নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে ভুল ধারণা (পর্ব-১)

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৯:৫২



কোন কথা হাদিসের কিতাবে না থাকলে সেটা বিদয়াত হবে এটা মারাত্মক ভুল ধারণা। কারণ কিতাবে থাকা হাদিস গুলোই এককালে হাদিসের কিতাবের বাইরে ছিল। আর সব হাদিস কিতাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে এ বিষয় নিশ্চিত নয়। যে সব হাদিস কিতাবে লিপিবদ্ধই হয়নি সে সব হাদিসের কথা কিতাবে থাকে কেমন করে? হাদিসের কিতাবে নেই কিন্তু ফিকাহ এর কিতাবে আছে বা মুসলমানের আমলে আছে, হতে পরে এমন বিষয় হাদিসে ছিল, যদিও কোন কারণে এমন হাদিস কিতাবে স্থানলাভ করেনি।কারণটা হতে পারে ফিকাহ এর কিতাবের সংকলক এমন হাদিস যার কাছ থেকে পেয়েছেন তিনি সহিহ ছিলেন; কিন্তু হাদিসের কিতাবের সংকলক যার কাছ থেকে হাদিস খানি পেয়েছেন তিনি সহিহ ছিলেন না বিধায় হাদিসের কিতাবের সংকলক হাদিসখানি বাদ দিয়েছেন। অবস্থা দাঁড়াল এই যে হাদিসে যা ছিল তা’ হাদিসের কিতাবে নেই। আবার ফিকাহ এর কিতাব যিনি সংকলন করেছেন তিনি যার কাছ থেকে হাদিস পেয়েছেন তিনি সহিহ না হওয়ায় তিনি সে হাদিস বাদ দিয়েছেন, সেই বাদ দেওয়া হাদিস হাদিসের কিতাব যিনি সংকলন করেছেন তিনি যার কাছ থেকে পেয়েছেন তিনি সহিহ হওয়ায় হাদিসের কিতাবের সংকলক সেই বাদ দেওয়া হাদিস সহিহ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বেশতো গন্ডগোল শুরু হয়ে গেল যে যা হাদিসের কিতাবে আছে তা’ ফিকাহ এর কিতাবে নেই বা যা ফিকাহ এর কিতাবে আছে তা’ হাদিসের কিতাবে নেই। এখন তবে মানা হবে কোনটি? অনেকেই গলা টানটান করে ঘোষণা দিল হাদিসের কিতাব মানতে হবে। কারণ মহানবি (সা.)হাদিস মানতে বলেছেন ফিকাহ মানতে বলেননি।সুক্ষ্মভাবে ভেবে দেখুন এরা কি কথায় কি কথা বলে? মহানবি (সা.) হাদিস মানতে বলেছেন, হাদিসের কিতাব নয়।আর ফিকাহ যারা সংকলন করেছেন তারা কিন্তু বলেছেন তারা হাদিসের খেলাফ করেননি।তবে তাদেরকে কেন অযোক্তিকভাবে হাদিস খেলাফি বলা হবে?
এবার একটু খোলাসা করে বলি, ইমাম আবু হানিফা (র.) হাদিস গ্রহণ করেছেন দ্বিতীয় রাবী থেকে, আর ইমাম বোখারী (র.) হাদিস গ্রহণ করেছেন পঞ্চম রাবী থেকে তাহলে কার হাদিস অধিক সহিহ হওয়ার কথা? তবে আবু হানিফাকে (র.) বাদ দিয়ে বোখারীকে (র.) মানা হবে কোন যুক্তিতে? কাজেই মাযহাব লা মাযহাব দ্বন্দ্বে লা মাযহাবকে এগিয়ে রাখার সংগত কোন কারণ নেই। কারণ আবু হানিফার (র.) সহিহ হাদিস বোখারী (র.) গ্রহণ না করাতে বা আবু হানিফার (র.) বাদ দেওয়া হাদিস বোখারীর (র.)সহিহ হিসেবে গ্রহণ করাতে মূলত আবু হানিফার (র.) কোন দোষ নেই।আর আবু হানিফার (র.) সহিহ না হওয়া বা বোখারীর (র.) সহিহ হওয়া সংক্রান্ত কোন সহিহ হাদিস নেই।আর আবু হানিফার (র.) চেয়ে বোখারীকে (র.) অধিক সহিহ মনে করাও ভুল ধারনা। কারণ এ সংক্রান্ত কোন প্রমাণ নেই। কাজেই মাযহাবের অনুসারী হওয়া সঠিক নয় এমন ধারণা মারাত্মক ভুল ধারণা। শবেবরাতের বিপক্ষে যারা বলছে তারও সেটা ভুল ধারনা থেকেই বলছে, ব্লগার সৈয়দ তাজুলের পোষ্ট থেকে আমরা সেটা বিস্তারিত জেনেছি।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:১২

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে এখন এগুলো বের হচ্ছে বলে অনেকের খারাপ লাগছে। এতদিন কেউ জানত না বলে আলোচনাও হত না। তবে আলোচনা চলতে চলতেই একগুঁয়েমী দূর হবে ইনশা আল্লাহ।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:১৬

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু শবেবরাত যে সঠিক সেটা প্রমাণ করা যায়।

২| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:২৫

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: আরব দেশে এই দিনটিকে একটি স্পেশাল দিন হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু রাতজেগে ওরা প্রার্থনা করতে দেখিনি। মসজিদগুলো প্রায় ৯টার মধ্যেই বন্ধ। আমি ইসলামের এই বিষয়টি নিয়ে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা ছাড়া কিছু বলতেও চাই না। তবে, সারা জীবন শবে বরাত পালন করেছি। তছাড়া, নামাজ পড়লে তো গুনাহ হবার কথা নয়।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:২৮

সনেট কবি বলেছেন: সৌদিরা বার তেরটা বিয়ে করে আমরা সেটাও করি না। আমরা সেটাই করব যেটা কোরআন ও হাদিস সাপোর্ট করবে।

৩| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:২৫

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: শবে বারাত, সৌভাগ্যের রাত, ভাগ্য রজনী সঠিক প্রমাণ করা যাবে না। তবে শাবান মাসের মধ্য রজনীর ইবাদত প্রমাণ করা যাবে। দুর্বল বা সহীহ হাদীস যাই হোক ঐটা দিয়ে বর্তমান লাইলাতুল বারাত প্রমাণ করা যাবে না।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৩০

সনেট কবি বলেছেন: সৈয়দ তাজুলের পোষ্ট পড়লে আপনি অনেক জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। আমার স্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে আমি তাকে সেটা পড়ে শুনিয়েছি। বেশ সে ইবাদত করা শুরু করে দিল।

৪| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:২৭

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আজকেই পবিত্র শবে বরাতের বিরুদ্ধে ৩-৪ টি লেখা পেলাম। এমন একচোখা/দিনকানা মানুষও হয়?? ক্যাচাল করবো না বলে, ওদের কোন কমেন্ট করি নি। যদিও মেজাজটা গরম হয়ে আছে।

বি. দ্রঃ কবি ভাই (আপনি), নকিব ভাই, নূরু ভাই ও তাইজুল ভাইয়ের লেখা লাইন মত আছে।।

শুভ কামনা।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৩২

সনেট কবি বলেছেন: আসলে ওদের কথার জবাব আমার স্ত্রী ও কন্যাকে দিতে হয়েছে। মেজাজ সেজন্য আমারটাও খারাপ ছিল। সৌদিরা সিনেমা হল করবে সেটা অনেক সোয়াবের কাজ। আর শবেবরাতে নামাজ পড়লে গুনাহের কাজ। ইবলিশি আর কাকে বলে!

৫| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:২৭

শামচুল হক বলেছেন: আগে মানুষ জানতো কম ঈমান ছিল পাকা এখন মানুষ অনেক কিছু জানে কিন্তু ঈমানে দুর্বল।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: উল্টা-পাল্টা জানার কারণেই ঈমান দূর্বল হয়।

৬| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: সৌদিরা বার তেরটা বিয়ে করে আমরা সেটাও করি না। আমরা সেটাই করব যেটা কোরআন ও হাদিস সাপোর্ট করবে।

হুম এতে কোনো সন্দেহ নেই।

তবে, কোরআন , হাদিসে থাকলে এই বিষয়ে তর্ক উঠে কেন? আর, ইসলাম মনগড়া হবে কেন?

কেউ নামাজ পড়লে বা খারাপ কিছু না করে মহান রবের ইবাদাতে লিপ্ত থাকলেইতো মঙ্গল।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

সনেট কবি বলেছেন: গায়ে পড়ে কেউ ঝগড়া করলে করার কি থাকে। আমি আমার স্ত্রী প্রশ্ন করাতে তাকে সুরা দোখান থেকে পড়ে শুনালাম, তারপর তাকে বললাম এবার তুমি যা ভাল মনে কর সেটাই করবে। আমি কিছু বলব না।

৭| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার একটা কথা ভালো লেগেছে, আপনি বলেছেন, কোরআন হাদীস যা বুলে আমরা তাই করবো।
সৌদিরা কি করলো না করলো,সেটা আমাদের দেখার বিষয় না।
সহমত।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

সনেট কবি বলেছেন: আমরা সৌদি আরবের উপর ঈমান এনে মুসলমান হইনি। আমরা যাদের উপর ঈমান এনে মুসলমান হয়েছি আমরা শুধু তাদেরকেই মানব।

৮| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৫২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: পবিত্র কোরআর শরীফের পরে সবচেয়ে বিশুদ্ধ গ্রন্থ সহিহুল বুখারী। তবে মনে রাখতে হবে ইমাম বুখারী(রঃ) ৬লাখ হাদিস থেকে মাত্র ৭৫৬৩টি হাদিস নিয়েছেন। যেগুলোর বিশুদ্ধতা প্রশ্নাতীত। কিন্তু এটাও ঠিক যে, বোখারী শরীফের বাইরেও হাজার হাজার সহীহ হাদীস আছে। যেগুলো সিয়া সিত্তাহ ও প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে আছে। সাধারণ লোকের এসবের বাইরে যাওয়া গোমরাহী।।

মুফতিগণ এসব গ্রন্থ দেখেই সাধারণ মানুষকে দ্বীনের কথা বলেন। এটা মনে রাখতে হবে, হাদিসের মূল গ্রন্থ অবস্যই আরবি।( সব বাংলা বোখারীর অনুবাদ শুদ্ধ নয়।)

বি.দ্রঃ ইমাম আবু হানিফা (রঃ) সবচেয়ে বড় ফকীহ। এ যুগের বড় বড় আলেমরা তাদের অর্ধেকও নয়।।

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

সনেট কবি বলেছেন: ইমাম বোখারীর (রঃ) চেয়ে বড় আলেম ইমাম আবু হানিফা (রঃ)। কাজেই তাঁকেও অবমাননা করলে চলবে না। আর এ যুগের আলেম সে অনুপাতে কিছুই না।

৯| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনার এই মডারেট অবস্থানে থাকাটা আমার ভালোই লাগে মাঝে মাঝে। যদিও ইসলামী নেতৃত্ব লেখাতে সবাইকে বিতর্কিত চরমোনাইর পীরের দলে যোগ দেয়ার কথাটা ভালো লাগেনি। তবে মাজহাব বা ইসলামী আমলের সময় যেন বেশী মাত্রায় সংঘর্ষ না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের মোল্লারা আপনার মত মডারেট হলেও চলত। কিন্তু শুরুই করে ওয়াহাবী, লা মাজহাবী, ইহুদির দালাল বলে...

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১১:০১

সনেট কবি বলেছেন: অগ্রহণযোগ্য কথা বরং না বলাই ভালো। চরমোনাই পীরের কথা আমি বলেছি ৭১ এর কারণে জামাত বাদ গেলে তারাই সবচেয়ে সুসংগঠিত।

১০| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

অদৃশ্য বালক বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=THxSxDx4q3k

এইখানে অনেক প্রশ্নের ভালো উত্তর দেয়া আছে। ধন্যবাদ আপনাকে

০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

সনেট কবি বলেছেন: তিনি যা বলেছেন সেটা তাঁর মত। তাঁর সাথে আমরা একমত নই। তাঁর কথা সঠিক নয়। কারণ যে কোন রাতেই নফল ইবাদতে কোন বারণ নেই। এখানে কেউ কারো উপর ফরজ হিসেবে কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না।

১১| ০২ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: আমরা অতি আধুনিক হয়ে উঠেছি :(

০২ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

সনেট কবি বলেছেন: অতিতেই ক্ষতি।

১২| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১১:২০

জাহিদ হাসান রানা বলেছেন: নামায না পড়লে সমস্যা নেই কিন্তু আস্তে বা জোড়ে আমীন নিয়েই যত সমস্যা।।

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

সনেট কবি বলেছেন: নামাজ জান্নাতের চাবি। কাজেই নামাজ বাদ দিলে হয়ত জান্নাতে যাওয়া যাবে না। আর যদিওবা জান্নাতে যাওয়া যাবে, তবে সেটা শাস্তি ভোগের পর। আর জোরে আমিন বলা ইমাম আবু হানিফা (রঃ) গ্রহণ করেননি। কাজেই এ সংক্রান্ত হাদিস মানসুখ সাব্যস্ত। কারণ এটা মানসুখ না হলে এমন একজন ফরহেজগার ইমাম এটা বাদ দেওয়ার কথা নয়। এখন জোরে আমিন বলা যদি মানসুখ হয়। তবে জোরে আমিন বলা আমলে কাছির। আর নামাজে আমলে কাছির হলে নামাজ ভঙ্গ হয়। তারমানে নামাজ হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.