![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন সবাই মিলেমিশে আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যেখানে থাকবে না দরিদ্র, রাজনৈতিক হানাহানি, দুর্ণিতি, পেশীশক্তির শোষন।
১. লজ্জাশীল। কেননা লজ্জা না থাকলে যে কোন অন্যায় করা যায়। লজ্জা সব ধরনের কল্যাণ বহন করে।
২. স্বভাব-চরিত্র ভাল কর। কেননা এটাই হবে নেকীর পাল্লায় সবচেয়ে ভারী।
৩. কর্কশ ভাষা পরিহার কর। কেননা কর্কশ ভাষার পরিণাম জাহান্নাম।
৪. অহংকার কর না। কেননা অহংকারের পরিণাম জাহান্নাম।
৫. আগেই সালাম দেওয়ার চেষ্টা কর। কেননা আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা উত্তম ব্যক্তি হচ্ছে প্রথমে সালাম প্রদানকারী।
৬. অসহায় মানুষকে খাদ্য দাও। কেননা এর বিনিময় জান্নাত।
৭. দু’কানে মানুষের ভাল কথা শ্রবণ কর। কেননা এর পরিণাম জান্নাত।
৮. দুই কানে মানুষের মন্দ কথা শ্রবণ কর না। কেননা এর পরিণাম জাহান্নাম।
৯. মুখ ও লজ্জাস্থান নিয়ন্ত্রণ রাখ। কারণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হলে পরিণাম জাহান্নাম।
১০. মানুষের সম্পদ অবৈধ ভাবে গ্রহন কর না। কেননা এতে অন্তরের উপর ছাপ পড়ে যায়, যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত মিশে না।
১১. পিতামাতার সেবা কর। কারণ তারা জান্নাতের মাধ্যম।
১২. তিনজন এক সাথে থাকলে তৃতীয়জন ছেড়ে দু’জন চুপে চুপে কথা বল না।
১৩. মানুষকে অপমান কর না। কারণ এটাই সবচেয়ে বড় সুদ।
১৪. মানুষকে সালাম দাও। কারণ যে সালাম দেয় না, সে সবচেয়ে বড় কৃপণ।
১৫. গভীর রাতে রাস্তায় চল না। কারণ এসময় এমন প্রাণী চলে যাদের দেখা যায় না।
১৬. রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরাও এটা তোমার জন্য ছাদাকা হবে।
১৭. কোন বৈঠকে বসলে পঞ্চিমমুখি হয়ে বস। কারণ প্রতিটি জিনিসের একটা মূল অংশ আছে। আর বৈঠকের মূল অংশ হচ্ছে পঞ্চিম দিক।
১৮. মানুষের মুখের উপর প্রশংসা কর না। কারণ এতে তাকে জবেহ করা হয়। অথ্যাৎ তার মধ্যে অহংকার এসে যায়, যা তার ধ্বংসের কারণ।
১৯. রাতের প্রথমাংশ পার হওয়ার পর গল্প কর না। কারণ এই সময় আল্লাহ তায়ালা একম কতক সৃষ্টিজীব পাঠান, যা তোমাদের জানা নেই।
২০. ধৈর্যশীল হয়ে প্রশান্তিও সাথে কাজ কর। কোন সময় তাড়াহুড়া করে কোন কাজ কর না। কেননা প্রশান্তি আসে আল্লাহর পক্ষ থেকে আর তাড়াহুড়া আসে শয়তানে পক্ষ থেকে।
২১. কথা বলার পূর্বে সালাম দাও। কেউ সালা দেয়ার পূর্বে কথা বলা আরম্ভ করলে তার উত্তর দিও না।
২২. পরিবারকে সংশোধন করার জন্য চাবুক এমন স্থানে রাখ, যেন পরিবার তা দেখতে পায়। কারণ এটাই তাদেও জন্য শিষ্টাচার।
২৩. প্রতিবেশীর খোঁজখবর নিও। কেননা এমন মানুষ মু’মিন হতে পারে না, যে নিজে তৃপ্তি সহকারে খায় এবং প্রতিবেশী ক্ষুধার্থ থাকে।
২৪. কাউকে দোষারোপ কর না, কাউকে অভিশাপ দিও না । কাউকে অশ্নীল কথা বল না, কারো সাথে হীন আচরণ কর না। কেননা এমন মানুষ মুমিন হয় না।
২৫. যে কাজ মানুষের সামনে করতে খারাপ মনে কর, তা গোপনেও করিও না।
২৬. রোদ ও ছায়ার মাঝে বস না। কেননা এরুপ বৈঠক শয়তানে বৈঠক।
২৭. দু’জন কোন স্থানে বসে থাকলে, তুমি সেখানে অনুমতি ছাড়া যেও না।
২৮. একাকী বাড়ীতে থেক না এবং একা সফর কর না।
২৯. মানুষ অনুগ্রহ করলে তার শুকরিয়া আদায় কর। কেননা যে মানুষের শুকরিয়া আদায় করে না, সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে না।
৩০. এমন কথা আজ বল না, যার কৈফিয়ত কাল দিতে হবে।
৩১. ছালাত আদায় কর। কারণ ছালাত বিহীন বাকী আমল বাতিল হবে।
৩২. অত্যাচারিত ব্যক্তির বদ দোয়া থেকে বেঁচে থাক, কাফের হলেও। কেননা এমন দোয়া নিশ্চিত ভাবে কবুল হয়।
৩৩. দুনিয়া থেকে সাবধান থাক। কেননা দুনিয়া সবুজ, সুন্দর, মনোহর মিঠা বস্তু।
৩৪. সদা সত্য কথা বল। কেননা সত্যের পরিণাম জান্নাত।
৩৫. কখনো মিথ্যা বল না। কেননা মিথ্যার পরিণাম জাহান্নাম।
সুত্রঃ---------------
বইঃ
আদর্শ পরিবার
আবদুর রাযযাক বিন ইউসুফ
©somewhere in net ltd.