![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে একাত্তরের পরাজিত অপশক্তির এদেশীয় দোসর আর ক্ষমতালিপ্সু চিহ্নিত কুচক্রীরা তাদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সম্প্রতি দেশব্যাপী ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাস আর জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির সফল বাস্তবায়নে এই অপচেষ্টা অঙ্কুরেই ব্যর্থ হয়ে গেছে। কিন্তু অদূর
ভবিষ্যতে সন্ত্রাস আর জঙ্গীবাদের বৈশ্বিক হুমকি যেন এ দেশের স্থিতিশীলতায় আঘাত করতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু সময়োপযোগী উদ্যোগ গৃহিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত টিম স্পেশাল উইপন্স অ্যান্ড ট্যাক্টিকস (সোয়াত) এর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ হিসেবে তাদের জন্য আমেরিকা থেকে কেনা হচ্ছে ১০ কোটি টাকার আধুনিক সরঞ্জাম। এই সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক রায়ট কার, বুলেট প্রুফ জিপ, স্নাইপার রাইফেল ও মিরো। তাদের নতুন ‘রায়ট কার’ হবে আকারে বড়। এতে কমপক্ষে ১০ জন সদস্য বসে ভেতর থেকে সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের দমন করার জন্য টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও গুলি ছুড়তে পারবে। কেনা হবে বুলেট প্রুফ জিপ, যাতে দুর্বৃত্তদের ঘাঁটি ও ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী হতে পারবে সোয়াটের সদস্যরা। ভেতরে থেকে গুলিও ছুঁড়তে পারবে। সন্ত্রাসীরা তাদের জিপকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লেও বুলেট প্রুফ হওয়ার কারণে এর আরোহীরা নিরাপদ থাকবে। গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারবে। কেনা হচ্ছে স্নাইপার রাইফেল, যার টেলিস্কোপের সাহায্যে নির্ভুলভাবে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে ঘায়েল করা যায়। এছাড়াও সোয়াটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের জন্য যন্ত্র কেনা অত্যাধুনিক ‘মিরো’ নামের যন্ত্র, যা দিয়ে গাড়ির মধ্যে থাকা যে কোন বিস্ফোরক দ্রব্য চিহ্নিত করা যাবে। সাম্প্রতিক সময়ে জনগণের সহযোগিতায় দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনের বিভিন্ন অভিযানে পুলিশ ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। তবে বিভিন্ন পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অনেক স্পর্শকাতর স্থানে অভিযান চালাতে দক্ষ পুলিশের পাশাপাশি প্রয়োজন হয় অত্যাধুনিক সরঞ্জামের। এ বিষয়াদি বিবেচনায় পুলিশের সর্বাধুনিক প্রশিক্ষিত টিম সোয়াট গঠন করা হয়েছিল। টিমটি ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সফলতার সঙ্গে অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের দমন ও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর জন্যই বিদেশ অত্যাধুনিক নতুন সরঞ্জাম কেনার এই সময়োপযোগী উদ্যোগ। উল্লেখ্য, সোয়াট টিমের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আধুনিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। বর্তমানে ডিএমপিতে সোয়াটের সদস্য সংখ্যা ৭৫ জন, সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে। এই বাহিনী দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনার সময়েও জন নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অভিযান পরিচালনা করে। আধুনিক সরঞ্জাম প্রাপ্তিতে সোয়াটের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে সন্ত্রাস আর জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির সফল বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হবে, দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতায় নিশ্চিত হবে অর্থনৈতিক অগ্রগতির অব্যাহত অগ্রযাত্রা।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬
রাকীব হাসান বলেছেন: তথ্য সুত্র দিয়ে সহযোগীতা করবেন প্লিজ