নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হানাফী

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৫৯



শীয়াদের দৃষ্টিতে হজরত আলী (রা.) ছাড়া মহানবির (সা.)বাকী তিন খলিফা বেঠিক। খারেজী বা ইবাদীদের দৃষ্টিতে মহানবির (সা.) চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (রা.) বেঠিক। যেহেতু মহানবির (সা.)চার খলিফা সঠিক সেহেতু শীয়া ও ইবাদী বা খারেজী বেঠিক।শীয়া ও ইবাদী সঠিক হতে হলে মহানবির (সা.) চার খলিফাকে বেঠিক হতে হয়।মহানবির(সা.)তৃতীয় খলিফা বেঠিক হলে কোরআন বেঠিক হয়ে যায়, কারণ মহানবির(সা.)তৃতীয় খলিফা কোরআন সংকলন করেছেন। আর বেঠিক লোকের সংকলিত কোরআন সঠিক হয় কেমন করে? কাজেই শীয়াকে সঠিক ধরলে ইসলামকেই বেঠিক মানতে হয়।ইবাদীরা কোরআনের এক আয়াতের ভিত্তিতে বলছে কবিরা গুণাহ করলে কাফির হবে, অথচ অন্য আয়াতের ভিত্তিতে বলা যায় কবিরা গুণাহ করলে কাফির হয় না।কাজেই ইবাদীরা এক আয়াত মানে, অন্য আয়াত মানে না।কোরআনের আয়াতের অস্বীকৃতি জনিত কারণে ইবাদীরা সঠিক নয়।
মহানবি (সা.) বলেছেন, তাঁর উম্মতের একদল সব সময় সঠিক থাকবে।এক সময় মুসলমান তিন দল ছিল, যথাঃ- শীয়া, ইবাদী বা খারেজী ও হানাফী।যেহেতু শীয়া ও ইবাদী বা খারেজী বেঠিক, সেহেতু হানাফী সঠিক।সেহেতু পরে যারা হানাফীদেরকে বেঠিক বলেছে, হানাফী সঠিক হওয়াতে মূলত তারা বেঠিক।কাজেই হানাফীদের কারো কথায় দল ত্যাগ করে অন্যদলে যোগদান করার সংগত কোন কারণ নেই।মরারপর কারা কোথায় যাবে সে চিন্তা করেও হানাফীদের মাথা নষ্ট করার দরকার নেই। সে চিন্তা তিনি করলেই চলবে যিনি মরারপর মানুষের পরকালিন ঠিকানা নির্ধারণ করে দিবেন। হানাফীরা যেহেতু সঠিক পথে আছে সেহেতু তাদের আমল তাদেরকে সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে দিবে।
মহানবি (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাঁর উম্মতকে পথভ্রষ্টতায় একত্রিত করেন না। তাঁর উম্মতের মধ্যে যেহেতু হানাফী একক সংখ্যা গরিষ্ঠ সেহেতু তারা পথভ্রষ্ট নয়।হানাফীরা কতিপয় হাদিস মানেনা। কারণ তাদের দৃষ্টিতে সেসব হাদিস মানসুখ অথবা জাল।যেহেতু হানাফীরা তাদের দৃষ্টিতে সঠিক সেহেতু তাদের দৃষ্টিতে সেই সব হাদিস মানসুখ অথবা জাল তাদের দৃষ্টিতে একথাও সঠিক।কাজেই তাদের দৃষ্টিতে মানসুখ অথবা জাল হাদিসের আমল তাদের দৃষ্টিতে তাদের না করাই সংগত।
যেহেতু নিজেদের দৃষ্টিতে হানাফীরা সঠিক, সেহেতু তাদের দৃষ্টিতে যারা তাদের ভুল ধরেছে তারা মূলত ভুল ধরতে ভুল করেছে। অতীতে যারা হানাফীদের ভুল ধরেছে তারা যে ভুল ধরতে ভুল করেছে হানাফী আলেমগণ সেটা প্রমাণ করেছেন। এখনো যারা হানাফীদের ভুল ধরে তারাও যে ভুল ধরতে ভুল করে সেটাও হানাফী আলেমগণ প্রমাণ করতে সক্ষম।
হানাফীদেরকে কোরআন ও হাদীসের আলোকে সঠিক প্রমাণ করা যায়। কাজেই তাদের দৃষ্টিতে তাদের বিপরীতমত পোষনকারীরা যে তাদের ভুল ধরতে ভুল করে সেকথা আর না বললেও চলে। এরপর মরারপর আল্লাহ যাকে যেথায় খুশী নেন সে চিন্তাকরে হানাফীদের মাথা নষ্ট করার কোন দরকার নেই।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যার যার মতাদর্শ শান্তিপুর্ন ভাবে চুপচাপ পালন করে যাওয়াই ভাল।

তুই ভুল - বলে মাথায় বারি দেয়ার দরকার নেই।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:২৫

সনেট কবি বলেছেন: অন্য দল যদি হানাফীদের ভুল বলে তবে হানাফীরা ভুল নয় বা তারা কিভাবে সঠিক সেটা বলার অধিকার হানাফীদের অবশ্যই রয়েছে।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৬:১৪

নতুন বলেছেন: হযরত ফাতেমা রা: এর মারা যাবার পরে কেন খলিফাকে জানানো হয় নাই? তিনি নিষেধ করেছিলেন যেন তার মৃত্যুর পরে কাউকে জানানো না হয়!

রাসুল সা: এর মেয়ে কেন খলিফাকে অপছন্দ করতেন?

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

সনেট কবি বলেছেন: মহানবি (সাঃ) হজরত ফাতেমাকে তাঁর খেজুর বাগান দিয়ে গিয়েছেন বলে হজরত ফাতেমা (রাঃ) দাবী করলেও খলিফা হজরত আবু বকর (রাঃ) সে দাবী অগ্রাহ্য করেছেন। হজরত ফাতেমা (রাঃ) নিজ দাবীর সপক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। খলিফা শুধুমাত্র বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চাননি। ইসলাম শুধুমাত্র বিশ্বাস নির্ভর নয়। ইসলামের বিশ্বাস সমূহের সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে। কাজেই খলিফা বেঠিক কাজ করেছেন এটা বলা যায় না। হজরত ফাতেমা (রাঃ) তাঁকে অপছন্দ করার কারণ তাঁকে বিশ্বাস না করা।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৫৩

শহীদ আম্মার বলেছেন: আপনি হানাফীদের শিয়া বা খারেজীর মত একটা দল মনে করেন? মানে হানাফীরা ঠিক আর শিয়া-খারেজীরা বেঠিক এইতো?
জনাব, ভাল করে শুনুন
শিয়া বা খারেজীরা ভ্রান্ত মতাদর্শী। আর হানাফীরা ইসলামের সঠিক অনুসারী তথা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের একটি ফিকহী ধারার অনুসারী মাত্র। এরা বিশেষ কোন ফেরকা নয়। আর আপনি বলেছেন শুধু হানাফীরাই সঠিক । তাহলে শাফেয়ী, মালেকী, হাম্বলী এরা বেঠিক?। আপনার কথায় বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তির জন্ম দিচ্ছে।
ব্লগে দেখলাম অনেকে আপনাকে এসব বিষয়ে নোটিশ করেছেন। কিন্তু এরপরও আপনার মত একজন প্রবীণ ব্যক্তি বাড়াবাড়ি করে যাচ্ছেন ভাবতেই অবাক লাগে।
মনে রাখবেন প্রত্যেক শব্দের জবাব একদিন মহান আল্লাহর দরবারে দিতে হবে।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১০

সনেট কবি বলেছেন: বলেছেন: শীয়া ও খারেজীদের আপনি যা বললেন সেটা তারা মানে না। হানাফিরা সাধারণত বাকী তিন মাযহাবকে গোমরাহ মনে করেনা। আহলে হাদিসরা অব্যাহতভাবে হানাফিদেরকে আহলে হাদিসে যোগদানের দাওয়াত দিচ্ছে। তারা আবার বলছে বাকী তিন মাযহাব সঠিক শুধুমাত্র হানাফীরা ভুল। সে জন্য আমি দেখাতে চেয়েছি যে হানাফিরা সঠিক আছে। কাজেই মূলত তাদের দল ত্যাগ করে অন্য দলে যোদান করার দরকার নেই। এখন হানাফীদেরকে ‍যদি সঠিক প্রমাণ করা যায় তবে কি তাদের সঠিক প্রমাণ করা যাবে না? আমি হানাফীদের শতভাগ শুদ্ধ প্রমাণ করার চেষ্ঠা করছি। হানাফী শুদ্ধ প্রমাণীত হলে অন্যরা কি প্রমানীত হয় সেটা ভাবতে যাওয়ার কোন প্রয়োজন কি আমার আছে?

৪| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী শুভ সকাল।

সুন্দর পোষ্ট।
ধর্ম নিয়ে আপনার ব্যাপক পড়াশোনা আমাকে মুগ্ধ করে।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৪

সনেট কবি বলেছেন: আমি বরাবর এ বিষয়ে সঠিকটা নির্ণয় করতে চাই। কিন্তু এ বিষয়ে সঠিকটা নির্ণয় করতে গেলে কিছু লোকের কেন যে মোড়ামুড়ি শুরু হয় সেটা আমি বুঝতে পারি না। আমি যেটা মানি সেটা সঠিক না বেঠিক সেটা যাচাই করে নিলে ক্ষতি কি?

৫| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ইরানীরা আরবদের থেকে পৃথক বৈশিষ্ট্য ধারণ করার জন্য শিয়াজমে উৎসাহ পেয়েছেন। বাকী যে দলগুলো আছে সেগুলোর বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক বা গোত্র ভিত্তিক দ্বন্দের কারণে সৃষ্টি হয়েছে বা নিজ নিজ পন্ডিত্য জাহির করার জন্য তৈরি করেছে। আপনি চার খলিফা কে মাযহাবের ভিত্তিতে বিচার বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করার প্রয়াস চালান।। মাযহাব এক জিনিষ, শিয়া, সুন্নি কিংবা খলিফা আরেক জিনিষ।

মমহানবী যেহেতু বলেছেন একদল সঠিক। তিনি যেহেতু নির্দিষ্ট করে নাম বলেন নি। অথবা কোরানে এব্যাপারে কাউকে ইঙ্গিত (কোন দলকে) দেয়নি সেহেতু আপনি কাউকে সঠিক আর কাউকে বেঠিক বলতে যাচ্ছেন কোন কারণে কেন!

সঠিক হলেন তারা যাদের কথা আল্লাহ বলেছে। আল্লাহ বার বার মুত্তাকিনদের কথা বলেছেন, মুমিনদের কথা বলেছেন, তাকওয়া অর্জণকারীদের কথা বলেছেন। কোন শিয়া, খারেজি, রাফেয়ী কিংবা সুন্নিদের কথা বলেননি। সুতরাং
প্রত্যেক কে তার ধর্ম পালন করতে দেয়া উচিৎ। কেউ কারো কথায় দল চেঞ্চ করবেনা। মরে গেলেও না। এনিয়ে অহেতুক দ্বন্দ বা হানাহানির দরকার নেই। প্রত্যেকের প্রাপ্য আল্লাহ বুঝিয়ে দিবেন।

০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

সনেট কবি বলেছেন: আপনার মতে আমিও ছিলাম। কিন্তু গ্রামে গিয়ে আহলে হাদিস ও হানাফী দ্বন্দ্ব দেখে মনটা বিষিয়ে উঠেছে। আমাদের এলাকায় কাজী ইব্রাহীম হানাফী মতের বিপক্ষে এবং আহলে হাদিস মতের পক্ষে বেশ জোরেশোরে প্রচারনা শুরু করেছে। সাধারণ হানাফীদের মাঝে এ নিয়ে প্রচন্ড উত্তেজনা দেখেছি। আমি যখন তাদেরকে বুঝালাম যে কাজীর কথা ঠিক নয়, আসলে এভাবে হানাফী মত সঠিক, তখন তারা বেশ শান্তনা পেল। আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে কাজীর বক্তব্যে বিভ্রান্তি তৈরী হয়েছে। আমার শ্বশুর বাড়ির মসজিদেতো ইমাম সাহেবের উপর কিছু সংখ্যক মুছল্লি খিপ্ত হয়েছে হানাফীদের পক্ষে কথা বলার দায়ে। পরে আমার বক্তব্য শুনে তারা ঠান্ডা হয়েছে। এখন হানাফীরা যদি সঠিক হয়ে থাকে তবে সে সঠিকতার কথা বলায় সমস্যাটা কোথায়? হানাফীদেরকে সঠিক না বললেতো আহলে হাদিসরা হানাফিদেরকে বেঠিক প্রমাণ করে ছাড়ে। তো আমিকি তবে তাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছি? আমাদের অফিসেও একজন কট্টর আহলে হাদিস রয়েছেন। তার সাথে অনেক দফা হানাফীদের তর্ক হয়েছে। যেখানে বিশ্বের সবাই নিজ নিজ জাতির উন্নতির কথা ভাবে সেখানে এখনো আমাদেরকে প্রশ্নের সমুখখিন হতে হয়। আমাদের সন্তানরাই প্রশ্ন করে আহলে হাদিস কি? হানাফী কি? তখন কি উত্তর না দিয়ে থাকা যায়? আমি চাই সময়ের এ অপচয় চিরতরে বন্ধ হোক। অতিতেও এমন অনেক ফিতনা গজিয়ে অনেক জালাতন করেছে। তারপর সেগুলো বিলুপ্ত হয়ে শান্তি এসেছে।

৬| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সঠিক আমল করার জন্য যে কোন এক মাজহাবকে ধরে এগুতে হবে এমন কোন নির্দেশনা নেই। কারণ, মাজহাব সম্পর্কিত কোন নির্দেশনা মহানবী(সাঃ) দিয়ে যান নি। তাই হানাফী, মালিকি, শাফি, হাম্বলী প্রত্যেকের যেগুলো সঠিক আমল সেগুলো ফলো করাতে দোষের কিছু নেই। শীয়ারা তো আলাদা একটা মতবাদে চলে গিয়েছে। তাদের আর এই ৪ মাজহাবের মধ্যে টেনে আনা যাবে না। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ যদি হানাফীও হয় সেই হানাফীদেরও বাকী ৩ মাজহাবের অনুসারীদের বাতিল বা বেঠিক বা দুর্বল বলা সমীচীন হবে না। আপনি নিজেও লিখেছেন হানাফীরা অন্য ৩ মাজহাবীদের গোমরাহ মনে করে না। এখন কথা হচ্ছে যদি কেউ হানাফীদের কোন আমল 'পরে আবিস্কৃত' বা 'সাহাবীদের আমলে প্রচলিত নয়' ধরে নিয়ে সেটা না মানতে চায় তাহলে তাকে দোষী বলা যাবে না। উদার দৃষ্টিতে সব ব্যাখ্যা শুনতে হবে। আল্লাহই সর্বজ্ঞ...

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

সনেট কবি বলেছেন: তথাপি নিজের কাজ সঠিক কি না সেটা যাচাই করাতে কোন দোষ আছে বলে মনে করিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.