![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যমুনা নদীর ওপর আরও একটি রেল সেতু হচ্ছে। এর দৈর্ঘ্য হবে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার- যা হবে দেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু। এর ফলে রাজধানীর সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। আর এই রেল সেতু নির্মাণে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। যদিও পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। বাকি ২ হাজার ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। চলতি বছর উদ্বোধনের পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেতু নির্মাণ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুতে সীমিত এক্সেল লোড ও গতির সীমাবদ্ধতার কারণে এ রেল সেতুর পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে ফ্রেইট ট্রান্সপোর্টের সম্ভাবনা থাকার পরও সুযোগটাকে পুরোপুরি কাছে লাগানো যাচ্ছে না। বর্তমানে ২৮টি ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে। বাংলাদেশে ২ হাজার ৮৭৭ দশমিক ১০ কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে তা ৪ হাজার ৭৩০ কিলোমিটারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ফলে ভবিষ্যতে ট্রেন চলাচল সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। ২০১৮ সালের মধ্যে মংলা পোর্ট রেললাইন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি পাবে। এতে রেল চলাচলের পরিমাণ ২০২৩ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৩৩ সালের মধ্যে তা দ্বিগুণ বাড়বে। জাতীয় ও উপাঞ্চলিক রেল চলাচলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল ডেডিকেটেড রেল সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যমুনায় প্রস্তাবিত রেল সেতু অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রেল যোগাযোগে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কনটেইনার পরিচালনার জন্য ব্রডগেজ কনটেইনার ট্রেইন সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে লোড ও স্পিড প্রতিবন্ধকতা দূর করে অধিক উৎপাদনশীলতা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালনা দক্ষতা বৃদ্ধি এবং গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা সম্ভব হবে। চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল ৩০০ মিটার উজানে প্রায় ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার ডেডিকেটেড ডুয়েলগেজ স্টিল রেল সেতুটি নির্মাণ করা হবে। যমুনা নদীর ওপর ডেডিকেটেড রেল সেতুটি নির্মিত হলে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নিরাপদ যাত্রী সেবা ও পণ্য পরিবহন বৃদ্ধির ফলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৭
উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, দেশের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের তথ্য শেয়ার করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করে আমাদেরকে আবহিত রাখার জন্য । সরকারের উন্নয়ন সংক্রান্ত তথ্যগুলি আমরা গুরুত্বের সহিত শেয়ার করছি । আশা করি আমাদের এই সামুর পাতায় কিছু কিছু বিষয়ে উন্নয়ন কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়, সরকারী পর্যায় থেকেও সেগুলি শেয়ার করা কাম্য বলে মনে করি । এটা জানি যে প্রতিটি মন্ত্রনালয়েই একজন করে তথ্য কর্মকর্তা আছেন । জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে তারা সরকার ও জনগনের মাঝে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তথ্য অআদান প্রদান করবেন বলেই কাম্য, যতদুর জানা যায় তাতে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাঁরা শুধু জাতীয় সংবাদ পত্রে তাদের নীজ নীজ মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত কোন সংবাদ থাকলে তার পেপার ক্লিপিং মন্ত্রী মহোদয়কে সরবরাহ করেন ও মন্ত্রী কোন ভাষন দিলে তার একটি ছো্ট্ প্রেস রিলিজের ব্যবস্থা করেন । আমার মনে হয় প্রতিটি মন্ত্রনালয়ের এই গুরুত্বপুর্ণ সেকশনটিকে জাতীয় সংবাদপত্রের ন্যয় সামুর মত বহুল প্রচারিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের উপর ভাষ্য বা ক্লিপিং সংষ্লিস্ট মন্ত্রীর গোচরে আনা হয় সেই সাথে প্রতিটি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত উন্নয়ন কৌশল ও অগ্রগতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তুলে ধরা হয় তবে সকলেই তা যথাযথ ভাবে শেয়ার করতে পারে ।
আর একটি বিষয়, আপনার প্রোফাইলে দেখলাম গত ৫ মাসে ১৫১ টি পোস্ট করেছেন , কোন পোস্টে মাত্র গুটি কয়েক মন্তব্য প্রাপ্তি , পাঠক সংখ্যাও খুবই কম আর আপনিও মন্তব্য করেছেন মাত্র ১ টি । অথচ প্রতিটি পোস্টই খুবই গুরুত্বপুর্ণ , কেও মন্তব্য না করলেও পাঠক সংখায় তা ভাইরাল হওয়ার কথা । কিন্তু তা হচ্ছেনা কেন , সেটা একটা ভাবার বিষয়, পাঠকের কি দেশের উন্নয়নের সংবাদে অনিহা !! এ কথা বিশ্বাস করতে কস্ট হয় , উন্নয়নের সংবাদে পাঠে পাঠকের অনীহা আছে । আসলে দেয়া নেয়ার বিষয়টিই মুখ্য । একজন পাঠক লিখাটি পাঠ করে কস্ট করে দু চার লাইন মন্তব্য করবে আর লিখক সেটা একেবারেই দেখবেনা , সেটা পাঠকের কাছে একটুতো খারাপ লাগতেই পারে , তার ফলাফল তো দেখাই যাচ্চে জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের উপর খবরগুলিতেও পাঠক আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে, মেসেজটি যাচ্চে যে সরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ডের উপর পাঠকের বিশেষ কোন আস্থা নেই, তার মানে এত কস্ট করে দেশের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়েও পাঠককে উন্নয়ন সংবাদের দিকে প্রলুব্ধ করা যাচ্ছেনা । অভিজ্ঞতা হতে বুঝতে পারছি আমার এই মন্তব্যটিও লিখকের নজরে আসবেনা , তবে লিখলাম এ জন্যেই যে তা হয়তবা বা কোন সচেতন পাঠকের নজরে আসতেও পারে ।
ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে লিখার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।