নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন বাস্তব হতে আর দেরি নেই

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯


বাংলাদেশের সমৃদ্ধির পথে অগ্রযাত্রা এখন প্রতিনিয়ত দৃঢ় ভিত্তির উপর প্র্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ডিসেম্বর থেকেই শুরু হবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের ভৌত অবকাঠামোর কাজ। আগামী ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহু লেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্প’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। আগামী চার বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে কর্ণফুলীর দুই তীরের লাখো মানুষের বহু বছরের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ হলে আনোয়ারা, বাঁশখালী ও কর্ণফুলী থানা এলাকা মূল শহরের সঙ্গে যুক্ত হবে। এতে ঐ এলাকায় নগর সম্প্রসারণ ও নতুন শিল্পকারখানা স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টির ফলে চীনের সাংহাইয়ের মতো ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এই প্রকল্পে নদীর তলদেশে গাড়ি যাওয়ার জন্য একটি এবং আসার জন্য আরেকটি টিউব তৈরি করা হবে, যা টানেল নামে পরিচিত হবে। প্রতিটি টিউবের প্রস্থ হবে ১০ দশমিক ৮ মিটার (৩৫ দশমিক ৪৩ ফুট)। দুটি টিউবে গাড়ি চলাচলের জন্য দুটি করে লেন থাকবে। প্রতিটি লেনের প্রস্থ হবে ৩ দশমিক ৬৬ মিটার। দুটি টিউবের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব থাকবে ১১ মিটার (৩৬ ফুট)। টানেলটি নদীর তলদেশ থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ মিটার (১১৮ ফুট) এবং সর্বনিম্ন ১২ মিটার (৩৯ দশমিক ৩৭ ফুট) মাটির গভীরে নির্মিত হবে। শুষ্ক মৌসুমে কর্ণফুলী নদীর গড় গভীরতা থাকে ৯ মিটার। নদীর তলদেশে টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩ হাজার ৫ মিটার (তিন কিলোমিটারের বেশি) যার সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড টানেলটি নির্মাণ করবে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যেই টানেলের নির্মাণকাজ শেষ হবে।কর্ণফুলী নদীর ভাটির দিকে নেভাল একাডেমির কাছে হবে টানেলের প্রবেশপথ। টানেলের বহির্গমনপথ হবে আনোয়ারায় কাফকো সার কারখানার পাশে। উল্লেখ্য, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। টানেলটি নির্মাণের পর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৩৪ কিলোমিটার কমার পাশাপাশি বিদ্যমান সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা বাড়বে।এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত এই টানেল প্রস্তাবিত ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দ্বিতীয় মেরিন ড্রাইভ সড়কেও যুক্ত করা হবে। টানেলের সঙ্গে যুক্ত হতে ইতোমধ্যে নেভাল একাডেমি সড়কের মুখ (পতেঙ্গা সৈকত) থেকে দক্ষিণ কাট্টলীর সাগরিকা এলাকা পর্যন্ত চার লেনের ১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ সাগরঘেঁষা আউটার রিং রোডের নির্মাণ কাজও এগিয়ে চলছে। বর্তমান সরকারের নানা মেগা প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অঙ্গীকার পূরণে আন্তরিকতা ও ধারাবাহিকতায় স্বপ্ন বাস্তব হতে আর দেরি নেই, অচিরেই গড়ে উঠবে বহুল আকাঙ্খিত স্বপ্নের সোনার বাংলা। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির তত্ত্বাবধানে নিরবিচ্ছিন্ন পথাচলার মাধ্যমে বাংলাদেশ চিরজীবী হোক, এইাই গণমানুষের প্রত্যাশা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.