![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন সবাই মিলেমিশে আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যেখানে থাকবে না দরিদ্র, রাজনৈতিক হানাহানি, দুর্ণিতি, পেশীশক্তির শোষন।
প্রেমিকের নাম এহসানুল হক তন্ময় (১৬) ও প্রেমিকার নাম শেহরীন রহমান মীম (১৬)। দুজনই রাজধানী ঢাকার মগবাজারের প্রভাতী বিদ্যা নিকেতনের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
স্বপ্ন ছিল তাদের একসঙ্গে ঘর বাঁধার। একসঙ্গে বেঁচে থাকার। মরলেও একসঙ্গে মরার। সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না কারোরই। একজন জীবন দিয়ে ভালবাসার ঋণ শোধ করল। অন্যজন মরতে গিয়েও পারেনি। তারা প্রেমিক যুগল তন্ময় আর মীম। বয়সে দু’জনই কিশোর। স্কুলের সহপাঠী। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। তারপর দিন দিন প্রেমকে পরিণত করার চোখে স্বপ্ন। আজীবন একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তে বাদ সাধলো পরিবার। জোর করে প্রেমিকাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অটল প্রেমিকযুগল। বৃহস্পতিবার বিকালে বাসা থেকে পালিয়ে যায় তারা। রাতভর এলোমেলো এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা শেষে দুজনের সিদ্ধান্ত আত্মহত্যা করার। জীবনে বেঁচে থেকে যদি একে অপরকে না পাই মরে পরকালেই এক হবো। এমন সিদ্ধান্ত থেকে নেয় তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত। ভোরে হাতিরঝিল ব্রিজের ওপর থেকে দেয় পানিতে ঝাঁপ। প্রথমে প্রেমিক, তারপর প্রেমিকা। মরতে চেয়েও বেঁচে গেলেন প্রেমিকা। বাঁচলো না প্রেমিক, অমর প্রেমের উদাহরণ হয়ে রইলো সে। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি গতকাল ভোরের।
পুলিশ জানায়, গতকাল ভোরে হাতিরঝিলের রামপুরা অংশের এক নম্বর ব্রিজের ওপর থেকে প্রথমে পানিতে ঝাঁপ দেয় তন্ময়। তারপর মীমও ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় পাশেই সুমন নামে এক নিরাপত্তাকর্মী শব্দ শুনে দৌড়ে এসে মীমকে হাবুডুবু খেতে দেখে চিৎকার করেন। আশপাশের লোকজন এসে লেকে দড়ি নামিয়ে দেয়। মীম দড়ি ধরে তীরে উঠলেও ডুবে যায় তন্ময়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে লেক থেকে তন্ময়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
গতকাল মীম এ প্রতিবেদককে বলে, আমি অনেক চেষ্টা করেছি তন্ময়কে বোঝাতে। বলেছি, আমার সঙ্গে তোমাকে মিলতে দেবে না তো কি হয়েছে। আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি তোমারই থাকবো। এ আত্মহত্যার চিন্তা তুমি তোমার মাথা থেকে ঝেরে ফেলে দাও। কিন্তু তন্ময় আমার কথা শোনেনি। তার একটাই কথা আমি তোমাকে চাই। তোমার যদি আর কারও সঙ্গে বিয়ে হয় সেটা আমি মেনে নিতে পারবো না। এ জন্য আমাদের আত্মহত্যা করাই প্রয়োজন। তন্ময়ের এ সিদ্ধান্তে আমিও আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেই।
সুত্রঃ মানবজবিন
তন্ময় ছেলেটা আসলেই বোকা। প্রথমে নিজে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে দুনিয়া থেকে বিদায় নিল। অন্যদিকে মীম পানিতে সাতার কাটতে গিয়ে ধরা খেয়ে এখন আদালতের কাঠগড়ায়। হয়ত কিছুদিন পর মুক্ত হয়ে বাবা-মার কথামত কাউকে বিয়ে করে সংসার করবে। মীম বিয়ের পরে তন্ময় নামক প্রেমিকের কথা আস্তে আস্তে ভুলে যাবে। আর তন্ময় নামক বোকা প্রেমিক আত্মহত্যা করে দুনিয়াও হারাল আখিরাত ও হারাল। এই আত্মহত্যার কারনে তাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
সন্তানেরা পড়ালেখার নাম করে কোথায় যায়, মোবাইলে কার সাথে কথা বলে, কার সাথে বন্ধুত্ব করে.. গার্ডিয়ানদের একটু খেয়াল রাখা উচিত। বর্তমানে প্রেম-পিরিতির এই কঠিন ভাইরাস থেকে সন্তানদেরকে নিরাপদ রাখতে হলে সারাক্ষণ পাহারার মধ্যে রাখতে হবে। কেননা একটু ফাঁক পেলেই ওরা যে কোন অঘটন ঘটাতে পারে......তন্ময়ের মত আত্মহ্ত্যার পথ বেচে নিতে পারে........
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: হায়রে বোকা ছেলে। লেডিস ফার্স্ট কথাটি কি জানতি না? আর হায়রে পেরেম...! একজন জলে ডুবে আরকজন লুকিয়ে সাঁতরায়....
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮
পথহারা নাবিক বলেছেন: ছাগুরে ছাগু!!
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫০
লেখোয়াড় বলেছেন:
হৃদয় বিদারক ঘটনা।
মা-বাবা'রা এত কঠিন না হলেই পরতো।
৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ১৬ বছরের ছেলেমেয় ইমোশানেল, এদের পরিবার ও স্কুল তাদের দায়িত্ব পালন করেনি সঠিকভাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
বুকের মধ্যে বায়ান্নটা মেহগনি কাঠের আলমারি বলেছেন:
বেচারা বোকা ছেলেটা!
এই ছেলেটা কি বেশিইই বোকা!! নাহলে ছেলেরা তো খুব হিসেবী হয়!