নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদর্শ সমাজ

অস্থির

নেটবুক

নেট পাগল আমি

নেটবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যযুগের গৌরবোজ্জল মুসলিম শাসন

১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৭







ভারতীয় উপমহাদেশে মধ্যযুগে মুসলিম শাসন এক গৌরবোজ্ঝল ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে। মধ্যযুগের পূর্বে এদেশের শসন ক্ষমতায় বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মগোষ্ঠীর দীর্ঘকালীন অবস্থান বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটি কাঠামো দাঁড় করাতে সাহায্য করে। মুসলিম শাসকগণ সমগ্র মধ্যযুগব্যাপী এদেশের শসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। একই ধর্মগোষ্ঠীর কিংবা অভিন্ন সংস্কৃতির ধরক শসক গোষ্ঠী দীর্ঘদিও ক্ষমতায় থাকর ফলে রাজনৈতিক অবস্থার সঙ্গে এদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক পরিবর্তনের ধারা সংযোজিত হয়। মূলত মধ্যযুগে মুসলিম শাসন দুইভাগে বিভক্ত যথাঃ

১. প্রাথমিক পর্যায়ঃ ১২০০-১৩৩৮ খ্রীঃ এ সময় মুসলমান শাসকগণ সীমিত অঞ্চলে তাদেও অধিকার প্রতিস্ঠা করতে পেরেছিলেন। এ সময় তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ই দিল্লীর প্রতিনিধি হিসোবে ্অঞ্চলিক শাসনকর্তার মর্যাদা লাভা করেন।

২. শেষ পর্যায়ঃ ১৩৩৮-১৫৩৮ খ্রীঃ এ সময় ছিল বাংলার সুলতানি শাসনকালের প্রায় অব্যাহত স্বাধীনতার যুগ। বাংলা তখন স্বাধীন সার্বভৌম সত্ত্বা নিয়ে আপন মহিমায় উদ্ভাসিত।

মুসলিম পূর্ব সমাজঃ

ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম আগমনের পূর্বে এদেশে বিদ্যমান ছিল হিন্দু ও বৌদ্ধ সমাজ কাঠামো । মৌর্য শাসনের পূর্বে ব্যাপক অর্থে বাঙ্গালির কোনো রাজনৈতিক সত্ত্ গড়ে ওঠেনি। তৃতীয় ও পঞ্চম শতাব্দীতে যথাক্রমে মৌর্য এবং গুপ্ত শসন যুগে ব্রাহ্মণ্য এবং বৌদ্ধ ধর্মশ্রয়ী একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামো গড়ে উঠেছিল। এ সময় জৈন ধর্মেও একটি ক্ষীণ ধারাও সমাজ জীবনে পরিলক্ষিত হয়। সপ্তম শতাব্দীর প্রারম্ভে শশাঙ্কের বৌদ্ধ বিরোধী ভূমিকার প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ –পূর্ব বংলায় বৌদ্ধ ধর্মেও বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। এরই পথ ধরে অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি বংলায় বৌদ্ধ রাজবংশ পালদের উত্থান ঘটে। মধ্যযুগের সূচনার পূর্বে রাজক্ষমতায় ছিলেন ব্রাহ্মণ্য ধর্মাশ্রয়ী সেন বংশের রাজাগন যারা ছিল সুদূর কর্ণাটক থেকে আগত বিদেশী ব্রাহ্মণ। পাল বংশের পতনের মধ্য দিয়ে সন বংশের উত্থান ঘটে। আর পালরা ছিলো এদেশেরই বংশজাত শাসক। বৌদ্ধ পালদেও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিী ছিলো উদার, অন্যদিকে ব্রাহ্মণ্যবাদী সেনদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো অনুদার, সংকীর্ণ এবং চরম অমানবিক। বৌদ্ধদের উদার দৃষ্টিভঙ্গির ফলে ও রাজপৃষ্ঠপোষণায় হিন্দু ধর্ম ও বিকশিত হতে থাকে যার ফলে ব্রাহ্মণদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ক্রমশ দেখা যায় অনেক হিন্দু পালযুগে রাজকবি, মন্ত্রী এবং অন্যান্য উচ্চ পদ অলঙ্কৃত করেন ও রেখেছেন।

মুসলিম আগমনের প্রেক্ষাপটঃ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.