নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত (সৌকপ)

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত

আমি আসলে কেউ নই ।

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন, নতুন কিছু পড়ি!!!

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

মদীনার বাসিন্দারা একেকজন বিরাট বিরাট দস্তরখান বিছাতেন। সেই দস্তরখানে রোযাদারদের তারা টেনে টেনে আদর-আবদার করে বসাতেন, যেন আমি তার কত প্রিয়! যেন কতকালের চেনা-জানা আমাদের! কখনো বড় মধুর বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতাম! দু’দিনের দু’টি ঘটনা তো কোনদিন ভুলতে পারবো না! ডান দিক থেকে এক দস্তরখানের দিকে হাত ধরে অনুরোধ করছেন নূরানী চেহারার এক বৃদ্ধ, অন্যদিক থেকে একই ভাবে হাত ধরে অনুনয় করছে ছোট্ট এক শিশু। হায়, তখন আমি যদি দু’ভাগ হয়ে যেতাম এবং দুই প্রজন্মের উভয় প্রতিনিধিকে খুশী করতে পারতাম! শেষে বৃদ্ধ লোকটি শিশুটিকে খুশী করার জন্যই যেন বললো, ঠিক আছে, তুমি ঐ দস্তরখানে বসো। শিশুটি বৃদ্ধের উদ্দেশ্যে বললো, শোকরান! ছোট্ট শিশুটির কোমল কণ্ঠের সেই শোকরান এখনো অপূর্ব এক রিনিঝিনির অনুভূতি সৃষ্টি করে আমার অন্তরে। শোকরান!বিভিন্ন দস্তরখানের মেযবান তার বাচ্চা ‘সৈনিকদের’ পাঠিয়ে দিতেন মসজিদের দরজায়, যাও, আবদার করে করে মেহমানদের নিয়ে আসো। যে যত বেশী মেহমান আনবে সে তত বেশী পুরস্কার পাবে। মসজিদের দরজায় আছরের পর থেকেই শুরু হতো এ মধুর প্রতিযোগিতা। অনেক সময় আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করতাম এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। দু’একবার আমাকে মীমাংসাও করতে হয়েছে কে কোন রোযাদারের হাত আগে ধরেছে! একদিন তো আমি নিজেই পড়ে গেলাম বিপদে। ইফতারের তখন বেশী বাকি নেই। একটু ‘তাড়িয়ে’ যাচ্ছি যাতে আমাদের দস্তরখান অর্থাৎ ভাই মাসীহুল্লাহর দস্তরখান পৌঁছতে পারি। মসজিদের প্রবেশ পথেই একটি বালক আমার হাত ধরে কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো, ‘তুমি যদি আমার সঙ্গে আসো তাহলে আল্লাহকে আমি বলে দেবো, তুমি খুব ভালো মানুষ!’ ভিতরে খুশির কী যে এক আলোড়ন হলো! একটি মাসুম বাচ্চা যদি আল্লাহর কাছে সাক্ষ্য দেয় যে, আমি ভালো মানুষ তো এর চেয়ে সৌভাগ্যের বিষয় আর কী হতে পারে! নিজের দস্তরখানের কথা ভুলে গিয়ে আমি তার সঙ্গে রওয়ানা হলাম। যেতে যেতে বুঝলাম তার এই অদ্ভুত আবদারের কারণ! আজ সে একজনও মেহমান তার বাবার দস্তরখান হাযির করতে পারেনি। যার হাত ধরে সে-ই ‘আফওয়ান’ বলে চলে যায়। তাই তার মনটা আজ বড় বিষণ্ন। প্রতিদিন ইফতারের সময় আমি এসব দৃশ্য দেখতাম, আর ভাবতাম, রোযাদারকে এই সমাদরের এবং মেহমানকে এমন আদর-কদরের পাক জাযবা নিয়ে যারা বড় হবে তারা আগামী দিনের কত ভালো মানুষ হবে!



কি সুন্দর ব্যবহার , কি সুন্দর লেখা...............



হুমায়ুন আহমেদ এর উপন্যাস আর মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ত পড়ছিই, আরও পড়ব। কিন্তু মাঝে মাঝে যদি একটু ইসলামিক ভ্রমণকাহিনী ও পড়ি, তাহলে খুব কি ক্ষতি হবে ??? আমার তো মনে হয়, বর্তমান প্রচলিত সাহিত্যে সমাজ জীবনের যে হাহাকারের বানী ভেসে ওঠে, তাকে কাটিয়ে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা যাবে...







আবু তাহের মিসবাহ সাহেবের "বায়তুল্লাহর ছায়ায়" হজ্জ ভ্রমণকাহিনী থেকে নেয়া। আশা করি যারা মনে করেন, "জীবনে একবার হজ্জ করা ফরয, তো বারবার গিয়ে টাকা নষ্ট করার কি দরকার?" কিংবা "এই মুসলিমরা প্রতিবছর সৌদি গিয়ে টাকা ঢালে।" তারাও হয়ত এটা পড়ে আসল ঘ্টনা ও মানুষের মনের অবস্থা বুঝতে পারবেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: +++

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন:


Click This Link

এখানে উনার সমস্ত লেখা বলে আশা করি। চাইলে আমিও
এখানে পোস্ট করতে পারি.।.।.।.।.।.।.।.।.।।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

সারাহেপি বলেছেন: Vhai onek valo laglo.

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌। ভাল কথা বা কাজের দ্বারা যদি অন্তরেও ভাল লাগার অনুভূতি তৈরি হয়, তাই তো ঈমানের আলামত। এখন শুধু এ ঈমান কে শক্তিশালী করার জন্য বেশি বেশি ঈমানী আলোচনা করা দরকার।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

গ্রীনলাভার বলেছেন: লিঙ্ক শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩০

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: u r welcome .

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.