নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Writer for Change

্আমি অতি সাধারন একজন মানুষ।আমি পেশায় একজন চিকিৎসক।ছোট বেলা থেকেই আমি সৃষ্টিশীল কাজ করতে পছন্দ করি।বাংলা সাহিত্যে আমার কোন জ্ঞান নেই।তবু অসীম সাহস নিয়ে চেষ্টা করছি একটু অবদান রাখার।আমি এই ব্লগের সবার দোয়া কামনা করি।

ডা:সোহেল২৫

আমি বাংলা সাহিত্যের কেউ নই।সৃস্টির চিরায়ত নিয়ম অনুসারে জীবন চালাতে হয।আমি অতি সাধারন ভাবে এই জীবন নামে সীমাহীন সাগরকে পাড়ি দেওয়ার প্রত্যয়ে হাল ধরেছি।কেউ জীবনকে চিনে অতি অল্প বয়সে আমিও তাদের একজন।তবে আমি আমার জীবনেকে সম্পূর্ন রূপে লেখায় ফুটিয়ে তুলতে পারিনি।যদি মহান আল্লাহর অশেষ তায়ালার কৃপায় এবং এই ব্লগের সকল গুণী লেখকেদের সহযোগিতায় আমার লেখার মাধ্যমে পুরোপুরি ফুটিয়ে তুলতে পারলে আমি বিশ্বাস করি আমার মত অনেক সুযোগ সুবিধা বঞ্চিতরা জীবনের দিশা খুঁজে পাবে।

ডা:সোহেল২৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদিবা থেকে নেলসন ম্যান্ডেলা

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মাদিবা থেকে নেলসন ম্যান্ডেলা

ডা:সোহেল

১৯১৮ সালে কুনুতে খোসা সম্প্রদায়ে জন্ম নেন ম্যান্ডেলা্।ছোট বেলা থেকে তিনি সেখানে মাদিবা নামেই পরিচিতি লাভ করেন।ইতিহাসের পাতাকে স্বর্নোজ্বোল করে রাখতে তাকে পৃথিবীতে প্রেরন করেন মহান সৃষ্টিকর্তা।তিনি পৃথিবী জুড়ে পরিচিত পান বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে।তিনি যুদ্ধ করেছেন শেতাঙ্গদের আধিপত্য বিস্তারের বিরুদ্ধে।তিনি যুদ্ধ করেছেন কৃষনাঙ্গদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে। তিনি যুদ্ধ করে গেছেন পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে এক সারিতে স্থান দিতে।নিজের জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন লোহার শিকলে আবদ্ধ কারাগারে।তবু বিচ্ছুত হননি তার লক্ষ্য থেকে।র্দীঘ ২৭ বছরের কারাবাস শেষে ১৯৯০ সালে মুক্তির পর ১৯৯১ সালে তার (আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস বা এএনসি )দলের প্রধান নির্বাচিত হন ম্যান্ডেলা।তারপর দক্ষিন আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ।কয়েক বছর রাষ্ট প্রধানের দায়িত্ব পালনের পর বাজনীতি থেকে অবসর।পরিনত হন আফ্রিকা তথা সমগ্র বিশ্বের এক অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে।শুধু তাই নয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট এক সময় তাকে একজন সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল তারাও তাকে স্বাদরে বরণ করে নিতে বিন্দু পরিমান র্কাপণ্য করেনি। ৫ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় সময় রাত আটটা ৫০ মিনিটে জোহানেসবার্গের নিজ বাড়িতে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন মাদিবা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর চার মাস ১৭ দিন। এই মহান নেতার মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ১০ দিনের আনুষ্ঠানিকতার ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানটি হয় জোহানেসবার্গে। সেখানকার এফএনবি স্টেডিয়ামে আয়োজিত স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ১০০টি দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধানসহ বিশ্বের বহু বিশিষ্টজন। সাধারণ অনুরাগীরা তো ছিলেনই। প্রায় এক লাখ ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামটির প্রায় পুরোটা ভরে গিয়েছিল।বাংলাদেশের রাষ্টপ্রধানও সেখানে সামিল হয়েছিলেন এই মহান নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। এরপর ম্যান্ডেলার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তিন দিন ধরে তাঁর মরদেহ রাখা হয় রাজধানী প্রিটোরিয়ার ইউনিয়ন বিল্ডিংয়ে। প্রিটোরিয়ার বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এএনসির নেতা ও দেশের প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা। এ ছাড়া ছিলেন ম্যান্ডেলার স্ত্রী গ্রাসা ম্যাশেল, সাবেক স্ত্রী উইনি ম্যান্ডেলাসহ এএনসির নেতা-কর্মীরা। প্রিটোরিয়ার অনুষ্ঠান শেষে ম্যান্ডেলার মরদেহ সামরিক বিমানে করে নেওয়া হয় ইস্টার্ন কেপের এমথাথা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে সামরিক বহরসহকারে মরদেহ নেওয়া হয় কুনু গ্রামে।কুনু গ্রামে নেওয়ার আগে সামরিক ঘাঁটিতে আরেকবার বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্ষমতাসীন দল এএনসি। খোসা সম্প্রদায়ের প্রথা অনুযায়ী রাতভর সেখানে শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা চলে। স্বজন, জাতীয় ও আঞ্চলিক নেতা, বিদেশি প্রতিনিধিসহ প্রায় সাড়ে চার হাজার অতিথি শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ম্যান্ডেলার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সময় সকাল সাতটা ৫৫ মিনিটে ম্যান্ডেলার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান শুরু হয়। সামরিক ও ঐতিহ্যগত আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে কুনু গ্রামে ম্যান্ডেলাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

মাদিবা মরেনি,মাদিবা বেঁচে আছে আফ্রিকা তথা সমগ্র বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের হৃদয়ে।

অসমাপ্ত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.