![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামিক পত্রিকা পড়ার সময় বা সুযোগ হয়তো অনেকেরই হয় না। আর হবেই বা কিভাবে , মানুষের ব্যস্ততা যে দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু গাছ্ যত বড়ই হোক না কেন তার শিকড় কেটে দিলে তা যেমন টিকবে না, তেমনি এক-দুজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে সমস্যা না হলেও সমগ্র জাতি যদি নিজেদের শিকড়কে কেটে ফেলে তাহলে সে জাতিও টিকবে না। তাই জাতিকে তার শিকড়ের কাছে নিয়ে যাবার এ এক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
প্রথমেই একটি লেখা শেয়ার করলাম।
আমার লেখাটুকু পড়ার আগে দয়া করে কয়েক মিনিটের জন্য লিঙ্কটা থেকে ঘুড়ে এলে খুবই ভালো হয়।
এবার বলা শুরু করি। জারা ইতিমদ্ধেই লিঙ্কটা থেকে ঘুরে এসেছেন, তারা সহজেই বুঝতে পারছেন, আমি আবারো সংক্ষেপে বলছি। বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বাংলাতে প্রথম হাদীসের দরস দেয়া , তথা বুখারী শরীফের দরস দেয়া শুরু হয় আজ থেকে প্রায় ৭৩৬ বছর আগে । আর ইতিহাসের এই মহান পদক্ষেপটি নেন যিনি, সেই বুজুর্গ মানুষটি হলেন শাইখ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা (রাহীমুল্লাহি 'আলাইহি)
ইয়েমেন থেকে ইসলাম আর দ্বীনী 'ইলম প্রচারের জন্য ১২৭৭ সালে তিনি দিল্লী আগমন করেন। সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় বাংলায়। প্রায় ৬০ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত হয় তার মাদ্রাসা আর ছাত্র সংখা প্রায় ১০০০০ । কিন্তু ১৩০০ সালে তাঁর ইন্তেকালের পর বেশিদিন চলেনি সেই মাদ্রাসা। ১৩৪৫ সালে ইবনে বতুতা বাংলায় আসেন । তিনি তাঁর লেখায় সেই মাদ্রাসার কথা তুলে ধরেন। কিন্তু ইতিহাসের সাথে কম সম্পর্ক থাকায় ঐ লেখাও সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায় অচিরেই। কিন্তু প্রায় ৭০০ বছর পর আল্লাহর ওপর এক বান্দা আবুল হাসান আলী নদভী সাহেব খুজে পান সে চাপা পড়া ইতিহাস।
এবারের ঈদে আল্লাহর কিছু গুনাহগার বান্দা (৫ জন, আর এই অধমও তাদের মধ্যে একজন) যখন নিয়ত করল যে দ্বীন সম্পর্কিত কোন স্থানে ঘুড়ে আসার, তখন হঠাত করেই চলে আসে সেই ৭৩৬ বছরের পুরান সেই মাদ্রাসার কথা। এত বিস্তারিত আমরা কিছুই জানতাম না।শুধু জানতাম বাংলাদেশে প্রথম হাদীস এর দরস দেয়া হয়েছিল, সেখানে যাচ্ছি । ঈদের দিন সকাল পৌনে এগারোটায় ৫ জন মসজিদে হাজির হই। এই ৫ জন হল হাফেজ সাইফুল্লাহ (ইনিই এখানে যাবার কথা প্রস্তাব করেন), হাফেজ আব্দুল হান্নান, হানিফ, হাসান আর আমি এই অধম।
মসজিদে এসে আলোচনা হল। হাফেজ সাইফুল্লাহ ভাইয়ের সেই জায়গার নাম মনে ছিল না। শুধু মনে ছিল প্রথন হাদীসের দরস দেন শাইখ আবু তাওয়ামা । কি করা যায় ?? ভাবতে গিয়েই মনে হল নেটে সার্চ দেবার কথা । দিয়ে যে পেজটি পাই তাতে জায়গার নামটি খুজে পাই।
অতঃপর যাত্রাবাড়ী গিএ সেখান থেকে বাসে মোগড়াপারা চৌরাস্তা নেমে সেখান থেকে রিকশায় যাই দরগাবাড়ি। কিন্তু সাধারন মানুষ তো আর ইতিহাসের সাথে সম্পর্ক রাখে না। তাই খুজে পাবার কাজটি খুব একটা সহজ হয় নি। ঐখানে ২ টা দরগা থাকাতে খুঁজে পেতে আর ঝামেলা পহাতে হল। শেষে এক মুরুব্বি বললেন যে , সাহেব বাড়ি "আন্ধার কোঠা" নামে এক ভাঙ্গাচোরা দালান আছে। ওটার অনেক ইতিহাস আছে । তো গেলাম সেই আন্ধার কোঠায় । দেখলাম, ঠিক জায়গাতেই এসেছি। কিন্তু খারাপ লাগল যে , যেখান থেকে দুনিয়া ও আখেরাতেত জ্ঞানের উৎসারিত হত , তা আজ আন্ধার কোঠা । দালানটার নিচের তলাটা সেই ৭০০ বছর আগেরই অংশ। কিন্তু কালের পরিক্রমায় তা আজ মাটির লেভেলের নিচে। দেখে মনে হয় সেলার বা ডানজন । কিন্তু প্রায় কোমর এর উপর পর্যন্ত পানি জমে থাকায় নিচে যাওয়া আমাদের জন্য সম্ভব হয়নি। অইদিন জুম্মার নামাজ পরি ফতেহ মসজিদে। ১৪৮৪ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান জালালুদ্দিন ফতেহ শাহের আমলে তৈরি মসজিদটি আজও তার সৌন্দর্য ধরে রেখেছে।
মসজিদের সামনে যে কবরস্থান, সেখানেই শায়িত আছেন আল্লামা শাইখ আবু তাওয়ামা (রাহিমুল্লাহি আলাইহি) । তার কবর জিয়ারত করলাম আমরা ৫ জন। দুয়া করলাম শাইখ আবু তাওয়ামার মত আল্লাহ যেন আমাদেরকেও তাঁর রাহে কবুল করেন।
শেষে কিছু সময়ের জন্য কাছেই, মোগড়াপারা চৌরাস্তা থেকে উল্টোপা্শে পানামনগর থেকেও ঘুরে আসা হয়েছে।এখানে তা দেখা যাবে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে দ্বীনের খেদ্মতের জন্য কবুল করুন।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪
সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: ধন্যবাদ । আমাদের সফরের ভিডিও গুলাও দিব। ইনশাআল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৮
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। লিংটি সংগ্রহে রাখলাম।