নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে আমি ছাড়া আর কিছুই নেই।

পরিশোধিত সক্রেটিস

পরিশোধিত সক্রেটিস › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের MCQ বাদ দেবার শুপারিশ প্রসঙ্গে

৩০ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:১৪

একটা অনলাইন নিউজ পোর্টালে পড়লাম শিক্ষা মন্ত্রনালয় নাকি MCQ বাদ দেবার চিন্তা ভাবনা করছে।
আমি বিষয়টা পড়ে কিছুক্ষন হাসলাম আর ভাবলাম স্টাডি সিস্টেমটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি আমরা।
সম্পূর্ণ পরিক্ষা যদি রিটেন বা সৃজনশীল আকারে নিয়ে আসে তাহলে পরিক্ষা কমপক্ষে পাঁচ ঘন্টা নিতে হবে।যা এক প্রকার লুল।স্টুডেন্টদের গোশত আর সিস্টেমকে প্রেশার কুকার বানানো টাইপ অবস্থা।
মেইন কথায় আসি
বোর্ডের খাতা যে কিভাবে মূল্যায়িত হয়ে তা অনেকেরই জানা।প্রথমত ভালো মানের শিক্ষকরা বোর্ডের খাতা নিতে চাননা।সব খাতা না অধিকাংশ খাতাই চলে যায় দেশের একটু লেস কোয়ালিটির টিচারদের কাছে।এরা অনেকে সৃজনশীলের ট্রনিং বা প্রশ্নই করতে পারে না। তো একটা খাতা মূল্যায়ন করতে টিচার সময় পান ২-৪ মিনিট সর্ব সাকুল্যে।অনেকের সময় না হওয়াতে তার স্টুডেন্ট বা পরিবার পরিজন এমনকি ঝি কে দিয়েও খাতা দেখান।ফলে খাতা অবমূল্যায়নের চরম লেভেলে পৌঁছিয়ে যায়।আবার অনেক সময় দেখা যায় কোনো শিক্ষকের মেজেজ খারাপ,তো সে পুরোটা খাতার উপর দেখান বা মেজাজ ভালো খুব,সে আবার ভুলভাল প্রশ্নেও ফুল মার্ক্স দিয়ে দেন।মার্ক কম বা বেশি দিয়া হোক আল্টিমেটলি লিখিত খাতা অবমূল্যায়িত হচ্ছে এবং হবেই।একটা স্টুডেন্ট অনেক কষ্ট করে পড়ল,ভালো পরিক্ষাও দিল কিন্তু শিক্ষকের রোশানলে অড়ে তার ভবিষ্যত ঘোলাটে বা কেউ পরিক্ষা ভালো না দিয়েও প্লাস পেয়ে অযোগ্য হয়ে মেধাবির কাতারে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।আর আমাদের লেখাপড়ার সিস্টেমটা যেহেতু রেজাল্টের ভিত্তিতে মেধার বিচার সেহেতু লিখিত পরিক্ষা দিয়ে খুব লাভ আছে বলে আমি মনে করি না।অনেকে বলতে পারেন সৃজনশীলতা লিখিত খাতায়ই ফুটে ওঠে আমি বলব একটু গিয়ে দেখবেন সেখানে সৃজনশীলতার স ও যদি খুঁজে পান তাহলে হইছে।আমি একজন ইন্টার পরিক্ষার্থী।আমি জানি কতটুকু বিচার হয় বা করে।
সেক্ষেত্রে আমি মনে করি MCQ সিস্টেমটাই বেশি যুক্তিযুক্ত।সেখানে অন্তত একটা স্টুডেন্টের খাতা অবমূল্যায়িত হয় না।যতটুক দেয় ভুল হলে ভুল শুধ হলে শুদ্ধের মার্ক পায়।
আমাদের লেখাপড়ার সিস্টেমটাই থার্ডক্লাস,আর পরিক্ষা তারই একটা অংশ।তারপরও MCQ এর জন্য স্টুডেন্টরা কিছুটা আশা নিয়ে টিকে আছে না হলে মাঠে মারা।
আরো কিছু বিষয় আছে তা আরেকদিন বলব।
সরকার বাঁশ দিবেই।প্লিজ একটু ভাবুন বাংলাদেশে এরাউন্ড ৮৫ হাজার গ্রাম আছে।সবাই পড়ে।পরীক্ষা দেয়।সবার কথা চিন্তা করেন।শুধু মহানগরীর টা নয়।
দরকার হলে শুধু মহানগরীর জন্য আলাদা প্রশ্ন করেন।তারপরও শিক্ষার্থীদের এভাবে মারবেন না।প্লিজ।
ধন্যবাদ।
(চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.