নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমানদের সঠিক দল

০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫



‘যারা আল্লাহ যা নাজিল করেছেন সে অনুযায়ী হুকুম করেনা তারা কাফির’ আল্লাহর এ কথার ভিত্তিতে ইবাদীরা বলে কবিরা গুনাহ করলে কাফির হবে। কিন্তু ‘যারা আল্লাহ যা নাজিল করেছেন সে অনুযায়ী হুকুম করেনা তারা ফাসিক’ এটাও আল্লাহর কথা। উভয় আয়াতের সমম্বয়ে হানাফীরা বলে, আল্লাহর বিধান লংঘন করে শিরক ও কুফরে জড়ালে কাফির হবে, নতুবা কাফির না হয়ে ফাসিক বা গুনাহগার হবে। তারমানে সব কবিরা গুণাহে কাফির হবে না। কিছু কিছু কবিরা গুণাহে কাফির হবে।কিতাবের এক অংশ মান্য করা এবং অন্য অংশ অমান্য করা সূত্রে ইবাদীরা ইসলামের সঠিক দল নয়।
শীয়ায়ে আলী (রা.) বা আলীর (রা.) দল কোরআন স্বীকৃত নয়। আর শীয়ারা তাদের সঠিকতায় যে হাদিস উপস্থাপন করে সেটা মহানবির (সা.) হাদিস হিসেবে প্রমাণীত নয়। কাজেই শীয়াদের সঠিকতা অপ্রমাণীত।
আহলে কোরআন ও আহলে হাদিস কোরআন স্বীকৃত নয়। আর তা’ছাড়া তাদের নাম হওয়ার দরকার ছিল আহলে কোরআন ওয়াল হাদিস। তা না হয়ে তারা পৃথকভাবে আহলে কোরআন, আহলে হাদিস হয়ে ঝামেলায় পড়েছে।

হানাফী হলো একনিষ্ঠ। একনিষ্ঠ এর স্বীকৃতি কোরআনে রয়েছে। শাফেঈ, হাম্বলী ও মালেকী এর স্বীকৃতিও কোরআনে নেই।
হানাফী মত চল্লিশজন তাবে তাবেঈ এর ওলামা পরিষদ নিরিক্ষা ও সংশোধন করে অনুমোদন করেছেন যা অন্যসবার ক্ষেত্রে অনুপস্থিত।
হাদিসের রেফারেন্স বুক সমূহও নিরিক্ষীত, সংশোধীত ও অনুমোদীত নয়। সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য হাদিস গ্রন্থ বোখারী শরিফেও ডঃ মরিচ বুকাইলি ভুল সনাক্ত করেছেন। আর সেটা হলো ভ্রুণ সংক্রান্ত হাদিস।বুকাইলি বলেন অনেকেই প্রচলিত কথাকে হাদিস হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে যা হাদিস সংকলক ধরতে পারেননি। সে গুলো মহানবির (সা.) হাদিস নয়।এভাবে নিরিক্ষা করতেগেলে সেসব হাদিস গ্রন্থে অনেক ভুল পাওয়া যেতে পারে। এজন্য নিরিক্ষার প্রয়োজন আছে। যে সব মত বা রেফারেন্স বুক নিরিক্ষীত নয় সেসব মত বা রেফারেন্স বুক একক মত হিসেবে বিবেচিত হবে।
এখন কেউ যদি বলে আমরা এখন নিরিক্ষা করব। তা’আপনারা করতে পারেন। তবে আপনারা হানাফী মানের নিরিক্ষক পাবেন না। কারণ তাঁরা ছিলেন তাবে তাবেঈ।


বিঃদ্রঃ এখানে সঠিক দল বলতে আমি জান্নাতি দল বুঝাইনি।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

নাজিম সৌরভ বলেছেন: সঠিক দল নির্ণয়ের কাজটা অনেক কঠিন । প্রত্যেকেই নিজের দলকে সঠিক হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন । তবে আমরা হানাফি মতকে সঠিক হিসেবে গ্রহণ করতে পারি ।

০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: আপনার মত কিভাবে সঠিক, এ প্রশ্ন অনেকেই করতে পারে। এজন্য নিজের শুদ্ধতার উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা জরুরী। নতুবা বলে অন্ধ অনুসারী।

২| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একজন হানাফি মতাবলম্বী হিসাবে পোষ্টটি ভাল লাগলো, তবে বিষয়টি বিতর্কিত ।

শুভেচ্ছা নিরন্তর প্রিয় কবি ভাইকে।

০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

সনেট কবি বলেছেন: হানাফীদের সাথে আহলে হাদিসরা বিতর্ক লাগিয়েই রাখছে। এখন নিজের পিঠ বাঁচাতে বিতর্কে অংশগ্রহণ না করলে তারা বলে আমারা আমাদের গোমরাহী মেনে নিয়েছি এবং তাদের সাথে পরাজিত হয়েছি। এ জন্য একজন হানাফী হিসেবে আমি তাদের সাথে প্রনান্তকর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। অন্তত ঘরের লোক এখনো মনে করছে আমরা বিভ্রান্ত নই।

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ সনেট কবি - আপনি মুসলমানদের সঠিক দল খুঁজতে গিয়ে শুধু হানাফি-দের খুঁজে পেয়েছেন। বাকী সবাই ইবাদী/শিয়া/আহলে কোরআন/ আহলে হাদিস কেউ-ই সঠিক দল নয় এমনকি শাফেঈ/মালেকী/হাম্বলী-রাও নয়। কিন্তু কোন অধিকারে আপনি এসব দাবী করছেন ? আপনি কি কোন খ্যাতিমান আলেম? কোন নামকরা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ? কোন মুফতি ? কোন ফকিহ ? কোন শায়খূল হাদিস ? ইসলামের ইতিহাস/ স্টাডিজ-এর অধ্যাপক ? কিছু বাংলা অনুবাদের কোরআন-হাদিস পড়েই ইসলাম বিশেষজ্ঞ/ মাযহাব বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছেন না? আপনি হচ্ছেন ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী । আপনার উদ্দেশ্যে হচ্ছে জ্ঞানীর ভাব ধরে বাহবা অর্জন।

০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

সনেট কবি বলেছেন: দাবী করে কেউ কিছু হয়নি। আমাকে প্রশ্নে সম্মুখিন হতে হয়, আমার মত কিভাবে সঠিক? উত্তর দিতে না পারলে আমাকে বলা হয় অন্ধ অনুসারী। তো আমি কিভাবে অন্ধ অনুসারী নই সে কথা বলার অধিকার আমার নিশ্চয়ই আছে। এখন আপনি যে সব যোগ্যতার কথা বলছেন সে সব যোগ্যতা না থাকলে কেউ কি অন্ধ অনুসারী বলা থেকে বিরত থাকে? যদি তেমন কেউ না থাকে তবে আপনার মন্তব্য একটা বেকার মন্তব্য। বিশেষ করে আহলে হাদিস সম্প্রদায় আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলছে আমরা সঠিক নই। সে জন্যই আমাদেরবে বলতে হয় আমরাই সঠিক। এখন অন্য কোন দল যদি তাদেরকে সঠিক মনে করে তবে তারা তাদের কথা উপস্থাপন করতে পারে। এখানে উন্মুক্ত আলোচনা। কারোতো কথা বলতে বারণ নেই।

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ সনেট কবি - আহলে হাদিস আলেমদের সাথে বাহাস করতে চান ? তিনজনের নাম দিলাম । দেখেন বাহাস করে হানাফি মাযহাবের যথার্থতা বুঝাতে পারেন কিনা।
1.প্রফেসর ড:আসাদউল্লাহ আল-গালিব (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক, আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর)
2.শায়খ মুযাফফর বিন মুহসিন ও
3.শায়খ আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ।

০৬ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সনেট কবি বলেছেন: তারা কেন আহলে কোরআন না হয়ে আহলে হাদিস হলো? তারা এ প্রশ্নের জবাব দিতেই অপারগ হয়ে যাবে। আল্লাহর আকার আছে, এ কথা তারা প্রমাণ করতে পারবেনা।

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থগুলো কি ধর্ম নিরপেক্ষতাকে সমর্থন করে?

০৬ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সনেট কবি বলেছেন: ধর্মের কথা প্রচার করে ধর্ম নিরপেক্ষতা নয় বরং ধর্মীয় সহিষ্ণুতা প্রযোজ্য।

৬| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:২২

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: লিখাটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো...সামুতে এমন লিখা পাব আশা করিনি যেহেতু আমি নতুন এবং সময়ও তেমন দিতে পারিনা সে কারণে সামু সম্পর্কে জানাটা আসলেই দুষ্কর। সে যাই হোক লিখাটি আসলেই সময় উপযোগী।অনেক ভালো লাগলো...

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

সনেট কবি বলেছেন: উৎসাহ ব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনাকে উদার হতে হবে গবেষণার সময়। আপনি একগুঁয়েমী করছেন। আপনি হানাফী ছাড়া অন্য ইমামদের আমল/মাসআলা বাতিল করতে পারেন না...

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

সনেট কবি বলেছেন: আমি তাদের মাসয়ালা বাতিল করতে কখনো পারব না। যেমন কারো স্ত্রী কেউ তালাক দিতে পারে না। কারো মত ভুল মনে হলে সেটা আমি বলতে পারি। আমার ভুল ধরায় ভুল হলে সে আবার আমাকে সেটা বলে দিতে পারে।

৮| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৩০

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: শিয়া সুন্নি হানাফি হাম্বলি কে সঠিক কে বেঠিক এত তর্ক না করে সবাই মুসলিম, এ বিশ্বাসে ধর্মটাকে সরল পথ হিসেবে নেয়া যায় না? অর্থাৎ ধরেন যার ঈমানে মুজাম্মাল মুফাসসাল আছে আর সৎকর্ম করে সেই মুসলিম। কে কাফির কে কাফির না, নিজে এই সার্টিফিকেট না দিয়ে সৎকর্মে সহায়তা করি, অসৎকর্মে "নিয়ম মেনে ধৈর্য ধরে" বাঁধা দেই? এত ভাগাভাগির কী উপকার?

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

সনেট কবি বলেছেন: আপনার প্রস্তাব ঠিক আছে। কিন্তু কেউ একজন এসে বলল তোমার মত যে ঠিক তার কি প্রমাণ? প্রমাণ দিতে না পারলে সে বলল তুমি অন্ধ অনুসারী। সেজন্য নিজ মতের সঠিকতার বিষয় গুঁচিয়ে রাখা বিশেষ জরুরী। আমি হানাফী হিসেবে আমি চাই হানাফীদের নিকট বিষয়টা গুঁছানো থাকুক। সেই সাথে অন্যদের যেটা বেঠিক মনে হয় সেটা বলছি এ জন্য যে যদি তাদের মতের সঠিকতার কোন প্রমাণ থাকে তারা সেটা বলে দিলে হয়ত তাতে তাদের সম্পর্কে আমার ভুল ধারণা কেটে গেল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.