নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদয়াত

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৫



মহানবি (সা.) বলেছেন,‘কুল্লু বিদয়াতিন দলালাহ-প্রত্যেক বিদয়াত বা নতুন পথভ্রষ্টতা’। কিন্তু নতুন চাঁদ বা আল হেলাল হেদায়েত। কারণ আমরা এর মাধ্যমে রমজান, ঈদ, হজ্জ ও কোরবানীর তারিখ জানতে পারি।তা’ছাড়া মহানবি (সা.) নিজে যখন নতুন ছিলেন তখন তিনি হেদায়েত ছিলেন। আর প্রত্যেক পুরাতন যা এখন হেদায়েত এগুলো যখন নতুন ছিল তখনও এগুলো হিদায়েত ছিল। এগুলো পথভ্রষ্টতা থেকে হেদায়েতে পরিণত হয়নি।কাজেই নতুন পথভ্রষ্টতা হতে হলে সেটাকে মন্দ হতে হবে ভাল হলে হবে না। ভাল নতুনকে বিদয়াতে হাসানাহ বলা হয়। আর বিদয়াতে হাসানাহ কে আলেমগণ পথভ্রষ্টতা বলেন না।যেমন মাদ্রাসা ও ট্রাক্টর।কিন্তু বিদয়াতে সাইয়েয়াহ বা মন্দ বিদয়াতকে পথভ্রষ্টতা বলে। যেমন আজানের স্থলে ঘন্টা বাজালে সেটা পথভ্রষ্টতা হবে। কিন্তু উটের পিঠে চড়ে হজ্জ্বে গমনের স্থলে বিমানে চড়ে হজ্জ্বেগমন হলে পথভ্রষ্টতা হবে না।কাজেই বিদয়াত বলতে মহানবি (সা.) বিদয়াতিন সুয়িন বা বিদয়াতিন সাইয়িয়াতিন বুঝিয়েছেন এটাই সাব্যস্ত। কারণ এখানে বিদয়াতের সাথে মন্দ যোগ না করা হলে সেটা বাস্তব সম্মত অর্থ প্রদান করে না।কারণ এটা মহানবির (সা.) নতুন অবস্থাকেও বিতর্কীত করে ফেলে।কাজেই নতুন হলেই পথভ্রষ্টতা হবে এটা নিচক ভুল ধারনা।
আমার বিশ্লেষণ গ্রহণ করা হলে এমন অনেক কিছুই বিদয়াত সাব্যস্ত হবে না, যে গুলোকে অনেকে বিদয়াত বলে থাকে।

বিঃদ্রঃ ছবি দ্বারা বুঝানো হচ্ছে এ সুন্দর নক্সা মহানবির (সাঃ) জামানায় ছিল না। এটা মসজিদে ব্যবহার কারা জায়েজ হবে কি? উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে এটাই সাব্যস্ত হবে যে ভাল নতুন পথভ্রষ্টতা নয়। আর উত্তর ‘না’ হলে বলব এ উত্তর যুক্তি সংগত নয়।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার লেখায় যুক্তি আছে। জোরালো যুক্তি। লেখাটি বিদাত/সুন্নত নিয়ে লাফায় তারা পড়লে ভাল হতো।

ছবিটা চমৎকার হয়েছে।

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

সনেট কবি বলেছেন: এ হাদিসের অপব্যখ্যা আমাদেরকে জটিল পরিস্থিতির মাঝে নিয়ে গেছে। কাজেই প্রতিটি মুসলমানকে এর সঠিক ব্যাখ্যা বুঝতে হবে।

২| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! যুক্তিযুক্ত পোষ্ট প্রিয়তে রাখলাম।

অনেক ভাল লাগা , প্রিয় কবিকে।

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: এভাবে সবাই মিলে চেষ্টা করলে যারা মানুষকে বিপথগামী করে তাদের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার আশা করা যায়।

৩| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নতুন হলেই পথভ্রষ্টতা হবে এটা নিছক ভুল ধারনা।
যেমন হজ্বে যাবার জন্য পাসপোর্ট দরকার, আর
পাসপোর্টের জন্য ছবি দরকার। এখন ছবি তোলাকে
কেউ যদি বিদয়াত বলে তা হবে ভুল ধারনা।

একজন ভুল ধরার মহা-বিশেষজ্ঞ আছেন আমাদের
দেকি উনি কি বলেন !!

ধন্যবাদ কবি,

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: তারা ইসলামটাকে এতটাই জটিল করার চেষ্টা করছে যেন মানুষ ইসলামের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

৪| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই একটা কথার জবাব দিবেন কি ???? আমি বা আমরা জানি ইসলাম ধর্ম কোন কনফাইনিজমকে প্রোমট করে না এবং মুক্ত চিন্তা চেতনা যদি শরিয়ত বিরুধী না হয় তখন তাকে বাধা না দিয়ে উৎসাহিত করে । এখন যদি আমি মে দিবস, ভাষা দিবস, ১লা বৈশাখ, বিজয় দিবস , স্বাধীণতা দিবস পালন করি ধর্ম নিরপেক্ষ চেতনা দিয়ে তখন মোল্লার বলে ঐটা হারাম ওটা নাজায়েজ লাম ছাম আরো কত কি ।
এখন যদি আমি ঐ সমস্ত দিবস ১০০% ইসলামী চেতনা দিয়ে পালন করি , তখন মোল্লারা বলবে ঐ সমস্ত দিবসের কথা কোরান হাদিসে নেই এবং আমাদের রসুল (সা: ) সাহাবারা কখনো পালন করে নি , তাই ওগুলো পালন করা বিদায়েত ।
তাহোলে মুসলমানরা কি কোন কিছু মুক্ত মনে ভালো উদ্দেশ্য সৃষ্ঠি করতে পারবে না ???
কোন কিছু মালটিকালচারাল এনটিটি দিয়ে করলে সেটা হবে হারাম , আবার সেই জিনিসটা ১০০% ইসলামিক এলিমেন্ট দিয়ে করলে হবে বিদায়েত ----- এই ভাবে চলতে থাকলে মুসলমানদের কোন দিন উন্নতি হবে এবং দিন দিন পশ্চাৎগামী হবে ।

০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

সনেট কবি বলেছেন: আমি এখানে মুক্ত চিন্তার পক্ষেই থাকার চেষ্টা করেছি। হজরত ওসমানকে (রাঃ) হত্যাকরা যারা জায়েজ মনে করেছে তারা কিন্তু তাবেঈ কাতারের লোক। তাদেরকে আবার চাকুরী দিয়েছেন হজরত আলী (রাঃ)। এখন মহানবি (সাঃ) বুঝিয়েছেন এক রকম মানুষে বুঝেছে আরেক রকম। সে আরেক রকমটাও আবার হয়েছে বিভিন্ন রকম। সেই থেকে বিশৃঙ্খলা শুরু। এখনো সেটা চলছে। আপনি যে পয়েন্ট ধরেছেন এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ইসলামের বিশ্লেষকরা আপনার সাথে কিভাবে মত বিরোধে জড়ায় সেটাও দেখেছি। এখন বিষয়টা দাঁড়াল, ইসলাম যে যেমন বুঝে সে তেমন বলে এবং সে তেমন পালন করে। আমরা এ বৃত্ত ভেদ করে বেরিয়ে আসতে পারছি না। আরেকটা বিষয় হলো যে যেমন মত পোষণ করছে সে সেই দৃষ্টি কোন থেকে ইসলামের ব্যাখ্যা করছে। এখন আমি মনে করি আগে চরম পন্থি ঠেঁকানো দরকার। তারপর না হয় অন্য বিষয় ভাবা যাবে। তারমানে আমি আপাতত আপনার প্রশ্নে সরাসরি কোন উত্তর দিচ্ছি না।

৫| ০২ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লিখেছেন। দেখি অন্যরা কি বক্তব্য দেয়।

কাঠমোল্লারা আবার বিদয়াত নিয়ে গ্রামের ওয়াজগুলোতে মাঠ গরম করে রাখে।

০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

সনেট কবি বলেছেন: বিদয়াতের জ্বালায় অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে আপনি যা করতে যাবেন সেটাই বিদয়াত। এরপর আপনার চুপচাপ বসে থাকা ছাড়া কোন উপায় তাকে না। মোটকথা এরা ইসলামে অচলায়তন তৈরী করছে। যাতে করে আমরা কিছুতেই অগ্রসরমান পৃথিবীর সাথে তার মিলাতে পারছি না।

৬| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

শামচুল হক বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ

০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

সনেট কবি বলেছেন: কেউ যেন ইসলামের অপব্যাখ্যা করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।

৭| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১:১১

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: কর্মহীন ধর্ম আর ধর্মহীন কর্ম নাকি আল্লাহ গ্রহণ করেন না।

০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

সনেট কবি বলেছেন: একটা একটার পরিপূরক, সে জন্য একটা ছাড়া অন্যটা অর্থহীন।

৮| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী যুক্তি ভালো দিয়েছেন।

০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

সনেট কবি বলেছেন: এর স্বার্থকতা তখন হবে যখন ফিতনা বাজেরা হেদায়েত পাবে।

৯| ০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

মাহের ইসলাম বলেছেন:
শবে বরাত উপলক্ষে সরকারী ছুটি কি ঠিক আছে ?

০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

সনেট কবি বলেছেন: ছুটি থাকলে রাতে এবাদত বন্দেগীতে সুবিধা হয়।

১০| ০৩ রা মে, ২০১৮ ভোর ৬:০০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই যে, বিদআ'তকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কল্যাণকর বিদআ'ত বা বিদআ'তে হাসানাহ ভাগ করা শুরু হয়েছে আলেমদের দ্বারা - এটাও একটা বিদআ'ত। কারণ, বিদআ'তের কোন ভালো বা মন্দ নেই। একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু ঢুকেছে কিনা। মসজিদ, মাদ্রাসা, প্লেন - যেসব উদাহরণ কল্যাণকর বিদআ'তের পক্ষের লোকেরা দিয়ে থাকেন সেগুলো সওয়াবের উদ্দেশ্যে দ্বীনের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী কোন আমল নয়। যদি সওয়াবের উদ্দেশ্যে কিছু নতুন সৃষ্টি করা হয় (যেমন - তাবলীগের পিকনিক, আরবী নিয়ত পড়া, মিলাদ পড়া, ৪ দিন/৪০ দিন পালন করা) সেটা হবে বিদআ'ত। আপনি আরো ভালো জানার কথা। ধন্যবাদ...

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

সনেট কবি বলেছেন: ইসলাম প্রচার বিদয়াত নয়। মসজিদে থাকাও বিদয়াত নয়। মহানবির জন্মের আলোচনা হাদীসে আছে। এখন একটা ভালকাজের জন্য একটা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে তার একটা নাম দিলে সেটাকে বিদয়াত বলা বাড়াবাড়ি ছাড়া কিছুই নয়।

১১| ০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এর স্বার্থকতা তখন হবে যখন ফিতনা বাজেরা হেদায়েত পাবে।


হেদায়েত তো সাধারন মানূষের করার ক্ষমতা নাই।
হেদায়েত কজরবেন মহান আল্লাহ।

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

সনেট কবি বলেছেন: ফিতনা বাজেরা ইসলামের ধ্বংস এবং তাদের ইয়াহুদী প্রভুদের আনুকল্য তালাস করে। কাজেই আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দিবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.