নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদিসের মর্ম (পর্ব-১)

০৩ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩



মহানবি (সা.) বলেছেন,‘মান তারাকা ছুন্নাতি ফালাইছাহু মিন্নি-যে আমার ছুন্নত তরক করলো সে আমার দলভূক্ত নয়’। এ হাদিসের অর্থ অনেকে যেমন করে তাতে প্রথমেই দু’জন আশারায়ে মোবাশ্বেরা বা দুনিয়ায় থাকতে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত সাহাবা (রা.) মহানবির (সা.) দল থেকে বাদ পড়েন। কারণ তাঁরা মহানবির (সা.) দারিদ্র থাকার ছুন্নত তরক করেছেন। মহানবি (সা.) সারা জীবন দারিদ্র জীবন যাপন করেছেন সেখানে তাঁরা কোনদিন দারিদ্র জীবন যাপন করেননি।সেই দু’জন সাহাবা (রা.) হলেন, (১) হজরত ওসমান (রা.) ও হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.)। হজরত ওসমান (রা.) আবার খোলাফায়ে রাশেদার তৃতীয় খলিফা এবং জামিউল কোরআন বা কোরআন সংকলনকারী।এখন তিনটি হাদিস সমম্বয় করলে প্রথম হাদিসের অর্থ দাঁড়ায় যে সব ছুন্নত তরক করে সে মহানবির (সা.)দলভুক্ত নয়। কারণ যে একটি ছুন্নত পালন করে সেওতো ছুন্নত পালনকারী।মহানবি (সা.) বলেছেন,‘মান কালা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ফা দাখালাল জান্নাতা-যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলল সে যেন জান্নাতে প্রবেশ করলো’।তো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা একটা ছুন্নত। যাতে লোকে গুনাহের শাস্তিভোগেরপর জান্নাতে যাবে। তো মহানবির (সা.) দলভুক্ত না হয়ে তারা কেমন করে জান্নাতে যাবে? আল্লাহ বলেছেন,‘ফা আম্মামান ছাকুলাত মাওয়াজিনুহু ফাহুয়া ফি ঈশাতির রাদিয়াহ-যার নেকের পাল্লা ভারি হবে সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন’। কাজেই যার ছুন্নত পালনের পাল্লা ভারী হবে সে ছুন্নত পালনকারী গন্য হবে। আর যার ছুন্নত তরকের পাল্লা ভারী হবে সে ছুন্নত তরককারী গণ্য হবে।সে হিসেবে হজরত ওসমানের (রা.) আশারায়ে মোবাশ্বেরা হওয়া প্রথম হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক থাকেনা।তবে একটি ছুন্নত পালন করাও গুরুত্বপূর্ণ বা ঈমানের সাথে একটা ছুন্নত পালনও বেকার যাবে না। কারণ আল্লাহ বলেছেন,‘ফামাইয়ামাল মিছকালা যাররাতিন খাইরা ইয়ারাহ-যে অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলো সে উহা দেখবে’।‘মান কালা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ফা দাখালাল জান্নাতা-যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলল সে যেন জান্নাতে প্রবেশ করলো’।হাদিস দ্বারা বুঝা যায় এমন লোক শাস্তি ভোগের পর নাজাত পাবে যদি সাথে তার মূল্যবান ঈমানখানা থাকে।কাজেই সবাই যথাসম্ভব ছুন্নত পালন করবে তবে কারো খানিকটা ছুন্নত বাদ পড়ে গেলেও তাকে মহানবির (সা.) দল থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার দরকার নেই, যদি সে ছুন্নত অস্বীকারকারি না হয়।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আল্লাহার হুকুম আর নবীর তরিকা ।দুটি শক্তভাবে যে ধরবে সেই বেহেশতে প্রবেশ করবে ।

০৩ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: এটাই পরিস্কার সঠিক মত।

২| ০৩ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ইসলামের মূল সংবিধান হলো কোরআন। তারপর হাদীস। আর এগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা জানতে লাগে তাফসির। এর বাইরের সব মদবাদ সমাজে বিভ্রান্ত ছড়ায়।

০৩ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

সনেট কবি বলেছেন: কেউ যেটা মনে করে সেটাই যদি ইসলামের নামে প্রচার করে তবেতো বিভ্রান্তি ছড়াবেই। যেমন আপনার পোষ্ট থেকে আই এসের লাভ জিহাদের কথা জানাগেল। যা শুনলে শরির শিউরে উঠে। এটাকেই বলে ইসলামের অপ প্রচার।

৩| ০৩ রা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: পোষ্টটা পড়লাম, পরে আবার পড়ব সময় নিয়ে।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:২৮

সনেট কবি বলেছেন: আশাকরি সবার মতামতে বিষয়টি আরো সহজ হবে।

৪| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:০৫

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বাহ
চমৎকার লেখনী।

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:২৭

সনেট কবি বলেছেন: দোয়া করবেন, স্পর্শকাতর বিষয়ে যেন ভুল না করি।

৫| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: আল্লাহর হুকুম পালনেও ঠিকমত সচেষ্ট হয়নি।

দোয়া করবেন যাতে ফরযগুলো ঠিকমত আদায়ের পাশাপাশি ছু্ন্নতের আমল করতে পারি।

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:২৬

সনেট কবি বলেছেন: ইবাদত যত করা যায় ততই মঙ্গল। তাই বলে কারো ইবাদত ছুটে গেলে প্রকৃত অবস্থা না জেনে কারো প্রতি মন্দ ধারনা পোষণ করা মোটেও সঠিক নয়।

৬| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৮:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আমাকে শুধু বলুন, নবীজীর মৃত্যুর কত বছর পর হাদীস সংকলন করা হয়?
আনুমানিক ২০০ বছর পর? তাহলে কিভাবে সঠিক হাদীস সংগ্রহ করা সম্ভব হয়?

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

সনেট কবি বলেছেন: হাদিসের সঠিকতা নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলেন। তারপর যদি এর অপব্যাখ্যা করে মুসলমানদের জীবন যাপন ব্লক করে দেওয়া হয়, তবেতো মুশকিল।

৭| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:১০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আল্লাহ মাফ করুক, আপনি এখন হযরত উসমান (রাঃ) কে নিয়েও সমালোচনা করছেন! আরো সচেতন হতে হবে স্যার...

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:২৪

সনেট কবি বলেছেন: এখানে হজরত ওসমানের (রাঃ) সমালোচনা করা হয়নি। কারণ তিনি যা করেছেন সেটা মহানবির (সাঃ) সামনেই করেছেন। কিন্তু মহানবি (সাঃ) তাঁকে বারণ করেননি। কাজেই এটাও হাদিস। আর তা’হলো একটা দু’টা হাদিস তরকে সাকুল্যে হাদিস তরক হয়না, যদি হতো তবে মহানবি (সাঃ) তাঁর জামাতাকে অবশ্যই সাবধান করতেন। আর তা’হলে তাঁকে জান্নাতের সৃসংবাদ দিতেন না। আর এমন ছুন্নত তরক যে কারো যে কোন সময় হয়ে যেতেই পারে। পোষ্টে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি পরিত্যাগে উৎসাহিত করা হয়েছে।

৮| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ হাদীস তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু এসব লিখতে গিয়ে ভয় হয় কোনখান দিয়ে আবার ভুল হয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.