![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলা সাহিত্যের কেউ নই।সৃস্টির চিরায়ত নিয়ম অনুসারে জীবন চালাতে হয।আমি অতি সাধারন ভাবে এই জীবন নামে সীমাহীন সাগরকে পাড়ি দেওয়ার প্রত্যয়ে হাল ধরেছি।কেউ জীবনকে চিনে অতি অল্প বয়সে আমিও তাদের একজন।তবে আমি আমার জীবনেকে সম্পূর্ন রূপে লেখায় ফুটিয়ে তুলতে পারিনি।যদি মহান আল্লাহর অশেষ তায়ালার কৃপায় এবং এই ব্লগের সকল গুণী লেখকেদের সহযোগিতায় আমার লেখার মাধ্যমে পুরোপুরি ফুটিয়ে তুলতে পারলে আমি বিশ্বাস করি আমার মত অনেক সুযোগ সুবিধা বঞ্চিতরা জীবনের দিশা খুঁজে পাবে।
নৈতিকতার সূচকে বাংলাদেশ
ডা:সোহেল
আমার জন্ম স্বাধীনতাত্তোর এই বাংলাদেশে।স্বাধীনতার পূর্বে এই দেশের র্আথ-সামাজিক প্রেক্ষাপট কেমন ছিল তা দেখার সুভাগ্য হয়নি আমাদের প্রজন্মের।যতটুকু জেনেছি বই পড়ে ইতিহাসের পাতা থেকে নতুবা আমাদের র্পূবপুরুষদের বলা গল্প থেকে।আমরা একদিক থেকে সৌভাগ্যবান এইযে আমরা জন্মেছি একটি স্বাধীন দেশে।আবার র্দুভাগ্যবান এই দিক থেকে যে মূল চেতনার উপর ভিত্তি থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, যে চেতনায় এদেশের আবাল বৃদ্ধ বনিতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে এদেশ হানাদার মুক্ত করেছিল।তার অনেক কিছুই স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরেও অর্জিত হয়নি।আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভুতর্পূব সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ।যারা বলে স্বাধীনতার আগেই এদেশ ভাল ছিল আমি তাদের সাথে কোন মতেই এক মত পোষন করতে পারি না।আমি বিশ্বাস করি একাত্তোর র্পূববর্তী সময়ে যদি আজকের মত যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকত তবে দখলদার পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে হারাতে হয়তো আরও একটু বেশি সময লাগত।আমাদের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে বাংলাদেশকে আজকের মালশিয়া কিংবা সিঙ্গাপুরের সমকক্ষতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি শুধুমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে।আজকের বাংলাদেশের কিছু কিছু অজর্ন শুধু যে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে তা নয় অনেক উন্নত দেশের কাছে জ্বলন্ত উদাহরন হয়ে আছে।
যেমন শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস,কৃষি ক্ষেত্রে স্বর্নিভরতা, অথর্নৈতিক স্বক্ষমতা, মাথাপিছু জিডিপি’র হার বৃদ্ধি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূনর্তা অজর্ন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রের তুলনামূলক চিত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি সফলতা দেখিয়েছে।কিন্তু একটি দিক থেকে এখন আমরা স্বাধীনতার র্পূববর্তী অবস্থান থেকে পিছিয়ে গেছি আর তা হল আমাদের নৈতিকতার অবক্ষয়।আমি আমার লেখার শুরুতেই বলেছি আমাদের জন্ম স্বাধীনতার অনেক পরে।অতএব তৎকালীন বাঙ্গালীর আথর্সামাজিক প্রেক্ষাপট, তাদের সহজ সরল জীবন যাপন, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ যতটুকু আমরা জানতে পেরেছি তা তুলনা করলে নি:সন্দেহে আমরা বলতে পারি তখনকার মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ এখনকার মানুষের চেয়ে শত সহস্র গুন ভাল ছিল।আমি আমার লেখাতে কতগুলো উদাহরন উপস্থাপন করব।যে দৃষ্টান্তগুলো একটু ভাল করে অনুধাবন করলে দেখা যায় এখনকার নৈতিক মূল্যবোধ তৎকালীন বাঙ্গালীর নৈতিক মূল্যবোধ থেকে কতটুকু অবনমন ঘটেছে।আজকের সমাজে অপরাধ আছে তৎকালীন সমাজেও অপরাধ ছিল, আজকের সমাজে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় তৎকালীন সমাজেও হত্যাকান্ড ছিল।আজকের সমাজে প্রেম ভালবাসা আছে তৎকালী সমাজেও প্রেম-ভালবাসা ছিল।শুধু পর্রিবতন হয়েছে এসকল অপরাধ বা প্রেম ভালবাসার ধরন ও প্রকৃতি।আমরা একটু ভাল করে অুনুধাবন করলে দেখব আগের দিনের যেসকল হত্যাকান্ড সংঘটিত হত সেসকল হত্যাকান্ডের মাঝে এত নৃসংষতা বা এত চরম পন্থা ছিল না।হ্যাঁ স্বীকার করছি হত্যাকান্ডই এক ধরনের নৃসংষতা তখনকার দিনে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে অপরাধী পালাত আর এখনকার দিনে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে অপরাধী সেই প্রাণহীন নিথর দেহের উপর চালায় আরেক চরম অত্যাচার।যদিও অপরাধী নিজেও জানে এপ্রাণহীন দেহটির আর কোন ক্ষমতা নেই।অপরাধী মৃত দেহটিকে টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্দী করে নতুবা পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পোড়ায়।আপনারা প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালেই দেখতে পারবেন এরকম শত শত জ্বলন্ত উদাহরন।এবার আসি প্রেম – ভালবাসার ক্ষেত্রে।আগের দিনে নারী পুরুষ তাদের ভালবাসার মানুষটিকে একটুখানি দেখতে বা একটুখানি কাছে পেতে দিনের পর দিন তীর্থের কাকের মত অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করত।এখনকার নারী পুরুষও তাদের ভাল লাগার মানুষটির জন্য অপেক্ষা করে তবে ভালবাসার চরম মোহে নয়।এখনকার প্রেমের নামে যা হয় তা আসলে ভাষায় বণর্না করা যায় না।এযুগের প্রেমকে প্রেম বলব না ফাঁদ বলব না অভিনয় বলব আমি আসলে বুঝে ওঠতে পারিনা।আগের দিনে প্রেম সফল হয়েছে আবার ভেঙ্গেও গেছে।আর এখন প্রেমের নামে একজন আরেক জনকে ভোগের পন্য হিসেবে ব্যবহার করেই ক্ষান্ত থাকে না তা আবার আধুনিক বিজ্ঞানের টেকনোলজির আর্শীবাদকে অপব্যবহার করে পর্নো ভিডিও তৈরি করে বাজারজাত করতে দ্বিধাবোধ করে না।একবার চিন্তাও করে না সে যে অন্য একজনের জীবনকে বিনষ্ট করার সাথে সাথে নিজের জীবন ও তার পারিপার্শ্বিক আরও দশজন ছোট বড় ভাই বোনের জীবনকেও নষ্ট করে দিচ্ছে।পত্রিকার পাতা উল্টালেই এধরনের শত শত দৃশ্যের অবতারনা আমরা দেখতে পাই।আবার এ দৃশ্য যখন দেখতে পাই একজন শিক্ষকের মাঝে তখন ভাবতে অবাক লাগে আমরা এখন কোথায় দাড়িঁয়ে আছি।যে শিক্ষক তার সন্তানতুল্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীকে জ্ঞান দানের বদলে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে তাকে দৈহিক ভাবে ভোগ করেই ক্ষান্ত থাকে না।সেই সব ভোগের দৃশ্য আবার ক্যামেরা বন্দী করে কিংবা পর্ণো ভিডিও তৈরি করে বাজারজাত করতে দ্বিধা করে না।কোথায় শিখবে আমাদের কোমলমতী ছেলে-মেয়েরা?কে শিখাবে তাদের নৈতিকতা?আমার লেখায় শুধু দুইটি উদাহরন দিয়ে তুলনামূলক র্প্রাথক্য বোঝানোর চেষ্টা করেছি।আপনারা একটু ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখবেন এখনকার সমাজে সন্তান পিতা-মাতাকে হত্যা করছে আবার পিতা-মাতা সন্তানকে হত্যা করছে ঠিক একইভাবে স্বামী স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে হত্যা করছে।এসকল নৈতিক অবক্ষয়ের চিত্র আমরা যদি একটি তুলনামূলক ছকে একেঁ একটু গভীরভাবে অনুধাবন করি তবে খুব সহজেই এখনকার বাংলার নৈতিক অবক্ষয়ের অবস্থানটি বুঝতে পারি।
এসবকিছুর পরেও আজকের বাংলাদেশের নৈতিকতার অবস্থান পাকিস্তানের সমপর্যায়ের অবনমন ঘটেনি।তাই স্বাধীনতার পর্রিপূন স্বাদ পেতে এখনই সময় এই নৈতিক শ্খলনের লাগাম টেনে ধরার।
অসমাপ্ত
©somewhere in net ltd.