নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোহেল ঢাকা বাংলাদেশ

মাহবুব সোহেল

আমি অত্যন্ত সাধারন একজন মানুষ এবং আমার সম্পকর্ে বলার মত কিছু নাই ।

মাহবুব সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ যাক রসাতলে তবুও হরতাল জিন্দাবাদ-৩

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

এমন বির্তকিত পরিবেশে দেশের ব্যাবসা বানিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, দেশের সুনাম, পড়া লেখা করিবার সুস্থ্য পরিবেশ কোন দিন অর্জন হইবে না ।  যতই দিন যাইবে ততই খারাপের দিকে অগ্রসর হইতে থাকিবে । মানণীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয় মিডিয়ায় পরোক্ষভাবে হরতালের বিকল্প প্রস্তাবের কথা বলিয়াছেন  । হরতালের বিকল্প বাদ দিয়া সরকার পরিবর্তনের বর্তমান প্রক্রীয়াটি বদলানো যাইতে পারে । এমন হীংস্র পদ্ধতির সরকার পরিবর্তন প্রক্রীয়া বন্ধ করা উচিৎ । হরতাল আর নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রাজনীতি করতে হবে । ক্ষমতায় যেই আসুক কতগুলী মানুষতো আগেই মারা গেল । গত কালকে বগুড়ায় একটা ট্রাক ড্রায়ভার মারা গেল । ক্ষমতায় যেই আসুক ট্রাক ড্রায়ভারের কি ? ওকে ট্রাক চালিয়েই খেতে হবে । পাটর্ি অফিসে বসে কিংবা বড় বড় সরকারী অফিসের টেন্ডারের ভাগ সে কোন দিনই পাবে না । কোন এক সময়  রাজনৈতিক প্রতিহীংসায় দেশের একটা মানুষ মারা গেলে  এই দেশেরই মনুষের চোখে মুখে আমি অপরাধবোধ দেখেছি । আজ মৃতদের জন্য সান্তনা দেবার কেউ নাই । উপরন্ত মৃত ব্যাক্তিকে নিজেদের রাজনৈতিক ভুসস্পত্তি মনে করিয়া একটি পয়েন্ট বেশী পাইবার আশায় সকলেই রাজনীতি করিতেছে যা কোন দিন কোন শোকের প্রকাশ হতে পারে না । রাজনৈতিক হানাহানীতে দেশের মানুষ মারা গেলে উভয় দল সমান ভাবে দ্বায়ী । সেই মৃত্যু যেমন গনহত্যা হয় না তেমনই স্বাভাবিক মৃত্যু মনে করিয়া শোক কমাইয়া প্রকাশ করাও উচিৎ না । আজ আমাদের দেশে ধর্ম লইয়া রাজনীতি এবং ধর্মীয় আইন কানুন প্রয়োগের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করিতে পারিবে এমন বিশ্বাস আর শিক্ষায় দীক্ষায় অজ্ঞতার কারনে নিজেদের অজানিত শ্রেণীতে পদবিযুক্ত করিয়া দেশের সংসদ এবং মন্ত্রীপরিষদ ছাড়াই দেশের আইনে যে কোন প্রকার পরিবর্তন সম্ভব ভাবিয়া উদ্ভট এবং অযৌক্তিক দাবী দাওয়া তুলিয়া দেশের মধ্যে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি আর ঘোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টায় অনেকেই আরও বেশী পানি ঘোলা করিতে উৎসাহ প্রদান করিয়া যাইতেছে । এই প্রনালীর মধ্যে সকল দলের নাম বিভিন্ন মিডিয়ার বদৌলতে বার বার সামনে আসিয়াছে ।

            যত ধরনের এবং যত প্রকারের রাজনৈতিক উথাল পাতাল হইতেছে সব এই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রহস্যপূর্ণ কারণে, তাই ব্যাপরটি উপেক্ষা করার সুযোগ নাই । সকলকে আস্থায় আনিয়া এতবড় বিচার এই দেশে করা কি   সম্ভব । যদি আরও ২৫/৩০ বৎসর পূবর্ে এই বিচার প্রক্রীয়া শুরু হইত তবে এতো ধরনের বাধা বিপত্তি দেখিতে হইত না । কিন্তু সরকার দেশের মানুষের কাছে ওয়াদাবদ্ধ হইয়া এত বড় পদক্ষেপ লইয়া পিছনের দিক হওয়ার সুযোগ নাই । বিচার শেষ করিতে না পারিলে মুক্তিযুদ্ধে যাদের পরিবার পরিজন রাজাকারদের দ্বারা আক্রান্ত হইয়াছিলো তাদের এতদিনের স্বপ্ন বিচার পাওয়ার আশা পূরন হইতে না দিতে সরাকারের অক্ষমতা মানিয়া লওয়া যায় না । হয় এই সরকারকে আরও পাঁচ বৎসর ক্ষমতায় থাকিতে হইবে, একমাত্র অধিক সংখ্যাক ভোট এবং আসনে  নিবর্াচিত হইয়া পূনরায় সরকার গঠন করা সম্ভব । যারা এই বিচার চায় না কিংবা অভিযুক্ত তারাও কোন অংশে কম যায় না । প্রথম থেকেই বিচার'কে এবং বিচার প্রক্রীয়াকে অস্পষ্ট, অসচ্ছ, অসুষ্ঠু, অনিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের নয় বলিয়া বলিয়া বিতকর্িত করিয়া আসিতেছে । কোন কথা পুনঃ পুনঃ বলিতে বলিতে যা হয় এবার যেন তাই হয়েছে । সেই অজানিত গোষ্ঠি নিজেদের অজানার তালীকায় এই পুনঃ পুনঃ বলা কথাকে অন্তরভুক্ত করিয়া সমাবেশ করিয়া পুনঃ পুনঃ বলা কথাই আরেকবার দেশ ও জাতীর সামনে উত্থাপন করিল । বিচার প্রক্রীয়াকে অস্পষ্ট এবং অসচ্ছ অবিহিত করিয়া সর্বক্ষত্রে দেশে সাভাবিক প্রশাসনীক গতি মন্থর করিয়া কোন দিন দেশের উন্নয়ন সম্ভব না । এমন বির্তকিত পরিবেশে দেশের ব্যাবসা বানিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পড়া লেখা করিবার সুস্থ্য পরিবেশ কোন দিন অর্জন হইবে না । যতই দিন যাইবে ততই খারাপের দিকে অগ্রসর হইতে থাকিবে । এমনওতো বলা যাইতেছে না যে আগামী জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নয়নের দিকে যাইবে । তবে কি আমরা কি নীরব দর্শকের মত এই রাজনীতি উপভোগ করিয়া যাইবো । এই রাজনীতি বদলাইতে হইবে । দেশে নতুন কোন শাসন ব্যবস্থা উদ্ভবান জরুরী হইয়া পরিয়াছে । প্রচলিত পদ্ধতিতে দেশের ক্ষমতা ভাগাভাগী বাতিল করিয়া অবশ্যই রাজনৈতিক প্রক্রীয়ায় বিকল্প পদ্ধতিতে এই দেশের শাসনভার হাত বদলের প্রচলন হইতে পারে যাহাতে অন্যপক্ষ সন্তুষ্ট থাকিতে পারে যেখানে ভোট গননা একমাত্র সমাধানের উপায় হইতে না পারে । অন্যথায় প্রতি পাঁচ বৎসরের পরিবতর্ে প্রত্যেক বৎসর নিবর্াচন হইলেও মনে হয় না পরাজিত কোন দলই পরিতুষ্ট হইয়া হরতাল জ্বালাও পোড়াও ছাড়া রাজনীতি করিয়া যাইবে । অর্থমন্ত্রী মহোদয় হরতালের বিকল্প খুজতে বলেছে । আমাদের দেশে জোটবদ্ধ রাজনীতি শুরু হওয়ায় মাত্র দূইটা জোটই আছে । ৮ বৎসর পর পর একবার নিবর্াচন হবে । সেই নিবর্াচনের ফলাফলই চুরান্ত ধরিয়া প্রথম ৪ বৎসর একদল দেশ সাশন করিবে এবং পরবতর্ি ৪ বৎসর অন্য জোট শাসন করিবে । বেশী ভোট যেই জোট পাইবে প্রথম ৪ বৎসর তারাই দেশ শাসন করিবে, কম ভোট যে জোট পাইবে তারা পরবতর্ি ৪ বৎসর দেশ শাসন করিবে । তাহলে আর এতো হরতাল হইবে না । উভয় রাজনৈতিক দল সন্তুষ্ট থাকিবে । দেশের মানুষগুলি খুবই শান্তিতে থাকিবে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.