![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।
মহানবির (সা.) সাথে কুরাইশদের হুদায়বিয়ার সন্ধি অনুযয়ী, কোন মুসলমান ইসলাম ত্যাগ করে মক্কায় গেলে কুরাইশ তাকে আশ্রয় দিবে কিন্তু কোন কুরাইশ ইসলাম গ্রহণ করে মক্কা থেকে মদীনায় গেলে মহানবি (সা.) তাকে আশ্রয় দিতে পারবেনা- এশর্ত অনুযায়ী আবু বাছির (রা.) ইসলাম গ্রহণ করে মদীনায় গেলে কুরাইশরা দু’জন লোক পাঠায় তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য।মহানবি (সা.) সন্ধির শর্ত অনুযায়ী আবু বাছিরকে (রা.) ফিরৎ দিতে বাধ্য হন।
পথে আবু বাছির (রা.) কুরাইশদের একজনকে হত্যা করে ফেললে, অন্যজন বিচার নিয়ে মহানবির (সা.) নিকট আসে। তখন আবু বাছির (রা.) মহানবিকে (সা.) বলেন, আপনি এ হত্যার বিচার করতে পারেন না।কারণ আমি আপনার লোক নই। আমি আপনার লোক হলে আপনি আমাকে আশ্রয় দিতেন। আমি যাদের লোক আমি তাদেরকে হত্যা করেছি, পারলে আমার সাথে তারা বুঝাপড়া করবে।
অবশিষ্ট লোকটি আবু বাছিরকে (রা.) মক্কায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি। আবু বাছির (রা.) মক্কা ও মদীনার মাঝখানে একটা জঙ্গলে আস্তানা তৈরী করে তাঁর মত আর যারা ছিল তাদের সবাইকে তাঁর আস্তানায় চলে আসতে বলেন।তাদের সেখানে জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উপায় ছিল ডাকাতি।তারা তা’ করত সন্ধি অনুযায়ী কুরাইশদের লোক হিসেবে।তারাতো তখন মহানবির (সা.) লোকই ছিলনা তো তাদের ডাকাতির দায় মহানবির (সা.) উপর আসে কেমন করে? তাদের ডাকাতিতে কুরাইশরা অতিষ্ট হয়ে তাদের আরোপিত শর্ত তারাই তুলে নিতে দৌড় ঝাঁপ শুরু করে।মহানবি (সা.) তখন শত্রুর উপর সদয় হয়ে সন্ধির সে শর্ত তুলে নিতে সম্মত হন। এরপর উভয় পক্ষের সম্মতিতে সন্ধির সে শর্ত উঠে যায়। তখন সে ডাকাত দলের সবাই মদীনায় এসে মহানবীর (সা.)দলে সামিল হয়। এখানে দেখাগেল মহানবি (সা.) একদল ডাকাতকে আশ্রায় দিয়ে তাদের ভাল হয়ে যেতে সুযোগ করে দিলেন এবং শত্রুদের বিপদ উদ্ধার করলেন। কতিপয় বেকুব মহানবির (সা.) এ মহানুভবতার কারণে তাঁকে ধন্যবাদ না দিয়ে উল্টা তাঁর ঘাড়ে ডাকাতির দায় চাপিয়ে দেয়।এরা কতটা বেকুব হলে এমন উল্টা কথা ভাবতে পারে? যিনি ডাকতি বন্ধ করলেন এরা উল্টা তাঁকেই ডাকাত বলছে।এদের বেকুবি কথা শুনলে না হেসে উপায় থাকেনা।তো ডাকাতেরা একদা ডাতাতি করলেও একদা তারা ডাকাতি ছেড়ে মহানবির (সা.) সাহাবাতে (রা.) পরিণত হয়েছেন বিধায় তাঁদের নামের সাথে আমরা রাদিআল্লাহু আনহু পাঠ করি।
বিঃদ্রঃ মহানবি (সাঃ) ডাকাতি করেননি কিন্তু তাঁকে ডাকাত বলে তাঁর সম্মান হানির অপটচেষ্টা করাকে তাঁর বিরুদ্ধে কূৎসা রটনা বলা যায়। এমন যাবতীয় কাজ কূৎসা রটনার মধ্যে পড়ে। ইসলামে কূৎসা রটনার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। তবে এ শাস্তি ঘোষণা ও কার্যকর করবে রাষ্ট্র, কোন ব্যক্তি নয়।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩১
সনেট কবি বলেছেন: যিনি ডাকাতি বন্ধ করলেন। যিনি ডাকাতদের সঠিক পথে ফিরার সুযোগ করে দিলেন। এরা তাঁকেই বলছে ডাকাত। কত্তবড় জঘন্য এ নোংরা লোকগুলো।
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৬
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগল
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩
সনেট কবি বলেছেন: সেই অপপ্রচারকারীদের একজন কূখ্যাত কবি কায়াব ইবনে আশরাফ। এখন সে কবি হলেই কি তার সব অপরাধ মাপ হয়ে যাবে নাকি?
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪
বিজন রয় বলেছেন: বর্তমান সমাজেও এরকম দেখতে পাওয়া যায়, শেষ পর্যন্ত ভাল লোকের ঘাড়ে দোষ পড়ে।
কেউ শিক্ষা নেয় না।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪২
সনেট কবি বলেছেন: মন্দ লোকেরা এসব করে মন্দ লোকদের ভাল হওয়ার পথ বন্ধ করে রাখতে চায়। দস্যু ফুলনকেও ভারত সরকার সুস্থ্য জীবনে ফিরায় ক্ষমা করে দিয়ে ছিল। আমাদের কবি বেনজির কেও বৃটিশ সরকার ক্ষমা করে দিয়ে ছিল। এখন ভারত আর বৃটিশ সরকারকে কি ডাকাত বলা হবে? মন্দ লোকেরা উল্টা কথা বলে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করে।
৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫
আহলান বলেছেন: ঘটনাটি জানা ছিলো না। ধন্যবাদ
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
সনেট কবি বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। এসব ঘটনাকেই বিকৃত করে ওরা ফায়দা হাসিল করতে চায়।
৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪
দূর পাহাড়ে বলেছেন: বিশ্ব মানবতার মুক্তি দূতকে কপালপোড়ারাই চিনল না। মুসলমান নামধারী আবদুল্লাই ইবনে উবাই ইবনে সুলুলের উত্তরাধিকারীরা সব সময় ভয়ঙ্করভাবে সক্রিয়
২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২২
সনেট কবি বলেছেন: এ যুগেও অনেক আবু জাহেল রয়েছে।
৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৩
সনেট কবি বলেছেন: আমাদের বেশী লাভবান হওয়ার বিষয় সমূহ ভালভাবে জানতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৬
বিজন রয় বলেছেন: খুব অন্যায় কথা।