![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়টা ১৯৮২ সালের কোন এক সকালে। আহসান সাহেব সরকারী একটা ছোট চাকুরি করেন, চাকরীস্থল চট্টগ্রামের কোন এক জেলায়। কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময় ঝড়ের তান্ডবে আচমকা একটা টিনের ভাঙ্গা অংশ লেগে আহত হন। জীবনমৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে লড়তে একদিন পরেই এই পৃথিবী ত্যাগ করলেন।
অপরদিকে ঢাকায় মিসেস সখিনা বেগম গর্ভের অনাগত সন্তান নিয়ে নানা রকম স্বপ্ন বুনে চলেছেন। হঠাৎ সবকিছু অন্ধকার, খবর এল সখিনার স্বামী আহসান সাহেব ইন্তেকাল করেছেন।
আহসান সখিনা দম্পতি খুবই সুখে দিনানিপাত করছিলেন। আল্লাহ তাদের কপালে হয়ত বেশিদিন সুখ লিখে রাখেননি। আহসান সাহেবের মৃত্যু সংবাদে সখিনা এতই কষ্ট পেয়েছিলেন যে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন।
আহসান সখিনা দম্পতি যেখানে থাকতেন, সেখানের খবর তাদের কোন আত্মীয় স্বজন জানতেন না।কারণ তারা প্রেম করে বাসা থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছিল। ফলে আহসান সাহেবের মৃত্যুর পর একেবারেই একা হয়ে যায় সখিনা। এই সমস্যার মধ্যেই এক মাসের মাথায় সখিনা একটি পুত্রসন্তান জন্ম দেয়। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, শিশুপুত্রটিকে একেবারে এতিম করে সন্তান জন্মলাভের সময় সখিনাও মৃত্যুবরণ করেন।
যেই দাইএর হাতে পুত্রটির জন্ম উনি তো অকুল পাথারে পড়লেন। পুত্রের বাবা মা দুজনেই পৃথিবীর মায়া ছেড়েছেন। তাদের কোন আত্মীয় স্বজনেরও কোন খবর জানেন না। উপরন্তু সখিনা কথা বলতে না পারায় কিছু বলেও যেতে পারেন নি।
দাইয়ের সাথে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের একজন নার্সের পরিচয় ছিল। তিনি তার সাহায্য চাইলেন। নার্স একজন ডাক্তারের কাছে তাকে নিয়ে গেলেন। ডাক্তার বললেন দেখি কোন সহৃদয় কারো খোঁজ পাই কিনা যিনি বাচ্চাটিকে লালন পালন করবেন। অবাক ব্যাপার উনি বাচ্চাটিকে কোন এতিম খানায় দেওয়ার জন্য উপদেশ দেননি।
©somewhere in net ltd.