নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আস-সামী

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪



আস-সামী সর্বশ্রোতা শুনেন সকল
কে বলে কোথায় বলে কি বলে কখন
সব তিনি শুনেনেন যে বলে যখন
শব্দ না হলেও তিনি শুনেনেন সব।
শ্রবণে না হয়ে তিনি কখনো বিকল
কি বলে বুঝেন সব মানুষের মন
তাঁর থেকে লুকানোর নেই কোন বন
শুনায় তাঁর নিকট সকল সম্ভব।

মানুষেরা চার দিকে নজর বুলিয়ে
কারে ছেড়ে তারা সব কার পথ ধরে?
কার সাথে কারে কেউ ফেলছে গুলিয়ে?
আস-সামী সে সবের হিসেবটা করে।
সকল শুনেন বলে কাজে নেই ফাকি
সেজন্য আমরা তাঁকে কায়মনে ডাকি।


সামীউ

সামীউ শুনেন সব যে যা বলে যেথা
মনে মনে বলা কথা তা’ তিনি শুনেন
এমন শুনার শক্তি আর কারো নেই
তাঁর থেকে কোন কথা রয়না গোপন।
বিশ্বসী গোপনে কথা বলেনা এমন
যা শুনে সামীউ মনে হবেন নাখোশ
যা শুনে আক্রোশ তাঁর জমবে মনেতে
যার জন্য পরকালে শাস্তি পেতে হবে।

মানুষ বেঁহুশ বড় বুঝে খুব কম
অযথা অযথা তারা বলে কত কথা
বুঝেনা এজন্য সে যে পড়বে বিপদে।
অদৃশ্য সামীউ আছে সকলের সাথে
না দেখে মানুষ তাঁরে যা খুশি তা’বলে
বুঝবে কথার মূল্য শাস্তির সময়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সরি কবিভাই, আমার বুঝতে ভুল হয়েছে। এখন লক্ষ্য করলাম আমার অনুসারিত পেজে হাত আঙ্গুল পড়ায় আপনাকে প্রথমে দেখে ভাবলাম, বুঝি আপনার স্ট্যাটাস বদল করেছে। আমারই ভুল হয়েছে। যাইহোক আমাদের সবারই একটাই মন্ত্র, আস- সামী। আমরা কায়মনোবাক্যে তারই কেবল স্মরি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

সনেট কবি বলেছেন: আপনার ভুল করে দেওয়া মন্তব্য মুছে দিয়েছি।মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় লেখক চৌধুরি ভাই।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৯

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: ভালো লিখেছেন কবি ভাই।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

সনেট কবি বলেছেন: নিরন্তর শুভেচ্ছা নিবেন মামুন ভাই।

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ তায়ালার অসংখ গুণাবলী
হতে তিনি সর্বশ্রোতা তথা আস সামী নিয়ে খুব সংক্ষিতভাবে
সনেট কাব্য আকারে মুল্যবান কথামালা তুলে ধরেছেন ।

আল্লার এই আস সামী গুনাবলী নিয়ে পবিত্র কোরানেই রয়েছে অনেক আয়াত । যথা ‘ রাত্রী আর দিবসে যা কিছু অবস্থান করছে সকলই তাঁর , তিনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞানী ‘ ( ৬ঃ১৩ সুরা আন আম , আয়াত ১৩ ) , এবং তিনি বলেন তোমরা ভয় করোনা , নিশ্চয়ই আমি তোমাদের সাথে আছি (২০ঃ ৪৬ সুরা তাহা , আয়াত ৪৬) । এ সম্পর্কিত আয়াত নাযিলের প্রসঙ্গকথা তথা প্রেক্ষাপটগুলিও বেশ তাৎপর্যপুর্ণ , যেমন সুরা আল মুজাদেলার ১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন ‘ তাহারা কি মনে করে যে আমরা তাদের সমস্ত বিষয়াবলী এবং তাহাদের গুপ্ত পরামর্শগুলি শুনতে পাইনা ? এরূপ নহে, বরং আমাদের প্রেরিতগন ( ফিরিসতাগন) তাদের পার্শ্বে বসে লিখতেছে ( ৪৩ঃ ৮০ আল যুখরুফ, আয়াত ৮০ )। সর্ববিষয় শ্রবন প্রসঙ্গে সুরা আল মোজাদেলার ১ নং আয়াত ও সুরাটি নাযিল হওয়ার বিষয়টিও বেশ তাৎপর্যপুর্ণ যেমন সেখানে বলা হয়েছে “ আল্লাহ অবশ্যই সেই নারীর কথা শুনেছেন, যে তার স্বামী সম্পর্কে তোমার সাথে বিতর্ক করতে ছিল এবং আল্লার কাছে অভিযোগ করতেছিল এবং আল্লাহ তোমাদের উভয়ের বাক্যালাপ শুনতেছিলেন । নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা ’’ ( ৫৮:০১)। উক্ত আয়াত সম্বলিত এই সুরাটি অবতীর্ণ হওয়ার প্রসঙ্গ কথা সম্পর্কে উল্লেখ আছে যে, সে সময়ে সালাবা’র কন্যা আউস বিন সামিতের স্ত্রী খাওলা স্বামী কতৃক বিচ্ছিন্নতার বিরহে পতিত হন । কেননা তার স্বামী তাকে ‘মা’ ডেকে এই বিপদে ফেলে । ‘তুমি আমার মায়ের পিঠ সদৃশ্য‘ এ কথা উচ্চারণ করে স্বামী – স্ত্রীকে পুরাতন আরব প্রথা অনুযায়ী একটি ঝুলন্ত অবস্থায় নিপতিত করতে পারত । এ প্রথার নাম ছিল ‘যিহার’ । আউস এ প্রথার সুযোগ নিয়ে খাওলাকে ঝুলন্ত রাখল , অর্থাত স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে মিলামেশা থেকে বঞ্চিত রেখে অনিশচ্য়তার মধ্যে ফেলে দিল । হতভাগা স্ত্রী না বিবাহ বিচ্ছেদের দাবী করতে পারে , না দ্বিতীয় বিবাহ করতে পারে , না বর্তমান স্বামীর উপর স্ত্রী হিসাবে কোন দাবী খাটাতে পারে । খাওলা অনিশ্চিত ঝুলন্ত অবস্থায় পতিত হলেন । তিনি মহানবীর (সাঃ) কাছে তার দুর্দসার কাহিনী বর্ণনা করেন এবং তাঁর পরামর্শ ও সাহয্য কামনা করেন । মহনবী ( সাঃ) তার প্রতি সহানুভুতি দেখালেন বটে তবে তিনি এ ব্যপারে পরামর্শ দিতে দ্বিধান্বিত হলেন । কেননা এ ধরনের বিষয়াদির বিষয়ে ওহী ইলহামের মাধ্যমে অবগত না হয়ে তিনি সাধারনত কোন প্রকার সিদ্ধান্ত দিতেন না । সে সময় আল্লার তরফ হতে ওহী আসল এবং ‘তিহার’ প্রথা বেআইনী বলে ঘোষিত হল । এই সুরার পরবর্তী আয়াতগুলিতে এ বিষয়ে আরো বিশদভাবে করনীয় পন্থাগুলি সম্পর্কে বলা হয়েছে ।

মোদ্দা কথা হলো আল্লাহ প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সকল কিছুই শুনেন । আস সামী নামের মহাত্ততা এখানেই নিহীত । ধন্যবাদ পোষ্টটি দিয়ে কিছু গুরুত্বপুর্ণ মুল্যবান কথা সকলের সাথে আলোচনা করে শেয়ার করার সুযোগ তৈরী করে দেয়ার জন্য ।
আল্লাহ আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল করুন ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

সনেট কবি বলেছেন: মাননীয় আপনার মন্তব্য থেকে পাঠক অনেক মূল্যবান কথা জানতে পারবেন। দোয়া করবেন এভাবে আল্লাহর সব গুলো নাম নিয়ে যেন লিখতে পারি। তবে আগে একবার লিখে ছিলাম।

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তিহার< যিহার হবে

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

সনেট কবি বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.