![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানসিক টেনশন আর সকল সমস্যা কাটিয়ে পারভেজ আবার পড়ালেখায় মনোনিবেশ করল। দেখতে দেখতে মাস্টার্স পরীক্ষা এসে গেল। ভালভাবে পড়াশুনা করে ও পরীক্ষা দিল।
মাস্টার্স দেওয়ার পরে আরেক টেনশন। এখন কি করবে পারভেজ? টিউশনিগুলো চালিয়ে যেতে লাগল আর চাকরির চেষ্টা করতে লাগল। শেষে পরিচিত একজনের মাধ্যমে একটা এড ফার্মে জয়েন করলো ৪৫০০ টাকা বেতন। প্রথম তিন মাস ভালই কাটছিল পারভেজের। তারপর চাকরিদাতার আসল চেহারা বের হয়ে গেল। ঠিকমত বেতন দিতনা। বেতনের কথা বললে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করত। আর উনি জানতেন যে পারভেজের কেউ নেই, তাই তার সাথে কুকুরের মত ব্যবহার করত।
তবুও কষ্ট করে সে চাকরিটা করে যেতে লাগল। চাকরির পাশাপাশি টিউশনিও করে যেতে লাগল। তখন ও শুধু দুইটা টিউশনি করত। কিন্তু একবছরের মাথায় চাকরিটা ছেড়ে দিল। ওখানে মানুষের পক্ষে চাকরি করা সম্ভব নয়। প্রচুর কষ্টে ওখানে বকেয়া ১৭,৫০০ টাকা ফেরত পেয়েছিল এক মাস পর।
এরপর এক বন্ধুর সাথে কিছুদিন সিডি'র ব্যবসা করে। যথারীতি ওখানেও বন্ধুর খারাপ অভ্যাসের কারণে ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। বন্ধুটির খারাপ মেয়েদের কাছে যাওয়ার নেশা ছিল। দুইবার পুলিশের কাছে ধরা পড়ার পর পারভেজ সিদ্ধান্ত নিল এইখানে আর নয়।
এত চড়াই উতড়াই ওর জীবনে এসেছে যে ও জীবন সম্মন্ধে কাহিল হয়ে পড়েছে। আবার সেই টিউশনি ও কোচিং এ পড়ানোর পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করলো। এভাবেই চলতে লাগল পারভেজের বৈচিত্র্যময় জীবন।
কিন্তু পারভেজ বুঝতে পারছিল এভাবে জীবন চলেনা। তাই আবার একটা চাকরির জন্য চেষ্টা করতে লাগল।
©somewhere in net ltd.