![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দূরপ্রাচ্যের নব্য শিল্পায়িত দেশগুলোয় মুক্ত বাজার অর্থনীতি এবং বিশ্বায়নের সুযোগ ও প্রেক্ষাপট কাজে লাগিয়ে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে, তার মূলে সেসব দেশে ১. বিশ্বায়নে অবগাহন এবং মুক্ত বাজার অর্থনীতি অনুসরণে সচেতন ও সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ ২. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের আকাঙ্ক্ষা ও আয়োজনকে একটা পরিশীলিত ও টেকসই প্রেক্ষাপটে স্থাপন ৩. যেকোনো মূল্যে সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং বিনিয়োগ আকর্ষণের মাধ্যমে বহির্বাণিজ্যে সুবিধাজনক অবস্থান নিশ্চিতে রফতানি উদ্যোগ বৃদ্ধি ৪. টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার শক্ত ভিত নির্মাণ ৫. আন্তঃদেশীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত সত্ত্বেও বাণিজ্য বিনিয়োগ সম্প্রসারণের স্বার্থে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতাকে গুরুত্ব প্রদান ৬. মানবসম্পদকে পুঁজি হিসেবে রূপান্তরে পর্যাপ্ত কারিগরি ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা ও উন্নয়নে অধিকতর মনোযোগ ৭. অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে একটা দেশাত্মগত দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ এবং পুঁজিবাজারের সংস্কার সাধন ৮. শ্রমবাজারকে সুসঙ্গতকরণে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি ও অবাধ অভিবাসনের উদ্যোগ গ্রহণ ৯. বেসরকারি পুঁজিবাজার সৃষ্টিতে তথ্যপ্রযুক্তি প্রবাহে বাস্তবানুগ আইন প্রণয়ন ও উত্সাহ প্রদায়ক পদক্ষেপ গ্রহণ ১০. বিদেশী প্রযুক্তির প্রতি উদার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ এবং কৌশলগত কারণে বিশেষ বিশেষ শিল্প প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্বারোপ ১১. রফতানি উন্নয়নে মৌলিক শিল্প ও উদ্ভাবনী শিল্পশক্তির সমন্বয়ের দ্বারা পণ্য বহুমুখীকরণ ১২. বিশ্ব অর্থনীতির পরিবর্তন প্রেক্ষাপটকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ পর্যালোচনায় রেখে সচেতন বিবেচনায় এনে শিল্প বিনিয়োগ নীতিমালাকে সংস্কার ও উদারীকরণ এবং সর্বোপরি ১৩. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার কারণে অভূতপূর্ব শিল্পোন্নয়ন তথা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি আন্তঃসহায়ক শক্তি সর্বদা বিদ্যমান। শত সংকট সন্ধিক্ষণেও একটি অন্তঃসলিলা প্রেরণা অর্থনীতিকে সচল রাখতে সচেষ্ট থাকে। তা না হলে শত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অপচয়-অবচয়-অবক্ষয়-আত্মসাত্ আর নানা ভুল-ভ্রান্তিতে ভরা লোকসানি পদক্ষেপের কবলে থেকেও অর্থনীতিতে বিদ্যমান ও দৃশ্যমান গতি থাকত না, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাও এমন পর্যায়ে রাখা সম্ভব হতো না। অর্থনীতিকে বেগবান করার প্রতিশ্রুতি ও প্রয়াসের কথা বলে নানা মডেলে এক্সপেরিমেন্ট চালানোয় বিভিন্ন সময়ে ভিন্নধর্মী নীতি গ্রহণ এবং তাতে মূল্যবান সময় ব্যয়, অস্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দুর্বলতায় আত্মসাত্ ও অপব্যয় সত্ত্বেও অর্থনীতির স্বাভাবিক অগ্রগতি বিদ্যমান। সবার স্বতঃপ্রণোদিত অংশগ্রহণে অর্জিত সাফল্য আত্মতুষ্টির আত্মপ্রচারণা উত্সারিত অনুত্পাদনশীল পদক্ষেপে অর্থনীতির অন্তঃসলীলা শক্তি যেমন অবক্ষয়ের শিকার হয়, তেমনি গণ-অংশায়নে স্বতঃস্ফূর্ত প্রেরণায় ঘটে বিচ্যুতি ও বিভ্রান্তি। নেতিবাচক মনোভাবে সামাজিক অস্থিরতায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভবনার স্বর্ণতোরণ সুদূরে মিলায়।
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইডিয়টগিরিও একটা পেশা?
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এত তথ্য দিয়েছেন, তথ্যের রেফারেন্স কই?
৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৭
উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: দারুণ বলেছেন।
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
খুব সুন্দর লেখেছেন।
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২১
ওমদামিয়া পাহাড় বলেছেন: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি আন্তঃসহায়ক শক্তি সর্বদা বিদ্যমান।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া সবাই বাংলাদেশের মডেল অনুসরণ শুরু করেছে; সবাই শেখ হাসিনাকে ওদের রাস্ট্র প্রধান হতে, ও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে তাদের তাদের দেশে শাখা খুলতে অনুরোধ জানায়েছে।