নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই।যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।উপরের লাইন দুটো আমার অনেক পছন্দের, যদি আপনার কাঁধেও কাজটি পরে করে দিয়েন ভাই।

সময়ের গ্যাঁড়াকল

সময়য়ের তাড়নায় আজ আমি পড়ে আছি সময়য়ের গ্যাঁড়াকলে।

সময়ের গ্যাঁড়াকল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষুদ্র ভালোবাসার গল্প- ১

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৪

ক্ষুদ্র ভালোবাসার গল্প- ১



তখন সে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে আমিও পড়ি কিন্তু দ্বাদশ শ্রেণীতে।

বড়ই নিঃসঙ্গ একটা ছেলে। সবার সাথে বেশ তাল মিলিয়ে চলতে পারে, তাই হয়তো তাঁর বন্ধু মহল এতো অবজ্ঞা করে।

সকলের ভালবাসা থেকে বলতে বঞ্চিতই বলা যায় ঐ থেকেও না থাকা আর কি। আর নারীর ভালবাসা সে অনেক দূরের কল্পকাহিনী।

বন্ধুর মাধ্যমে একটি নারী মানে কিশোরীর সাথে পরিচয় তাও আবার মুঠো-ফোনে। সবার যা হয় তাঁরও তাই হলো, প্রথম কোন কিশোরীর সাথে মুঠো ফোনে মুঠো মুঠো আলাপ কিছু হাসি কিছু রাগ এর মধ্যে দিয়ে চলে যায় তিনশ পঁয়ষট্টি দিন।

একদিন তাঁরা চিন্তা করলো দেখা করবে, সে দিন ছেলেটির কলেজ পিকনিক সবাই গেলো পিকনিকে কিন্তু সে গেলো তাঁর সেই ক্ষুদ্র ভালোবাসার মানুষের কাছে।



হঠাৎই ফোন বেজে উঠলো ছেলেটির মুঠো ফোনে



ছেলেঃ হ্যালো

কিশোরীঃ কই তুমি?

ছেলেঃ আমি তো টেম্পু তে

কিশোরীঃ তাড়াতাড়ি আসো

ছেলেঃ আচ্ছা



টেম্পু থেকে নেমেই দেখল দূরে একটা ফোনের দোকানে ছোট্ট একটি মেয়ে দাড়িয়ে আছে পড়নে একটা গোলাপি জামা, আশ্চর্য ব্যাপার হলো ছেলেটির গায়ে গোলাপি শার্ট যদিও তাঁদের মাঝে এই সম্পর্কিত কোন কথা হয় নাই।

যাই হোক ছেলেটি কাছে যেতেই কিশোরী বুঝে নিলো এইটা তাঁর ক্ষুদ্র ভালবাসা।

ছেলেটি ততটা সুদর্শন ছিল না যতটা না এই সময়ের নারীরা চায়, কিন্তু খুব অবাক বিষয় যে খুব সহজেই মেয়েটি ছেলেটিকে গ্রহন করে, শুধু একটি কথাই বলেছিল মেয়েটি ছেলেটিকে "নিজেকে কখনো ছোট করে দেখবে না"



আর সাথে সাথে চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো ছেলেটির, কেননা এমন করে আগে কখনো তাঁকে কেউ এতো আপন করে কাছে নেয় নি।

তাঁদের শুরু হলো টোনা-টুনির সংসার মানে একটি সম্পর্কের সব থেকে সুন্দর সময়, যাই হোক খুব ভালো চলছিল তাঁদের সংসার। হঠাৎ তাঁদের একদিন খুব ঝগড়া হয় আর মেয়েটি ছেলেটিকে বলে ভুল করলে।



কিন্তু ছেলেটি কখনো চিন্তা করে নি যে এমনটা হবে একদিন সকালে ছেলেটি মেয়েটিকে ফোন দিল তাঁর রাগ ভাঙ্গার জন্য কিন্তু আকস্মিক ভাবে মুঠো ফোনের ওপার থেকে ভেসে এলো একটি ছেলে কণ্ঠ আর পরিচয় মিলল মেয়েটির ভাই হিসেবে কিন্তু এখানেই শেষ হলে ভালো হত, কিন্তু বাস্তব বড়ই নির্মম।



কিছুক্ষণ পর মেয়েটির পক্ষ থেকে ফোন আসলো



মেয়েঃ একটু আগে কার সাথে কথা বলছ জানো?

ছেলেঃ বলল তো তোমার ভাই

মেয়েঃ তুমি বিশ্বাস করলে?

ছেলেঃ না করার কি আছে

মেয়েঃ ঐ ছেলেটি আমার স্বামী



আর ফোনটির লাইন এখানেই কেটে গেলো

তিন বছরের এতো বড় সময়ের ব্যাপ্তির মাঝে একদিন আর ঐ নাম্বার থেকে ছেলেটির ফোনে কোন ফোন আসেনি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.