নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগার জহিরুল ইসলাম সেতু

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪



জহিরুল ইসলাম সেতু, ধর্ম যার
অসহ্য, বাড়াবাড়ির কারণে আত্মায়
এর প্রতি ঘৃণা জন্মে চিন্তা-চেতনায়
ধর্মের প্রতি এমন ক্ষুব্ধ এ ব্লগার।
বাড়াবাড়ি ছেড়ে চলা সব জনতার
একান্ত উচিৎ কাজ।আচার-কথায়
বাসনা কামনা আর সব প্রার্থনায়
তাতে হবে অবশান সব যন্ত্রণার।

ধর্মের বিলোপ হবে সে আশাটা ভুল
তবে এর বাড়াবাড়ি ছাড়া যায় তবে
একথা দেখুন ভেবে প্রিয় জহিরুল
সঠিকটা আপনাকে বুঝতেই হবে।
ধর্ম নিয়ে কূ-মন্তব্যে বাড়ায় অশান্তি
দূর হতে হবে দ্রুত এসবের ভ্রান্তি।


বিঃদ্রঃ কবিতা বিষয়ে জনাব সেতু যা বলেছেন-
ধর্ম যেখানে শান্তির, কল্যাণের, মানবতার মুক্তির; সেই ধর্মের প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা। ধর্ম যখন সৃষ্টির সেরা জীব মানুষে মানুষে বিভক্তি ঘটায়, ধর্ম যেখানে সাম্প্রদায়িক উস্কানীর মাধ্যম, সেখানে আমার চরম ঘৃণা। মানবতা আর বিবেকবোধ ছাড়িয়ে ধর্ম যখন পরকালের কিংবা পরজন্মের পাথেয় হয়ে দাঁড়ায়, ওসব ধর্মের প্রতি আমার অনীহা তখন প্রবল হয়ে উঠে। ধর্ম নিয়ে গোরামী বা
বাড়াবাড়ি সত্যিই অসহ্য লাগে।
ধর্মকে বিশ্বাসের স্থানে সমুন্নত রাখাটা আমার যেমন পছন্দ, তেমনি পরধর্ম সহিষ্ণু মানবিক বোধ সম্পন্ন সকল ধার্মিকের প্রতিই আমার অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা।
জ্ঞানের তৃষ্ণা আমার দুর্নিবার। বিজ্ঞান ও যুক্তির প্রতি সর্বোচ্চ আকর্ষণ। সেখানে ধর্মের সংশ্লিষ্টতা বা সংঘর্ষ থাকার কথা নয়।
আমারো একজন স্রষ্টা আছেন, কোন ধর্মের বাত্যাবরণে তাঁকে বাঁধি না। তিনি আমার অন্তর্যামী, মনের ঘরে যার নিত্য বসত।
এই হলো জহিরুল ইসলাম সেতুর ভাবনা। সনেটের সাথে সহমত/অন্যমত আপনার বিবেচনা।



ব্লগার জহিরুল ইসলাম সেতু


মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: হৃপ্রীশু।

কিছু মানুষ অযথা ধর্ম নিয়ে ভ্রান্তির রেখা তৈরি করে। যা নিজেও বুঝে না তা। এই সব মানুষ আসলে নিজেকে সমালোচিত করার প্রয়াস মাত্র।।

ধর্ম নিয়ে যারা সৃষ্টি করে ভ্রান্তি
সত্যিই তাদের মাঝে বিরাজিত অশান্তি।

আপনার সনেটের মাধ্যমে তা সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছন।


২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

সনেট কবি বলেছেন: অজ্ঞতার কারণে অনেকে ধর্ম সম্পর্কে উল্টা-পাল্টা মন্তব্য করে। অবশ্য একদিন তাদেরকে অজ্ঞতার জন্য কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।

২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা আসলে মন বা আত্নার একক। উনাকে আলাদা করে দেখতে পাওয়া বা কথাবলা অসম্ভব। আমরা হয়ত কোন আংশিক নিয়ন্ত্রক এর নমুনা পেতে পারি ভবিশ্যতে।
তবে এ জগতের সবই আপেক্ষিক হলেও এবং ভাল-মন্দ,ন্যায়-অন্যায় ও সুখ-শান্তির জন্য প্রকৃতি দায়ী থাকলেও লৌকিক,যুক্তিসংগত, নিরপেক্ষ ও জ্ঞান দিয়ে একটি ডিসিপিলিন তৈরীর মাধ্যমে-কোনরুপ ধংশ,যুদ্ধ ও গোলযোগ না করে এ পৃথিবীর সকল মানুষ এক নীতিতে এসে উপস্থিত হবে বলে-ভবিশতে আমার বিশ্বাস।
ধন্যবাদ সনেট কবি সাহেব ও জহিরুল ইসলাম সাহেব-আপনাদের ধারনা ব্যসিক দিক থেকে আমার সাথে আপাতত সঠিক আছে-যদিও মানুষের সাথে যত গভিরে যাওয়া যায় ততই ডিফরেন্ট হতে হতে ৫% এর বেশি মিল থাকেনা শেষপর্যন্ত কারো সাথে। আর এরজন্য আমরা এককভাবে দায়ী নই-কেননা আমারা প্রত্যেক মানুষ ভিন্ন ধাতুই গড়ে যাচ্ছি বিধায় ধারনা,চেতনা,আচরণ ভিন্ন।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

সনেট কবি বলেছেন: আপনার সৃষ্টিকর্তা সম্পর্ক বক্তব্য ধারণা ভিত্তিক। কিন্তু আমি সৃষ্টিকর্তার আলোচনা করি জ্ঞান ভিত্তিক এবং আমার বক্থব্য আমি সঠিক প্রমাণ করতে পারি-

সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও একত্ব

সব কিছু নিজে নিজে হতে পারেনা, যেমনঃ রুটি। তবে হয়ত কেউ নিজে নিজে হতে পারে।কারণ যে প্রথম হয়েছে তাকে বানানোর মত কেউ নেই। তার পূর্বে শূণ্য। শূণ্য মানে কিছুনা। যে প্রথম হয়েছে তাকে বানিয়েছে কিছুনা। তারমানে তাকে কেউ বানায়নি। তারমানে সে নিজে নিজে হয়েছে এটা নিশ্চিত।
নিজে নিজে যে হতে পারে সে বড় হতে পারে। কারণ তার নিজে নিজে হওয়া কেউ ঠেকাতে না পারলে তার বড় হওয়া ঠেকাবে কেমন করে? আর ঠেকাবার কেউ না থাকলে ঠেকাবেটা কে? সুতরাং যে নিজে নিজে হতে পারে তার বড় হতে পারা সংগত। আর বড় হতে পারলে কেউ ছোট হয়না এটা প্রকৃতি।
সসীম ও অসীমের মাঝে অসীম বড়। কাজেই যে নিজে নিজে হয়েছে সে অসীম হয়েছে। কাজেই যারা সসীম তারা নিজে নিজে হয়নি।সংগত কারণে তারা কারো সৃষ্টি।
অসীমের একাধীক হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ একাধীক করতে সীমা দিতে হয়। অথচ অসীমে সীমা দেওয়া যায়না।আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকেনা।সংগত কারণে অসীম শুধুই একজন যে নিজে নিজে হয়েছে।আর কেউ নিজে নিজে হতে পারেনি। প্রকৃতিগত ভাবে শুধুমাত্র একজনের নিজে নিজে হওয়ার যোগ্যতা ছিল, সেই একজন ছাড়া আর কারো নিজে নিজে হওয়ার যোগ্যতা ছিলনা।সংগত কারনে তিনি ছাড়া আর সব কিছু তাঁর সৃষ্টি। সংগত কারণে সৃষ্টিকর্তা একজন সন্দেহাতীতভাবে আছেন। আর অবশ্যই তিনি ছাড়া আর সব কিছু একমাত্র তাঁর সৃষ্টি।সংগত কারণে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও একত্ব প্রমাণীত সত্য।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুদনর লিখেছেন।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

সনেট কবি বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: প্রশংসা বা নিন্দা, যা-ই হোক, আমার মতো অর্বাচীনকে কেউ একজন সনেট লিখেছেন, ভাবতেই রোমাঞ্চ অনুভব করছি। আর সে কবিতার কবি যদি আমাদের শ্রদ্ধাভাজন সনেট কবি ফরিদ আহমদ চৌধুরী হয়, আমার তো সৌভাগ্যের সীমা নেই।
জয় হোক সনেটের, জয় হোক শ্রদ্ধেয় ফরিদ আহমদ চৌধুরী ভাইয়ের।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সনেট কবি বলেছেন: আপনার মন্তব্য বেশ ভাল হয়েছে। কিন্তু একটি বিষয় আমি আপনার সাথে শেয়ার করতে চাই। তারপর সেটা পোষ্ট করতে চাই। বিষয়টা আমি নিম্নরূপে সাজিয়েছি। আপনি দেখে যদি কিছু পরামর্শ প্রদান করেন তবে বেশ ভাল হয়-

ভাগ্যের দায় বিধাতার নয়

যেহেতু নিজে নিজে যে হয় সে অসীম হয় এবং নিজে নিজে একজন হয়, একাধীক হয়না সেহেতু নিজে নিজে একজন অসীম হয়েছে বিধায় তিনি একমাত্র সৃষ্টিকর্তা; যিনি সর্ব দিক থেকে অসীম।সুতরাং তিনি নিরভাব। কারণ অসীমে কোন কিছুর অভাব থাকতে পারেনা।সুতরাং তাঁর সত্ত্বায় সব পদার্থ ও সব শক্তি অসীম মাত্রায় রয়েছে। কিন্তু পদার্থ অসীম হতে পারেনা। সেহেতু পদার্থ তাঁর সত্ত্বায় শক্তিরূপে অসীম মাত্রায় বিদ্যমাণ। তিনি সর্ব শক্তিমান হওয়ায় তিনি তাঁর সত্ত্বায় অসীমমাত্রায় বিদ্যমান শক্তি সমূহ ও শক্তিরূপে বিদ্যমান পদার্থ সমূহ পৃথকভাবে সনাক্ত করতে পারেন।
নিয়ম অনুযায়ী সর্ব শক্তিমানের সত্ত্বায় বিবেকের কোন ঘাটতি নেই। সেহেতু তাঁর অন্যায় করার কোন সম্ভাবনা নেই।তাহলে মাছ কেন মাছ হলো আর মানুষ কেন মানুষ হলো? তাহলে হতে পারে এটা তাদের কর্মফল।যে কর্ম তারা করেছে দেহ প্রাপ্তির পূর্বে।কারণ দেহটাই যদি কর্মের বিনিময়ে পেয়ে থাকে তবে দেহ প্রাপ্তির কর্ম দেহ লাভের আগে না হয়ে উপায় নেই।দেহ লাভের পূর্বে মানে সেটা প্রাণের কর্ম।
সে ক্ষেত্রে প্রাণ সমূহের সম কর্ম যোগ্যতা ছিল এবং ইচ্ছার স্বাধীণতা ছিল।আর সাথে দু’টি প্ররোচক ছিল যা নির্বাহী প্রাণকে ইতি বা নেতিতে প্ররোচিত করতে পারে। নির্বাহী ইতিতে যোগ দিলে ইতি কর্ম ও নেতিতে যোগ দিলে নেতি কর্ম সম্পাদীত হয়েছে। এরপর প্রত্যেকের কর্মফলের উপর নম্বর দিয়ে।নম্বর অনুযায়ী প্রাপ্যতার কেটাগরী চয়েজ করিয়ে সে অনুযয়ী ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকলে সৃষ্টিকর্তা বা বিধাতার কোন দায় থাকেনা বরং তখন ভাগ্য যার দায় তার ঘাড়ে পড়ে।এমনটা না হওয়ার কোন কারণ নেই কারণ কোন প্রাণের সাথে বিধাতার কোন বিশেষ সম্পর্ক ছিলনা।
উপরোক্ত ঘটনা সমূহে প্রতিয়মান মানুষের সকল প্রাপ্যতার কারণ সে নিজে। কেউ মুসলমানের ঘরে জন্মানো বা হিন্দুর ঘরে জন্মানো। কেউ প্রতিবন্ধি হওয়া আর কেউ স্বাভাবিক হওয়া। কেউ ধনির ঘরে জন্মানো আর কেউ গরিবের ঘরে জন্মানো। কেউ মাছ হওয়া আর কেউ মানুষ হওয়া সব কিছুর পিছনে কারণ সে নিজে বিধাতা নয়। কারণ অহেতুক কারো ক্ষতিকরা তাঁর দ্বারা সম্ভব নয়।

সৃষ্টিকর্তা আছেন কিনা এ বিষয়ে সন্দিহান হলে নীচের নিবন্ধ পড়া যেতে পারে।

সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও একত্ব

সব কিছু নিজে নিজে হতে পারেনা, যেমনঃ রুটি। তবে হয়ত কেউ নিজে নিজে হতে পারে।কারণ যে প্রথম হয়েছে তাকে বানানোর মত কেউ নেই। তার পূর্বে শূণ্য। শূণ্য মানে কিছুনা। যে প্রথম হয়েছে তাকে বানিয়েছে কিছুনা। তারমানে তাকে কেউ বানায়নি। তারমানে সে নিজে নিজে হয়েছে এটা নিশ্চিত।
নিজে নিজে যে হতে পারে সে বড় হতে পারে। কারণ তার নিজে নিজে হওয়া কেউ ঠেকাতে না পারলে তার বড় হওয়া ঠেকাবে কেমন করে? আর ঠেকাবার কেউ না থাকলে ঠেকাবেটা কে? সুতরাং যে নিজে নিজে হতে পারে তার বড় হতে পারা সংগত। আর বড় হতে পারলে কেউ ছোট হয়না এটা প্রকৃতি।
সসীম ও অসীমের মাঝে অসীম বড়। কাজেই যে নিজে নিজে হয়েছে সে অসীম হয়েছে। কাজেই যারা সসীম তারা নিজে নিজে হয়নি।সংগত কারণে তারা কারো সৃষ্টি।
অসীমের একাধীক হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ একাধীক করতে সীমা দিতে হয়। অথচ অসীমে সীমা দেওয়া যায়না।আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকেনা।সংগত কারণে অসীম শুধুই একজন যে নিজে নিজে হয়েছে।আর কেউ নিজে নিজে হতে পারেনি। প্রকৃতিগত ভাবে শুধুমাত্র একজনের নিজে নিজে হওয়ার যোগ্যতা ছিল, সেই একজন ছাড়া আর কারো নিজে নিজে হওয়ার যোগ্যতা ছিলনা।সংগত কারনে তিনি ছাড়া আর সব কিছু তাঁর সৃষ্টি। সংগত কারণে সৃষ্টিকর্তা একজন সন্দেহাতীতভাবে আছেন। আর অবশ্যই তিনি ছাড়া আর সব কিছু একমাত্র তাঁর সৃষ্টি।সংগত কারণে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও একত্ব প্রমাণীত সত্য।

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

জগতারন বলেছেন:
আমার প্রিয় ব্লগারদের একজন;
ব্লগার জহিরুল ইসলাম সেতু-কে নিয়ে সনেট লখায় কবি ফরিদ আহমদ চৌধুরী-এর প্রতি সুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সনেট কবি বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫২

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: কিছু মানুষ যদি রোবর্ট মানুষ তৈরী করে ভিন্ন ভিন্ন সফর্টওয়্যার সেটআপ করে দিতে পারে তবে সফর্টওয়্যারের সৃষ্টিকারী বা আবিস্কারক একাধিক থাকা নিশ্চই অযৌক্তিক হতে পারে না। একজনই যে হতে হবে সৃষ্টিকারী তার কি অর্থ থাকতে পারে! তবে আপনাকে অবশ্যই ১৪০০/৩৪০০ বছর পূর্বের ধারনা থেকে বেরিয়ে এসে ভাবতে হবে। ধন্যবাদ...

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

সনেট কবি বলেছেন: আমি যে লজিক দিয়েছি সেটা খন্ডন করে তারপর কথা বলুন।

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার লজিক ১৪০০ বছরের পূরানো-ছরি লজিক বলাটা নির্ঘাত ভূল হবে-ওটা হবে(অবচেতন মনের খেলা ও বহু পূর্বদিনের মানুষের মনমতো)। আর আমার লজিক এস্ট্রোনমি ও এস্ট্রোলজির বিশ্লেষন ভিত্তিক।

বহু উদাহারনের মধ্যে-ছোট্ট একটা উদাহারনঃ- এক বৃদ্ধা লাঠি ভর করে ভোরবেলা আমার বাড়িতে ভীক্ষা চাইতে এলে-আমি জিঙ্গাসা করলাম তোমার ছেলেমেয়ে কেউ দেখেনা? বৃদ্ধা বল্লো আমার কেউ দেখেনা-আমার কেউ বাপু থেকেও নেই-আমার শুধু ঐ আল্লা আছে। আমি বল্লাম তুমি নামাজ রোজা করোনা? বৃদ্ধা বল্লো আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ ও রোজা কখনও ভঙ্গ করিনা। আমি বল্লাম তাহলে তোমার তো আল্লাও নেই-কেননা এই বৃদ্ধা বয়সেও তোমার এই করুন পরিনতি এবং তোমার কথাও আল্লার কাছে পৌছাচ্ছেনা বা তিনি শুনছেন না তোমার কথা। ফলে তোমাকে অসুস্থ ও মৃতপ্রায় হয়ে ভীক্ষা করতে হচ্ছে। এখন তুমি যদি ভীক্ষা নিয়ে আমাকে দোয়াও করে দাও সেটাওতো তিনি শুনবেন না। অতএব অলৌকিক ধর্ম সম্পর্কে তুমি যেগুলো শুনেছ সেসব কথার সাথে কোনকিছুই যখন খাটছেনা- তখন তোমার নিজের পথ তোমাকেই খুজে নিয়ে সৎপথে চলতে হবে-এটাই বাস্তব।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

সনেট কবি বলেছেন: আপনার চেয়ে ঐ বৃদ্ধার জ্ঞান ভাল মনে হয়। কারণ বৃদ্ধা বুঝতে পেরেছে এমন সংকটে বৃদ্ধা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে কিনা। আল্লাহ সেটা দেখছেন। আর বৃদ্ধা এমন সংকটে থেকেও আল্লাহকে পরিত্যাগ না করে আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছেন। আরিআপনি যে জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে বসে আছেন মৃত্যুর পরেই এসব কোন কাজে লাগবেনা। ফেরেশতারা যখন মুগুর দিয়ে পিটানো শুরু করবে তখন আপনার বিজ্ঞানযে কোথায় পালাবে টেরও পাবেন না। তখন বৃদ্ধার মত আপনিও দেখবেন আল্লাহ ছাড়া বাঁচাবার কেউ নেই। আর এটাই হবে তখন চরম বাস্তবতা। সেজন্য সময় থাকতে সত্য উপলব্ধি করকে হয়। নয়তো মহা বিপদ!

৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার কথাই সঠিক হোক। আল্লাহ ভাল মানুষদের আরো পরীক্ষার পর পরীক্ষা করুক আর অসৎ ও খারাপ মানুষদের আরো উপরে উঠিয়ে ভাল রাখার চেষ্টা করুক। এবং কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ,যান্ত্রিক গোলযোগ ও বিমান এক্সিডেন্ট করলে-আল্লাহর সেখানে ভাল মন্দ মানুষ যাচায় বাছায় করে বাচিয়ে রাখার ক্ষমতা নেই বলে-গড়ে মারা যাক আর ইচ্ছা করে মেরে ফেলুক-তিনি যেটা করেন মঙ্গলের জন্যই করুক! আমরাই একমাত্র (কারো শোনা কথায় সৃষ্টি অলৌকিকি আল্লাহ) তারই সন্তুষ্টির জন্য নামাজ রোজা হজ্জ্ব করে যাব!
আর আমার ভূলের জন্য হয়ত পরকালে আমাকে আপনার গরুর গাড়ীর ড্রাইভার হতে হবে। আর আপনি ভাবি সহ আরো কয়েকজন হুর নিয়ে সেই গাড়ীতে কোথাও বেড়াতে যাবেন। এভাবে ফ্লিম চলতে থাকবে...................................................!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০৮

সনেট কবি বলেছেন: যারা আল্লাহকে মানেনা তাদের সুখের স্থান পৃথিবী। এখানেও তারা সুখ না পেলে তবে তারা কোথায় সুখ পাবে? আর যারা আল্লাহকে মানে তাদের তো পরকাল রয়েছে। কাজেই ইহকালে তারা কিছু না পেলেও তারাতো পরকালের আশা করতে পারে। কথা হলো গিয়ে আল্লাহ খুব জটিল সাবজেক্ট। তাঁকে বুঝতে হলে কষ্ট করে মাথা খাটাতে হয়।

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ভাগ্যের দায় বিধাতার নয়, তাহলে ভাগ্যের দায় কার? সৃষ্টির? সৃষ্টির উপরই যদি সব দায় চাপানো হয়, তার নিয়ন্তা কে? যিনি নিয়ন্তা দায়ভার কি তিনি এড়াতে পারেন?
কথার পিঠে কথা আসবে, যুক্তির পর যুক্তি। আসবে গভীর ভাবের তত্ত্বকথা। এখানে সহজ পদ্ধতি হবে ধর্মের কাছে সব ভার সমর্পন করে নিজে চাপমুক্ত থাকা।
তারপরও এ প্রসঙ্গে আমার কিছু প্রশ্ন জাগে মনে, আপনার সাথেই তা খোলামেলা শেয়ার করি।
বিধাতা সৃষ্টির মধ্যে যে ফুড চেইন করেছেন। একটা পাখি কীট-পতঙ্গ খেয়ে বাঁচে। কীটের ওতো জীবন আছে, বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা আছে। পাখীর কাছে এর জীবন জিম্মি। পাখি আবার সাপের খাবার। পাখিটার ওতো খেয়েদেয়ে বাঁচার সাধ। সাপকে আবার অন্য জীব খায়। একই ভাবে ঘাসকে হরিণে খায়, হরিণকে বাঘে খায়, বাঘকে মানুষে মারে (অসুস্থ বা বৃদ্ধাবস্থায় শিকার ধরতে না পেরে সহজ শিকারের আশায় লোকালয়ে এলে)। আবার কোন প্রাণিকে জীবন ধারণ করতে হলে অন্য জীবিত প্রাণি বা উদ্ভিদের উপর নির্ভর করতেই হয়। এর কোন বিকল্পও নেই। এমন তো না, যে একটা প্রাণিকে আরেকটা প্রাণির জন্য নিজেকে সমর্পন করছে। একটা হরিণ বা মোষকে কে সিংহ যখন কামড়ে খুবলে খুবলে খায়, সেই প্রাণিটার ছটফটানি কতোটা যন্ত্রনাময়! আমরা মানুষ তা দেখে সহ্য করতে পারি না, যিনি তা সৃষ্টি করেছেন, সেই স্রষ্টা কিভাবে তাঁর সৃষ্ট জীবের এই কষ্ট সহ্য করেন? তিনি কি সৃষ্টির সেই মৃত্যুটা এমন যন্ত্রনাময় না করে আনন্দময় করে দিতে পারতেন না? কিংবা অন্যরকম কিছু?
আমার মানুষ, যখন হাঁস, মুরগি, গরু বা ছাগল জবাই করি, কতোটা কষ্টে তার প্রাণটা যায়! মানুষ যখন মানুষকে হানাহানী করে খুন করে, বলতে পারি ভুক্তভোগী মানুষটা তার কর্মফল পেয়েছে। ওটা তারই কর্মফল। কিন্তু সেই হাঁস বা গরুটার? ওটা ভাগ্য কিসের কর্মফলে নির্ধারিত? বিধাতার বিবেচনা বুঝা বড় দায়। নয় কি?
তাহলে কি এটা এদের পূর্বজন্মের কর্মফল? ইসলাম তো পূর্ব বা পরজন্ম সমর্থন করে না। যেটা করে তা হলো, মৃত্যুর পর পুনরোত্থান। সেটাও লাস্ট জাজমেন্টের জন্য। তাহলে কিভাবে কি?
যিনি সৃষ্টির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেন। কে কি পাপ বা পুণ্য করবে সেটাও তো তাঁরই নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা, যদি তাইই হয়, সৃষ্টির তো কোন স্বাধীনতা নেই। স্রষ্টার ইচ্ছেতেই সৃষ্টির পথ চলা। তাঁর ইচ্ছেতেই নিয়ন্ত্রণ বা নির্ধারণ হয় সৃষ্টির ভাগ্য।
তিনি সবকিছুর নিয়ন্তা হয়ে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকেন। বলা হয় মানুষকে বিবেক দেওয়া হয়েছে, ধর্মের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেভাবে সে চলবে। সেভাবেই যদি মানুষ চলার ক্ষমতা রাখে স্রষ্টার নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে, তাহলে স্রষ্টার সর্বময় ক্ষমতার বাণী ভুল প্রমাণিত হয়ে যায়। স্রষ্টার ক্ষমতার বাইরেও মানুষের ক্ষমতা রয়েছে, যা দিয়ে সে বিধাতার সকল বিধিবিধান অতিক্রম বা অমান্য করে নিজ ক্ষমতাবলে পাপ বা পূণ্য যা ইচ্ছে করতে পারে। এখানে সীমিতভাবে হলেও সৃষ্টি স্বাধীন, কর্মফলের উপর ভাগ্য নির্ভর করে।

(ত্রুটি মার্জনীয়)

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১২

সনেট কবি বলেছেন: নিচে আরো কিছু কথা তুলে ধরলাম। সময় পেলে পড়ে নিবেন। আল্লাহ বিশ্বাস অর্জনের বিষয়। কষ্ট করে অর্জন করতে হয়। আর এটা খুব লাভ জনক। আর আল্লাহর কোন দোষ থাকা সম্ভব নয়-


কর্ম ও ভাগ্যের দায় বিধাতার নয়

# কর্মের দায়

কাজ হয় লোক ও বিধাতার ইচ্ছায়। বিধাতার ইচ্ছা ছাড়া কাজ অসম্ভব। লোকের ইচ্ছায় কাজ কখনো হয় কখনো হয়না। তথাপি কাজের দায় বিধাতার নয়, কিন্তু কাজের প্রশংসা বিধাতার।কারণ বিধাতার ইচ্ছা কার্য ব্যবস্থাগত।আর লোকের ইচ্ছা কার্য সম্পাদনগত।
লোকের ইচ্ছা+বিধাতার ইচ্ছা= দান, অথবা লোকের ইচ্ছা+বিধাতার ইচ্ছা= চুরি।যেহেতু বিধাতার ইচ্ছা কার্য ব্যবস্থাগত, বিধাতার ইচ্ছা ছাড়া কাজ হয়না, সেহেতু উভয় সমিকরণে বিধাতার ইচ্ছা থাকা বাধ্যতা মূলক।কিন্তু লোকের ইচ্ছা কার্য সম্পাদনগত হওয়ায় দানের বদলে চুরি হয়েছে লোকের ইচ্ছায়। সেজন্য চুরির দায় বিধাতার নয় বরং চুরির দায় লোকের। কিন্তু দানের প্রশংসা লোকের নয় কারণ লোক হাজার চেষ্টা করলেও দান করতে পারতোনা যদি বিধাতা ইচ্ছা না করতেন। সে জন্য বিধাতার ইচ্ছায় লোক দান করায় বিধাতা প্রশংসা পাবেন আর লোক তাঁর কর্মচারী হিসেবে মজুরী পাবে।

# ভাগ্যের দায়

বিধাতা ভাগ্যে লিখেছেন বলে লোক করছে ঘটনা এমন নয়। বরং লোক করবে সেটা বিধাতা আগে থেকে জানেন বলে বিধাতা সেটা আগে থেকে লিখে রেখেছেন। আর বিধাতার আগে থেকে জানা দোষের হতে পারেনা। কাজেই এ ক্ষেত্রে বিধাতার কোন দায় নেই বরং সব দায় লোকের।

কিন্তু মাছ বা মানুষ হওয়া সংক্রান্ত ভাগ্যের দায় বিধাতার বলে মনে হলেও মূলত সে দায়ও বিধাতার নয়, বরং সেটা কর্মফল। সেটা মানুষ ও মাছের প্রাণের কর্মফল।প্রাণকে বিধাতা যে কাজ দিয়েছেন, সে কাজ করে প্রাণ যে মজুরী অর্জন করেছেন।সে মজুরী দিয়ে প্রাণ যে দেহ ক্রয় করেছে সে দেহ প্রাণ অর্জন করেছেন। মনে করি দেহ মানুষের, ২০১৮ সালের, বাংলাদেশী অমুক পিতা-মাতার সন্তান, দেহের মেধা ও যোগ্যতা, দেহের মডেল, মূল্য ২০০০০০০ নেকি। আপনার আছে ১০০০০ নেকি সে মূল্যে আপনি পেলেন সৌদি আরবী একটা ভেড়ার দেহ, আপনার আছে ২ নেকি তা দিয়ে পেলেন বাংলাদেশী মশার দেহ।বাংলাদেশী মানুষের দেহ তবে ২০০ সালের দাম ২০০০০০ নেকি। তো আপনি সেটাই কিনলেন।কোটি পতি বাবা-মার সন্তানের দেহ দাম ১০০০০০০০ নেকি, আর কুলির সন্তানের দেহ দাম ৫০০০০০ নেকি। হিন্দুর সন্তানের দেহ দাম ১০০০০০০ নেকি, আর মুসলমানের সন্তানের দেহ দাম ৫০০০০০০ নেকি। মনে করি প্রতিটি মডেলের গায়ে দাম লেখা ছিল। আপনি আপনার কামাই করা নেক দিয়ে আপনার দেহ মডেল খরিদ করলেন। এখন পুতুল যদি আপনার কেনা হয় তবে উহার বিচ্ছিরি নাচের দায় কি বিধাতার? মানুষ বিধাতাকে দোষারপ করতে কত প্রশ্ন করছে কিন্তু ভাগ্য বরাদ্ধের কারণ সংক্রান্ত ভিডিও যখন তাকে দেখিয়ে দেওয়া হবে তখন সে মিষ্টি হেসে বলবে এখন দেখছি দোষ আমার। বিধাতার আসলে কোন দোষ নেই।সেটাই মহান বিধাতা আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ইন্নাল্লাহা লা ইউগাইয়িরু কাওমিন হাত্তা ইউগাইয়িরু বি আংফুছিহীম-আল্লাহ ঐ পর্যন্ত কোন জাতির ভাগ্য বদল করেন না যে পর্যন্ত তারা নিজেরা না তাদের ভাগ্য বদল করে।
প্রাণকে যখন কাজে নামানো হলো তখন সব প্রাণের সমান যোগ্যতা ছিল। তাদের সাথে দেওয়া হলো রিপু ও বিবেক নামক প্ররোচক। বিবেককে কাজে খাটিয়ে আর রিপুর সাথে লড়াই করে প্রাণকে কাজ করে মজুরী লাভ করতে হয়েছে। সে যাইহোক কর্ম বা ভাগ্য কোনটার কোন দায় বিধাতা স্বীকার করেন না। আপনি মুসলীমের সন্তান হয়ে ইসলাম পালনে সুবিধা হয়েছে আপনার কারণে আর আপনি হিন্দু হয়ে ইসলাম পালনে অসুবিধা হয়েছে আপনার কারণে। আপনি প্রতিবন্ধি হয়েছেন আপনার কারণে। আপনি প্রতিবন্ধি হননি তাও আপনার কারণে।শেষ বিচারে আপনি কোন ভাবে আপনার দায় বিধাতার ঘাড়ে চাপিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন না। সেটা আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলতে পারি। কাজেই বিধাতার দোষের বেকার আলোচনা না করে নিজের কপাল নিজে কতটা ফিরাতে পারেন সবাইকে শুধু সেই চেষ্টাই করতে হবে।

১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা জগতারন ভাই। :)

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৩

সনেট কবি বলেছেন: আপনার কিছু ফ্যান রয়েছে জগতারণ তাদের একজন।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৫

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রত্যেকটা মানুষ ভীন্ন ভীন্ন ধাতুতে গড়ে যায়। এজন্য বুড়ি আঙ্গুলের ছাপ কারো সাথে কারো মেলেনা। অতএব জগতে প্রত্যেকের কোড নং আলাদা বলা যায়। স্ত্রীলিঙ্গ ও পুংলিঙ্গের সংমিশ্রনে যে বাচ্চা জ্বন্ম নেয় সেটা নিশ্চই সেই দুই ধাতুর শক্তির ফল। বলাযায় একজনের বীচ ও অন্যজনের মাটি বিশেষ তার জ্বন্ম। একই বীজ মাটি বিশেষ যেমন তার জ্বন্মের বাড়ত্ত,ধরণ ও ফলের স্বাদের তারতম্য ভীন্ন হয় তেমনি একই বীজের গুনাগুন,রোপনের সময়,প্রকৃতি ও বয়সের তারতম্য অনুযায়ী ভীন্ন হয়। ফলে বীজের গুনাগুন ও মাটির গুনাগুনের উপর নির্ভর করে চারা গাছটির ও তার ফলের গুনাগুন নির্ভর করে। অতএব একই বীজ জমির মালিকের ভীন্নতার ফলেও পরিচর্যার তারতম্যের প্রভাবে তার রুপ,রং,রস ও স্বাদ ভীন্ন হয়।

ঠিক সেভাবেই ভীন্ন ভীন্ন ধাতুতে গড়ে ওঠা মানুষগুলোর ধ্যান ধারনা চিন্তা চেতনা জ্ঞান বিদ্যা সুখ দুঃখ কষ্ট লোভ হিংসা প্রতিষোধের আগুনের তারতম্যও ভীন্ন হয়। আবার প্রত্যেকের ভেতরে কিছু ভাবনা থাকে যেগুলো সে নিজে ছাড়া অন্যকেউই যেমন ভাবতে ও কল্পনাও করতে পারেনা। তেমনি সেই প্রত্যেকের ভেতরে এমন কিছু ভাবনার অভাবও থাকে যেটা সে কখনও তার জীবর্দ্দসায় ভাবতে ও কল্পনাও করতে পারেনা। সুতরাং প্রত্যেক মানুষের চিন্তা চেতনা জ্ঞান সবই তার ধাতুতে গড়ে যাওয়া ও বাস্তব জ্ঞানের প্রভাবের একটা আলাদা মিশ্রনের উপর নির্ভর করে পরিবার,সমাজ,পরিস্থিতি ও স্থানের প্রভাবে হয়ে বা ঘটে থাকে।

এখানে ব্যক্তির নিজের তেমন দোষ বা হাত থাকতে পারেনা। সবই তার পূর্ব কপির উপর নির্ভর করে এবং পূর্ব কপি নির্ভর করে সৃষ্টির সিস্টেমের উপর। সৃষ্টিকর্তার সেসব সিস্টেমের ধারা আমাদের জানার বাহিরে। তবে যেসব রাষ্ট্র তাদের নিদিষ্ট একটা নিয়ম আইনের কঠোরতার যথাযত কার্যকর ও প্রয়োগ করে সেসব রাষ্ট্রের মানুষ যে যেমন ধাতুতে গড়ে উঠুক না কেন তাকে রাষ্ট্রের আইনের ফর্মূলায় চলতে হবে এবং তখন সেও সেটা মানতে পারে বা বাধ্য থকে। কিন্তু যদি (ধানক্ষেত ঘেরা নয় আবার গরুও বাধা নয় তখন গরু অবশ্যই ধানক্ষেতে যাওয়ার জন্য পরিস্থিতির শীকার হবে)। সকল প্রানীর ধর্ম ও মানুষও ঠিক তেমনি ধরনের ধাতুতে সৃষ্টি।

উদাহারনঃ- দুই ধাতুর মিশ্রণে যে নতুন ধাতু জ্বন্ম নিল সে যদি ভীষন সেক্সপ্রিয় ধাতুতে গড়ে যায় তবে সে সেক্স নিশিদ্ধ সমাজে থাকলে-সেইকর্ম করতে গিয়ে ধরা খেয়ে যায়। তখন তাকে সেই সমাজের লোকেরা চরিত্রহীন,অসভ্য,ইতর ও খারাপ চোখে দেখবে এবং বলবে ঐ সাস্তি তার কোন না কোন পাপের ফল-নাহয় ওর পূর্বপুরুষের পাপের ফল। অতএব একথা সম্পুর্ণ যুক্তিহীন হবে। কেননা সে ব্যক্তি যদি রাশিয়া,আমেরিকা ইত্যাদী রাষ্ট্রে জ্বন্মে তাহলে সেই সেক্স ক্রিয়া যদি উভয়লিঙ্গদ্বয়ের সন্মতিক্রমে ঘটে থাকে বা প্রকাশ করলে তাদের কোন দোষ বা সাস্তি হয়না।

ঠিক একইভাবে ডাকাতের,চোরের,চিটারের,ভন্ডের,নিচুমনের,উচুমনের,পেটুকের,রুগীর ইত্যাদী ধাতুতে যে যেমন গড়ে যাচ্ছে সে তেমনই ধাতুর ফল প্রকাশ করতে চাইবে-সৃষ্টির সিস্টেমের ধারা বা নিয়মানুযায়ী। এখানে দোষ ও গুন সিস্টেমেরই। মানুষের কখনও হতে পারে না। কেননা মানুষ কখনও সৃষ্টিকর্তার মূল সিস্টেমের বাইরে যেতে পারেনা। তবে আমরা মানুষ-আমাদের যেটুকু জ্ঞান আছে-তাদিয়ে আমাদের জগৎ আমাদেরই মিলেমিসে সৎপথে থেকে সুষ্ঠ ও রিরপেক্ষ ডিসিপিলিনের মাধ্যমে সাজানো উচিত-যদিও আমরা সিস্টেমের ধারার পরিবর্তন করতে পারিনা।

পূর্বের দিনে যেমন বিভিন্ন ধর্মের আবিস্কারকরা মানুষদেরকে ডিসিপিলিনাবদ্ধ করতে গিয়ে বিভিন্ন নিয়ম কানুন চাপিয়ে বা তৈরী করে গেছেন সৃষ্টিকর্তার ভয় দেখিয়ে।যেমন বলেছেন আমাদরে দোষগুনের জন্য তিনি পরকালে সুখ ও সাস্তির ব্যবস্থা করেছেন। সেসব সম্পুর্ণ অযৌক্তিক কথা। কেননা তার সিস্টেমের মধ্যে যাকিছু যেমন ক্ষমতাসম্পন্ন তৈরী হবে সেসব তারই জানাবোঝার মধ্যে থাকে। তবে জগত পরিবর্তনশীল বিধায় সকল থিম,থিউরি ও নিয়মের পরিবর্তন ঘটে। ফলে এখন আর পূরানো ধ্যান,ধারনা ও ধর্ম দিয়ে বোঝানো ঠিক না। এখন মানুষের জ্ঞান বেড়েছে-ভবিশ্যতে আরো বেড়ে যাবে। সুতরাং এখন পুরানো ধ্যান ধারনা অকড়ে না ধরে-রাষ্ট্রের লৌকিক,বাস্তব,সুন্দর নিয়ম ও তার সুষ্ঠ কার্যকরের উপর নির্ভর হয়ে মানুষদেরকে চলতে হয় বা চলা উচিত। যদিও সিস্টেমের ধারার পরিবর্তন করে আমরা যে পদ্ধতিই গ্রহণ করিনা কেন মূল সিস্টেমের ধারার মধ্যেই আমরা সিমাবদ্ধ বা সিস্টেমের প্রভাব আমাদের পড়বেই এ জগতে।

(স্পষ্ট করার জন্য সৃষ্টিকর্তা বিষয়ক উদাহারন ধরুন, আমরা ফুটবল তৈরী করেছি প্লেয়ারদের পায়ে ঘা খাওয়ার জন্য এবং ফুটবলের একধরনের ব্যাথা পাবার অনুভূতি ও সেন্সর দিয়েই তৈরী করেছি। এখন ফুটবল তার সেই সেন্সদিয়ে বুদ্ধিখাটিয়ে কারো পায়ে ঘা খাওয়ার হাতথেকে বাচার জন্য সুযোগ খোজার চেষ্টা করছে-কিন্তু পারছেনা। কেননা ফুটবল আমাদেরই সৃষ্টি এবং তাকে খেলার জন্যই তৈরী করেছি ও তার কাছ থেকে প্রতিরক্ষার মজা পজা পাব বলে তাকে অনুভূতি দিয়েছি । তো আমরা যেহেতু সেন্স দিয়েছি তখন আমাদের সাথে বুদ্ধি খাটিয়ে নিশ্চই তার পারার কথা নয়।

ঠিক তেমনি সৃষ্টিকর্তার সিস্টেম অনুযায়ী আমরা তৈরী হয়ে গেছি এবং আমাদের ভীন্ন ভীন্ন ধাতুর ক্রিয়ার প্রকাশ ভীন্ন ভীন্ন হবেই এবং এক ধাতুর মানুষের প্রভাব অন্য ধাতুকে প্রভাবিত করবেই এবং তারমধ্যেদিয়ে সৃষ্টিকর্তার কোন কর্ম সাধন হবে। আর এজন্যই পৃথিবীতে প্রতিষোধের আগুন মানুষের মধ্যে জ্বলবেই এবং গোলযোগ,যুদ্ধ ও ধংশ সংঘটিত হবেই-শুধু সময়ের পরিবর্তনে যুদ্ধের ধরন বা রুপ পাল্টে পাল্টে ঘটতে থাকবে। অতএব সৃষ্টিকর্তা কোন ধর্মে মানুষের কিছু বলে দেয়নি-সেগুলো সম্পুর্ণ পূর্ব দিনের মানুষের নিজশ্ব আবিস্কার। কেননা ধর্মে মানুষের দোষগুনের জন্য দায়ী করা হয়েছে।

অতএব কোন সৃষ্টিকারী যদি তার সৃষ্টিকে দোষারোপ করে তবে সেটা অযৌক্তিক ও অহেতুক হবে। কেননা সৃষ্টিকারী যেটা যেমনভাবে সৃষ্টি করেছে সেটা তেমনই হবে এবং আবিস্কারক তার আবিস্কার সম্পর্কে নিশ্চই জ্ঞাত। সুতরাং আমার উপরোক্ত সৃষ্টি ফুটবলের মত- সৃষ্টিকর্তা মহাবিশ্বে এমন সিস্টেমের কায়দা তৈরী করে সেটআপ করে দিয়েছেন-যে সেই সেটআপের ক্রিয়ার ফলই হচ্ছে গ্রহ,নক্ষত্র ও জীব-জগতের কার্যক্রমের পূর্বথেকে বর্তমান চলমান ধারা । ধন্যবাদ এতক্ষন কষ্ট করে পড়ার জন্য এবং ফ্রেশ করা হয়নি-একই কথা কয়েকবার পড়ে গেছে।

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

সনেট কবি বলেছেন: উপরে আমার করা মন্তব্য সমূহ সম্ভবত আপনি বুঝতে পারেননি।

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১১

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ওকে,বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২১

সনেট কবি বলেছেন: আপনি তাহলে বুঝতে পেরেছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.