
আবার গনজাগরন মঞ্চ ৪২ বছর ক্যান, ৯৪ বছর পরেও হইতে পারে, আগে হয়নাই এইটা বইলা কি সব আটকাইয়া রাখা উচিত? দেরীতে হইলেও হোক। সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারের যুদ্ধাপরাধের বিচার কিন্তু ৬০ বছর পার হওয়ার পরেও হইতেছে। থাইমা নাই।
আবার ফেলানীরে নিয়া আমার মাথা ব্যথ্যা নাই, সহানুভুতি থাকতে পারে। কারন, সীমান্তের আইন হইছে কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করতে চাইলে তার দিকে গুলি করার ক্ষমতা থাকবে সীমান্তরক্ষীদের। সরকার শুধু মানবিক দিক বিবেচনা করার জন্য বলতে পারবে, বিচার চাইলে গেলে আইন অনুযায়ীই বিচার পাবেনা, হবেও না।
এইসব আরকি।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনার এই প্রশ্নের জবাব অভিজিৎ অনেক আগেই তাঁর ফেবু স্ট্যাটাসে দিয়েছেন| তিনি বলেছিলেন, ধরুন কেউ ইবোলা নিয়ে একটা বই লিখল কিন্তু তাকে মানে লেখককে প্রশ্ন করা হল আপনি কলেরা নিয়ে লিখছেন না কেন! আরে ভাই সবাই তো সব বিষয় নিয়ে লিখবে কেন? এখন রবীন্দ্রনাথকে যদি বলা হত আপনি জলবায়ু নিয়ে বই লিখেননি কেন!, তাহলে কেমন হত? আসলে এধরনের প্রশ্ন বেকার, এগুলোর কোন যৌক্তিক ভিত্তি নেই