নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে ফিতনা সনাক্ত করণ (পর্ব-১)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:১২



ফিতনা কি? ফিতনা হলো গন্ডগোল সৃষ্টি। ইসলামে কারা গন্ডগোল সৃষ্টি করে? তার একটা নমুনা নিম্নে উপস্থাপন করা হলো-
ইসলাম কেমন? সহজ উত্তর যার মনে যেমন। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাহাকেও সেজদা করা অনেকে বলে শির্ক, অনেকে বলে শির্ক নয়। যদি শির্ক হয় তবে আল্লাহ আদমকে (আঃ) সিজদা করতে বললেন কেন? তবে কি তিনি শির্কের নির্দেশ প্রদান করলেন? তবে আল্লাহ ছাড়া অন্য কাহাকেও মাবুদ মনে করে সিজদা করা অবশ্যই শির্ক।কারণ ইসলামে আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই।অন্যকে মাবুদ মনেকরে সিজদা করা মানেই অন্যেকে আল্লাহর সাথে একই বিষয়ে শরিক বা শির্ক করা।এখন যে কাজের একটি হালত শির্কের মত জঘণ্য সে কাজের বেলায় আল্লাহর আদেশ না থাকলে তা’ না করাই শ্রেয়। ফিরিশতারা আদমকে (আঃ) সিজদা করেছেন আল্লাহর আদেশ ছিল বলেই।কিন্তু আল্লাহর আদেশ না থাকলেও ইয়াকুব (আঃ) ইউসুফকে (আঃ) সিজদা করেছেন, যদিও মহানবীর (সাঃ) কোন সাহাবা (রাঃ) তাঁকে সিজদা করেননি। কাজেই মহানবির (সাঃ) উম্মতের আল্লাহ ছাড়া অন্যকে সিজদা করার কোন অপশন নেই।তথাপি পীরকে সিজদা করা হয় এবং মাজারে সিজদা করা হয়। আল্লাহ যা আদেশ করেছেন মানুষ সেটা করেই কুল করতে পারে না।তো যে বিষয়ে আদেশ নেই তা’ করার কি দরকার থাকতে পারে? পীর ও মাজারকে সম্মান জানাতে কি এটা করাই লাগবে? তো পীর ও মাজারের সম্মান কি মহানবির (সাঃ) চেয়েও বেশী? মহানবি (সাঃ) যা পাননি, পীর ও মাজার সেটা কেন পাবে? সম্মান জানাতে মহানবি (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) যেমনটা করেছেন তার বাইরে যাওয়ার দরকার কি? আর এটাই হলো অতিরিক্ত ফাইজলামী। আর এটাই হলো ফিতনা। কারণ অনেকেই এটা করার যোক্তিকতা খুঁজে পাবেন না বলে এটা করবেন না, আর অতি বুদ্ধিমান এটা করে মুসলমানদের মাঝে বিভাজন তৈরী করে। কাজেই এখানে যারা আল্লাহকে ছাড়া অন্যকে সিজদা করে তারাই ফিতনা। যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে সিজদা করে না তারা ফিতনা নয়।কারণ তারা বিভাজন তৈরী করার জন্য দায়ী নয়।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মাজার হচ্ছে অত্যাধুনিক একটি অতিপুরাতন ব্যাবসা, অনেকে বলে থাকেন “ধর্মগ্রন্থ রিসার্চ করে বড় বড় আবিস্কার হয়েছে” কথা সত্যি - এম এল এম থিউরী প্রতিষ্ঠানের লোক ঠকানোর প্রতারণার মার্কেটিং - মাজার আর পীর ব্যাবসা থেকে ধারণাপ্রাপ্ত ব্যাবসা ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:২৮

সনেট কবি বলেছেন: হক কথা। কোরআন ঘেঁটে অনেকে অনেক নতুন কিছু বের করে। যা সবাই গ্রহণ করতে পারে না। আর এ ভাবেই ইসলামে নতুন নতুন দল তৈরী হয়ে বহু দল হয়েছে।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আটরশি, বাবে রহমত দেওয়ান বাগ, কুতুব বাগ, শার্শিনা, শাহ চন্দ্রপুরী সহ বাংলাদেশে আনাচে কানাচে পীর আছে বিশেষ করে উল্যেখ্য বড় বড় পীর প্রতিষ্ঠান কি বাংলাদেশ সরকারকে ট্যাক্স ভ্যাট প্রদান করেন !!! ??? এত্তো বড় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের আনাচে কানাচে তাদের ব্রাঞ্চ ! মালামাল সাহেবের কি উচিত নয় ট্যাক্স ভ্যাট আইন প্রয়োগ করা ? বিশাল ব্যাবসা বিশাল তার আয় - - - -

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৩

সনেট কবি বলেছেন: আয় যেহেতু করে সেহেতু আয় কর তো দেওয়া উচিৎ। এখন যারা কর নিবে তারা যদি ভয়ে কর না নেয়, তবে আর কি করা যাবে?

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: যথার্থ লিখেছেন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

সনেট কবি বলেছেন: সুমন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: তারা আল্লাহর চে‌য়ে বেশী ভরসা ক‌রে পী‌রের উপর(নাউজু‌বিল্লাহ)।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০২

সনেট কবি বলেছেন: অথচ পীরের কোন ভরসাই নেই। কারণ আল্লাহ রেহাই না দিলে পীর আজাব থেকে রেহাই দিতে পারবে না। তবে পীরের দোয়া নাজাতের কারণ হলে হতে পারে। সেটা অযুক্তিক নয়।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @সনেট কবি-জনাব,
১.বর্তমানে ৫০টির অধিক দেশে ১৬০ কোটির উপর মুসলিম আছে। প্রতিটি দেশের, প্রতিটি জনপদের ভাষা,সংস্কৃতি,আচার,অনুষ্ঠানে ভিন্নতা রয়েছে। ফলে একটি homogenous islamic culture থাকার কথা ভাবাই যায় না।
২.আমাদের উপমহাদেশে (বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তান) ইসলাম প্রচারিত,প্রসারিত হয়েছে সুফি মতবাদের পীরদের মাধ্যমে। সেটি মরুভূমির hard islam নয় বরং ইরানী প্রভাবিত soft syncretic islam.
৩.এই উপমহাদেশে পীর-মুরীদ প্রথা, সুফীবাদী পীরদের মাযার তৈরি,সাধারণ মুসলিমদের মাযারে গমন প্রায় ৭০০ বৎসরের পুরানো culture.
৪.ওয়াহাবী/ সালাফী/ দেওবন্দি/ আহলে হাদিস/ তাবলীগি-রা
পীর- মুরিদ- মাযারের ঘোরতর বিরোধী কিন্তু আহলে সুন্নাত/বেরেলভী/ তরিকতপন্হী- রা তীব্রভাবে এর পক্ষে।
৫.ইসলামী ফিরকাগুলি ভীষন গোয়াঁর ও অসহনশীল। কোনো পক্ষ কোনো পক্ষের কথা/ যুক্তি/ মত শুনতে/ বুঝতে/ মানতে রাজী নয় বরং কোরআন-হাদিসের reference দিয়ে নিজ নিজ দাবীতে অটল থাকবে, প্রতিপক্ষকে কাফির/বিদাতী আখ্যা দিয়ে ব্যংগ বিদ্রপ করতে থাকবে।
৬. সহনশীল হন এবং মনের উদারতা বাড়ান। শান্তি পাবেন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

সনেট কবি বলেছেন: আমি এ ক্ষেত্রে ফিতনা সৃষ্টিতে কারা দায়ী সেটা আলোচনা করেছি। এখানে পীর বা সুফিবাদের বিরোধীতা করা হয়নি। বিরোধীতা করা হয়েছে পীরকে বা মাজারকে সিজদা করার। তো যদি পীরকে বা মাজারকে সিজদা করা যদি ইসলামে বেদরকারী বিষয় হয় তবে এতে সময় ব্যয় করা সময়ের অপচয়। যদি এতে সময়ের অপচয় হয়ে থাকে তবে এটা শয়তানী কাজ। এখন এটা যে বা যারাই করুক এটা শয়তানী কাজ হবে। আর যদি এটা দরকারী কাজ হয়ে থাকে তবে কি ভাবে দরকারী সেটা মুসলমানদেরকে বুঝিয়ে বল্লেই হয়। সুফীবাদের সবাই পীর বা মাজারকে সিজদা করে না। কজেই এটা কোন ক্ষেত্রেই সার্ব জনিনতা পায়নি। কাজেই বিষয়টা খতিয়ে দেখা দরকার আদৌ ইসলামে পীর ও মাজারকে সিজদা করা দরকারী কিনা। যদি এটা ইসলামে বেদরকারী বলে সাব্যস্ত হয়। তবে যারা এটা করছে তাদেরকে অচিরেই এটা বাদ দেওয়া দরকার।

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: এই যুগে এসে এখন পুরোপুরি দ্বীনের পথে চলা সম্ভব না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

সনেট কবি বলেছেন: নানান মতের নানান ফতোয়ার কারণে সাধারণের পক্ষে সঠিক পথ চিনে চলা সত্যিই মুশকিল।

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

কানিজ রিনা বলেছেন: আল্লাহ্ ফেরেস্তাদের বলেছিলেন আদমকে
সিজদা করতে সব ফেরেস্তাই করলেন
আযাজীল করলনা। আযাজীল সয়তান
ইবলিস রুপে দুনিয়ায় মানুষের বিভ্রান্তিতে
রাখে। এখন আল্লাহর হুকুমতে সকল ফেরেস্তা
মানুষের কল্যানে নিয়োজিত। তাহলে বলা
যাবে আল্লাহ্ ফেরেস্তাদের থেকে মানুষকে
বেশী ভালবাসেন।
আল্লাহর সকল সৃষ্টি আল্লাহর নির্দেশ ব্যাতিরেকে ফেরেস্তারা আকাশ মহাবিশ্ব
মহামন্ডল পরিদর্শনে ব্যাস্ত।
ফেরেস্তারা আদমকে সেজদা করলেন তথাপি
মানুষ মানুষকে সেজদা করতে পারবেনা।
কারন একজন মানুষ আর একজনের উর্ধ্বে
নয়। তাহলে পীর বুজুর্গ অলি আওলিয়ার
মাজার সিজদা করে কেন। তাহারা অশিক্ষিত
কোরআনের জ্ঞান অর্জন করে নাই।
আগদিনের ইসলামের দাওয়াত আল্লাহর রাস্তায়
আল্লাহর পথ প্রদর্শনে যাহারা এসেছিলেন
এই ভারত উপমহাদেশে পীর বুজুর্গ অলি
আওলিয়া যাদের কারনে এউপমহাদেশে
ইসলাম প্রতিষ্ঠা তারাই পীর নামে পরিচিত।
যেহেতু এখন আলেমদের হুজুর বলা হয়
তখন হুজুর সঃ সম্মানার্থে কোনও অলি বা
বুজুর্গকে হুজুর বলে কেউ সম্মধন করে নাই।

এখন ছোট বড় সব আলেমকে এক
চেটিয়া হুজুর বলা হয়। এখন সেইসব
পীর অলিকেও অপমান করা হয় রাস্তা
ঘাটে গজিয়ে উঠা ব্যবসায়ী পীরের কারনে।
হযরত মোহাঃ সাঃ ওফাতের পর চারজন
খলিফা চার তরিকা মতাবেক ইসলাম
প্রচার হয়েছে অতীতে। তারা পৃথিবীর আনাচে
কানাচে ইসলাম প্রচারে বেড়িয়ে পড়েন।
এভাবে শত শত বছর ধরে খলিফাদের
বংশরা বা উনাদের অনুসারীরা ইসলাম
প্রচার করেন। তারাই অলি বা পীর। তারা
কখনও ব্যবসার জন্য ইসলাম প্রচার করেন
নাই। অনেক কূর্শত কষ্ট করতে হয়েছে
এই ভারত উপমহাদেশের মানুষের আল্লাহর
পথ দেখাতে।
সেইসব অলি পীরদের নামে কুতশা রটনা
নতুন নতুন দল আবিস্কৃত হয়েছে।

আমি একবার আমার স্বামীর সাথে দিল্লি
যাওয়ার উদ্যেশে কলকাতা যাই। সেখানে
হযরত বড় পীরের বংশধর থাকেন। সেখানে
উপস্থিত হয়ে বল্লাম আমার স্বামী আমাকে
খাজা মইনুদ্দিন চীশতীর মাজারে নিয়েযেতে
চায় জিয়ারত দিতে। তিনি বল্লেন হ্যা চলতি
পথে কোনও অলির মাজার জিয়ারত করা
যায়। আমাকে বল্লেন খাজামইনুদ্দীনের
মাজারে গিয়ে কিছু চাইবেন না কিছু দেওয়ার
নিয়ত করবেন না। সেখানে অনেক বিদাত
হয় মানুষ না জেনে বিদাতী করে।
ধন্যবাদ মাজার পূজারীরা না জেনে মাজার
পুজা বা মাজারে মাথা ঠেকিয়ে নিয়ত করা
সম্পুর্ন হাড়াম। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের
জন্য।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

সনেট কবি বলেছেন: পীরকে সিজদা করা বা মাজারে সিজদা করা ইসলাম সম্পর্কে না জানা বা কম জানার কারণে হতে পারে। কারণ অল্প কিছু ছাড়া আলেম সমাজকে এমন অকাজ করতে দেখা যায় না। আমাদের দেশে ইসলাম প্রচারে সূফীবাদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু সূফীবাদের নামে কারো অকাম কূকাম সমর্থন করা যায় না।

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভালো লিখেছেন ! ধন্যবাদ !

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

সনেট কবি বলেছেন: আপনার মতামত খুব দরকারী ছিল।

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ফিতনা মাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

সনেট কবি বলেছেন: ফিতনার কারণেই মুসলমানরা খুববেশী পিছিয়ে আছে।

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ফিতনা সর্বাবস্থায় পরিত্যাজ্য। ফিতনা সৃষ্টিকারীগন দ্বীনের দুশমন। এরা ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে দ্বীন ইসলামের সর্বনাশ করতে কুন্ঠিত হয় না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

সনেট কবি বলেছেন: আমি বুঝি না এরা পীর ও মাজারে সিজদা দেওয়ার মাঝে কি মাহাত্ম খুঁজে পেল? শুধু শুধু একটা অকাজ করতে গিয়ে বিভেদ সৃষ্টি, মহা বিরক্তিকর বিষয়।

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


আপনি ফিতনা নিয়ে লেখতে গেলেন কেন?
পরে ফেতনাবাজ/......./......!... উপাদি জুটবে!!!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

সনেট কবি বলেছেন: কোন কিছুকে ভয় পেলেতো হক কথা বলা যাবে না। আমি সব কিছু নিরপেক্ষ ভাবে বিবেচনা করতে চেষ্টা করি। এক মাজার পন্থিকে জিজ্ঞাস করলাম মাজারে সিজদা দেন কেন? উত্তরে সে বল্ল ওটা সিজদা না, ওটা উপুড় হয়ে থাকা। আকে মাজার পন্থিকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞাস করাতে সে বলল, আমরা মাজাররে সিজদা করি না, আমরা আল্লাহকে সিজদা করি। কাবাকে সিজদা করলে যদি কাবাকে সিজদা না করে আল্লাহকে সিজদা করা হয় তবে মাজারকে সিজদা করলে কেন আল্লাহকে সিজদা না করে মাজারকে সিজদা করা হবে? আমি বল্লাম এটা এজন্য ছাড়তে হবে কারণ সবাই মাজারকে সিজদা করতে রাজি না হলেও সবাই কাবারদিকে ফিরে আল্লাহকে সিজদা করতে রাজি। সুতরাং ফিতনা থেকে রক্ষা পেতে মাজারকে সিজদা করা ছাড়তে হবে।

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

পলাশবাবা বলেছেন: পীর তো পীর মহানবী (সাঃ) কে সিজদা করার হুকুম নাই।

ইয়াকুব আঃ ইউসুফ আঃ কে সিজদা করেছেন। - এখানে এটার ব্যাখ্যা টা দেয়া দরকার ছিল ।কেন সিজদা করেছেন।

ইবনে খাতিবের তাফসির থেকে উল্লেখ করছিঃ In the laws of these and previous Prophets, it was allowed for the people to prostrate before the men of authority when they met them. This practice was allowed in the law of Adam until the law of `Isa, peace be upon them, but was later prohibited in our law. Islam made prostration exclusively for Allah Alone, the Exalted and Most Honored. The implication of this statement was collected from Qatadah and other scholars. When Mu`adh bin Jabal visited the Sham area, he found them prostrating before their priests. When he returned (to Al-Madinah), he prostrated before the Messenger of Allah, who asked him (What is this, O, Mu`adh) Mu`adh said, "I saw that they prostrate before their priests. However, you, O Messenger of Allah, deserve more to be prostrated before.'' The Messenger said, (If I were to order anyone to prostrate before anyone else (among the creation), I would have ordered the wife to prostrate before her husband because of the enormity of his right on her.) Therefore, this practice was allowed in previous laws, as we stated. This is why they (Ya`qub and his wife and eleven sons) prostrated before Yusuf।


২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

সনেট কবি বলেছেন: বঙ্গানুবাদ দিলে সবার বুঝতে সুবিধা হতো। এখন হয়ত কেউ কেউ বুঝবে না।

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

আলোর পথে বিডি বলেছেন: “ফিতনা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ।” (সূরা-আল-বাকারা, ১৯১)

“আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর যে পর্যন্ত না ফিতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়।” (সূরা-আল-বাকারা, ১৯৩)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪২

সনেট কবি বলেছেন: মন্তব্যে কালামে পাক উপস্থাপন করায় অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

ক্স বলেছেন: ইয়াকুব (আঃ) তার পুত্রকে সিজদা করেছিলেন - এটাতো আমি আজ আপনার কাছে শুনলাম। আপনি কই শুনলেন? সুরা ইউসুফের প্রথম রুকু পড়ুন, তাহলে আপনার ভুল ভাংবে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪১

সনেট কবি বলেছেন: সূরা ইউসুফের ১০০ নং আয়াতের বঙ্গানুবাদ-
এবং ইউসুফ তাহার মাতা-পিতাকে উচ্চাসনে বসাইল এবং উহারা সকলে তাহার সম্মানে সিজদায় লুটাইয়া পড়িল। সে বলিল, ‘হে আমার পিতা ইহাই আমার পূর্বেকার স্বপ্নের ব্যখ্যা; আমার প্রতিপালক উহা সত্যে পরিণত করিয়াছেন এবং তিনি আমাকে কারাগার হইতে মুক্ত করিয়া এবং শয়তান আমার ও আমার ভ্রাতাদের সম্পর্ক নষ্ট করিবার পরও আপনাদিগকে মরু অঞ্চল হইতে এখানে আনিয়া দিয়া আমার প্রতি অনুগ্রহ করিয়াছেন। আমার প্রতিপালক যাহা ইচ্ছা তাহা নিপুণতার সহিত করেন। তিনি তো সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।

১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: প্রতিশ্রুত মসীহ্ ও ইমাম মাহ্দী (আ.) আবির্ভূত হয়েছেন!




هُوَ الَّذِىْ بَعَثَ فِىْ الْاُمِّيّٖنَ رَسُوْلاً مِّنْهُمْ يَتْلُوْا عَلَيْهِمْ اٰيٰتِهٖ وَيُزَكِّيْهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتٰبَ وَالْحِكْمَةَ وَاِنْ كَانُوْا مِنْ قَبْلُ لَفِىْ ضَلٰلٍ مُّبِيْنٍۙ‏
وَّاٰخَرِيْنَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوْا بِهِمْ‌ؕ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ‏
৩। তিনিই উম্মীদের মধ্যে তাহাদেরই মধ্য হইতে এক রসূল আবির্ভূত করিয়াছেন, যে তাহাদের নিকট তাঁহার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে, এবং তাহাদিগকে পরিশুদ্ধ করে, এবং তাহাদিগকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়, যদিও পূর্বে তাহারা প্রকাশ্য ভ্রান্তির মধ্যে ছিল।
৪। এবং (তিনি তাহাকে আবির্ভূত করিবেন) তাহাদের মধ্য হইতে অন্য লোকের মধ্যেও যাহারা এখন পর্যন্ত তাহাদের সঙ্গে মিলিত হয় নাই। এবং তিনি মহাপ্ররাক্রমশালী, পরম প্রজ্ঞাময়।
(আল্ জুমু’আঃ ৩-৪)




হাদীস
“আমাদের মাহ্দীর জন্য দুইটি নিদর্শন নির্দিষ্ট আছে। আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির পর এই নিদর্শন অন্য কোনো মা’মুর, কোনো প্রত্যাদিষ্ট ধর্ম-সংস্কারকের সময়ে প্রকাশ পায় নাই। তারমধ্যে একটি হলো প্রতিশ্রুত মাহ্দীর সময়ে রমযান মাসের মধ্যেকার প্রথম তারিখে চন্দ্রগ্রহণ হবে এবং সূর্যগ্রহণ হইবে মধ্য তারিখে।” [দারকুতনি, ১ম জেলদ, পৃষ্ঠা. ১৮৮]

অমৃতবাণী
আমার কাছে হাজার হাজার প্রমাণ আছে, কিন্তু এতে যদি তোমরা সন্তুষ্ট হতে না পার, তবে আমার কথা গ্রহণ করো না, আমার বিরোধীদের কথাও গ্রহণ করো না; খোদা তা’আলার কাছে যাও এবং জিজ্ঞাসা কর যে, আমি সত্যবাদী কিনা। যদি খোদা তা’আলা বলে দেন যে, আমি মিথ্যাবাদী, তবে নিশ্চয় আমি মিথ্যাবাদী। কিন্তু যদি খোদা তা’আলা বলে দেন যে, আমি সত্যবাদী তবে আমার সত্যতা গ্রহণ করতে তোমার আপত্তি কেন?





আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের পক্ষ থেকে সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও সালাম। একটি ঐশী নেয়ামতের সংবাদ সবার কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কয়েকটি কথা বিনীতভাবে উপস্থাপন করছি।
অন্যান্য সব মুসলমানের মত আমরাও হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর উম্মত হিসাবে ইমাম মাহ্দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আঃ)-এর আগমনের প্রতীক্ষায় ছিলাম। আজ থেকে শতাধিক বছর আগে ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দে তথা ১৩০৬ হিজরী সনে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের এক নিভৃত গ্রামে হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আঃ) সেই প্রতিশ্রুত মহাপুরুষ হবার দাবী করেন। আমরা পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে তাঁকে যাঁচাই করে সত্য মাহ্দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্ হিসাবে গ্রহণের তৌফিক লাভ করেছি। কুরআনের ভবিষ্যদ্বাণী ও সহীহ্ হাদীসের আলোকে একথা সুস্পষ্ট, খাতামান্নাবীঈন (সাঃ)-এর আধ্যাত্মিক কল্যাণে ও তাঁর আনুগত্যে তাঁরই উম্মত হতে ইমাম মাহ্দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্’র চতুর্দশ শতাব্দীর শিরোভাগে আগমনের কথা। হযরত মির্যা সাহেব তদনুযায়ী সঠিক সময়ে আগমন করেছেন।
মহানবী (সাঃ) বলেছেন.
“ইমাম মাহ্দী আবির্ভূত হবার সংবাদ পাওয়া মাত্রই তাঁর হাতে বয়’আত করিও, যদি বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়েও যেতে হয়; কেননা নিশ্চয় তিনি আল্লাহ্র খলীফা আল-মাহ্দী”। (সুনানে ইবনে মাজা-বাবু খুরূজুল মাহ্দী)

যাঁরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপরোক্ত আদেশানুযায়ী তাঁকে মান্য করে তাঁর বয়’আত গ্রহণ করেছেন তারাই আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের সদস্য।
আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আঃ) {জন্ম ১৮৩৫, মৃত্যু ১৯০৮ খৃঃ}। তিনি আল্লাহ্ তা’আলার নিকট থেকে ইলহাম প্রাপ্ত হয়ে জগতের সংশোধনকল্পে মহান আল্লাহ্র পক্ষ থেকে প্রত্যাদিষ্ট হবার দাবী করেন আর বলেন, তিনি সেই ‘প্রতিশ্রুত মসীহ্’ ও মাহ্দী যাঁর আগমনের সুসংবাদ স্বয়ং মহানবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) করেছিলেন, যাঁর আবির্ভাবের মাধ্যমে সব ধর্মমতের ওপর ইসলাম ধর্মের বিজয় নির্ধারিত।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে: Click This Link

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে প্রকৃত মাহদী চেনার তাওফিক দান করুন - আমিন।

১৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মানুষ মানুষকে সিজদা/সেজদা/ সাজদাহ/ প্রণাম এটি এসেছে হিন্দু পৌরনিক প্রথা থেকে মুসলিম লেবাসে পীর-সাধু-বাবা-ভাই রা সম্মান ও গুগু ভক্তির লোভ লালসায় এটি চালু রাখে যা এখনো বর্তমান এবং সাথে সাথে মুসলিম সমাজে সেজদা না থাকলে ও পা’য়ে ধরে সালাম না করা অর্থ চরম বেয়াদবী যদিও কোনো মুসলিম সিরাহ ও মুসলিম বিস্বস্থ সুত্রে এসব তথ্য নাই যে কোনো মুসলিম সম্রাটকে ও পায়ে ধরে সালাম করা হয়েছে !!!

ভারত উপমহাদেশে এখনো মুসলিম সমাজে কোনো ছেলে তার স্বশুর বাড়ী গেলে যেমন স্বশুর বাড়ীর লোকজন সম্মানের হাত না বাড়িয়ে পা বাড়িয়ে দেন পায়ে ধরে সালাম পাবার আসায় তেমনি একটি মেয়ে ও যখন তার স্বশুর বাড়ী যায় তার স্বাশুর বাড়ীর লোকজন মায়া মমতার হাত না বাড়িয়ে পা বাড়িয়ে দেন আজকে ই তাকে পায়ে নিয়ে আসতে হবে এই মনোবাসনায় !!!

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

সনেট কবি বলেছেন: পায়ে ধরে সালাম দেওয়া দোষনীয় নয় বলেই মনে হয়। এতে বিনয় প্রকাশ পায় এবং অহংকার কমে। আর ইবলিশের অহংকারের কবর দিতেই তাকে আদমকে (আঃ) সিজদা করতে বলা হয়েছে।

১৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

ক্স বলেছেন:

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

সনেট কবি বলেছেন: যাতে পাপের সম্ভাবনা থাকে তা’ না করাই শ্রেয়।

১৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কবি ভাই “আমরা যদি না জাগি ভাই কেমনে সকাল হবে” পা’য়ে ধরে সালাম অবস্যই বর্জন করতে হবে এবং এই বিষয়ে আপনার কাছে লেখা আসা করছি । কেনো পায়ে ধরে সালাম বর্জন করতে হবে আপনার অভিজ্ঞতা আমার চেয়ে শতগুন বেশী তাই আপনার কাছে আমরা চাওয়ার অধিকার রাখতে পারি - না কি বলেন ? তাছাড়া যিনি এতো কবিতা লেখতে পারেন তার কাছে তো ভাই ভাষা আর অভিজ্ঞতার কম নাই তাহলে তার কাছে তো আপনার মতোই আরেকজন ব্লগার এই দাবী জোড়ালো ভাবে রাখতে পারে । - “পা’য়ে ধরে সালাম বর্জন করতে হবে” । ধন্যাবাদ কবি ভাই - ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ব্যাস্ত থাকুন আর অবসরে লিখুন ।।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৯

সনেট কবি বলেছেন: পা ধরে সালাম করার বিপক্ষে জোরাল কোন প্রমাণ আছে বলে জানা নেই। কারো নিকট থাকলে তারা সেটা উপস্থাপন করতে পারেন। তবে ক্রমাম্বয়ে এটা এমনিতেই উঠে যাচ্ছে বলে মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.