নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পীর ও মাহদী(আঃ)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০৫



পীর

মহানবি (সাঃ) বলেছেন, ‘লা ইসলামা ইল্লাবিল জামায়াত – জামায়াত বা সংগঠন ছাড়া ইসলাম নেই’।পীরের নেতৃত্বে মুরিদেরা সংগঠিত থেকে এ হাদিসের শর্ত পূরণ করছে। এখন পীর ও মুরিদেরা যদি শির্ক ও বিদয়াত করে থাকে তবে সেটা ভিন্ন হিসেব।
অনেকে বলেন পীর ইসলামে নেই। বাস্তব হলো এটা থাকার সুযোগ নেই। কারণ পীর মহানবির (সাঃ) ছুন্নাহ অনুসরনের দাবী করেন, সেজন্য পীরকেতো আর মহানবি বলা যাবে না।তারচে বরং পীর বলা হয় সেটাই বরং ভালো।
অনেকে অনেক কিছুকে শির্ক মনে করে অনেকে আবার সেই সব বিষয়কে শির্ক মনে করে না।অনেকে অনেক কিছুকে বিদয়াত মনে করে, অনেকে আবার সেই সব বিষয়কে বিদয়াত মনে করে না।অনেকে অনেক কিছুকে হালাল মনে করে, অনেকে আবার সেই সব বিষয়কে হালাল মনে করে না।অনেকে অনেক কিছুকে জায়েজ মনে করে, অনেকে আবার সেই সব বিষয়কে জায়েজ মনে করে না।এভাবে অনেক কিছু মতভেদের আবর্তে হাবুডুবু খাচ্ছে।কেউ তার মতকে অকাট্য ভাবে প্রমাণ করতে পারছে না বিধায় মতভেদ দূর হচ্ছে না।প্রত্যেক পক্ষ অপর পক্ষের উপর কোরআন ও হাদিসের অপ ব্যাখ্যার অভিযোগ করছে।সংগত কারণে যে কেহ যে কোন মত গ্রহণের পূর্বে এর পক্ষ ও বিপক্ষের মত জেনে নিবেন এরপর তাঁর নিকট যে মত সঠিক মনে হবে তিনি সে মত গ্রহণ করবেন। কোন পীরের কথা কারো সঠিক মনে হলে তিনি সে পীরের মুরিদ হবেন আর সঠিক মনে না হলে মুরিদ হবেন না। কারণ গ্রহণ করা মতের দায় প্রত্যেক লোককে নিজেকেই বহন করতে হয়। কাজেই মত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের নিজের বিবেচনাই চুড়ান্ত।
প্রত্যেক মতের লোকেরাই চোখ লাল করে বলে আমার মত গ্রহণ কর নতুবা জাহান্নামে যেতে হবে।আল্লামা জালাল উদ্দিন রুমী (রঃ) সব মতের লোকদের বললেন তিনি তাদের সাথে একমত। এতে একজন ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, আপনি কাফির। তিনি তখন বললেন আমি আপনার সাথেও একমত। এর কারণ হলো তারমত যদি তিনি গ্রহণ না করেন তবেতো তিনি তার মতে কাফির। এখন একজন লোকের পক্ষেতো এতোমত গ্রহণ সম্ভব নয়। কাজেই কাফির ফতোয়া থেকে বেঁচে থাকাও সম্ভব নয়। কাজেই কে কি বলল তারচে বরং আমি কি করলাম সেটাই মূল বিবেচ্য।এরপর কথা হবে, ‘আমাকে আমার মত থাকতে দাও আমি নিজেকে নিজের মত গুঁছিয়ে নিয়েছি’।আর যদি কেউ আমাকে আমার মত থাকতে না দেয় তবে আমার যা করনীয় তা’ না করে আমার আর কি করার থাকবে? এরপর সবাই যদি শান্তিতে থাকতে চায় তবে অপরের মতে নাক গলানো পরিহার করতে হবে।


মাহদী(আঃ)

এ পর্যন্ত অনেক মাহদী এসে চলে গেছেন। একজন ছাড়া কারো অনুসারী নেই।তথাপি মুসলমানরা মাহদীর(আঃ) আগমন প্রতিক্ষায় রয়েছে। কিন্তু যদি মাহদী আর না আসে অথবা আসলেও দাবী উপস্থাপন করে টিকে থাকতে না পারে তবে যে মাহদীর অনুসারী রয়েছে অবশেষে মুসলমানরা তাকেই মাহদী মেনে নিবে।সেই মাহদী আবার নিজ অনুসারীদের বিজয়ের তিনশত বছর সময় বেঁধে দিয়েছেন, যার একশত বছর পার হয়েছে।
যারা মাহদীর (আঃ) আগমন প্রতিক্ষায় রয়েছে তাদের কেউ কেউ বলছে আগামী ছয় সাত বছরের মধ্যে মাহদী (আঃ) প্রকাশ পাবেন। তাঁকে যারা আক্রমন করতে যাবে তারা মাটিতে ধসে যাবে।সে যাই হোক এ কথা সত্য না হলে যে মাহদীর অনুসারী রয়েছে তার অনুসারী আরো বাড়বে। কারণ তখন তারা বলবে কই তোমাদের মাহদী? কাজেই আমাদের মাহদীই সঠিক। এখন এটা প্রত্যেকের নিজের বিষয়, সে নিজেই বিবেচনা করবে যে মাহদীর অনুসারী রয়েছে তার দলে যোগ দিবে না নতুন মাহদীর জন্য অপেক্ষা করবে?

বিঃদ্রঃ ছবির পীর সাহেবের মতে মাহদীর (আঃ) আগমন ঘটেনি, সেজন্য তাঁর সাথে মাহদীর ছবি দেওয়া হলো না।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: পড়লাম।

স্পষ্ট কথাগুলো ভাল লাগলো।

আমাদের বাড়াবাড়ি না করাই উচিত।

এ বিষয়ে একটা ব্লগ লিখছি ইনশাআল্লাহ

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

সনেট কবি বলেছেন: আপনি এ বিষয়ে ব্লগ লিখছেন জেনে খুশী হলাম।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



পীর শব্দের অর্থ কি?
আমি যতটটুকু জানি পীর ফারর্সী শব্দ যার অর্থ পদ-প্রদর্শক। মানে যিনি ইসলামের সঠিক পথ দেখাবেন তিনিই পীর। কিন্তু আমরা বর্তমান পীরদের কি দেখি তারা বিশাল একটা ব্যাবসায়িক কর্মকান্ড চালু করেছেন। প্রতি বছর মাহফিল করছেন আর মুরিদদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিচ্ছেন। কেন? এত টাকা কিসের দরকার পীরদের।


২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

সনেট কবি বলেছেন: টাকা খুব দরকারী বিষয়। আপনাকে দিলেও নিজ হেফাজতে নিয়ে আনন্দে খরচ করবেন।

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ খান বলেছেন: “তোমরা সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জ্বকে (অর্থাৎ ইসলামকে) আঁকড়ে ধরা।” আলে। ইমরান: ১০৩

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

সনেট কবি বলেছেন: এ আয়াতের ভিত্তিতেও পীর ও তার মুরিদেরা সঠিক।

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: টাকা খুব দরকারী বিষয়। আপনাকে দিলেও নিজ হেফাজতে নিয়ে আনন্দে খরচ করবেন।

এটা আমার প্রশ্নের উত্তর হল!!!

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

সনেট কবি বলেছেন: পীর মসজিদ করেন, মাদ্রাসা করেন, ইয়াতিম খানা করেন, বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করে ইসলামের দাওয়াত দেন, এসব কাজ বিনা টাকায় হয় বলে কি আপনার মনে হয়?

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন: যে পীর সাহেবের ছবি দিয়েছেন তাঁর দাদার জানের লেখা কিছু বই কিনে পড়বেন তাহলে আশাকরি বুঝবেন তাদের আকিদা কি রকম। বর্তমান পীর সাহেব তো বলে দিয়েছেন হাশরের মাঠে চরমোনাই এর জাহাজ থাকবে তাতে করে মুরিদরা ফুলসিরাত পার হবে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

সনেট কবি বলেছেন: তবেতো এটা বেশ ভাল সুযুগ। জাহাজে চড়ে পুলসিরাত পার হওয়ার মজাই আলাদা। এটা সত্য না হলে আগেরটাই বহাল রইলো। এটা বাড়তি সুযুগ আর কি! না হলেও এমন বিশেষ ক্ষতি নেই।

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

শাহিন-৯৯ বলেছেন: পীর মসজিদ করেন, মাদ্রাসা করেন, ইয়াতিম খানা করেন, বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করে ইসলামের দাওয়াত দেন, এসব কাজ বিনা টাকায় হয় বলে কি আপনার মনে হয়?

মসজিদ, মাদ্রাসা, ইয়াতিম খানা কি পীর সাহেবের বানানোর কথা নাকি রাষ্ট্র কতৃক বানানোর কথা? এসব কাজ করবে সরকার, ইসলামের ইতিহাস তাই বলে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২২

সনেট কবি বলেছেন: সরকারের পাশাপাশি পীর সাহেবও যদি করেন তবে এটা ভালো দিক। জনগণের বিশাল চাহিদা সরকার একা সামাল দিতে পারে না। এ জন্য অনেক সরকারি কাজে জনগণ সামিল হয়। এটা দেশ প্রেম।

৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমি পীরদের শ্রদ্ধার চোখে দেখি, কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন পীরের মুরিদ হতে মন চাইল না, হাস্যকর মনে হয় মুরিদানের ব্যাপারটি।

আপনার সবিস্তর লেখাটি ভালো লাগলো

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

সনেট কবি বলেছেন: সংগঠিতভাবে ইসলাম পালনের জন্য অনেকে পীর মানে।

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: শাহিন ভাইয়ের সাথে চলালা আপনার আলোচনা দেখে মজা লাগলো।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

সনেট কবি বলেছেন: জানার সাথে মজা যোগ হলে মন্দ হয় না।

৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: পীর ফকির এই সব আমি কিছু নামি না। এরা সাধারনত ভন্ড হয়। এবং এদের কাছে যারা যায় তারা চরম নির্বোধ।
এই সমস্ত লোক গুলো ধর্মের নাম ব্যবহার করে, দেশটারে নষ্ট করে দিচ্ছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের বিস্তার ঘটেছে এসব পীর ফকিরের মাধ্যমে। আর অনেকেই উপকার পাওয়ার পর উপকার কারির কথা মনে রাখে না। নজরুল বলেছেন, বনের পাখিরে কে চিনে রাখে গান হলে অবশান!

১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

ইনাম আহমদ বলেছেন: মাহদী (আঃ) আসলে কীভাবে বুঝবো? টিভিতে দেখাবে না মোবাইলে মেসেজ আসবে? উনি কীভাবে আসবেন? উনি এসে কি করবেন?
পীরফকিরের ব্যবসায় দেশটা এমনিতেই ভরে গেছে। এগুলোকে আইন করে নিষিদ্ধ করার উপায় নেই, জনসংখ্যার সিংহভাগ এদের সিজদা করে। মাহদী (আঃ) আসলে হয়তো এগুলো বন্ধ করতে পারবেন। তবে জনগণ তাকেই না মেরে ফেলে। ভক্তি আর অন্ধবিশ্বাস বড় ভয়াবহ জিনিস।
উনি আসলে একটু পোস্ট দিয়েন, দেখা করে সঙ্গে একটা সেল্ফি তুলতাম।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

সনেট কবি বলেছেন: মাহদী (আঃ) বিষয়ে মানুষ ঘোরের মধ্যে আছে। কবে নাগাদ এ ঘোর কাটে আল্লাহ মালুম।

১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

ইনাম আহমদ বলেছেন: সঙ্গে যোগ করি, সরকারের এতিমখানা নির্মাণ করার কথা, মাদ্রাসা না। জনগণকে শিক্ষিত করতে হলে স্কুল-কলেজ দরকার। মাদ্রাসা দাড়িটুপিওয়ালা ধর্মব্যবসায়ী তৈরীর কারখানা। দেশের আদৌ কোনও উন্নতি হয়না ওখান থেকে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

সনেট কবি বলেছেন: তথাপি মুসলমানেরা মাদ্রাসা প্রয়োজনীয় মনে করে। ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। ঘুষখোরগুলোতো স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়। এখন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ও যদি না থাকে তবে কি অবস্থা হবে? কাজেই অযুক্তিক কথা না বলাই ভাল।

১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আসুন পীর নিয়ে একটু আলোকপাত করি। পীর একটি ফার্সি শব্দ। যার অর্থ জ্ঞানী বা পণ্ডিত ব্যক্তি। বিশদ অর্থে বলতে গেলে পীর হচ্ছেন ইসলামী জ্ঞানে সমৃদ্ধ ব্যক্তি, যার কোরআন ও হাদিসের উপর অগাধ পাণ্ডিত্য আছে। তিনি ইসলামের রীতি-নীতি ভালভাবে জানেন এবং নিজে তা পালন করেন। মানুষকে তিনি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তালিম দেন। তিনি পরহেজগার, নির্লোভ, পরোপকারী ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী হবেন। তাঁর চলাফেরা এবং বেশভূষা হবে পরিচ্ছন্ন ও ভদ্র। তিনি মানুষকে ধর্মীয় বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেবেন বিনা পারিশ্রমিকে। ইসলামী শিক্ষা দেওয়ার জন্য, মাহফিল করার জন্য কোন টাকা-পয়সা চার্জ করতে পারবেন না।

বাংলাদেশে অনেক প্রজাতির পীর আছেন যাদের সবাই নিজেদের আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অধিকারী বলে প্রচার করেন। এসব পীরদের বেশিরভাগের সাথে ফার্সি পীর শব্দের কোন মিল নেই। বাংলাদেশে মূলত চার ধরণের পীরের অস্তিত্ব আছে।
............যেমন---
(১) উত্তরাধিকার সূত্রে পীর অর্থাৎ বাপ-দাদার ধারাবাহিকতায় তিনিও পীর। এসব পীর মূলত মাজার কেন্দ্রিক হয়।
(২) হঠাৎ করে গজিয়ে উঠা পীর। এদের পরিবারে আগে কেউ পীর ছিলেন না। তাদের মধ্যে আবার দু'টি ভাগ আছে।
(ক) প্রথম পক্ষ..... ধনী ও প্রভাবশালী পীর। এরা ভক্তদের টাকায় দামী গাড়ি দৌড়ান ও সুবিশাল অট্টালিকা বানান। সুন্দর পরিপাটি পোশাক পরেন। এরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকেন এবং আধুনিক জীবনযাপন করেন। এদের বিশাল মুরীদ শ্রেণী থাকে।
(খ) দ্বিতীয় পক্ষ..... এরা তুলনামূলক ভাবে অল্প শিক্ষিত। এরা মদখোর, গাজাখোর, লম্পট ও পাগলাটে হয়। এদের ধর্মীয় জ্ঞান নেই বল্লেই চলে।
(৩) আরেকটি পক্ষ হল লালসালু উপন্যাসের মজিদের মত। কার কবর, কবে লোকটি মরেছে তার কোন ঠিক-ঠিকানা নেই। হঠাৎ কেউ একজন দাবী করে বসে এখানে আল্লাহর এক ওলির কবর আছে! তিনি স্বপ্নযোগে মাজারের সন্ধান পেয়েছেন। তাই মাজারের খেদমতে নিজের জীবনকে সপে দিতে চান।
(৪) সবশেষে- যারা জন্মগত ভাবে অথবা জন্মের পরে মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী। এদের অনেকেই কথা বলতে পারেন না বা বল্লেও কথা স্পস্ট নয়। অনেকে আবার খোঁড়া ও ল্যাংড়া। হাঁটা-চলা করতে পারেন না। এদের বেশিরভাগের ধর্মীয় ও সামাজিক কোন জ্ঞান নেই। মূলতঃ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এসব প্রতিবন্ধী মানুষদের পীর সাজিয়ে ব্যবসা করে।

উপরে উল্লেখিত পীর সাহেব সর্বশেষ (৪ নাম্বার) প্রজাতির। পীরদের প্রকারভেদে ভিন্নতা থাকলেও উনাদের উদ্দেশ্য এবং কর্ম পরিধি এক ও অভিন্ন।

আমাদের দেশের পীরভক্ত সাধারন মানুষ এসব পীরদের কথা চরম সত্য বলে মনে করে। বাংলাদেশের অতি পরিচিত এক পীর সম্প্রতি প্রকাশ্যে নিজেকে রাসুল (সাঃ) এর মেয়ের জামাই বলে দাবী করেছেন (নাউযুবিল্লা)। এমনকি মহান আল্লাহ তা'য়ালার সাথে তার নিয়মিত মোলাকাত হয়, কথা-বার্তা হয়, দেখা-সাক্ষাৎ হয় এটাও প্রচার করেন। অবাকের বিষয় লোকটির হাজার হাজার ভক্তদের একজনকেও তার এমন কুফরি কথার প্রতিবাদ করতে দেখিনি। অনেক নারী ভক্ত আছেন যারা সন্তান পাবার আশায় অনেক পীরের সাথে রাত্রী যাপন করেন। তার শরীর টিপে দেন, প্রচুর টাকা পয়সা দান করেন। পীরের পায়ে সেজদা করেন। বেশিরভাগ পীরের আস্তানায় তার সেবা করার জন্য একাধিক নারী ভক্ত থাকে। পাশাপাশি চলে মদ, গাঁজা ও জোয়ার আসর। অনেক পীরের বিরুদ্ধে তার অল্প বয়সী খাদিমের সাথে সমকামিতারও অভিযোগ পাওয়া যায়। পানি পড়া ও তাবিজের পাশাপাশি জ্বীন তাড়ানো ও বালা-মুসিবত দূর করা সহ এমন কিছু নেই যা পীর সাহেব পারেন না। যদিও এগুলো ভূয়া। ইসলামে এগুলো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

চাইলে পীর নিয়ে আমার লেখাটি পড়তে পারেন,
---------------------------------------------------------
বাংলাদেশে প্রচলিত পীর ও মাজার ব্যবসা (পর্যালোচন)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য চৌধুরী সাহেবকে অনেক ধন্যবাদ। আশাকরি এতে পাঠকেরা অনেক কিছু জানতে পারবে। তবে যে সব পীর সাহেব ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা তুলে ধরেন তারা অবশ্যই অনুসরন যোগ্য।

১৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


ওয়াজ মাহফিল ও বাংলাদেশের পীর নিয়ে আমার দু'টি লেখা আছে। চাইলে পড়তে পারেন।

http://www.somewhereinblog.net/blog/kawsarchowdhury/30237870
http://www.somewhereinblog.net/blog/kawsarchowdhury/30235122

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

সনেট কবি বলেছেন: আপনার পোষ্টের অনেকখানি পড়েছি। আপনার পোষ্টে জানার অনেক কিছুই আছে যদি ধৈর্য্য ধরে পড়া যায়।

১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৪

তার ছিড়া আমি বলেছেন: আমি মনে করি ধর্মীয় আচার আচরনে বা নিজের আত্মশুদ্ধির জন্য পীর হলেন শিক্ষক বা ডাক্তার সরূপ। অতএত, আমি কাকে আমার শিক্ষক বা ডাক্তার হিসাবে গ্রহন করবো, তা পাগোলেও বোঝে। সামান্য পেটে ব্যাথা হলেও আমরা বড় মাপের এমবিবিএস ডাক্তারের শ্মরণাপন্ন হই, হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে যেতে চাই না।

চলতি পথে আমাদের ভুল ভ্রান্তি থেকে বাচঁতে হলে হক্কানী পীরের কাছে যাওয়ার দরকার আছে। কিন্তু আমাকে / আপনাকে ডাক্তার বা শিক্ষক খোজার মত হক্কানী পীর খুজে নিতে হবে, নিজের স্বার্থে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

সনেট কবি বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন।

১৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১১

আবু আফিয়া বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ,
কয়েক দিন আগে একটি দৈনিকে হজরত ইমাম মাহদীর (আ।) অপেক্ষায় শিরোনামে এই লেখাটি পড়েছিলাম, এখানে তা তুলে দিলাম।

http://dainikamadershomoy.com/todays-paper/editorial/132732/হজরত-ইমাম-মাহদির-(আ.)-অপেক্ষায়

হজরত ইমাম মাহদির (আ.) অপেক্ষায়

“মুসলিম জাহান আজ শত দলে বিভক্ত। প্রিয় নবী (সা.)-এর অন্তর্ধানের পর মুসলমানদের মধ্যে ঐশী খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল। আর তার (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ীই এ খেলাফত ব্যবস্থার সমাপ্তি হয়ে জুলুম-অত্যাচারের রাজত্বের পর পুনরায় পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসার কথা ইমাম মাহদি (আ.)-এর আগমনের মাধ্যমে। অনেকেই মনে করেন, আমরা নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত সবই পালন করছি ও মানছি তাহলে আবার ইমাম মাহদি আসার কি প্রয়োজন আছে? আবার উম্মতের বেশিরভাগ তার আগমনের অপেক্ষায় দিন গুনছেন? ইতোমধ্যে অনেক পীর, মাওলানা ইমাম মাহদির আগমনের দিন-তারিখও উল্লেখ করে গেছেন। এ ছাড়া তার আগমনের বিষয়ে মহানবীও (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। এখন প্রশ্ন হলো তিনি কখন আসবেন?
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আমার শতাব্দী সর্বোৎকৃষ্ট, তারপর তার সন্নিহিতরা, তারপর তার সন্নিহিতরা, অতঃপর মিথ্যার প্রাদুর্ভাব হবে’ (নেসাই ও মিশকাত)। মহানবী (সা.)-এর সোনালি যুগ তিনশ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে এক হাজার বছর পর ইমাম মাহদির আবির্ভাব হওয়ার কথা। অন্য একটি হাদিসে ইমাম মাহদির আগমনের নিদর্শনগুলো প্রকাশের কথা আরও কিছু আগে শুরু হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। যেমন হজরত আবু কাতাদা (রা.) বর্ণনা করেছেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সেই লক্ষণগুলো দুইশ বছর পর দেখা দেবে, যা হাজার বছর পর আসবে’ (মেশকাত)। এই হাদিসের সমর্থনে আল্লামা হজরত মোল্লা আলী কারী (রহ.) মিশকাত শরিফের শরাহ মিরকাহ নামক গ্রন্থে লিখেছেন‘সেই দুইশ বছর পর, যা হাজার বছর পর আসবে, তখনই ইমাম মাহদির (আ.) জাহির হওয়ার সময়’ (মিরকাহ, শরহে মেশকাত)। মহানবীর (সা.) হাদিস থেকে বোঝা যায়, ইসলামের প্রথম তিনশ বছর ইসলাম প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠতম যুগ। অতঃপর যদিও ধারবাহিকভাবে প্রত্যেক শতাব্দীর শিরোভাগে মুজাদ্দিদ বা ধর্ম সংস্কারক আবির্ভূত হতে থাকবেন তার পরও পরবর্তী এক হাজার বছরে শরিয়ত আল্লাহর দিকে উঠে যাবে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, মহানবীর (সা.) তিনশ বছরের পর চতুর্থ শতাব্দী থেকে ক্রমাবনতির ধারায় ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষ ভাগ পর্যন্ত ইসলাম আল্লাহর দিকে উঠে যাবে আর পৃথিবীতে ইসলাম শুধু নামে থাকবে, ইসলামের চরম অধঃপতন ঘটবে। ইসলামের এই অধঃপতন থেকে উদ্ধার করার জন্য আল্লাহতাআলা ইমাম মাহদিকে হিজরি চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুতেই পাঠাবেন।
বিষয়টি স্পষ্ট, হজরত ইমাম মাহদির আগমন হওয়ার কথা ১২০০ হিজরি সনের পর। কিন্তু ১২০০ হিজরি পার হয়ে বর্তমান ১৫০০ হিজরি শতাব্দী চলছে। ইমাম মাহদির আগমন যদি এখনো না হয়ে থাকে তাহলে তার আসার সময় কখন? এবার দেখা যাক তার আবির্ভাব সম্পর্কে বিশিষ্ট বুজুর্গ ও আলেম সাহেবানরা কি মত পেশ করেছেন। আলহাজ মাওলানা একেএম ফজলুর রহমান মুন্সি রচিত ‘পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে হজরত ইমাম মাহদি (র.), যা ১৯৮৪ সালে দ্য তাজ পাবলিশিং হাউস, ৭/বি, প্যারীদাস রোড, ঢাকা-১ কর্তৃক প্রকাশিত হয়। এর একাংশে ইমাম মাহদির আবির্ভাবের সময় সম্পর্কে উল্লেখ করেন ‘এই উপমহাদেশের বিখ্যাত অলি হজরত শাহ নেয়ামত উল্লাহ কাশ্মিরী (র.) তাহার ভবিষ্যদ্বাণীতে উল্লেখ করেছেন, ১৩৮০ হিজরি সালে ইমাম মাহদি জন্মগ্রহণ করবেন এবং চল্লিশ বছর বয়সে আত্মপ্রকাশ করবেন। এই হিসাব অনুসারে ইমাম মাহদি ১৪২০ হিজরি সালে আত্মপ্রকাশ করবেন। সুতরাং তার প্রকাশ পাওয়ার মাত্র বিশ বছর বাকি রয়েছে’ (পৃষ্ঠা. ১৬-১৭)। এ অনুযায়ী ইমাম মাহদির আবির্ভাব হওয়ার কথা ২০০৪ সালে। কারণ ১৯৮৪ সালে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, আর মাত্র বিশ বছর বাকি আছে ইমাম মাহদির আগমনের সময়। তাহলে বর্তমান কত সাল চলছে?
মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস থেকে প্রকাশিত (হিজরি ১৩০৫) হজরত আল্লামা আবদুল ওহাব শা’রানি প্রণীত কিতাব ‘আল ইওয়াকিত ওয়াল জাওয়াহির’ গ্রন্থের প্রথম সংস্করণের ১৬০ পৃষ্ঠায় তিনি এ মত প্রকাশ করেছেন, মাহদি (আ.) ১২৫৫ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করবেন। দ্বাদশ হিজরির মুজাদ্দিদ হজরত শাহ ওলীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবী (রহ.) তার মূল্যবান কিতাব ‘তাফহিমাতে ইলাহিয়াত’ প্রকাশকাল ১৩৫৫ হিজরি। ওই গ্রন্থের ১৪৩ পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন, ‘মহাপ্রতাপশালী আমার প্রভু আমাকে জানিয়েছেন যে, কেয়ামত অতি নিকটবর্তী এবং হজরত মাহদি (আ.) প্রকাশ হওয়ার জন্য প্রস্তুত।’ মৌলভি নবাব সিদ্দীক হাসান খান ভূপালী সাহেবের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘হেজাজুল কেরামাহ ফি আসারে কাদীমা’ গ্রন্থে তিনি ইমাম মাহদির আবির্ভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং বহু গণ্যমান্য আলেমের উদ্ধৃতি দিয়ে নিজ মন্তব্য এভাবে বর্ণনা করেছেনÑ ‘আমি বড় মজবুত সূত্রগুলো মিলিয়ে দেখছি যে, নিশ্চয় তিনি (ইমাম মাহদি) হিজরি চতুর্দশ শতাব্দীর প্রারম্ভে আবির্ভূত হবেন’ (পৃষ্ঠা-৩৯৫)।
পাক ভারতের খ্যতনামা আলেম সৈয়দ আবদুল হাই (রহ.) তার লিখিত পুস্তক ‘হাদিসুল গাসিয়া’ গ্রন্থে লিখেছেনÑ ‘চতুর্দশ শতাব্দীর প্রারম্ভে হজরত ইমাম মাহদি (আ.)-এর আবির্ভাব অনেকটা সুনিশ্চিত। যেহেতু মাহদি (আ.) সম্পর্কিত সব নিদর্শনাবলি প্রকাশ হয়ে গেছে।’ খাজা হাসান নিজামি পাক ভারতের বিখ্যাত সুফি ও সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক তিনি ইমাম মাহদির আগমন সম্পর্কে ‘কিতাবুল আমর ইয়ানি মাহদির আনসার ও ফরায়েজ’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন। ওই গ্রন্থে তিনি উল্লেখ করেনÑ ‘মাহদি (আ.)-এর যুগ হিজরি চতুর্দশ শতাব্দী।’ তা ছাড়া তিনি একবার আরব দেশ ভ্রমণ করে লিখেছেনÑ ‘আরবের মশায়েখ ও উলামায়ে কেরাম সবাই হজরত ইমাম মাহদি (আ.)-এর অপেক্ষা করছেন। এমনকি শেখ সানসির এক খলিফা এত দূর বলে ফেললেন যে, হিজরি ১৩৩০-এ মাহদি (আ.) জাহির হয়ে পড়বেন’ (পত্রিকা ‘আহলে হাদীস’, ২৬ জানুয়ারি, ১৯১২)।
ইমাম মাহদি (আ.) মহানবীর (সা.) আদর্শ এবং পবিত্র কোরআনের শিক্ষাকে বিশ্বমানবের কাছে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করবেন। তিনি নতুন কোনো শরিয়ত নিয়ে আসবেন না, কারণ ইসলাম পরিপূর্ণ ধর্ম এবং মহানবী (সা.) শেষ শরিয়তদাতা নবী, তার পর আর কেই নতুন শরিয়ত নিয়ে দুনিয়ায় আগমন করবেন না। ইমাম মাহদি (আ.) এসে মহানবীর (সা.) কাজই পরিচালনা করবেন। ধর্মে যেসব বেদাত সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করবেন। তিনি ইসলামের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনবেন। তাই ইমাম মাহদি (আ.)-কে সাহায্য করা ও তার আহ্বানে সাড়া দেওয়াকে প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য বলে মহানবী (সা.) ঘোষণা করেছেন। যেমন তিনি (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলমানের ওপর সর্বতোভাবে ওয়াজিব হবে ইমাম মাহদির সাহায্য করা অথবা তার ডাকে সাড়া দেওয়া’ (সুনানে আবু দাউদ, কিতাবুল মাহদি)। তাই আমাদের কর্তব্য হবে ধর্ম সংস্কারের জন্য শেষ জামানায় যার আসার কথা তিনি এসেছেন কিনা তা অন্বেষণ করা।” ০৬ এপ্রিল ২০১৮, ০০:০০, আমাদের সময়

আমরা কি ইমাম মাহদীর জন্য কেবল অপেক্ষাই করতে থাকব???

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

সনেট কবি বলেছেন: আপনি যে প্রশ্ন করেছেন সেটা আমারো প্রশ্ন।

১৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পীর থাকতে পারে কিন্তু কেয়ামতের সময় পীর ওসিলা হবে ভাবা যাবে না। পীরের শিক্ষা নেয়া যেতে পারে যদি কোরআন হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক না হয় তবে পীরের কাছে কিছু চাওয়া যাবে না। বেশীরভাগ মুরিদরা এই বেসিকগুলো ভুলে যান। আবার বেশীরভাগ পীরেরাও বেসিক ভুলে গিয়ে মুরিদের চাহিদা মত দোয়া (!)/সুপারিশ করেন। আল্লাহ এসব থেকে বাঁচিয়ে রাখুক আমাদের...
ইমাম মাহদী (আঃ)-এর ব্যপারে বিশ্বখ্যাত আলেমগণ একমত যে তিনি এখনো আসেননি। কোথাকার কে দাবী করল সেটা বিবেচ্য নয়...

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

সনেট কবি বলেছেন: যোক্তিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পূর্নাঙ্গ ইসলামের ৪টি স্তরের কথা যথা শরীয় তরীকত, হাকিকত ও মা’রিফত এর বিষয়গুলি বিভিন্ন আলোচনায় উঠে আসে । ইসলামী জীবন ব্যবস্থার যাবতীয় বিধানকে মেনে শরীয়ত এর অনুসারী হয়ে নীজ প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রিত করে প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে আত্মার অনুগত করার জন্য সঠিক ও উপযুক্ত ব্যবহারিক দিক নির্দেশনা প্রয়োজন । 'কুরআন, হাদীস, ইজমা ও কিয়াসের' উপর ভিত্তি করে জীবন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য উপযুক্ত শিক্ষকের প্রয়োজন আছে । অনুরূপভাবে মন্দ স্বভাব, মিথ্যা, গীবত, অপব্যায়, কৃপণতা, বিদ্বেষ,অহংকার, প্রতিপত্তি প্রীতি, দুনিয়ার মহব্বত, লোভ, হিংসা, রিয়া বা লোক দেখানো কাজ করা, খাহেশে নফসানী বা প্রবৃত্তির চাহিদ চরিতার্থ করা বা জৈবিক চাহিদার পূরণে লালায়িত হওয়া, আত্মগর্ব, ক্রোধ প্রভৃতি মন্দ স্বভাব বা খারাপ চরিত্রগুলো দূর করার জন্য তরীকতপন্থী একজন খাটি পীর বা পরামর্শদাতার প্রয়োজন রয়েছে । তেমনিভাবে প্রশংসনীয় কাজ যথা ভাল কাজের ইরাদা ও নিয়ত, ইখলাছ (একনিষ্ঠতা), উন্স (মহব্বত), ধর্মপ্রচার , জিকির (আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে গভীর চিন্তা), তাফবীয (আল্লাহর উপর নিজের যাবতীয় বিষয়কে সোপর্দ করা), তাক্বওয়া (পরহেযগারী), তাওয়াযু (বিনয়), তাওবা, তাওহীদ (একত্ববাদ), তাওয়াক্কুল (আল্লাহর উপর ভরসা ইত্যাদি বিষয়ে প্রায়োগিক জ্ঞান লাভের জন্য একজন খাটি পীর ভাল ভুমিকা রাখতে পারেন ।

তরিকতের আমল সমূহ যথাযথভাবে পালন করতে পারলে অন্তরে যে নূর সৃষ্টি হয় তাকে হকিকত নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে বলে জানা যায় । আন্তরিকভাবে খোদার প্রেমের স্বাদ ও পরমাত্মার সাথে তার যোগাযোগ এর মাধ্যমেই এটা সম্ভব হতে পারে । এ ক্ষেত্রেও একজন পীরে কামেল বুযুর্গ আলেম নীজের অভিজ্ঞতার আলোকে উপযুক্ত পদ্ধতি বাতলে দিতে পারেন । অন্তরের নূরের দ্বারা আল্লাহ পাকের সঙ্গে গড়ে উঠা সম্পর্ককে মারিফত পর্যায়ে উত্তীর্ণ করার জন্যও একজন সত্য খাটি পীরের প্রয়োজনীতা আছে । এ পর্যায়ে উন্নীত হতে পারলে সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন সহজ হয়ে যায় , অন্তর আলোক উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। তখন মানব জীবন ও সৃষ্টি জীবনের গুপ্ত রহস্য তার নিকট স্পষ্ট হয়ে ভেসে ওঠে। ইত্যাকার অর্জনগুলির জন্য একজন সত্যিকার কামেল ও বুযুর্গ আলেম, পীরের দাযীত্ব পালন করলে সাধকের পথ অনেক সহজ হয়ে যায় । তবে কথা হলো সত্য ও খাটি কামেল পীর চিনে নিয়ে তাঁর কাছ হতে শিক্ষা নেয়া বেশ কঠীন কাজ , কারণ আজকাল অনেকেই পীরের বেশ ধরে অনেক কাজ করেন যা গ্রহনযোগ্য নয় । তবে যারা অন্তরে খালেশ নিয়ত রেখে সত্য জ্ঞান ও ইসলামের সঠিক নিয়ম কানুন অনুসরন করে নীজের ইহলোকিক , পারলৌকিক ও আত্বিক উন্নতি ঘটাতে চান তাদের জন্য খাটি ও সত্য কামেল পীর পেতে মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ সহায়তা করেন ।

ধন্যবাদ মুল্যবান একটি পোষ্ট দিয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৯

সনেট কবি বলেছেন: ব্লগাররা আপনাকে খুঁজে পাচ্ছিল না। যাক আপনাকে আবার পাওয়া গেল এ জন্য আল্লাহ পাকের শুকরিয়া।
এক পক্ষ এ প্রচারে নেমেছে যে পীর অপ্রয়োজনীয়, এমন কি ক্ষতি কারক। কিন্তু মূলত পীর হলেন শিক্ষক। এখন কতিপয় ভন্ডের কারণে যারা ভন্ড নয় তাদের বিরোধীতা করা যায় না। সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) মহানবির (সাঃ) তত্ত্বাবধায়নে ইবাদত বন্দেগী করেছেন। তাঁদের ভুল হলে মহানবি (সাঃ) সাথে সাথেই সেটা ধরিয়ে দিতেন। অনুরূপভাবে মুরিদেরা পীরের তত্ত্বাবধায়নে ইবাদত বন্দেগী করে থাকেন। তাদের ভুল হলে পীর সেটা ধরিয়ে দেন। কাজেই পীরের তরিকা মহানবির (সাঃ) সাথে হুবহু মিলে। তবে যদি প্রতিয়মান হয় পীরের কোন কাজ ভুল তবে সেটা পরিত্যাগ করলেই হলো।
অজ্ঞ অনভিজ্ঞ অদক্ষ মানুষ যদি একা একা ইসলাম পালন করতে যায়, আর তাতে যদি শয়তান বাগড়া দেয় তবে এর থেকে বাঁচার কি উপায় থাকবে? সে জন্য সংগঠিত থাকা দরকার তাতে একজন ভুল করলে অন্য জন সে ভুল ধরিয়ে দিতে পারে।

১৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: আলোচনা. মন্তব্য ও প্রতিত্ত্যর ভালো লাগলো।
অনেক কিছুই শিখার ও বুঝার আছে।
ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।

আপনার প্রেরণা পাইনা কয়েকদিন যাবত।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

সনেট কবি বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

১৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী বলেছেন: আমি পীর সাহেব চরমোনাইর দ্বিনি কর্যক্রমের সমর্থক, অন্ধভক্ত নই। দির্ঘদিন খুব কাছ থেকে(কাছে যাওয়া সবার জন্য সহজ) দেখেছি উনি কোরয়ান সুন্নাহের উপর আছেন ও থাকতে চান। আল্লাহর ভয় আছে। আছে বলেই জোয়ারে গা ভাষান না। নাহয় কত আগেই বিএনপি/আওয়ামিলিগ, মন্ত্রিত্বের কাছে বিক্রি হয়ে যেতেন। হেফাযত ইস্যুতেও বিএনপি জামাত চক্রান্ত কেমনে বুজে জান।
সেদিন(শাপলা চত্তর) স্টেইজে জায়গা না পাওয়াটা আল্লাহর রহমত মনে করি।
আর টাকা পয়সার ব্যাপারটা এদরে খুব সচ্চ দেখেছি। এদরে কঠিন একটা মিশন- ৬৮ হাজার গ্রামে ৬৮ হাজার কওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা। সেই উদ্দেশ্যে টাকা কালেকশন করে মাহফিলে। আর ইজতেমার পর বাংলাদেশে সর্বচ্চ মাহফিল এরাই করে। জেলা ইজতেমার অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রায় ২ লাখ মানুষের সমাগম হয়। মানুষ দ্বিনমুখিও হয় মোটামুটি।
সবচেয়ে বড়কথা এদরে রাজনৈতিক অবস্থানের কারনে বিএনপি/আওয়ামিলিগ সহ বাকি দলগুলোর আর্থিক সহায়তা মেলেনা, নেয়না। কালেকশনই ভরসা।

সবছেয়ে বড় ফান্ড সংগঠনের বায়তুল মাল। সংগঠন বলেন, মাহফিল বলেন আর রোহীঙ্গা ইস্যুতে অনবধ্য কার্য়ক্রম বলেন এই কর্মীরাই সব।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ। এরাই হয়ত ইসলামী রাজনীতির বৃহৎ দলে পরিণত হবে।

২০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

আলী নওয়াজ খান বলেছেন: কাওসার চৌধুরী @ আসলে র্ফাসি ভাষায় پیر বা বাংলা ভাষার পীর শব্দের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে ।
আভিধানিক অর্থে ফার্সি ভাষাতে পীর শব্দের অর্থ হল বুড়ো বা বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

সনেট কবি বলেছেন: যে ভাষার শব্দ হোক পীরকে অনেক মুসলমান খুব দরকারি মনে করে। যদিও ভন্ডদের কারণে পীরদের প্রতি অনেকের নেতি বাচক ধারণা তৈরী হয়েছে।

২১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী বলেছেন: তবে এটাই ঠিক বাংলাদেশে সিংহভাগই চলে পীরের নামে ভন্ডামী।

পীর ফার্সি শব্দ। এর বাংলায় মুরুব্বি, আরবী মোর্শেদ(সুরা কাহাফ:১৯ দ্রষ্টব্য) শায়খ, ওস্তাদ, বা পথপ্রদর্শক ও অর্থ নেওয়া হয়

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: ঠিক বলেছেন, ভন্ডরাই পীর শব্দটাকে নেতি বাচকতার দিকে নিয়ে গেছে।

২২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



১৬ নং বিচার মানি... এর সাথে সহমত। ভাল থাকবেন।






রাজাকার, আলবদররা নি:সন্দেহে ৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিলেন। তাদের তখনকার ভূমিকা ছিল ঘৃন্য এবং ন্যাক্কারজনক। পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধাগন এদেশের অসম সাহসী সম্মুখ সমর সৈনিক। তাদের অকল্পনীয় ত্যাগ, এক সাগর রক্ত আর অকারে বিলিয়ে দেয়া লাখো জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন একটি ভূখন্ড লাভ করেছি। তাদের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা, কল্যানের দুআ নিরন্তর।

প্রশ্ন হল, স্বাধীনতার পরে অর্ধশত বছর (প্রায়) পেরিয়ে আজও আমাদের পুরনো সেই কাঁসুন্দি ঘাটতে হচ্ছে কেন? সুন্দর আগামীর লক্ষ্যে আমাদের তো বিভেদ নয়, প্রয়োজন ছিল ঐক্যের। বিভক্তি নয়, দরকার ছিল একতার। নতুন প্রজন্মের ভেতরেও বিভক্তির সেই পুরাতন বীজ বপন করার হেতু কী?

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

সনেট কবি বলেছেন: কোরআন ও হাদিস যদি একেক জন একেক রকম বুঝে তবে আর এক হতে পারে কেমন করে? আমার বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার ৭ নং বশিকপুর ইউনিয়নে। তো আমাদের ইউনিয়নের বিখ্যাত আলোচক কাজী ইব্রহীম সাহেবকে দেখলাম তিনি বলছেন মাহদী (আঃ) আগামী ৬/৭ বছরের মধ্যে প্রকাশ পাবেন। যাক মাহদী এসে যদি মুসলমানদেরকে এক করতে পারে।
১২০০ হিজরির পর মাহদীর (আঃ) আসার কথা। এর মধ্যে ২০০ বছর পার হয়ে গেল, কিন্তু মাহদীর (আঃ) কোন খবর নেই। মাহদী এভাবে বিলম্ব করতে থাকলে লোকে অবশেষে কি করতে কি করে ফেলে বলা মুশকিল।

২৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রথম লাইনটিই এই পোস্টের মন্তব্য ছিল। অন্য একটি লেখা চলে গেছে সাথে। দু:খিত।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

সনেট কবি বলেছেন: বুঝলাম প্রিয় কবি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.