নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ড. আনিসুর রহমান ফারুক, জন্ম বাংলাদেশে। একজন আজন্ম একাডেমিক। আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিষয়ে দুটি পিএইচডি অর্জন করে এখন আছি ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ভাসাতে, এসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে। একাডেমিক গবেষণার পাশাপাশি এখন ধর্ম নিয়ে পড়াশুনা আর লেখালেখির চেষ্টা করছি।

সংকীর্ণ হৃদয়

সংকীর্ণ হৃদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালো ইমান, মন্দ ইমান, সর্ষেদানা ইমান সমাচার

০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৮


একটি বহুল প্রচলিত হাদিস আছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, একদিন সকল মুসলমানই জান্নাতে যাবে। যার যার শাস্তিভোগের পর। কারও অন্তরে যদি সর্ষেদানা পরিমাণ ইমানও থাকে, সেও একদিন জান্নাতে যাবে। হাদিসটি দেখুন: হযরত আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতিরা জান্নাতে ও জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। অতঃপর আল্লাহ বলবেন, বের কর যার অন্তরে সর্ষে পরিমাণ ঈমান রয়েছে, ফলে তারা সেখান থেকে বের হবে এমতাবস্থায় যে কালো হয়ে গেছে, অতঃপর তাদেরকে বৃষ্টির নহর অথবা সঞ্জীবনী নহরে নিক্ষেপ করা হবে, ফলে তারা নতুন জীবন লাভ করবে যেমন নালার কিনারায় ঘাস জন্মায়। তুমি দেখনি তা হলুদ আঁকাবাঁকা গজায়?” (সহিহ বুখারি)। সুতরাং হাদিস অনুযায়ী আমাদের ভরসা আছে। আমরা যতোই খারাপ কাজ করে থাকি, যতোই পাপ করে থাকি, যতোই অন্যের ক্ষতি করে থাকি, হাদিস আমাদের ভরসা দেয়। একদিন আমরা ঠিকঠিক জান্নাতে যাবোই। ইহুদিরা যেমন নবিকে বলতো, তারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা আর তাই তাদেরকে জাহান্নামে থাকতে হবে অল্প কিছুদিন, এই যেমন, সত্তর বছর। তারপর তারা ঠিক জান্নাতে চলে যাবে। আমরা এমনি বিশ্বাস করি, আর তাই যা যা খারাপ কাজ করার তা করে নেই। ভরসা তো আছেই। কিছুদিন শাস্তিভোগের পর তো যাচ্ছি অনন্ত সুখের দেশে, জান্নাতে। যদি দুনিয়াতে এতো খারাপ কাজ করেও জান্নাত পাওয়া যায় বিনা খরচে, কিছুদিন শাস্তিভোগের বিনিময়ে, তবে ক্ষতি কী+ দুনিয়াও পেলাম, আখিরাতও পেলাম। ব্যবসায়টা ভালোই হলো! দেখুন না, আরেকটি হাদিসও কিন্তু এই সাক্ষ্য দিচ্ছে: উসমান (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মৃত্যূবরণ করবে এমতাবস্থায় যে, সে বিশ্বাস করে আল্লাহ ছাড়া কোনও মা‘বূদ নেই, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে (সহি মুসলিম: ২৬)। তাহলে বলুন তো, আর কী চাই? আমি তো সত্যি সত্যিই বিশ্বাস করি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। কিন্তু তা-ও আমি খারাপ কাজ করি কারণ আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না। আর অন্যের ক্ষতি করতে আমার ভালো লাগে। অন্যেরটা মেরে খেতে আমার আনন্দ হয়। কিন্তু আমি তো সত্যি সত্যিই বিশ্বাস করি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আর এই অবস্থায়, এই বিশ্বাসের সাথে যদি আমি মরতে পারি, হাদিস অনুযায়ী, তাইলে তো কর্মসারা। হয়েই গেলো। আমার ঠাঁই তো ডাইরেক্ট জান্নাতে। ব্যবসায়টা কেমন হলো? ভালো না?

কিন্তু আল্লাহ তো আমাদের এতো বড়ো সুসংবাদ থেকে বঞ্চিত করেছেন তাঁর কোরআনে। যেমন দেখুন, আল্লাহ বলছেন সুস্পষ্টভাবে:
(প্রকৃতপক্ষে) যারা ইমান এনেছে এবং নিজেদের ইমানকে জুলুমের সাথে মিশ্রিত করেনি, নিরাপত্তা ও স্বস্তি তো কেবল তাদেরই অধিকার এবং তারাই হচ্ছে হেদায়াতপ্রাপ্ত। (আনআম: ৮২)

দেখুন, আল্লাহ কিন্তু আংশিক ইমান, সর্ষেদানা ইমান নিয়ে কিছু বলছেন না। তিনি বলছেন এমন ইমানের কথা যে ইমানের সাথে কোনো কলুষ নেই, কোনো জুলুম অত্যাচার নেই। সেই জুলুম আল্লাহর সাথেই হোক, বা মানুষের সাথেই। জালিমের ইমান তার জন্য কোনো কাজেই আসবে না। এই ধরনের জালিম ইমান হেদায়াতপ্রাপ্তদের ইমানও নয়। এই একই সুরায় আল্লাহ পুনর্বার উল্লেখ করেছেন, ইমানের সাথে সৎকর্ম না থাকলে সেই ইমান কাজে আসবে না:

তারা কি (ঈমান আনার জন্য) কেবল এরই অপেক্ষা করছে যে, তাদের কাছে ফিরিশতা আসবে বা তোমার প্রতিপালক নিজে আসবেন অথবা তোমার প্রতিপালকের কিছু নিদর্শন আসবে? (অথচ) যে দিন তোমার প্রতিপালকের কোনও নিদর্শন এসে যাবে, সে দিন এমন ব্যক্তির ঈমান তার কোন কাজে আসবে না, যে ব্যক্তি পূর্বে ঈমান আনেনি কিংবা নিজ ঈমানের সাথে কোন সৎকর্ম অর্জন করেনি। (আনআম: ১৫৮)

কোরআনের সকল জায়গায় এই এক কথাই নানাভাবে বলা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, সুরা মারইয়ামের ৭১-৭২ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন, সবাইকেই জাহান্নাম অতিক্রম করে যেতে হবে। যারা মুত্তাকী, যারা দুনিয়ার জীবনে আল্লাহকে ভয় করেছে, আল্লাহ কেবল তাদেরকেই নিষ্কৃতি দেবেন সেই জাহান্নাম থেকে। শুধু ইমান মানুষকে মুত্তাকী, আল্লাহভীরু ও পরহেজগার বানাতে পারে না। ইমানের সাথে কেবল ভালো কিছু থাকলেই সেটা হতে পারে।

তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যে তা (অর্থাৎ জাহান্নাম) অতিক্রম করবে না। এটা তোমার প্রতিপালকের পক্ষে এক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। অতঃপর যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে (আল্লাহকে ভয় করেছে) তাদেরকে আমি নিষ্কৃতি দেব আর জালিমদেরকে তাতে (জাহান্নামে) মুখ থুবড়ানো অবস্থায় ফেলে রাখব। (মারইয়াম: ৭১-৭২)

একই কথা বলেছেন অন্যত্র:
এটাই সেই জান্নাত যার ওয়ারিশ বানাব আমার বান্দাদের মধ্যে যারা মুত্তাকী তাদেরকে। (মারইয়াম: ৬৩)

আমি এই প্রসঙ্গে কোরআনের আরেকটি আয়াত উল্লেখ ও সেটি নিয়ে আলোচনা করতে চাই।

পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফিরানোতে কোন পুণ্য নেই; কিন্তু পুণ্য আছে কেউ আল্লাহ্, পরকাল, ফেরেশতাগণ, সমস্ত কিতাব এবং নবীগণে ঈমান আনয়ন করলে আর আল্লাহপ্রেমে আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, পর্যটক, সাহায্যপ্রার্থিগণকে এবং দাস-মুক্তির জন্যে অর্থ দান করলে, সালাত কায়েম করলে ও যাকাত প্রদান করলে আর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ করলে, অর্থসংকটে দুঃখক্লেশে ও সংগ্রামসংকটে ধৈর্যধারণ করলে। এরাই তারা যারা সত্যপরায়ণ আর এরাই মুত্তাকি। (বাকারাহ: ১৭৭)

যদিও হাদিস অনুযায়ী আপনি পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে মুখ ফিরানোতে অনেক পুণ্যের সংবাদ পাবেন, কারণ একেকটি হাদিসকে আমরা বিচ্ছিন্নভাবে বোঝার চেষ্টা করেছি। ব্যাপারটার ব্যাখ্যা এমন হতে পারে, শুধু পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে মুখ ফিরানোতে কোনো পুণ্য নেই; সেই মুখ ফিরানোর সাথে যদি ভালো কিছু না থাকে। সেই সালাত দিয়ে যদি ভালো কিছু অর্জিত না হয়, তবে তা কেবলই বেকার। আমি যদি মনে করে থাকি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছি প্রতিদিন ঠিকঠাক কিন্তু আর কিছু ভালো তার সাথে অর্জন করিনি, সেটাই আমার জন্য যথেষ্ঠ, সেটা কেবল ভ্রান্তধারণাই হবে। তারপর কেউ ইমান আনলে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতাগণ, সমস্ত কিতাব এবং নবিদের ওপর, সেটায় পুণ্য আছে; কিন্তু সেই পুণ্য লাভের শর্তগুলি কী? আল্লাহ বলে দিচ্ছেন: আল্লাহপ্রেমে আত্মীয়স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, পর্যটক, সাহায্যপ্রার্থিগণকে এবং দাসমুক্তির জন্যে অর্থ দান করলে, সালাত কায়েম করলে ও যাকাত প্রদান করলে আর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ করলে, অর্থসংকটে দুঃখক্লেশে ও সংগ্রামসংকটে ধৈর্যধারণ করলে। এগুলি হচ্ছে ভালো ইমানের মাপকাঠি। সত্যপরায়ণ ও মুত্তাকিদের গুণাবলি, তাদের লক্ষণ। এইগুলি না থাকলে, ইমান দিয়ে কেউ কখনো ভালো কিছু অর্জন করতে পারে না। ইমান তার কোনো কাজে আসবে না। আল্লাহ সুস্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, তিনি মুখে ইমান এনেছি ঘোষণা করলেই কিন্তু বান্দাকে ছেড়ে দেবেন না, তার পরীক্ষা নিয়ে তবেই ছাড়বেন।

মানুষ কি মনে করে যে, তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে (এজন্যে) যে, তারা বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ আর তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না। এবং অবশ্যই আমি তাদের পূর্ববর্তীদেরকে পরীক্ষা করেছিলাম, এবং আল্লাহ্‌ অবশ্যই জেনে নিবেন (স্পষ্ট করবেন) যারা সত্য বলেছে তাদেরকে এবং তিনি অবশ্যই জেনে নিবেন মিথ্যাবাদীদেরকে। (আনকাবুত: ২-৩)

তো আল্লাহ এই পরীক্ষাটা নেবেন কী দিয়ে? ঐ যে, ইতিপূর্বে বলে দিয়েছেন: আল্লাহপ্রেমে আত্মীয়স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, পর্যটক, সাহায্যপ্রার্থিগণকে এবং দাসমুক্তির জন্যে অর্থ দান করলে, সালাত কায়েম করলে ও যাকাত প্রদান করলে আর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ করলে, অর্থ-সংকটে দুঃখ-ক্লেশে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করলে। এইগুলি হলো পরীক্ষার ক্ষেত্র। এইসব পরীক্ষায় যদি বান্দা উতরে যায়, তবেই কেবল সে জান্নাতের দেখা পাবে। শুধু ইমানের ঘোষণা আর বিশ্বাস তাকে মুক্তি দিতে পারবে না, পরীক্ষায় পাশ করাতে পারবে না। কোনো কোনো হাদিসকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার কারণে আপনি যেখানে শুধু সর্ষেদানা ইমান নিয়ে পড়ে আছেন, সেখানে আল্লাহ কিন্তু অনেক কঠিন উপমা নিয়ে বসে আছেন। কী সেটা? সেটা সর্ষেদানার মতোই অনেক ছোটো বিষয়, কিন্তু সেই ছোটো কাজটুকুও আমরা করতে পারবো না সর্ষেদানা ইমান দিয়ে। আল্লাহ বলছেন, যারা আল্লাহর কোরআনকে, তাঁর আয়াতকে অবজ্ঞা করেছে, প্রত্যাখ্যান করেছে, অহংকার দেখিয়ে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাদের জন্য জান্নাতের দরজা খোলা হবে যদি এই লোকগুলো একটি কাজ করতে পারে, অথবা কোনো দৈবচক্রে এই কাজটি হয় যায়। কী সেটা? সেটা হলো সুঁইয়ের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করাবে বা করবে।

নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং অহংকারের সাথে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাদের জন্য আকাশের দরজাসমূহ খোলা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ না সুঁইয়ের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করে। এভাবেই আমি অপরাধীদেরকে (তাদের কৃতকর্মের) বদলা দেই। (আল আরাফ: ৪০)

সর্ষেদানা ইমান দিয়ে জান্নাতের মতো এতো বড়ো একটা নেয়ামত যেটা কোনোদিন শেষ হবে না, যেটা হচ্ছে সবচেয়ে বড়ো সাফল্য, সেটা পাওয়া যাবে ভাবতেই কেনো জানি জান্নাতের আকর্ষণ আর হৃদয়ে কাজ করে না। তাই না? ব্যাপারটা সুঁইয়ের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করার মতো, কেমন না? আমরা পারবো? কী মনে হয়, আপনার?

আসলে সমস্যাটা হাদিসের না। সমস্যা হলো যারা আমরা হাদিস প্রচার করি আর হাদিস মানি তাদের বোঝার ভুল। হাদিস আর কোরআনের মধ্যে যে বেসিক পার্থক্য আছে, আমরা সেটা না বুঝেই হাদিস জানা আর মানার কাজে লেগে যাই। কোরআন একান্ত আল্লাহর কাছ থেকে প্রেরিত বাণী, সেই বাণীকে আলাদা আলাদা ভাবেও যদি আমরা বুঝি ও মানি তাতে কোনো সমস্যা নেই। মানে, ধরেন, ইমান সম্পর্কিত কোরআনের কোনো একটি বাণী আপনি নিলেন। এটি একটি বিচ্ছিন্ন বাণী হিসেবেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। আবার যদি ইমান সম্পর্কিত অন্য সব আয়াতের সাথেও আপনি এটি মিলাতে চান, একসাথে জুড়ে অর্থ বের করতে চান, সেই সামগ্রিক অর্থটাও সামঞ্জস্যপূর্ণই হবে। কারণ এটি আল্লাহর কোরআন। এর মধ্যে কোনো অসামঞ্জস্য কেউ বের করতে পারেনি, পারবেও না: তারা কি কুরআন সম্বন্ধে চিন্তা করে না? এটা যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও পক্ষ হতে হত তবে এর মধ্য বহু অসঙ্গতি পেত (আন নিসা: ৮২)। কিন্তু হাদিস তো কোরআনের অনুরূপ না। হাদিস নবির কাজকর্ম বা বাণী, যেটা বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন সময়ে নবি করেছেন বা বলেছেন। প্রতিটা হাদিস তাই বিচ্ছিন্ন। বিভিন্ন ব্যক্তির বয়ান থেকে বিচ্ছিন্নভাবে তা রেকর্ডকৃত। আর সেজন্যই বিচ্ছিন্ন হাদিসগুলোকে যদি আমরা বিচ্ছিন্নভাবে বোঝার চেষ্টা করি, সেটা একটা ভুল সংকেত দিবে। সেখান থেকে ভুল মানে বের হবে। হাদিসগুলোকে তাই বিষয়ভিত্তিক এক সাথে করে সামগ্রিক মানে খোঁজার চেষ্টা করতে হবে। আমরা যদি উপরে উল্লেখিত সর্ষেদানা ইমান সম্পর্কিত হাদিস বা ইমানের সাথে মরার হাদিসের সাথে ভালো কাজ আর মন্দ কাজ সম্পর্কিত হাদিসগুলোকে এক করে একটি সামগ্রিক মানে বের করার চেষ্টা করতাম, তবে আমাদের আজ এই ধরনের ভুল ব্যাখ্যার সুযোগ থাকতো না। তাছাড়া হাদিসের কথাগুলোকে কোরআনের বাণীর আলোকেও যদি ব্যাখ্যা করা হতো, তবে সাধারণ মুসলমানরা এই ধরনের বিচ্ছিন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা দ্বারা প্রভাবিত হতো না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.