নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঁচমিশালী সনেট( চৌদ্দ সনেট পর্ব-৪) রিপোষ্ট (TSN-22)

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২২



(এক)

আল্লাহর বান্দা

আজ আছে কাল নেই, সামান্য মানুষ
কত কি যে মনে করে নিজেকে! অথচ
ছোট দেহে গুনে খাট, নিতান্ত অলস
সৃষ্টিকূল সেরা জীব, ভাবেনা বাস্তব!
কে কখন চলে যাবে, পাবেনা সময়
বিন্দুমাত্র; সে ভাবনা মনের গভীরে
কারো নেই।অনাচারে যা খুশি সকল
করে চলে অহর্নিশ, রিপুর তাড়নে।

নাস্তিকের দল ভাবে, বেশতো ভালই
‘খাও দাও ফুর্তি কর’-কি বুদ্ধি মাথায়!
ভাবনাটা ভুল হলে, কেমন কি হবে?
আল্লাহর বান্দা থাকে সত্যের সন্ধানে,
তা’ না হয় সত্যের কি গরজ পড়েছে
এমনিতে ধরা দিবে? ভাব হে মানুষ!

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(দুই)

আল্লাহতে চিরন্তন শান্তি

জড়ায়ে কঞ্চির দেহ লতা বেয়ে উঠে
লিক লিকে ডগা খোঁজে অবলম্বন কোন,
মায়া হয় দেখে উহা। চাষী দৃষ্টি পড়ে,
বাকশূণ্য প্রাণী পরে। কি কর্তব্য বুঝে!
মাচানের সমারোহ ছোঁপ জ্বাল কত
গড়ে উঠে ক্ষেত জুড়ে।সবুজের দলে
ফুলে ফুলে ভরে যায়।বাতাসের দোলে
দলে দলে তরকারী, ঝুলে ঝুলে থাকে!

রাহমান রাহীমের এসকল দান
বিশ্বাসীর মনে আনে শুকরিয়া।আর
অবিশ্বাসী মনে করে, প্রকৃতির শোভা!
ধারণায় তারা সব সত্য ভোলা মনে
আস্ফালন করে নিত্য।মু’মিনের চিত্ত
আল্লাহতে খুঁজে ফিরে চিরন্তন শান্তি।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(তিন)

কবি কাজী নজরুল ইসলাম

অন্যায়ের প্রতিবাদে অনন্য।প্রকাশে
হীরকের মত ধার ভাষার গর্জন
ধ্বনিময় সাহিত্যের বিরল দৃষ্টান্ত,
কোথাওকি আছে আর দ্বিতীয় এমন?
প্রজ্জ্বলিত অগ্নিরূপ দ্রোহের অনলে
প্রকম্পিত অত্যাচারী।অগ্নির বীণার
ঝঙ্কারের সাথে বাজে বিষের বাঁশির
সূরলয়, নজরুল এমনি স্বপ্নীল।

মানুষের ভগবান খোদার আসন
কেড়েনেয়া শয়তান, কবির ‘বিদ্রোহী’
কবিতায় হেয়নস্তা, সালাম এ দ্রোহে।
বিস্ময়ের এক নাম উন্নত শীরের
‘নজরুল ইসলাম’। গান ও গজলে
বুলবুল খ্যাত তিনি, স্মরণে অম্লান।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার তিন তিন
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(চার)

কবি কাজী নজরুল ইসলাম

নজরুল ইসলাম সাহিত্য ভান্ডারে
ঢেলেছেন ঢের বেশী।পেলেন সামান্য
খরচার অনুদান। ভাবেনা এসব
অকৃতজ্ঞ জনতার কৃপণ অন্তর।
আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা একান্ত
কবি যেন ক্ষমাপান।তিনিতো মহান
দয়াময়, ইচ্ছে হলে করেন যা খুশি
হে আল্লাহ, এ কামনা মঞ্জুর করেন।

ইসলামী সাহিত্যের উচ্ছাসে কবির
কতজন হয়েছেন সফল জীবনে
পথ পেয়ে, বিপথের সরায়ে আঁধার।
ভুলত্রুটি যত আছে কবির বেলায়
ক্ষমা যেন করে সব আল্লাহ মহান
নেক কাজ যদি হয় ভুলের মাসুল।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার তিন তিন
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(পাঁচ)

রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর

সাহিত্যের সুষমায় রবীন্দ্রনাথের
শিল্পায়ীত সৃষ্টি সব।ঝিলম তীরেতে
বলাকার রূপ দেখি।কি চিত্র নির্মম
অসহায় ফটিকের, দূর্বার চরিত্র!
হৈমন্তী ও মৃন্ময়ীর আলোক আঁধার
কাহিনির গভীরতা পাঠক হৃদয়ে
সযতনে চিত্রয়িত বিরহ মিলন
রবীন্দ্রের কারুকাজ খচিত বিস্ময়।

বিচরণে বাদ নেই এ কবি গুরুর
সাহিত্যের কোন শাখা, কি গল্প কবিতা
সমাদৃত উপন্যাস গানের ধারায়।
আমাদের ভাগ্য ভাল পেয়েছি এমন
গুণীজন, নক্ষত্রের আলোক উদ্ভাস,
রতনের রাজি মাঝে অমূল্য রতন।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার তিন তিন
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ছয়)

হিন্দু ও দুর্গা দেবী

হিন্দুর বিশ্বাসে দুর্গা দশভুজা দেবী
সমগ্র জগত জুড়ে। প্রতিষ্ঠায় ন্যায়,
কৃতীত্ব অসুর বধে। ভক্তের মঙ্গল
বিধানে আসেন দেবী শরতের কালে।
গণেশ কার্তিক লক্ষ্মী সরস্বতী শিব
স্বামী ও সন্তান নিয়ে কৈলাশেতে বাস
সকল দেবতা-দেবী পরিবারে সব,
পূজা ও পার্বণে তারা স্মরণীয় হয়।

দুর্গার প্রকৃত কথা ভক্ত দল প্রতি,
অসুর বিনাশ কর! উল্টা যদি হয়
ভক্তই অসুর, তবে কি উপায় হবে?
ধরায় দেবীর প্রতি অনুগত দলে
খলের আশ্রয় নেই,এসকল জন
নিরন্ত আঁধার যাত্রী, দেবী শত্রু এরা।


# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণ বিন্যাসঃ তিন তিন দুই চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

বিঃদ্র কবিতাটি হিন্দু ভক্তদের অনুরোধে লেখা, তবে খেয়াল রেখেছি যেন আমার বিশ্বাস লংঘন না হয়।

(সাত)

কবি নাঈম জাহাঙ্গীর নয়নের কবিতার সনেট রিমেইক

আশায় উদাস চোখ ভরা গাঙ্গে ফিরে
গুনিয়া নদীর ঢেউ, ভাঙ্গা মনে ক্লান্তি,
অপেক্ষা ক্লান্তির শেষে শান্ত সন্ধা নামে,
গোধুলী রাঙ্গানো হৃদে বাজে কত সুর ।
প্রীতির মায়ার নৃত্যে গুন গুন গান,
মনের আরাধ্য প্রেম বানে ভেসে যায়
হে প্রিয়, অভাগী মনে পাবে কিহে ঠাঁই?
বিরহী ভাবনা অশ্রু নদী পাড়ে ঝরে।

সুরুজ চাঁদের আলো বসন্তের বায়
অঝোর ধারায় ঝরে, মন-প্রাণ ভরে,
ফুলের সুঘ্রাণ স্নাত মানুষের প্রীতি,
যখন কাষ্ঠের মতো পুড়ে হয় ছাঁই,
তখন স্বার্থক হয়ে ভালবাসা কারো,
মনের মানুষ আসে বিশ্বাসের ঘরে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ তিন তিন দুই চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

কবি নাঈম জাহাঙ্গিরের কবিতা-

মনের মানুষ আসবে ফিরে

কি আশায় উদাস দুচোখ, ভরা গাঙ্গে
কার প্রতীক্ষা, ঢেউ গুনিয়া মন ভাঙে-
রৌদ্র দুপুর শান্ত বিকেল সন্ধ্যা সাজে?
গোধূলি রাঙা হৃদয় কোণে সুর বাজে-
যার মায়ায়, নৃত্যে হিয়া কোন'সে গানে
ক্লান্ত বদন, ভাসো সদা'য় প্রেমো-বানে?
শ্রাবণ ভারী নয়ন ঝরে নদী-পাঁড়ে,
বাঁধবে নাকি ভালোবাসা'য়, স্বপ্ন বাড়ে?
আকাশ জোড়া চন্দ্রসূর্য নিয়ম করে-
জোছনা রোদে মুগ্ধ মানুষ প্রয়োজনে।
গোলাপ বকুল গন্ধে সদা মুগ্ধ করে;
কাষ্ঠ দেখো পরোপকার করছে পুড়ে।
ভালোবাসা রইবে না কভু অবিশ্বাসে,
বিশ্বাসে মনের মানুষ আসবে ফিরে।

(আট)

কবি নাঈম জাহাঙ্গীর নয়নের ‘লগ্ন’ কবিতার সনেটে রূপায়ন

গা-জুড়াতে ঘাটে বসি, কলসিটি কাঁখে
নদী ঘাটে আসে কন্যা, সখিগন সনে
হাস্য মুখ, যেন কোন, ঝর্ণা জলে ধোয়া
মধুময় কথামালা মুগ্ধ করে মন।
হে নয়ন, এ লগ্ন এ বসন্তের বায়
দেখ দেখি মৌন-নদ কল কল বহে,
কন্যা যায় টলমলে কচি-কাঁচা দেহ
সে দিকেই চেয়ে আছে, দুরাচার এক!

কি সুন্দরী! যৌবনেতে দেহখানি ভরা,
কূ-দৃষ্টির ঘেরা টোপ তারে ঘিরে ধরে
কন্যা দেহে অপলক, অনা সৃষ্টি কত!
ওরে বেটা শয়তান, অসভ্যের গুরু!
বিনাশিতে এ জীবন ওরে কেরে তুই?
জেনে রাখ, এ আমার জীবনের সব।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

কবি নাঈম জাহাঙ্গীর নয়নের ‘লগ্ন’ -

নদী-ঘাটে ভর দুপুরে কলসি কাঁখে,
জল আনিতে যাও কন্যা সখির সনে।
হাস্য-উজ্জল মুখটি যেনো ঝর্ণা ঝরে,
মিষ্টি মধুর কথায় যেনো মুক্তা পড়ে ;
মৌন-নদে বইছে পানি কল কলিয়ে।
অঙ্গ ভরা যৌবন যেন-দোলে বাতাসে,
প্রেমো হাওয়া লাগলো বুঝি এ-বসন্তে;
বিস্ময়েতে উদাস দেখা, দুচোখ মোহে।
প্রিয় মুখ দেখে আমার হৃদয় নাচে,
বন্ধু ছাড়া কাঙ্ক্ষিত এই সুখ-বসন্তে;
হিজল ডালে কোকিল ডাকে দূর-বনে,
বিরহে দাহ প্রহর গুলো, মন ফাগুনে।
হৃদয় পোড়া কভু কি আর থামে জলে,
লগ্ন বুঝি মন ভাসাতে প্রেমের বানে।

বিঃদ্রঃ লগ্ন কবিতাও চতুর্দশপদী।

(নয়)

কবি খলিল মাহমুদ (সোনাবীজ অথবা ধুলোবালি ছাঁই )

হে খলিল মাহমুদ গবেষণা লয়ে
সনেটের, আপনাকে সুনির্মল দেখি।
উপদেশ গুলো দেখি মুক্তা রাশি যেন
প্রতিপদে, ঝলমলে রতনের রাজি।
অবলোকে বাড়ে বেলা, মনে হয় কত
সোনাবীজ!অথবা কি ধুলোবালি ছাই
উড়ে উড়ে মনি মুক্তা কপালেতে মিলে,
আপনার উপদেশে, আনন্দীত মন।

কত সুখ ব্যঞ্জনায় চারদিকে আলো,
কেটে যায় একে একে হতাশার মেঘ
অরুণের প্রখরতা প্রতাশিত হয়ে
চার দিক আলো করে প্রশান্তির ঘোরে।
মনে হয় পৌঁছে গেছি সনেটের নীড়ে,
হে শিক্ষক ধন্যবাদ, সাফল্যের সিড়ি!

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(দশ)

কবি খলিল মাহমুদ (সোনাবীজ অথবা ধুলোবালি ছাঁই )

হে খলিল মাহমুদ সাহিত্যের নীড়ে
প্রতিভাত প্রতি দিন, আপনাকে দেখি
যেন কোন পূর্ণচাঁদ! উর্ধ্বে তোলে শীর
এ জমিনে সোনাবীজ, ছায়া দেয় কত!
বন্ধনের বাহু মুক্ত ধুলোবালি ছাঁই
উড়ে চলে আকাশেতে অজানায় যায়
আধারের তলে মিশে। সেথা ফুটে আলো,
মনে লাগে কত ভাল, কি চমক প্রাণে!

সাহিত্যের ওহে সেরা গল্পকার কবি,
নিবন্ধতে অনুপম প্রকাশিতে প্রিয়
অনুভূতি! যেথা পাই আন্তরিক সব
অনুসঙ্গ! আরো কত মন্তব্যের কথা।
এ সামান্য উপহার পরে নিন তবে
শ্রদ্ধা ভরা ফুল মালা, মন শান্তি হোক!

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(এগার)

আহমেদ জি এস ও দেবলীনা

স্যার, আমি দেবলীনা, আপনার লীনা
মনোযোগ দিয়ে পড়ি আপনার সব
কবিতার গুষ্ঠি-জ্ঞাতি। পড়ে থাকি আমি
আপনার কবিতায়, কি কারণ হলে?
‘হাতি উড়ে আকাশেতে’ মজাদার কথা!
মধুখেকো মাছি আসে কবিতার ঘ্রাণে!
কবিতার রাজ্য জয়ী বীর এক দেখে
ক্ষণে ক্ষণে নিত্য আমি বিমোহীত হই।

জিজ্ঞাসিত হয়ে আমি ভাবছি কি বলি?
অজানার কত কথা জেনে হই প্রীত
আপনার কবিতায় সজিবতা আছে!
আহমেদ জি এস হে কবিতায় প্রাণ
থাকে যার অফুরান, যাদু করে পাঠে,
দেবলীনা এটুকুই জানে সদা স্যার।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ নেই
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(বার)

কবি সুমন কর ও কবিতা ‘তুমি’

এবঙ্গ গৌরব কবি অনন্য সম্পদ
ওবঙ্গে সমান দীপ্ত কি স্নিগ্ধ অপার!
কাব্যতে সুমন করে বলব কি আর
কবিতা ‘তুমি’তে সেটা প্রকট যে পাই।
প্রেয়সি বিহীন ক্ষতে কেমন বিপদ
কেমন সে তারে বিনা জীবন অসার
জীবনে কতটা কার দখল প্রিয়ার
‘তুমি’তে তা’করে পাঠ আকুল সবাই।

ছন্দের অমৃত ভরা কাব্যের এ ছবি
হবেনা পাঠক মন কখনো বিস্মৃত
কবিতা ছুঁয়েছে মন যেমন হে কবি
সাহিত্য ভাস্কর দীপ্তি আকাশ বিস্তৃত।
ছন্দের এধারা যেন কভু না শুকায়
একবি এমন থাক এবঙ্গ তা’চায়।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙ চচ
# মাত্রা বর্ণ বিন্যাসঃ তিন তিন দুই তিন তিন
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

শায়মা বলেছেন: সনেটভাইয়া!!!!

আমার চিত্র প্রদর্শনীর পোস্টে তোমার একখানা নিউ নিউ সনেট চাই!!!!!!!! :)

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সনেট কবি বলেছেন:





চিত্রকর শায়মা

শায়মা দেখেছি এক অনবদ্য স্পর্শ
চিত্রপট পেন্সিলের কি অসাধারণ!
মনটা পুরোই ছিল অঙ্কনে আবদ্ধ।
সাধনা চুড়ান্ত রূপে হয়েছে বিমূর্ত।
চিত্ররূপে পাকাহাত বলতেই হবে;
ফপোগ্রাফ অনুরূপ পেন্সিল ডগায়
জীবন্ত চিত্রের মাঝে কারুকাজে, নেত্র
সেথায় আটকে থাকে কি আর বলব!

শিল্পে চিনায় শিল্পির উচ্চতা কেমন?
ঈর্ষা কি নামাতে পারে উঁচুকে নীচুতে?
গুণেতে গুণীর দীপ্তি চিরন্ত ভাস্বর।
শায়মা প্রত্যয় রশ্মি এমনি সুদৃঢ়
যে জন ধারণ করে সাফল্য সালাম
সর্বদা জানায় তাকে বিনম্র শ্রদ্ধায়।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সনেট কবি বলেছেন: আপনার মন্তব্যে খুশী হয়েছি। তবে এত্ত বিস্ময় চিহ্ন দেখলে আমি মন্তব্য মুছে দেই।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৪

সনেট কবি বলেছেন:




পেন্সিল চিত্রে শায়মা

প্রচেষ্টার শেষ বিন্দু এখানে প্রকট
চিত্রকল্পে পরিস্ফুট ভাবের দোতনা
নেই দোলাচল কোন অটল প্রত্যয়ে
অবশেষে শিশিরের টলমল রূপ।
পেন্সিলের গতিপথ মেধাও মননে
ফুটিয়েছে চিত্রপটে অনন্য সুন্দর
চিত্রকর্ম মুগ্ধতায় নয়ন বিস্ময়,
নিরপেক্ষ বিবেচনা স্বীকার্য্য সে কথা।

চেনা মুখ সেরকম বাস্তব অঙ্কনে
উপভোগ্য হৃদয়ের অন্তরিন নেত্রে
একছত্রে সে কথাটি বলে দেয়া যায়।
ধন্যবাদ শায়মায়, এ চেষ্টা কষ্টের,
করেছেন বলে তারে উপহারে দেই,
কামনা এমন আরো পরিদৃষ্ট হোক।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

সনেট কবি বলেছেন:



শায়মার অন্যন্য অঙ্কন প্রচেষ্টা

খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি অদ্ভুত সুন্দর
পেন্সিলের আাঁকা ছবি ছন্দময় রূপে
পরিস্ফুট। মুগ্ধ মন নিস্তব্ধ সুখের
ব্যঞ্জনা আপ্লুত হয়ে সেথায় আবদ্ধ।
বে বলে পারেনা শিল্পী আঁকতে অনন্য
চিত্ররূপ কোন? তবে সে এখন মিথ্যে
প্রমাণীত হলো শিল্পী কারুকল্প আর
শ্রেষ্ঠ শিল্প দক্ষতায়, উত্তম জবাব!

শায়মার চিত্রকর্ম এবার দেখুক
লোকে সুবিবেচনায় একি তার নয়?
অহেতুক কেন তবে দোষারোফ করা?
সে অতীত মনে রেখে অহেতুক নয়
মনকষ্টে ভোগা কোন, এগিয়ে যাওয়া
নাহি যেন রোখে কোন পিছুটানা ঘোর।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

শায়মা বলেছেন: :)


থ্যাংকস থ্যাংকস থ্যাংকস একটার বদলে চারটা!!!!!!

অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া!!!!!!

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪০

সনেট কবি বলেছেন:



শায়মাকে চিত্রকর্মে সাধুবাদ

অদ্য দিশেহারা হয়ে কর্মচাপে ক্লান্ত
মন নিয়ে ব্লগে ঢুকে দিশা ফিরে পাই
শায়মার চিত্র দেখে। কাঁচাসোনা আর
হীরে কণা যেন দৃষ্ট সে চিত্র কলায়।
চিত্রে প্রকাশ্য যাদের প্রতি রূপ দেখি
যথার্থ তা ফুটেছে সে রূপের মতন।
রূপোর থালার মতো ক্যানভাসে ভাসে
মান্যি গুণ্যিদের ছবি শিল্পীর মননে।

হে শিল্পী এ শিল্প গেল হৃদয়েতে গেঁথে
আর সেখানেই যদি স্থায়ী হয়ে যায
তবেতো শায়মা মনে পাবেন স্থায়ীত্ব।
শিল্পী পানে শ্রদ্ধাবোধ ঋণ শোধে ভাল
সে কথায় সে বোধের প্ররিচর্যা করে
শায়মাকে চিত্রকর্মে সাধুবাদ দেই।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

সনেট কবি বলেছেন: আমার পোষ্টে বিস্ময় চিহ্নের আধিক্য ছাড়তে হবে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৮

সনেট কবি বলেছেন:



শায়মাতে ঈর্ষা

ঈর্ষায় প্রতিভার কি বিস্ফোরণ ঘটে
শায়মাতে সে কথাই পরিদৃষ্ট হয়
ছবির ছেলের ছবি ছবির মতন
গেমুকে দারুণ লাগে অঙ্কন নৈপূণ্যে।
বিদ্রোহী ভৃগুর হাসি উচ্ছল প্রাণের
দেখার মতন এক সুচিত্রই বটে।
রাবেয়া আপির ছবি সারল্যে দূর্দান্ত
অন্যসব ছবিগুলো দারুণ সুন্দর।

আমার ভাবের আজ ভেঙ্গে গেছে বাধঁ
কোথায় হারিয়ে গেছি জানিনা সে ভাবে
এভাবে কেড়েছে মন শায়মার গুণ।
কষ্টের এ ফল তবে আনন্দ কানন
ফুলে ফুলে ভরে দিবে দু’হাতে কুড়াতে
শায়মায়, তাই তবে হোক ওহে শিল্পী।

১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

সনেট কবি বলেছেন:



শায়মা চিত্রে কি করি আজ ভেবে না পাই

শায়মা কি করি আজ ভেবে না পাই কে
এঁকেছেন, সে আাঁকার মাঝে আছে স্নিগ্ধ
আবেগের সিন্ধুসম ঐশ্বয্য জড়ানো
অকৃত্রিম হৃদয়ের অনন্য প্রকাশ।
ভাই-বোন সম্পর্কের পবিত্র দৃশ্যের
অনুপম চিত্রায়নে এ শিল্প হয়েছে
আরো গতিময়তায় পরিপূর্ণ কোন
আন্তরিকতার এক আদর্শ প্রতিক।

কবি রাজ্যের নক্ষত্র দু’কবির মাঝে
শায়মা আবার কোন শৈল্পিক চিত্রের
অকল্পনীয় স্বপ্নীল এক চিত্রকর।
তাঁদের কর্মের মাঝে আছে পরিতৃপ্তি,
আছে মুগ্ধতার রাশি, নেপথ্যে লুকানো
অগনন সমৃদ্ধির রত্নের সম্ভার।

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
সনেট ভালো হয়েছে ভাই ++

শুভ কামনা রইলো !

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

সনেট কবি বলেছেন:




কবি কবিরের দু’দন্ড শান্তি নেই কবিতায় মন্তব্য-

শান্তি বাজারে বিকালে আমি কিনতাম
দু’কেজি শান্তি হে কবি। পাশের বাড়ির
শান্তি চলে গেল সোজা ভারতে, অথচ
সে রেখে গেল দারুণ কষ্টকর চিন্তা।
দু’দন্ড শান্তি কোথাও পেলেই ধরব
সে শান্তির টুটিচেপে তারপর তারে
আনব কবির জন্য হিঁচড়ে চেঁচিয়ে
কবির জন্য এটুকু করতেই পারি।

কিন্তু শান্তি যদি হয় কোন কন্যা নাম
তাহলে বিপদ হবে সেকন্যা টানাতে
ফেঁসে যেতে হবে কেসে অপহরণের।
হে শান্তি কোথায় তুমি লুকিয়ে হারাও?
শান্তি চাই শান্তি চাই শান্তি নাই কেন?
তবে শান্তির চাষের কর আয়োজন।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯

সনেট কবি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৪৪

তোফায়েল আহমেদ টুটুল বলেছেন:





স্রষ্টার পরিচয়

আল্লাহ, ঈশ্বর, হরি, প্রভু, ভগবান,
হিন্দু, বৌদ্ধু ,খৃষ্ট, ভবে - কে মুসলমান?
কত জনে কত নামে, করে আহব্বান,
মুখস্ত এ গান ছাড়া, কে ডাকে মহান?
জানে কি আসল নাম? সত্য পরিচয়?
সর্ব শাস্ত্রে স্রষ্টা আছে, জানিবে নিশ্চয়।
বাইবেল, গীতা ,বেদ, আল কুরআন,
ধর্ম নিয়ে মূর্খ করে, তর্কে ব্যবধান।


ভিন্ন কি আল্লাহ, হরি ? শুন ব্রম্মচারী,
ঈশ্বর ,প্রভু কে ডাক ? কত নাম ধরি?
দেখবে বাসনা মনে, হয় যদি কভু ,
আপন হৃদয় মাঝে, খুজে দেখ প্রভু।
নিরাকার রুপ করে, আকার ধারণ,
আশেক মাশেকে প্রেম , আত্মার বন্ধন।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

সনেট কবি বলেছেন:

সত্য অনুসন্ধান

একজন ভিন্ন নাম ভিন্ন পরিচয়
ভিন্ন ভিন্ন দল হয়ে আরাধনা করে।
ভুল কাজে খেসারত দিতে হয় কড়া
মনগড়া কথা হলে নেই লাভ তাতে।
যার হাতে ন্যাস্ত সব কল্যাণ-মঙ্গল
তাঁর মন পেতে চাই প্রচেষ্টা উত্তম
যা খুশি তা’ ভাবা এতে সমিচীন নয়
তাঁর ক্ষেত্রে সত্য খোঁজা জরুরী ভীষণ।

আল্লাহ-নবীর (সঃ) কথা করতে পরখ
কিছুটাতো খাটা চাই, নতুবা কি হয়
সুবিচার সে সত্যের সাথে কোন ভাবে?
সাধনা যে করে তারে দয়াবান করে
সুপথের প্রদর্শণ নিজ মহিমায়,
সে পায় তখন সত্যে উদ্ভাসিত রূপে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

সনেট কবি বলেছেন: সনেট দারুণ হয়েছে প্রিয় কবি। সিগ্র আপনাকে নিয়ে একটা পোষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা রাখি-ইনশাআল্লাহ।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৪৮

তোফায়েল আহমেদ টুটুল বলেছেন:





সত্যের সন্ধানে

আজ আছে কাল নেই জগতে মানুষ,
কে কখন চলে যাবে সময় পাবেনা,
নির্বোধ অলস বোকা কেন যে ভাবেনা,
খাও দাও ফু্‌র্তি কর রঙিন ফানুস।
ষড়রিপুর তাড়নে যা কিছু সকল,
অনাচারে অহর্নিশ কুপথে গমন,
বিন্দুমাত্র ভাবেনা সে আসবে মরণ,
রঙ তামাশার খুশি জীবন বিফল।

মুশরিক বেঈমান পৃথিবীর বুকে,
গর্ধব ভাবছে মিছে দুনিয়াটা সম্বল,
শক্তির অস্থিত্ব খুঁজে নাস্তিকের দল,
কাফের বেদ্বীন ভাবে আছে মহাসুখে।
ভাল মন্দ নির্বাচনে জীবন কল্যাণে,
মুমিন বান্দা সর্বদা সত্যের সন্ধানে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

সনেট কবি বলেছেন:



সত্যের সন্ধান

যখন তখন আসে মরনের কাল
সবছেড়ে মানুষেরা পরপারে যায়
সেথায় কি হতেপারে ভাবেনা অনেকে
বর্তমান নিয়ে তারা ব্যাস্ত অবিরত।
ক্ষণকালে ঢেরমূল্য অনন্তে নিগ্রহ
কি ফল ফলবে তাতে বুঝলে মানুষ
হয়ত এমন ভুল হতোনা তাদের
ভুলের মাসুল গনা অপেক্ষা এখন।

যার পাপ তারে ধরে টানে অমঙ্গলে
সত্যের জ্ঞাপন করা জ্ঞানীর কর্তব্য
মানা না মানা সবার নিজের দায়িত্ব।
অলস অবোধ জন কষ্টকে ডরায়
বিনাকষ্টে তারা সব ভুল পথে চলে
কষ্টে জ্ঞানী পেয়ে যায় সত্যের সন্ধান।

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:৪৪

তোফায়েল আহমেদ টুটুল বলেছেন: প্রবৃত্তি

প্রবৃত্তির তাড়নায় আকাম কুকাম,
কুপথের সর্বনাশ সৎ সঙ্গে সর্গ,
বিবেকের দীধা দন্ধ দিবানিশি তর্ক,
ভাল মন্দ কর্মফলে নাম বদনাম।
কাম রিপুর বাসনা রতি ক্ষয় হলে,
যৌবনের খেলা ছলে চরিত্র বিনষ্ট,
কামনার ঘোর নেশা নিত্য পথভ্রষ্ট,
মানব জীবন ভবে সম্পূর্ণ বিফলে।

লোভের প্রবৃত্তি বুঝে স্বার্থ অন্বেষণ,
হিংসা অহমিকায় গীবত রচনা,
পরের কল্যাণ দেখে পায়না শান্তনা,
ক্রোধের অনলে পুড়ে শুধু অকারণ।
স্বার্থ সিদ্ধি বিসর্জন ত্যাগের মহিমে,
প্রবৃত্তিকে পরিশুদ্ধ আত্মসংযমে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.