![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময়য়ের তাড়নায় আজ আমি পড়ে আছি সময়য়ের গ্যাঁড়াকলে।
প্রায় চার বছর আগের। আমি তখন একাদশ শ্রেণীতে পড়ি। আমাদের কলেজটা স্কুল এন্ড কলেজ ছিলো তাই পাশেই স্কুল ছিলো। তাই যা হয় আর কি বাঁদরামি করতাম খুব।প্রতি বৃহস্প্রতিবার তো আমাদের ঈদের দিন থাকতো বাজি ম্যাচ থাকতো সাইন্সের ছেলেদের সাথে আর খেলা শেষে গিয়ে সকলে দাঁড়াতাম স্কুলের মেয়েদের গেটের কাছে যা মজা করার বন্ধুরাই করতো আমি শুধু তাল মিলাতাম আর মাঝে মাঝে দু একটা কথা বলতাম আর সকলে হো হো হো করে হাসতো।তবে হা আমরা কিন্তু কোন মেয়েদের বিরক্ত করতাম না এমন কিছুই করতাম যা দেখে তাঁরা বিরক্ত হতো না বরং বিনোদন পেতো।
তখন আমাদের কলেজের বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগিতা হচ্ছিলো এই ফেব্রুয়ারি হবে হয়তো এক বারেই নতুন কলেজে উঠেছি কেউ কারো থেকে পিছিয়ে নেই। লং জাম্প শেষ করে যাচ্ছিলাম ফ্রেস হতে আর তখনই একজনকে দেখলাম দেখে তো ভুলেই গেলাম সব দেখতেই থাকলাম সকাল এগারটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত।আমার ঐভাবে দেখা দেখে সেও তাঁর কলাকৌশল দেখাতে লাগলো।সত্যি কথা বলতে প্রেম জিনিষটা কি আমি তখনও বুঝিই না।ওটাই ছিলো আমার জীবনের নিজ চোখে দেখে চোখে বিঁধে যাওয়া প্রথম মেয়ে।প্রতিদিন সকাল ছয়টায় গিয়ে মেয়েটার বাসার গেটে দাঁড়িয়ে থাকা,বৃষ্টি এলে দেখিয়ে দেখিয়ে ভেজা,ক্রিকেট খেলার সময় তাঁকে দেখানোর জন্য একটু সজোরে শট নেওয়া আরো কতো কি করতাম তাঁর ইয়াত্তা নেই।কিন্তু কখনো সাহস করে সামনে গিয়ে দাঁড়াতে পারি নি বলতে পারি নি আমি না তোমাকে আমার সাথে সারাজীবন রাখতে চাই।আমার খুব আগের থেকেই এমন মনে হতো চিন্তাই করতাম ভালো লাগলে সারাজীবন রেখে দিবো কিন্তু কখন ভালো লাগা আসলো না যখন আসলো তখন আর বলা হলো না।
ঠিক চার কি পাঁচ দিন আগে আমাদের বাসার থেকে একটু দূরে মিরপুরের কচুক্ষেত নামক পুলাপাড় এলাকা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল নিধারুণ হতাশা নিয়ে শলাকা পান করতে করতে আর ভাবছিলাম কি হবে আসলে আমার ছিঁড়ে ফাঁড়া জীবনে! শলাকায় একটা টান দিয়েই সামনে তাকাতেই মুখটা খুব পরিচিত লাগলো খুব পরিচিত সেও তাকিয়ে ছিলো তাকাতে তাকাতেই তাঁকে পাড় করে ফেললাম।শলাকাতে দুটা সজোরে টান দিয়েই মস্তিষ্ককে পেছনে ঠেললাম আর কয়েক মিনিটের জন্য চিন্তা করলাম চেনা মুখ কে যেনো এটা। ও হা মনে পরেছে সেই চার বছর আগের মেয়েটি না ইসারাত না!!!!!
পেছনে ফিরে দেখি অনেক দূরে চলে গেছে তাই চিন্তা করলাম কথা বলে আসি এখন তো আর আমিও ছোট নেই আর সেও নেই।
পেছন থেকে গিয়ে সোজা সামনে চলে গেলাম।
-আগের অভ্যাসটা যায় নি এখনো তাই চলে আসলাম খালি একটু পার্থক্য আগে আসতে পারতাম না এখন সামনে এসে পরেছি, কেমন আছ? নিশ্চয়ই ভালো?
-হা ভালো আছি আপনি কেমন আছেন?
-আমিও, তুমি তোমার বাসা ছেড়ে চলে গেছিলে আমি খুঁজেছিলাম অনেক তোমার বাসার দরজা পর্যন্ত গিয়ে ফিরে এসেছিলাম ভয়ে।শুনেছিলাম দু বছর আগে তোমার নাকি বিয়ে হয়েছে আর চলে যাওয়ার এক বছর পরে শুনেছিলাম তোমার প্রেমিকটা খুব ভালো
-কে বলেছে আপনাকে! হা শুনতেই পারেন!আমি পড়াতে যাবো এখন!
-আচ্ছা আমিও আসি সাথে যদি সমস্যা না হয়!
-আসুন সমস্যা নেই। তো কি অবস্থা আপনার আগের মতোই দেখি আছেন!
-হা আগের মতোই আছি বদলানোর সুযোগ পেলাম না। পড়ছ কোথায়?
-ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে আপনি নিশ্চয়ই ভার্সিটিতে পড়ছেন
-বাহ বড় হয়ে গেছো,তুমি তো বেশ মুটি হয়ে গেছো!! হা ভার্সিটিতেই পড়ছি। তো কি এখনো আগের মতোই আছ?
-একটু হয়েছি!!হে এখনো আগের মতোই আছি, আচ্ছা আমার যেতে হবে ফ্রেন্ড দাঁড়িয়ে আছে আমি যাই!!
-আচ্ছা যাও হয়তো আর দেখা হবে না কখনো আর আজ হয়ে গেলো এক্সিডেন্টের মতো
-ভালো থাকবেন বায়
চলে যাবার আগে ডাক দিতে গিয়েও থেমে গেলাম নাহ থাক পুরনো অনুভূতি চলে যাওয়াই ভালো, চেয়েছিলাম ফোন কিংবা ফেইজবুক আইডি নিবো কি মনে করে আর নেওয়া হলো না আর তাঁর সাথে আমার এমনই হতো চার বছর আগে দূর থেকে দেখা,একটু হাসি আর তাতেই বন্ধুদের একটা শলাকা পার্টি দিয়ে দিতাম আর ঠিক পাঁচ বছর পরেও তাই হলো পার্থক্য এতোটুকুই যে প্রথমবারের মতো কথা হলো কিছু সময়ের জন্য। ভালো থাকুক আমার প্রথম ভালো লাগা সুস্থ থাকুক আমার প্রথম অনুভূতি।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
সময়ের গ্যাঁড়াকল বলেছেন: প্রথম তো তাই ভালোটা লাগা তাঁর প্রাপ্য
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ভালো থাকুক আপনার প্রথম ভালো লাগার মানুষটি।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
সময়ের গ্যাঁড়াকল বলেছেন: খুব ভালো খুব সুস্থ থাকুক এই দোয়াই করি
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৩
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভালই লাগলো আপনার প্রথম অনুভূতির স্মৃতিচারণ।