নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত (সৌকপ)

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত

আমি আসলে কেউ নই ।

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কি বিভক্ত ?? আমাদের কি করনীয় ???

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

আজ কিছু কথা বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি । হয়ত আমার মত চিন্তাধারা আরও অনেকের মনেই আছে এবং অনেকেই এই কথাগুলোও বলেছেন যা আমি আবার বলতে যাচ্ছি। তবে তার সাথে ইসলাম ও ইসলামি ইতিহাস থেকে কিছু বিষয়ও উত্থাপন করা দরকার।



আজকে আমরা যারা ব্লগ বা ফেসবুক এ ঘোরাফেরা করি, এ কমিউনিটিটা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একদল আছে যারা সেই সকল উগ্র মানসিকতার মানুষের বিচার চায় যারা আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসূল (সঃ) কে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় এমনসব কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছে বা বলে বেড়াচ্ছে যা তাদের সামনে তাদের পিতামাতা বা অন্য কোন প্রিয় মানুষের ব্যাপারে বললে অবশ্যই তারা নিজেরাই কষ্ট পেত ও তার প্রতিশোধ গ্রহণে উদ্যত হত। কিন্তু কেন ??? এর কারন হল ভালবাসার টান । এই টান যেমন তাদের বাধ্য করে এই বাজে কথার প্রতিকার ও প্রতিশোধ গ্রহণে তেমনি আমরা যারা হুযুর পাক (সঃ) কে এ জগতের যেকোনো মানব দানবের চাইতে বেশি ভালোবাসি তাই আমাদেরও বিবেক,অন্তর তথা আমাদের আপন সত্তা আমাদের বাধ্য করেছে এই বাজে মন্তব্যের প্রতিকারে নামতে। যদি মানবিকতার (যারা মনুষ্যত্ব ও মানবতাবোধকে সবার ওপর স্থান দেন) দিক থাকা দেখা হয় তবেও কোন ভুল এতে খুঁজে পাওয়া যায় না।



অন্যদিকে আরেক গোষ্ঠী আছেন যারা একে দেখছেন মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হুমকি হিসেবে। তারা আন্দোলন করছেন যাতে ধার্মিকদের এহেন “বাড়াবাড়ি” প্রতিহত করা যায়। তারা একে দেখছেন ব্লগার কমিউনিটির ওপর হুমকি হিসেবে। তারা মনে করছেন , ব্লগারদের কোন দাম দেশের মানুষ বুঝছে না। সরকার বুঝছে না। কিন্তু তাদের আমি বলব, উপরের প্যারাতে যেকথাগুলো লেখা আছে তা নিজেদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করে দেখুন, নিজের সাথে সৎ থাকুন, তারপর বলুন কি উত্তর দেয় আপনার বিবেক।





এখন প্রশ্ন হল, এ যদি শুধু মানুষের মনেরই ব্যাপার হয় তাহলে এতে এতো বড় আন্দোলন আর সমাবেশ করার কি দরকার ? একজন যা খুশি বলল, তাতে কার কি এসে যায় ??



অনেকে বিভিন্ন সাইট বা ব্লগে মানব সভ্যতার ইতিহাস বিভিন্ন দৃষ্টি কোন থেকে পড়েছেন । কেউ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে, কেউ বা আবার সাহিত্যের দৃষ্টিকোণ থেকেও ইতিহাস উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালান। এখন ইসলামি দৃষ্টিকোন থেকে বিভিন্ন জাতির ইতিহাস একটু দেখি। বেশি না, একটু দেখব, যতটুকু উপাত্ত আমাদের চিন্তা করতে দরকার হবে, ততটুকুই।



আদম (আঃ) এর ওফাতের প্রায় এক হাযার বছর পর নূহ (আঃ) এর আগমন। তিনি একজন নবী ও রাসূল । ৪০ বছর বয়সে নবুওয়ত লাভের পর প্রায় সাড়ে নয়শত বছর তিনি তার কাওমকে আল্লাহর একত্তবাদের দিকে ডাকেন, যার ফলশ্রুতিতে মাত্র ৮০-৮২ জন লোক ঈমানের আলোয় আলোকিত হন আর বাদবাকি যারা ছিল তারা ছিল গর্হিত আচরনের মানুষ। তারা এমন ছিল যে, বলা হয় নূহ (আঃ) কে পাথর মারতে মারতে তাঁর ওপর পাথরের স্তুপ জমে যেত। পরে জিব্রাঈল (আঃ) এসে ঐ ক্ষতস্থানে তাঁর ডানা ছুঁইয়ে দিলে তা ভাল হয়ে যেত । আর পরের দিনও অনুরুপ কাজ নিয়ে নূহ (আঃ) আবার বেরোতে হত। ঐ সব উগ্র গরহিতপশুর দল ঐ সময়কার মহাপ্লাবনে ধ্বংস হয়ে যায়। রক্ষা পায়নি তাঁর আপন পুত্র কিনানও ঈমানদার না হওয়ায় । আর দ্বিতীয়বার পৃথিবীর বুকে মানব সভ্যতার পত্তন হয় বলে নূহ (আঃ) কে আদমে সানি বলে।



ওমানের উবার এলাকায় ‘আদ জাতির বসবাস ছিল। তাদের প্রতি তাদের ভাই হূদ (আঃ) কে পয়গাম্বর করে পাঠানো হয়। তাঁর দাওয়াতে যারা ঈমান এনেছিল তারা রক্ষা পেয়েছিল। আর বাকিরা বলত ,



“হে হূদ! তুমি আমাদের নিকট কোন দলিল প্রমান নিয়ে আসনি এবং শুধু তোমার মুখের বলার দ্বারা আমরা আমাদের প্রভুগুলিকে ছাড়তে পারিনা এবং আমরা তোমাকে বিশ্বাস করতে পারিনা”(সুরা হূদ, আয়াত ৫৩)



কি?? এই আয়াতটির সাথে বর্তমানের কিছু মানুষের উক্তির মিল খুঁজে পাচ্ছেন ?? যারা “প্রমান প্রমান” করে জীবন দিয়ে দেয় ??? যাই হোক , আলোচনা ওদিকে নেয়ার ইচ্ছা নেই।



ওই সীমালঙ্ঘঙ্কারী ‘ আদ জাতি প্রবল ঝড়ে ধ্বংস হয়ে যায়।



“বরং এটা এমন জিনিস যার ত্বরিত আগমন তোমরা চেয়েছিলে। এটা প্রবল তুফান যাতে মর্মন্তুদ আজাব রয়েছে।”(সুরা আহকাফ, আয়াত ২৪)



তাদের ইরাম শহরটি ছিল বিরাট দেয়ালে আবদ্ধ, যাকে বলা হয় “THE ATLANTIS OF THE SANDS”। সাতটি পিলার দিয়ে ঘেরা। আল্লাহর আজাবে তারা ভয় করত না। তদুপরি তারা ব্যবসায়ীও ছিল। বিভিন্ন বাণিজ্যিক কাফেলাকে পানি খাইয়ে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিল। কিন্তু হায়, আল্লাহর অবাদ্ধতা আর গর্হিত আচরনের ফলে তারা আজ নেই, কিন্তু তাদের কূপগুলি মরুর বুকে আজও বহমান। কি কঠিন ছিল তাদের আজাব।

“হে শ্রোতা! তুমি এ দৃশ্য দেখলে সেখানে ধরাশায়ী এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেতে, যেন তারা পতিত কতগুল খেজুর বৃক্ষের কাণ্ড। তুমি কি তাদের মধ্যে কাওকে অবশিষ্ট দেখতে পাচ্ছ ?”(আল হাক্কা, আয়াত ৬)



সৌদি আরবেই মাদায়েন নামক এলাকায় সামুদ জাতির বাস ছিল। কুরআনে তাদের আসহাবে হিজর বলা হয়েছে। সালেহ (আঃ) তাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছিলেন। তাদের প্রধানগণ কুফ্রি করেছিল। সুরা মু’মিনুন এর ৩৩ এ এর বিবরন পাওয়া যায়। সামুদ গোত্র বলল,

“তুমি তো আমাদের মতই মানুষ। অতএব যদি তুমি সত্যবাদী হও, তাহলে তোমার নবুয়তের স্বপক্ষে প্রমান পেশ কর”(সুরা শুআরা, আয়াত ১৫৪)

প্রমাণস্বরূপ নগরীর উপকণ্ঠে অবস্থিত এক বিরাট পাথর থেকে আল্লাহ পাক এক উষ্ট্রী বের করে আনেন। সে উষ্ট্রী থেকে লোকজন উপকৃতও হত। কিন্তু কিছু গর্হিত পশু অন্যায়ভাবে উষ্ট্রীটিকে হত্যা করে ফেলে। আর তাই ঐ গোত্রের ওপর নেমে আসে আল্লাহর আজাব।

তারা এতো শক্তিশালী ছিল যে তারা পাহাড় কেটে কেটে দুর্ভেদ্য গৃহ নির্মাণ করত। কিন্তু এক ফেরেশতা ঐ এলাকায় এসে এমন আওাজ দিলেন যে, প্রত্যেকে যার যার ঘরে উপুড় হয়ে মরে পড়ে রইল।



আল্লাহর খলিল ইবরাহীম (আঃ) এসেছিলেন আজ থেকে প্রায় ৪০০০ বছর আগে। ইরাকের বাবেল নগরে। নমরুদ ছিল তাঁর শাসক। তার খোদাদ্রহিতা এমন চরমে গিয়ে পৌঁছায় যে সে নিজেকে রব বলে দাবী করে। ইবরাহীম (আঃ) তাঁকে দাওয়াত দিলে সে নানাভাবে উপহাস করত ও উপেক্ষা করত। সুরা বাকারার ১২৪-১৬০, সুরা আম্বিয়ার ৫১-৬০, ৬৯ ও সুরা সাফফাতের ৮৩,১০৪,১০৯ আয়াতে তাই দেখা যায়। আর তাই আল্লাহ ঐ প্রবল প্রতাপশালী বাদশাহকে একটি মশার দ্বারা ও গোলামের জুতার আঘতের দ্বারা অপমানিত করে মেরেছেন



লুত (আঃ) এর গোত্র ছিল সমকামীতায় আসক্ত যা আমাদের সুশীল সমাজের অনেকের কাছে “ব্যক্তিগত” ব্যাপার। লুত (আঃ) এর দাওয়াতের পরও তারা এর থেকে ফিরে এল না। আর তাই আল্লাহ পাক তাদের পুরো বস্তিকে উল্টে দিলেন যে এলাকা এতটাই অভিশপ্ত যে আজও এখানে কোন প্রানি বাঁচতে পারে না। হ্যাঁ, এতাই আমাদের আজকের মৃত সাগর বা “dead sea”।

শুয়াইব (আঃ) এর গোত্র মাপে কমবেশি করত, তাদের সতর্ক করার পর তারা ফিরে না আশায় তাদের সামুদ জাতির অনুরুপ আজাব দেয়া হয় ও পুরো জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

মুসা (আঃ) এর সময় ফেরাঊনের শাসনের অবশান ঘটে তার ও তার বাহিনির লোহিত সাগরে দুবে মরার দ্বারা।







হুযুর (সঃ) এর চাচা আবু লাহাবের গর্হিত উক্তির ফল কি ??? সে এমন রোগে আক্রান্ত হয়ে মরেছিল যে তার আপন পুত্ররা তাকে দাফন করতে ঘৃণা বোধ করছিল। তাকে এক ঘরে ফেলে রাখা হয়েছিল পচে নিঃশেষ হবার জন্য । পরে লোকজনের কথায় তাকে এক পাহাড়ের ওপর নিয়ে গিয়ে পাথর চাপা দিয়ে আসা হয়।









এতো বিশাল আলোচনার কারন কি?? কি এর মূল লক্ষ্য ??







একবার মা আয়েশা (রাঃ) হুযুর (সঃ) কে এমন জিজ্ঞাসা করলেন যে, আমাদের মাঝে ভাল লোক থাকা সত্তেও আমরা ধ্বংস হয়ে যেতে পারি কিনা ?? উত্তর এল , যখন মন্দ কাজ অধিক হয়।

যখন আজাব আসবে, তখন ধারমিক-অধারমিক সবাই সমান ভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হবে, যদিও হাশরের দিন সবার হিসাব নিয়ত হিসেবেই হবে।





উপরে যত জাতিগোষ্ঠীর আলোচনা করা হল, তাদের সবার ক্ষেত্রেই যে দিকটি দেখা যাচ্ছে, তা হল, আল্লাহর ও তাঁর পয়গাম্বরদের সাথে জারাই গর্হিত আচরন করেছে তারাই ধ্বংসের অতল গহবরে নিমজ্জিত হয়েছে। তো, যে সকল জাতির কথা বলা হল, তারা যে আচরন করেছে, আমার প্রশ্ন হল, তা কি কোন অংশেই আমাদের আজকের দিনের “উগ্র নাস্তিক” ব্লগাররা যে সব উক্তি করেছে বা যা লিখেছে তার মাঝে কি মিল পাওয়া যায় ??? আমি তো দেখি , আমাদের আজকের দিনের মহামতী উগ্র নাস্তিক্যবাদীদের কথাগুলো এর চেয়েও মারাত্মক। আর যদি প্রকাশ্যে এর প্রতিবাদ ও প্রতিকার করা না হয়, তাহলে কি আমরা নিশ্চিন্ত থাকতে পারি যে আমাদের ওপরেও এমন আযাব নেমে আসবে না ???





ভূমিকম্প, সুনামি, হ্যারিকেন , টর্নেডোর মত কোন আজাব আমাদের ওপর নেমে আসা কি খুবই অসম্ভব ?? যেখানে পুরো দুনিয়াজোড়া অসংখ্য বড় বড় রাষ্ট্র আজ এই আযাব (কথিত প্রাকৃতিক বিপর্যয়) দ্বারা আক্রান্ত, সেখানে আমাদের মত গরিব একটি রাষ্ট্র যে আজও এর থেকে বেঁচে আছে তা কি আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত নয় ???





দেশপ্রেম” কি ??? দেশের মাটি ও মানুষের সমূহ কল্যাণের আকাঙ্ক্ষা ও তদনুযায়ী চেষ্টা । যদি তাই হয় তবে আমরা যারা নিজেদের ঈমানদার বলে সাক্ষ্য দেই, আমাদের উচিৎ হবে দেশপ্রেমের গুণকে অর্জনের দ্বারা আমাদের ঈমানকে শক্তিশালী করা। আর সেই সাথে আল্লাহর চরম আযাবের হাত থেকে আমাদের মাটি ও আমাদের মানুষকে রক্ষার নিমিত্তে কাজ করা।





হুযুর (সঃ) বলেছেন, “যদি কোন কাওম বা জামাতের মধ্যে কোন ব্যক্তি কোন গোনাহের কাজে লিপ্ত হয় এবং ঐ কাওম বা জামাতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাহাকে উক্ত গোনাহ হইতে বাধা না দেয়, তবে মৃত্যুর পূর্বে দুনিয়াতেই তাহাদের ওপর আল্লাহর আযাব আসিয়া যায়। ”(তারগীবঃ আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, ইবনে হিব্বান, ইসবাহানি)



হুযুর (সঃ) বলেন, ““লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” তার পাঠকারীকে সর্বদা উপকার করিতে থাকে এবং তাহার উপর হইতে আজাব ও বালা-মুসিবত দূর করিতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত উহার হক আদায়ের ব্যপারে বেপরোয়াভাব ও অবহেলা না করা হয়। সাহাবিগন (রাঃ) আরজ করিলেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! উহার হক আদায়ের ব্যপারে বেপরয়াভাব ও অবহেলা না করার অর্থ কি ?” হুযুর (সঃ) ফরমাইলেন, “প্রকাশ্যে আল্লাহর নাফরমানি করা হয় আর উহাকে বন্ধ করার কোন চেষ্টা করা হয় না”। ”



মা আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত একটি বৃহৎ হাদিসের এক অংশে হুযুর (সঃ) বলেন, “ হে লোকসকল ! আল্লাহ তা’আলা বলেন, তোমরা সৎকাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করিতে থাক, নতুবা এমন সময় আসিয়া পড়িবে যখন তোমরা দুয়া করিবে কিন্তু উহা কবুল অরা হইবে না, তোমরা সওয়াল করিবে কিন্তু উহা পূরণ করা হইবে না, তোমরা শত্রুর বিরুদ্ধে আমার নিকত সাহায্য প্রার্থনা করিবে কিন্তু আমি তোমাদিগকে সাহায্য করিব না ”(তারগীবঃ ইবনে মাজাহ, ইবনে হিব্বান)





তাই আমরা যারা নিজেরা বাঁচতে চাই ও আমাদের দেশবাসীকে আল্লাহর আযাব হতে বাঁচাতে চাই, তাদের উচিৎ হবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, সৎকাজের আদেশ করা এবং যেকোনো স্তর থেকে যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের অবমাননা করে, অশালীন উক্তি করে, বার বার নিষেধের পরেও চালিয়ে যেতেই থাকে, যেকোনো ভাবে তাদের প্রতিরোধ করা।





আর এক্ষেত্রে এটাও খেয়াল রাখতে হবে এই কাজে কেউ যেন অজথা হয়রানির শিকার না হন।



যারা একে সাম্প্রদায়িকতা হিসেবে দেখছেন, তাদের বলি, ভুল করবেন না।

এই উগ্র মানসিকতার লোকেরা কোন সম্প্রদায়ের নয়। এরা হল যাকে বলে “black sheep”. যুগে যুগে এদের মত ধর্মীয় চেতনা বিবর্জিত মানুষদের কারনে শান্তিপূর্ণ সমাজে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। আর যেন না হয়। সবাই মিলেমিশে বসবাস করার জন্য এমন কিছু মানুষের সংশোধন হওয়া জরুরী।



যারা এটাকে ব্লগার কমিউনিটির উপর আঘাত হিসেবে দেখছেন, তারা কি দেখেন না ?? ব্লগগুলোর মধ্যে যে অমূল্য সাহিত্য সম্পদ লুকিয়ে আছে তা কখনই ঐসব উগ্র নাস্তিক্যবাদীদের বদৌলতে না। আমাদের আছে অসংখ্য সুন্দর মনের লেখক, তাদের লেখাই আমাদের কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করবে। বার বার কমেন্টে তাদের সতর্ক করা হোক, নিষেধ করা হোক, কিংবা অনুরোধ করা হোক, তারা কখনই থামে না। তারা কাদা ছিটিয়েই চলে। আমার কণ্ঠে হয়তোবা কথরতা ঝরে পড়ছে, তা এ জন্যই যে, আমি নিজেও তাদের এসব কিছু জায়গায় পেয়েছি। এমনকি অনুরোধও করেছি য, দয়া করে এমন বলবেন না, আমরা কষ্ট পাই। কিন্তু না, তারা থামে নি।



যাই হোক,

আমাদের ব্লগগুলোতে যত সুন্দর লেখা আছে , এসব তথাকথিত বিকৃত মানসিকতার উগ্র উস্কানিমূলক লেখা কখনই ঐ সুন্দর লেখাগুলোর পঙক্তিতে বসবার যোগ্যতা রাখে না।

“দুর্জন যতই বিদ্বান হোক, সে সর্বদাই পরিত্যাজ্য।”

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৩

শেষ বিকেলের মেয়ে বলেছেন: Khub valo laglo. Og0nito plus!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৯

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: প্লাস দরকার নাই, আমার কোথা যদি বুঝতে পারেন আর অন্তরে ধারন করেন, তাহলেই উত্তম।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৩

শেষ বিকেলের মেয়ে বলেছেন: Khub valo laglo. Og0nito plus!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৯

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: প্লাস দরকার নাই, আমার কোথা যদি বুঝতে পারেন আর অন্তরে ধারন করেন, তাহলেই উত্তম।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪১

ওছামা বলেছেন: আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করোনা, আমাদের ধর্মবিশ্বাস বেচে দিওনা। আমাদের শ্বাস নিতে দাও।আমরা সাধারন মানুষ আজ ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, বিভ্রান্ত।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: আমার বক্তব্যও এক। কিন্তু আমাদের চিন্তার ধারা এক কিনা, তা বলতে পারছি না। আমি কোন দলের হয়ে বলছি না। আমি আমার দেশপ্রেমের সরূপ ও তুলে ধরেছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.