নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত (সৌকপ)

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত

আমি আসলে কেউ নই ।

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি> আপনি কি ভাবেন?

১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

আমি তেমন একটা ভাল পাঠক না। পড়লেও মনে রাখতে পারি না তেমন কিছুই। তবু আজ কিছু একটা পড়ার পর যে উপলব্ধি এল, তা শেয়ারের ইচ্ছা হল। তাই করলাম।



ইসলামের প্রাথমিক যুগে হুযুর পাক (সঃ) চারপাশের চরমতম প্রতিবন্ধকতা আর অত্যাচার কে মাথায় নিয়ে দ্বীন প্রচার করেছেন। আর তার ফলস্বরূপ আমরা আজ মুসলিম। কিন্তু হুযুর পাক (সঃ) আমাদের ধ্বংসের কারন হতে পারে এমন অনেক কিছুর ব্যপারে আমাদের সতর্ক করে গেছেন। দুনিয়ার ভালবাসা, আখিরাতের ব্যপারে উদাশীন থাকা, বিত্ত বৈভব, নারী ইত্যাদি। হাজারো সাহাবার (রা) জীবনের নাজরানার পর আজ আমরা দ্বীন পেয়েছি। ঐ সময়কার অবস্থা তো এমন ছিল যে যদি ঐ সময়টাতেই দাজ্জাল আবির্ভূত হত, তবে এক মুসলিম শিশুই তার প্রতিরোধে যথেষ্ট হত। কিন্তু বাইরের সমস্যার তুলনায় হুযুর (সঃ) কে ভেতরের শত্রু অর্থাৎ মুনাফিকরা সব সময়ই বেশি পীড়া দিয়েছে।

ঐ সময়টাতেও কিছু ঘৃণ্য শক্তি আমাদের ঈমানী শক্তি বিনষ্ট করতে অর্থ আর নারীদের ব্যবহার শুরু করে। আর ঐ সময় সাহাবাদের দৃষ্টান্ত কেমন ছিল? দৃষ্টান্ত তো এমনি যে যখনি বিরুদ্ধবাদী দুনিয়াদাররা তাদের বিরুদ্ধে নগ্ন নারী ব্যবহার করতো তখন তারা দৃষ্টিকে এমন অবনত করতো যে পাশে আকর্ষণীয় কিছু আছে নাকি গরু ছাগল, তাতে তাদের মাঝে কোন ফারাক পরিলক্ষিত হত না। এক সাহাবির ঈমান ধংসে তার সাথে অতীব সুন্দরি এক নগ্ন মহিলার সাথে তাকে এক কক্ষে বন্দি করে রাখা হয় কয়েকদিন, খাবার ছিল শুকরের গোশ্ত আর শরাব। কিন্তু ঐ মহিলাই কি সাক্ষী দেয় নি যে, সে তার দিকে একবার তো তাকায়ই নি বরং ঘরের কোনে মৃতের মত পড়ে ছিল?







ঐ সময়গুলোর প্রায় ৪০০ বছর পরের ঘটনা, ফাতেমি খিলাফতের অধিনে মিসরের গভর্নর করে পাঠানো হয় সালাহুদ্দিন আইউবীকে। তিনি কি দেখলেন?? তিনি দেখলেন, সাধারন মানুষ দ্বীনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, নিষ্ঠাবান । কিন্তু কুসংস্কারে লিপ্ত। আর প্রশাসনে ?? খ্রিষ্টান দের চর আর দালালে সব ভরতি। ঐ সময়টায় তথাকথিত মুসলিম নামের কিছু দালালরত সম্পদ আর নারীর লোভে ইসলামের জন্য যত বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল, স্বয়ং ক্রুসেডারগনও এতো বড় হুমকি ছিল না। তারা যে কেবল সম্মুখ যুদ্ধ করছিল তা নয়, বরং মিসরের তথা সমগ্র ইসলামি সালতানাতের যুব সমাজ কে চারিত্রিক আর ধর্মীয় মূল্যবোধ থেকে দূরে সরাতে তারা মূলত বেশ্যা নারী, মদ আর জুয়ার প্রচলন করে। সেনাবাহিনীর মধ্যে ও বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রান্ত মতবাদ আর লালসা ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছিল। এর মাধ্যমে পুরা সালতানাতে যত গাদ্দার আর বেঈমান এর জন্ম দিয়েছিল, দুঃখের সাথে বলতে হয়, আর কোন সমাজে এর তুলনা খুঁজে পাওয়া যায় না।

কিন্তু আশার কথা যে তখনও যদি কোন গাদ্দারের মনে ইসলামি মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া যেত, তাহলে তারা বুঝতে পারত। এমনও নযির আছে যে একজন তার ভুল বুঝতে পেরে নিজে সবার সামনে আত্মহত্যা করেছে।





আর আজ ??? আমাদের মধ্যে কোন গুপ্তচর নেই। কিন্তু ???? আজ আমরাই ইসলামি মূল্যবোধ থেকে এতটা দূরে সরে এসেছি যে আমাদের মনে ঐ কথাটা প্রায় আসেই না যে আমরা মুসলিম। আমরা বাঙালি চেতনায় জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে তুলি। ৭১ এর চেতনা, বঙ্গবন্ধুর চেতনা, বাহান্নর চেতনা। কিন্তু ইসলামি চেতনার কি কোন অংশই নেই আমাদের হৃদয়ে?? এসবের জন্য, চেতনাকে জাগ্রত করার জন্য আমাদের যুব সমাজের তো কোন উদ্যোগই চোখে পড়ল না, অথচ অন্য সব ব্যপারে আমাদ্র অংশগ্রহন থাকে বিপুল আঙ্গিকে। আমরা কি আমাদের শিকড়কে ভুলে যাচ্ছি না??



আমাদের যুব সমাজের জন্য ইসলাম আজ একটা ব্যাকডেটেড কিছু বা কেবল আলোচনার আর বিতরকের বিষয়ে পরিনত হয়েছে। যে ইসলামি চেতনা ধ্বংসের জন্য সমগ্র ইউরোপকে তার বাজেটের এক বড় অংশ ধার্য করতে হত, আমরা নিজেরাই আজ তা বিকিয়ে দিয়ে বসে আছি। আজ আমাদের কাছে গার্লফ্রেন্ড একটা ফ্যশন। না থাকাটা চরম ক্ষেতের পরিচয়। আমাদের বোনেরা আজ ঠিক ঐ জাতির সাথে মিশে যেতে প্রানপন চেষ্টা করে যাচ্ছে যারা তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে ছিল ঘৃণ্য, তাদের চিন্তা চেতনার পুরোটাই ছিল ঘৃণ্য, যদিও আমি সবার কথা বলছিনা । কিন্তু কথা হল,

আজকে আমাদের মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘতেছে, সমাজ উন্নত হয়েছে। তাহলে এমনতো হতেই পারে, ব্যপারটা ভাল নয় কি??



আফ্রিকার কোন এক রাজার কথা শুনেছিলাম, সে নাকি প্রতি বছররাজ্যের নারীদের উলঙ্গ আর অর্ধউলঙ্গ নৃত্যের আয়জন করে। তারপর তার মধ্যে থেকে সঙ্গী নির্বাচন করে, যদিও তার ঘরে ইতিমধ্যেই দজঙ্খানেক বউ উপস্থিত। আপনার বা আমার কোন বোন এই প্রথা তে রাজি হবে? অথচ, ওখানকার মূল্যবোধে এতাই সহিহ। তার মানে বুঝতে পারলাম, আমরা যে মূল্যবোধ নিয়ে কথা বলছি তা নিওত পরিবর্তনশীল, আর তাতে এটাই প্রতিওমান হয় যে এই পরিবর্তনশীলতার মধ্যে কোনোক্রমে গলদ ঢুকিয়ে দিতে পারলে, ঐ মানুষটার পুরো অবস্থাতো বিগড়ে যাবেই, উপরন্ত “ব্যধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়” কন্ডিশন তো আছেই। আমাদের কাছে ইসলাম আজ পরিচয়ের একটা অংশ মাত্র আর কিছুই না। কিন্তু এই কমদামি জিনিসের জন্যই কি আমাদের পূর্বপুরুষগণ তাদের রক্ত যা তাদের শিরায় ধমনীতে প্রবাহিত হতা তা দ্বারা দুনিয়ার মাটিকে রঞ্জিত করেছেন ?? আমাদের সিভি তে একটা পয়েন্ট বারাবার জন্যই কি আবু বকর, উমর, উসমান, আলী , মুয়াবিয়া, আবদুল্লাহ ইবন জাফর, হানজালা, খাব্বাব, আবদুল্লাহ বিন রাওয়াহা, হামজা (রা) এর মত মানুষগণ এতো কিছু উতশরগ করেছেন? তাদের মত মানুষরা কেউ কমরের গশ্ত খসিয়েছেন, কেউ নিজের নাক, কান, কলিজা হারিয়েছেন যুদ্ধখেত্রে, কেউ নিজের বিশাল ব্যবসা ধ্বংস করে আখিরাতের ব্যবসা করেছেন? আমরা আজ গিটার নিয়ে মাথা উঁচু করে বলি আমরা মুসলিম, আমরা নামাজ কয় অয়াক্ত না জেনে বলি, আমি মুসলিম, ইসলামের জন্য তর্কের বন্যা বইয়ে দিয়ে জামাতের নামাজ ছেড়ে দিয়ে, কখনো বা কাজা করে দিয়ে বলি, আমি মুসলিম। আমার বোনেরা আজ নিজের ভুলে, দুনিয়ার রংচঙের মোহে হারিএ যাচ্ছে, আর আমরা বাহবা দিচ্ছি, তবুও আমি মুসলিম। আমি ফ্রেন্ডদের সাথে ডিস্কো পার্টিতে যাই, ড্রিঙ্কস করি, তবুও আমি মুসলিম। মাঝে মাঝে অনুশোচনাও করি- কেন যে এই ধর্মে জন্ম নিলাম, ইচ্ছামত কিছুই করতে পারিনা, হায়ার লাইফস্টাইল লিড করতে পারি না, ধুচ্ছাই, পুরাই ফাউল- তবুও আজ আমরা মুসলিম।





আমি তো দেখছি আমরা এমন অদৃশ্য চোরাবালিতে আটকা পড়েছি যে আর বেশিক্ষন থাকলে উদ্ধার পাওয়া তো দুরের কথা, অতল তলে তলিয়ে যাব যে উদ্ধার করাই সম্ভব হবে না, যদিও আজ আমরা উদ্ধারের কথা মনেই করি না।



আজ আমরা কিং আরথার কে চিনি, চিনি না নুরুদ্দিন জঙ্গিকে। চিনি ফিলিপ, রেমন্ডকে, ভুলে গেছি সালাহুদ্দিন আইউবিকে। আমরা চিনি ব্যাটম্যান কে, মনে রাখি না আলী ইবনে সুফিয়ানকে। মনে রাখি অনেককে, মনে রাখিনা নিজেকে।

কেন ?? ঐতিহ্যময় গ্রীক, রোমান, মায়ান ইতিহাস পড়ি। আমাদের নিজেদের ইতিহাস কি অনেক বেশি গৌরবময় নয়? হাজার হাজার বছরে অন্য সভ্যতা গুলো যে মরজাদায় এসেছে আমরা কি নিজ যোগ্যতায় ১০০ বছরেরও কম সময়ের মাঝে তা অর্জন করি নি? এটাকি আমাদের গৌরব নয় , যে আমাদের মাঝে এমন অবস্থাও ছিল যে দান নেবার মত লোক খুঁজে পাওয়া যেত না? এসব কিসের মাধ্যমে ?





আমাদের উচিৎ হবে আমাদের শরীয়ত জানা আর তা মানা । শুধু বিতর্কের জন্য জানা তো না জানার চেয়েও ক্ষতিকর। আমাদের জীবনযাত্রা কে পরিবর্তন করা। মনে রাখা যে ইসলাম শুধু সিভির একটা পয়েন্ট নয়, এটা পুরো জীবনের একটা ছাঁচ। এতে নিজেকে গড়ে নেয়াই বড় সফলতা। আর এক্ষেত্রে আমাদের আদর্শ বানিয়ে নেয়া ঐ সকল মানুষকে যাদের ব্যপারে ঐশী সার্টিফিকেট আছে। অর্থাৎ আম্বিয়া (আঃ) ও সাহাবাগন (রাঃ)। আমাদের উচিৎ হবে তাদের ঈমানদীপ্ত কাহিনী জানা, আমাদের গৌরবময় ইতিহাস জানা আমাদের মধ্যে ইসলামি মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলা। পাপাচারের মাধ্যমে আমাদের যে সব ভাই বন্ধু জাহান্নামের দিকে দৌড়ের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, তাদের কি ফিরিয়ে আনার কোন দায়িত্ব আমাদের নেই? কেননা তারা যা করছে তা তো আত্মহত্যার শামিল, কিন্তু হায়, ঐ সময় আর মৃত্যুর মাধ্যমে শাস্তি থেকে বেঁচে যাবার কোন উপায় থাকবে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

রক্তিম দৈত্য ৩৭ বলেছেন: নিজের ঘরের কুরআনটি পড়ার জন্য সময় বের করি না ১০ মিনিটের জন্যও।মুসলিম হয়েও শৈশব থেকে নিজের সন্তানকে কুরআন শিক্ষা থেকে দূরে রাখতে পারলেই যেন আমরা বাঁচি।এতে সন্তান আধুনিক হবে,এই আমাদের ধারণা।সেখানে ইসলামের গৌরবময় ইতিহাস জনা???ওটা শিখতে চাইলে আমরা আবার নাকি মধ্যযুগীয় হয়ে যাই।হায়রে মুসলিম.।.।.।

১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: মধ্যযুগ ? কোন মধ্যযুগ ? যে মধ্যযুগে নারিরা ইরান থেকে মক্কা পর্যন্ত একা চলে আসতে পারত আর পথে আল্লাহ ছাড়া আর কাওকে ভয় পাবার ছিল না, ঐ মধ্যযুগ?


আমাদের পুরো পৃথিবীর নারীরা ঐ মধ্যযুগ চাইবে যদি প্রকৃত সরূপ তাদের কাছে উপস্থাপন করতে আমরা সক্ষম হই।

২| ১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

অমৃত সুধা বলেছেন: গার্ডিয়ানকে ইউনূস:
পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর আহ্বান
http://dhakajournal.com/?p=7388

১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.