নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাযহাব লা মাযহাব দ্বন্দ্ব (পর্ব-৩)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০২



মাযহাব ছিলনা, কারণ দরকার ছিলনা। মাযহাব হয়েছে, কারণ দরকার হয়েছে। লোকেরা অপারগ হয়ে মাযহাব মেনেছে। কারণ হাদিস বহু রকম হয়েগেছে। হাদিস বহু রকম হওয়ার কারণ চলমান ও মানসুখ হাদিস মিশেগেছে।আসল ও নকল হাদিস মিশেগেছে। এখন কোন হাদিস মানবে তা’ ঠিক করতে না পেরে একেক জন একেক হাদিস মানতে শুরু করেছে।তখন ইমাম বললেন এ হাদিস নয় ঐ হাদিস মানতে হবে। এক এলাকার লোক সেই এলাকার ইমামের কথামত হাদিস মানতে শুরু করেছে।অন্য এলাকার লোক সেই এলাকার ইমামের কথা মত হাদিস মানতে শুরু করেছে।এরপর কেউ তার ইমামের মত ত্যাগ করতে রাজি হলো না।ওলামাদের জিজ্ঞাস করা হলো এখন তবে কি হবে? তারা বললেন যে কোন ইমামের কথামত হাদিস মানলেই চলবে। তারা চারজন ইমামের মতকে সঠিক বল্লেন। সে চারজন ইমামের মত অনুযায়ী চার মাযহাব হানাফী শাফেঈ হাম্বলী ও মালেকী গঠিত হলো। ঝগড়া থেমেগেল।
এরপর হাদিসের কিতাব লিখিত হলো। যারা হাদিসের কিতাব লিখল তারা কোন ইমামের হাদিস লিখল। কোন ইমামের হাদিস লিখল না। আবার ঝগড়া শুরু হলো। বলা হলো অমুকের কথা হাদিসে আছে তমুকের কথা হাদিসে নেই। আরে বাপু তমুকের কথা যে হাদিস লিখছে সে না লিখলে হাদিসে থাকে কেমনে? বলা হলো যার হাদিস বাদগেছে তার হাদিস জয়িফ। কিন্তু কথা হলো জয়িফতো হলো একশ বছর পর। যখন তমুক হাদিসের আমল করেছে তখনতো হাদিস ছহি ছিল। তখন ছহি ছিল এখন জয়িফ হওয়ার কারণ তখন যে হাদিস বলেছিল এখন সে বেঁচে নেই।যে মরেগেছে সে ছহি ছিল।তার মরার পর এখন যে হাদিস বলছে এ জয়িফ। আর এ কারণে এখন যে হাদিসের কিতাব লিখল সে এ হাদিস আর তার কিতাবে লিখল না।আর তাতে কতিপয় বলা শুরু করল এটা হাদিসে নেই।পরিস্থিতি এমন যে একশ বছর আগে বলা হাদিসে ছিল, একশ বছর পরে লিখা হাদিসে নেই। আর এ থাকা ও না থাকা হাদিসের ছহি রাবির মৃত্যু। আর এ মৃত্যু একটি গ্রহণযোগ্য অপারগতা। কারণ কেউ মরেগেলে আর কথা বলতে পারেনা। মৃত ব্যক্তির ছহি হাদিসকে যখন কেউ জয়িফ বলছে তখন সে প্রতিবাদ করে বলতে পারছেনা যে এ হাদিস আসলে ছহি।আর তার বলতে না পারার কারণ মৃত্যু জনিত গ্রহণযোগ্য অপারগতা। আর ইসলামে অপারগতা গ্রহণযোগ্য। যেমন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া ফরজ, কিন্তু পা না থাকলে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া ফরজ নয়।তখন বসে হলেও নামাজ পড়বে। পা নেই অযুহাতে নামাজ বাদ দিবেনা।মাযহাব ইসলামে এমন একটি অপারগতা যা না মেনে উপায় নেই। কাজেই আগে না থাকলেও অপারগতার কারণে পরে এটা না মেনে উপায় নেই।
অনেকে বলছে হাদিসের কিতাব লিখিত হওয়ার পর আর মাযহাব দরকার নেই। কেন সেই অপারগতা কি কিতাব হওয়ার সাথে সাথে উদাও হয়েছে? এখনতো একেক হাদিস গ্রন্থের হাদিস একেক রকম। কোন হাদিস কোন হাদিস গ্রন্থে আছে। কোন হাদিস কোন হাদিস গ্রন্থে নেই।ফল দাঁড়াল এই যে এতে করেও অনিবার্যভাবে হাদিস মানা বিভিন্ন রকম হবে। তারমানে বিভিন্নরকম মাযহাব হবে। তো পুরনো মাযহাব বাদ দিয়ে নতুন মাযহাব মানার দরকার কি? এতো পুরান বোতলে নতুন শরবত।কাজেই লিখিত অলিখিত সব হাদিস মানা হবে। সেই সাথে সময়ের প্রয়োজনে মাযহাব মানা হবে। লা মাযহাব প্রস্তাব অযোক্তিক বিধায় অগ্রহণযোগ্য।সেজন্য লা মাযহাব মানা হবেনা।
কেন লা মাযহাব হব? লা মাযহাব হওয়া যায়কি? লা মাযহাব হয়েও যদি মানুষ বিভিন্নরকম ইসলাম পালন করে তবে আর লা মাযহাব হওয়ার দরকার কি? মাযহাবের কথা হাদিসের কিতাবে নেই অযুহাত এই তো? তো কিতাব ওয়ালা কিতাবে না লিখলে সেটা কার দোষ? আর কিতাব ওয়ালাতো লিখে নাই ছহি রাবি মরে যাওয়ায় জয়িফ সূত্রে তার কাছে হাদিস পৌঁছায়।সংগত কারণে যেহেতু লা মাযহাব হচ্ছেনা বা করা যাচ্ছেনা, কাজেই মাযহাবই সঠিক আছে। আর যদি বল সবাই একদল হওয়া দরকার তবে বড় দলে সবাই সামিল হও। বড় দল হানাফী তাতে সবাই সামিল হলে লেটা চুকে গেল।এটা সম্ভব কিন্তু লা মাযহাব সম্ভব নয়।মাযহাব বাদ দিয়ে হাদিস মানিয়ে কোন দিন মুসলমানকে একদল করা যাবেনা। কারণ এরমধ্যে যারা আহলে হাদিস লা মাযহাব হয়েছে তারা সবাই একদল থাকতে পারেনি বরং বহুদল হয়েগেছে।কাজেই একদল হতে হলে সবাই হানাফী হও। নতুবা চারদল হয়ে হানাফী শাফেঈ হাম্বলী ও মালেকী থাক। সবার সাথে সবাই মিলেমিশে থাক। যখন যে ইমাম নামাজ পড়ায় তখন সে ইমামের পিছনে নামাজ পড়।
চলমান মানসুখ হাদিস মিলে যাওয়া। আসল ও নকল হাদিস মিলে যাওয়া। আলাদা করতে না পারা। অনিবার্য অপারগতা। যেহেতু ইসলামে অনিবার্য অপারগতা গ্রহণযোগ্য সেহেতু ইসলামে মাযহাব গ্রহণযোগ্য। সেহেতু মাযহাবের বিরোধীতা গ্রগণযোগ্য নয়। সেহেতু মাযহাবের বিরোধীতা ফিতনা। ফিতনা হত্যার চেয়ে জঘণ্য পাপ। কাজেই মাযহাবের বিরোধীতা সংক্রান্ত মহাপাপ বা মহা হারাম কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।

বিঃদ্রঃ এক হাদিস গ্রন্থে যে হাদিস বলছে অন্য হাদিস গ্রন্থে এর উল্টা হাদিস বলে নাই ঘটনা হলে মাযহাব বাদ দিয়ে আহলে হাদিস হওয়া যেত, কিন্তু সেটা হয়নি। সে জন্য আবার প্রস্তাব হলো এবার আলবানীকে মান। তো আলবানীকে মানা হলে আবু হানিফার (রঃ) কি দোষ?

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: আল-কোরআন থেকে কি মাযাব বড় ? কারণ বড় মাথা ওয়ালা মানুষ আমরা । মাযাব কে যে ভাবে বিবৃতি দেয় তাতে মনে হয় ইহা আল কোরআন থেকে ও বড় । সত্যি বলতে এমন অবস্থা হয়েছে আমাদের যে যার মতো করে বলে যাচ্ছে আর আমাদের কে মেনে নিতে হচ্ছে ।
সত্যিকারের মাযহাব ও হাদিস জানতে আমাদের আসলে কি করতে হবে ?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

সনেট কবি বলেছেন: কোরআন হাদিস মানার জন্যই মাযহাব। কারণ বিভিন্ন লোকের কোরআন ও হাদিসের বিভিন্নরকম ব্যাখ্যা দেওয়ার কারণে সাধারণের মাথা ঘুরে যায়। কি করবে বুঝতে পারেনা। তখন তারা ইমামের কথামত চলে। নতুবা যারা কোরআন ও হাদিসের অপ ব্যাখ্যা দেয় তাদের কথামত শয়তানের পথে চলে যেতে হয়। শয়তান থেকে বাঁচার জন্যই মাযহাব মানতে হয়। সময়ের সাথে এটা এখন অনেক বেশী প্রয়োজনীয়।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

বাংলাদেশ-ফয়সাল বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম ভাই। আমি মাযহাব মানতে চাই, কোন মাযহাব মানবো ?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

সনেট কবি বলেছেন: আপনার যেটা অধিক সঠিক মনে হয়। আপনি কি মানবেন সেটা নিশ্চয়ই আপনার নিজের বিবেচনা। এমনকি মানুষ চারহাজারের অধিক ধর্ম মানে। আবার অনেকে মোটে ধর্ম মানেনা। তো আপনার দেশ যদি বাংলাদেশ হয়ে থাকে তবে এদেশের প্রায় সব লোক হানাফী। এখন দেখুন আপনার স্বদেশীরা যে মাযহাব মানে আপনি সেটা মানবেন কি না। আর যদি একান্ত আপনার স্বদেমীদের মাযহাব ভাল না লাগে। কি আর করা তখন না হয় নিজের পছন্দ মত একটা খুঁজে নিবেন। আমি হানাফী মানি। এটাই সর্ব বৃহৎ মাযহাব এবং আমার মতে সবচেয়ে সঠিক।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আজও, এই আধুনিক যুগে এসেও জাল হাদীস গুলো পুরোপুরি সনাক্ত হলো না।
মানুষজন ভুলের মধ্যে আছে, দ্বিধার মধ্যে আছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

সনেট কবি বলেছেন: আমি এক দিন মসজিদে দাঁড়িয়ে কিছু কথা বললাম। দু’দিন পরে দেখি কিছু পাবলিক এমন কথা বলছে যা আমি বলিনি। এমন হয়। সমাধান হলো জ্ঞানিদের কথা মেনে চলা। কোরআনেও সে কথা বলা হয়েছে।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

এখওয়ানআখী বলেছেন: আলোচনায় যুক্তি আছে। এই সময়ে এসে টেকনোলজির কল্যাণে পড়াশোনার ব্যপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাই মাযহাব নামানারও যুক্তি আছে। সেই একই যুক্তি। ধন্যবাদ

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

সনেট কবি বলেছেন: মাযহাব না মেনে যেহেতু আপনি একদল হতে পারছেন না, কারণ হাদিস বিভিন্ন রকম তাহলে আর মাযহাব না মানার যুক্তি কি? হাদিস বিভিন্ন রকম হওয়াতেইতো মাযহাব বিভিন্ন রকম হয়েছে। এখনো হাদিস বিভিন্ন রকমই রয়েছে কাজেই মাযহাবের প্রয়োজন কোন কারণে ফুরিয়ে গেল? হাদিসের ভিন্নতা দূর করে কোরআনের মত একক একখানি হাদিস গ্রন্থ তৈরী করুন। তারপর না হয় মাযহাব পরিত্যাগের কথা বলুন। একক হাদিস গ্রন্থ তৈরী না করে মাযহাব ত্যাগের প্রস্তাব কেউ মানেনি আর মানবেওনা। এ নিয়েতো গুতাগুতি কম হলোনা। এখনো মাযহাবি শতে ৯৯ জন আর লা মাযহাবি শতে ১ জন। আর এদিকে আজাইরা ক্যাচাল জুড়ে ইসলামের বদনাম!

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২১

এখওয়ানআখী বলেছেন: ধীরেধীরে কিন্তু সমীকরণটা বদলে যাচ্ছে প্রিয় কবি ভাই।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: কতটুকু আর বদলাচ্ছে? কিন্তু এতে মুসলমানদের অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে। একটা সমীকরণ বদলানোর জন্য এতবড় ক্ষতিতো আর মানা যায়না।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

আহমাদ ফখরুদ্দীন শাহীন মুহম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন: ভালো লেগেছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

সনেট কবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:১১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঠিক আছে। সবার বক্তব্য শোনার ও বোঝার অবকাশ আছে...

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৯

সনেট কবি বলেছেন: আমি লা মাযহাবীদের উদ্দেশ্য জিজ্ঞাস করেছি। তারা বলল, সব দলকে এক করা। প্রসেজ কি? কোরআন হাদিস মান। তো যারা মাযহাব মানে তারাও বলে তারা কোরআন হাদিস মানে। তো কোরআন হাদিস মেনে মাযহাব বাদ যায় কেমন করে? আসলে কোরআন ও হাদিসের ভিন্ন বুঝ থেকেই ভিন্ন ভিন্ন মাযহাব। কাজেই লা মাযহাবী প্রস্তাবনায় লা মাযহাব নামে নতুন একটি মাযহাব বেড়েছে। এতে মাযহাব উঠে যাওয়ার মত তেমন কিছু ঘটেনি। আর ফ্রি হিসেবে পাওয়া গেছে মসজিদে মসজিদে মারামারি। যাতে করে মসজিদ মুছল্লি শূণ্য হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে ইসলামের বদনাম বহুগুনে বেড়েছে।
লা মাযহাবীরা বলে এরা ইমাম মানেনা, অথচ এরা আলবানীকে মানে। তাহলে আলবানী জিনিসটা কি? আলবানীকে মানলে দোষ না হলে, আবু হানিফাকে (রঃ) মানলে দোষ হবে কেন? আর আবু হানিফা (রঃ) যে হাদিস মেনেছেন সে হাদিস বোখারী (রঃ) না লিখলে আবু হানিফার (রঃ) দোষ কি? ঘটনাতো এমন যে আবু হানিফা (রঃ) যেটা ছহি মনে করেছেন, বোখারী (রঃ) সেটা জয়িফ মনে করেছেন। আমরা বোখারীর (রঃ) মনে করাকে আবু হানিফার (রঃ) উপর গুরুত্ব কেন দেব? একটা অযুক্তিক মতবাদে অর্থায়ন করে সৌদি সরকার মুসলমানদের শান্তি বিনষ্ট করে তাদের ঘৃণারপাত্রে পরিণত হয়েছে।
আমরা হানাফী ছিলাম ভাল ছিলাম। আমাদেরকে আহালেহাদিসে পরিণত করার অপচেষ্টা আমাদের শান্তি বিনষ্টের মহা কারণ হয়েছে। আর এতে ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে। একই ঘরে একজন আহলে হাদিস হয়ে আগের দিন ঈদ করছে, অন্যজন পরের দিন ঈদ করছে। এর জন্য দায়ী এ নতুন আবিষ্কার আহলে হাদিস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.