নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুটা প্রকাশিত বাকীটা অপ্রকাশিত
আজকাল অপারগতার কথা কাউকে বলতেই ভয় হয়। ভয় হয় যাকে বললাম তাকে কথার ভার দিয়ে ফেললাম না তো? কথার ভার খুব বড় বেশি ওজনদার না হলেও জলের ভারের চেয়ে কম কিছু নয়। আর সে জন্যই আজকাল দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও অপারগতার কথা প্রকাশ করা হয়না আমার। সেই এত্তটুকুন বয়স থেকে নিজেকে ঢেকে রাখার স্বভাব আমার। সময়ে-অসময়ে ভেবে বসি যেন আমি ঝিনুকের পুত্র। শক্ত খোলসের ভেতরই থাকুক না হয় আমার বাসনা। দুনিয়া জোড়া আলোর ছটায় কত রুপ যে ভেসে বেড়ায় এক-একটিবার স্বাদ জাগে দেখি চোখ মেলে আবার মনে পড়ে যায় সেই কথা আমি যে ঝিনুক পুত্র।
নিজেকে নিয়েই যতো ভয়, তারপর নিজেকে নিয়ে ক্ষয়। একসময় অচলাবস্থা। নিজেকে নিয়ে কত কি ভাবা। হেরে যাবার গল্প বলতেও সেই অপরাগতা। তারুণ্যের দিন ফুরোবার পর একটা হিল্লে হয়ে গেলো। যখন হেরে যাই তখন ডুবে থাকি রবীন্দ্রনাথে। মনে মনে একটা কথা ঠিক তোলা থাকে, ডুবে যাবার আগে ঠিক একবার বিস্ফারিত হবো।
আজকাল ছেলেবেলাকার কাঞ্চনজংঘা আর ডাকে না, তারচে ডুবে যাই নাগরিক অর্থহীন আনন্দে। সেই সাথে পান করি মৃত সুধা যা জমে থাকে নাগরিক প্রতিবেশীদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ঢোল-ঢেউ এর জীবনে দন্দ না থাকলে ছন্দ দিয়ে কি হয়? সে কথা ঘুরপাক খায় মাথায়। নিরানন্দ আছে বলেই তো আনন্দের এত জয় জয়কার। সব্বাই যদি আনন্দকে ভালোবাসে তাহলে নিরানন্দের কি হবে?
কাছে পিঠের বন্ধুরা অবশ্য বলে আমি হাহাকার এর ঝাঁকা মাথায় করে ফেরি করি। আরো বলে আমি নাকি হতাশ নগরের রাজকুমার হয়ে আছি এই দিনগুলোতেও। সব হয়তো ঠিক নয়, তাই মাঝে মাঝে ওদের কথায় কতকটা আনন্দ ঢেলে দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে আমি যেমন হতাশ তেমনি সবুজ। ওরা তো নাগরিক ভাবনায় মশগুল থাকার মতো নিজেকে তোলে রাখে তোলা বৃষ্টির ঝাঁপিতে, তাতে হয়তো ঠোটের কোনে হাসি থাকে কিন্তু তাতে প্রাণ থাকেনা। এর চে’ আমি যখন হাসি তখন পৃথিবী দুলিয়ে দিই।
ভেবেছিলাম কবিতা লিখবোনা, আর এ অপরাগতার কথা কাউকে বলবো না, কিন্তু যার কাছে অভিমান জমা রাখতাম সে বসন্ত ফুরোবার আগেই আমার সমস্ত স্বপ্নে আগুন ধরিয়ে দিল। তারপর এই গুণটানা, হাওয়া লাগাবার চেষ্টা করা। ফরিঙ তো নই, তাই বৃথা চেষ্টা কখনো সখনো দুর্দান্ত তৃষ্ণা জাগায়।
এখন কবিতা লিখতে হবে অন্তত অভিমান জমা রাখার জন্যে হলেও।
.............................................................................
১৩ ই এপ্রিল-২০১৩ খ্রিঃ
সুসং নগর
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
সকাল রয় বলেছেন:
এবার তো আপনার লেখা পড়ে জমে গেলাম। কি বলবো?
অনেক ভেবে বলতে হবে তার আগে -১৪২০ নববর্ষের শুভেচ্ছা
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
রুশন বলেছেন: ভালো।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
সকাল রয় বলেছেন:
ধন্যবাদ
রুশন...
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
জয়তি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন: শুভ নববর্ষ
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
সকাল রয় বলেছেন: শুভ নববর্ষ
৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: অনেকদিন পর দেখছি মনে হয় কবিকে।
কবি কেমন আছেন?
পান্তা-পেয়াজ আর শুকনো পোড়া মরিচের বৈশাখী শুভেচ্ছা।
শুভ নববর্ষ।
কেমন কাটলো আজকে?
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
সকাল রয় বলেছেন:
দারুন!
বৈশাখী আয়োজনে মাতোয়ারা
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর। নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
সকাল রয় বলেছেন:
রইলো বৈশাখী শুভেচ্ছা
৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কাছে পিঠের বন্ধুরা অবশ্য বলে আমি হাহাকার এর ঝাঁকা মাথায় করে ফেরি করি।
----- কথা মিথ্যা না।
লেখা টাইপড হইয়া গেলে মুশকিল । ভালো থাকো ।
শুভ নববর্ষ
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
সকাল রয় বলেছেন:
ভালো থাকবেন
শুভ নববর্ষ
৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: সুন্দর এবং প্রানবন্ত লেখা
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১০
সকাল রয় বলেছেন:
ধন্যবাদ
ঘুমন্ত
ভাই
৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩
আল-মামুন-কৌশিক বলেছেন: আহা আহা ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
সকাল রয় বলেছেন: আহা আহা-১৪২০
৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: বেশ লাগলো
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
সকাল রয় বলেছেন:
ধন্যবাদ মাসুম ভাই
১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
সোহাগ সকাল বলেছেন: ভালো লাগলো।
শুভ কামনা।
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২০
সকাল রয় বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৭
মায়াবী রূপকথা বলেছেন: আর কোন কবিতা নয়; এবার, আবার অথবা কোনবারই নয়। তোর কবিতায় নিজেকে খুঁজে না পেয়ে কবিতা দিয়ে তোকে ধরতে গিয়ে কিভাবে যে নিজেকে নিজে হারিয়ে ফেলছিলাম বুঝতে পারিনি। এরপর বোধোদয় হল, নিজেকে হারিয়ে কাউকে খুঁজতে যাওয়া বোকামী সেটাও বুঝলাম। কেবল বোঝা হল না, ভালো মন্দ বিচার করে হৃদয়কে কাঠ বানিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করা ভালো, নাকি হৃদয় কাঠের মত জড় পদার্থ হতে চাইলে সেটাকে পুড়িয়ে ধোঁয়া বানিয়ে নিজের ইচ্ছে মত উড়িয়ে দেয়া ভালো। এরপর সে ভালোমন্দ বোঝার ইচ্ছেও উবে গেলো। উবে গিয়ে কি রইলো সেটাও এই মুহূর্তে ভেবে বলতে ইচ্ছে করছেনা। কবিতাও লিখতে ইচ্ছে করছেনা, লিখতে আমি পারতামও না কোনদিন। অভিমান দিয়ে কবিতাকে আপন করতে পারিনি কোনদিন, ভালোবাসা দিয়ে যেমন তোকে। কবিতাগুলো নাহয় তাই হারিয়ে যাক, ভালোলাগা অথবা ভালোবাসার ব্যর্থ বোধগুলোর মতই। আমি এভাবেই ভালো আছি, তুইও ভালো থাকিস, কারো জন্য অভিমান অথবা তেমন কোন ভালোলাগা বুকে জমিয়ে রাখা ছাড়াই...
মুক্তগদ্য লিখতে ইচ্ছে হলো, আপনার শেষটুকু সম্বল করে।
পড়তে বেশ ভালো লাগছিলো।